প্রেসিডেন্টিয়াল ডিবেট ২০১৬ঃ
*************************
কর্মসূত্রে ইস্টকোস্টের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল বেল্টে এদিক ওদিক ঘুরি। আমেরিকাতে ম্যানুফ্যাকচারিং বেল্ট গ্রামীন এলাকাতেই বেশী। দিগন্তজোড়া সবুজ ক্ষেত। তারই মধ্যে মধ্যে ইতিউতি ছোট ছোট ইন্ডাস্ট্রি মাথা তুলেছে। অনেকটা যেমন হতে পারত আমাদের সিঙ্গুর। কৃষি এবং শিল্পের সহাবস্থান।
ট্রাম্প-হিলারী ডিবেটে, ট্রাম্পের ট্রাম্পকার্ড বুঝতে, পেনসিল্ভেনিয়া ওহায়ো ইত্যাদি ইন্ডাস্ট্রিবেল্টের হাওয়াটা বোঝা উচিত। খুব পরিস্কারভাবে ট্রাম্প এই সুইং স্টেট গুলিতে সুইপ করতে পারে। আমি গত মাসে যতবার গেছি-গ্রামাঞ্চলের আনাচে কোনাচে ট্রাম্প ভলিউন্টারদের মোবিলাইজেশন চোখে পড়েছে। পেনসিলভেনিয়ার এইসব গ্রাম-শিল্পাঞ্চলের আনাচে কোনাচে এখন ট্রাম্প প্ল্যাকার্ড -মেকিং আমেরিকা গ্রেট এগেইন। হিলারী এখানে দুশো মাইলের মধ্যে চোখে পড়বে না যতক্ষন না আপনি পেনসিলভেনিয়ার দুই মহানগরে আসছেন-ফিলাডেলফিয়া এবং পিটসবার্গ। এর বাইরে হিলারী হাওয়া।
কিন্ত কেন? ট্রাম্প গতকালের ডিবেটে পেনসিল্ভেনিয়া, ওহায়ো এইসব এরিয়ার ধুঁকতে থাকা ব্যবসা নিয়েই খাতা খুলেছে। কিভাবে ন্যাফটা এবং গ্যাটের ফলে আমেরিকার শিল্পাঞ্চলে এসেছে বিপর্যয়। এগুলো কিন্ত একদম ঠিকঠাক-এইসব এলাকাগুলো সত্যি সত্যিই ম্যানুফাকচারিং আউটসোর্সিং এর জন্য আজ বিপর্যস্ত। গত বৃহস্পতিবার পেনসিলভেনিয়ার ওমন একটা গ্রামের রেস্টুরেন্টে বসে লাঞ্চ খাচ্ছিলাম। ওখানে পাশের টেবিলগুলোতে জোর আলোচনা-যাক এদ্দিন বাদে একজন এইসব এলাকার দূরাবস্থার কথা বলছে। এইসব এলাকাগুলো ট্রাম্প সুইপ করবে ধরে নেওয়া যায়। এবং সেটাই চিন্তার কারন। কারন এগুলি সুইং স্টেট।
আমি গতকাল থেকে অনেক নিউজ মিডিয়া ফলো করছি-কোন সন্দেহ নেই হিলারী নিজেকে অনেক ভাল ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। এবং প্রেসিডেন্ট পদের উনিই অনেক যোগ্যতর দাবিদার। কিন্ত গ্রাউন্ড রিয়ালিটি একটু অন্য। সুইং স্টেটগুলো্তে কিন্তু ট্রাম্প হিলারীকে প্রায় ধরে ফেলেছে। এবং সেই সুইং স্টেটগুলির ভোট পাওয়ার জন্য যা দরকার, ট্রাম্প ডিবেটের প্রথম দুমিনিটেই সেই আসল কাজটা করে ফেলেছেন। বাকী নব্বই মিনিট ওই এলাকার লোকেদের জন্য অপ্রয়োজনীয়।
ডেমোক্রাটিক পার্টি এবং বেস নানান লিব্যারালদের এলায়েন্স। প্রোলেবার, ফেমিনিস্ট, সিভিল রাইট, এনভাইরনমেন্টালিস্ট, ইউনিয়ানিস্ট, লেফটিস্টদের কোয়ালিশন ডেমোক্রাটিক পার্টি। এর মধ্যে লেফটিস্ট পার্টটাকে বার্নি এমন মাথা খেয়েছে, তাদের অনেকেই হিলারিকে ভোট নাও দিতে পারে। এটা ডেমোক্রাটিক পার্টির ২৫% কমিটেডবেসের ৫% মতন। হিলারির লয়াল বেস ফেমিনিস্ট এবং ব্ল্যাক রাইট মুভমেন্টের লোকেরা। এখন মেক্সিকান এবং এশিয়ানরাও। যারা আরো ১০%। এইভাবে হিলারী লয়াল বেস দাঁড়াচ্ছে ৩০% এর মতন। ্কিন্ত বাকী ৪৫% সুইং ভোট। যাদের অধিকাংশই তরুন তরুনী। তাদের ৩০% অন্তত হিলারীকে টানতে হবে। এই জন্যে হিলারী ছাত্রলোনের ব্যপারে ফোকাস করছেন। কারন আমেরিকার শিক্ষিত তরুন তরুনীরা এডুকেশন লোনে জর্জরিত।
ট্রাম্পের ইকোয়েশন অন্য। ট্রাম্প জানেন আসল ব্যটল গ্রাউন্ড সুইং স্টেটগুলো যথা ওহায়ো, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা। এর মধ্যে ট্রাম্প পেনসিল্ভেনিয়া এবং ওহায়ো টানতে পারবেন হিলারীকে তাদের দুর্দশার জন্য দায়ী করে। ভার্জিনিয়া জিততে গেলে ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি জিততে হবে-কারন বাকি কাউন্টির অধিকাংশ এমনিতেই রিপাবলিকান। ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টিতে এত বেশী ডেমোক্রাট , ওখানেই বাকী সব কাউন্টির রিপাবলিকান ভোট ব্যালান্সড হয়। ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির প্রায় ৩০% ভারতীয় এবং এশিয়ান। তাদের ৮৮% ডেমোক্রাটিক ভোটার। ফলে এদের টানতে ট্রাম্প এখন প্রোইন্ডিয়ান। এই ভারতীয়দের যেহেতু ৯৫% হিন্দু এবং মুসলমানদের ওপরে তাদের একটা জাত রাগ আছেই-সেটা কাজে লাগিয়ে, ট্রাম্প হয়ত ৫০-৬০% ভারতীয় ভোট পেলেও পেতে পারেন ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টিতে। তবে ভারতীয়দের আবার ৪০% ভোটার রেজিস্ট্রেশন করে না-না হলে সিটিজেনশিপ নেয় না।
আপাতত বেশ ক্লোজ ইলেকশন। ট্রাম্প যদি মেগালোম্যানিয়াক নার্সিসিস্ট না হত, এই যাত্রায় হিলারী ভরাডুবি ছিল আসন্ন। হিলারী ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ২০ গুন বেশী টাকা তুলছেন-কিন্ত তবুও দেখা যাচ্ছে হিলারী ভল্যুইন্টার মুভমেন্ট শুধু মাত্র কালো সিভিল রাইট এবং ফেমিনিস্ট এক্টিভিস্টদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেখানে ট্রাম্প কিন্ত গ্রামাঞ্চলে বিরাট ভলিউন্টিয়ার মোবিলাইজ করতে সক্ষম হয়েছেন।
ট্রাম্প কনম্যান, মিডিয়া অভিনেতা। ১০০% অবিশ্বাসযোগ্য। ফলে তাকে বিশ্বাস করে যে আমেরিকাবাসী ঠকবে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্ত ট্রাম্প কিছু প্রশ্ন তুলেছেন-যা অন্যান্য রাজনীতিবিদরা তোলেন নি। উচিত ছিল। এবং সাধারন মানুষের রাগের ফল কি হতে পারে অন্যান্য রিপাবলিকান নেতারা বুঝেছেন এত দিনে। হিলারীর সেই কাতারে যাওয়ার সম্ভাবনা কিন্ত উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
*************************
কর্মসূত্রে ইস্টকোস্টের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল বেল্টে এদিক ওদিক ঘুরি। আমেরিকাতে ম্যানুফ্যাকচারিং বেল্ট গ্রামীন এলাকাতেই বেশী। দিগন্তজোড়া সবুজ ক্ষেত। তারই মধ্যে মধ্যে ইতিউতি ছোট ছোট ইন্ডাস্ট্রি মাথা তুলেছে। অনেকটা যেমন হতে পারত আমাদের সিঙ্গুর। কৃষি এবং শিল্পের সহাবস্থান।
ট্রাম্প-হিলারী ডিবেটে, ট্রাম্পের ট্রাম্পকার্ড বুঝতে, পেনসিল্ভেনিয়া ওহায়ো ইত্যাদি ইন্ডাস্ট্রিবেল্টের হাওয়াটা বোঝা উচিত। খুব পরিস্কারভাবে ট্রাম্প এই সুইং স্টেট গুলিতে সুইপ করতে পারে। আমি গত মাসে যতবার গেছি-গ্রামাঞ্চলের আনাচে কোনাচে ট্রাম্প ভলিউন্টারদের মোবিলাইজেশন চোখে পড়েছে। পেনসিলভেনিয়ার এইসব গ্রাম-শিল্পাঞ্চলের আনাচে কোনাচে এখন ট্রাম্প প্ল্যাকার্ড -মেকিং আমেরিকা গ্রেট এগেইন। হিলারী এখানে দুশো মাইলের মধ্যে চোখে পড়বে না যতক্ষন না আপনি পেনসিলভেনিয়ার দুই মহানগরে আসছেন-ফিলাডেলফিয়া এবং পিটসবার্গ। এর বাইরে হিলারী হাওয়া।
কিন্ত কেন? ট্রাম্প গতকালের ডিবেটে পেনসিল্ভেনিয়া, ওহায়ো এইসব এরিয়ার ধুঁকতে থাকা ব্যবসা নিয়েই খাতা খুলেছে। কিভাবে ন্যাফটা এবং গ্যাটের ফলে আমেরিকার শিল্পাঞ্চলে এসেছে বিপর্যয়। এগুলো কিন্ত একদম ঠিকঠাক-এইসব এলাকাগুলো সত্যি সত্যিই ম্যানুফাকচারিং আউটসোর্সিং এর জন্য আজ বিপর্যস্ত। গত বৃহস্পতিবার পেনসিলভেনিয়ার ওমন একটা গ্রামের রেস্টুরেন্টে বসে লাঞ্চ খাচ্ছিলাম। ওখানে পাশের টেবিলগুলোতে জোর আলোচনা-যাক এদ্দিন বাদে একজন এইসব এলাকার দূরাবস্থার কথা বলছে। এইসব এলাকাগুলো ট্রাম্প সুইপ করবে ধরে নেওয়া যায়। এবং সেটাই চিন্তার কারন। কারন এগুলি সুইং স্টেট।
আমি গতকাল থেকে অনেক নিউজ মিডিয়া ফলো করছি-কোন সন্দেহ নেই হিলারী নিজেকে অনেক ভাল ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। এবং প্রেসিডেন্ট পদের উনিই অনেক যোগ্যতর দাবিদার। কিন্ত গ্রাউন্ড রিয়ালিটি একটু অন্য। সুইং স্টেটগুলো্তে কিন্তু ট্রাম্প হিলারীকে প্রায় ধরে ফেলেছে। এবং সেই সুইং স্টেটগুলির ভোট পাওয়ার জন্য যা দরকার, ট্রাম্প ডিবেটের প্রথম দুমিনিটেই সেই আসল কাজটা করে ফেলেছেন। বাকী নব্বই মিনিট ওই এলাকার লোকেদের জন্য অপ্রয়োজনীয়।
ডেমোক্রাটিক পার্টি এবং বেস নানান লিব্যারালদের এলায়েন্স। প্রোলেবার, ফেমিনিস্ট, সিভিল রাইট, এনভাইরনমেন্টালিস্ট, ইউনিয়ানিস্ট, লেফটিস্টদের কোয়ালিশন ডেমোক্রাটিক পার্টি। এর মধ্যে লেফটিস্ট পার্টটাকে বার্নি এমন মাথা খেয়েছে, তাদের অনেকেই হিলারিকে ভোট নাও দিতে পারে। এটা ডেমোক্রাটিক পার্টির ২৫% কমিটেডবেসের ৫% মতন। হিলারির লয়াল বেস ফেমিনিস্ট এবং ব্ল্যাক রাইট মুভমেন্টের লোকেরা। এখন মেক্সিকান এবং এশিয়ানরাও। যারা আরো ১০%। এইভাবে হিলারী লয়াল বেস দাঁড়াচ্ছে ৩০% এর মতন। ্কিন্ত বাকী ৪৫% সুইং ভোট। যাদের অধিকাংশই তরুন তরুনী। তাদের ৩০% অন্তত হিলারীকে টানতে হবে। এই জন্যে হিলারী ছাত্রলোনের ব্যপারে ফোকাস করছেন। কারন আমেরিকার শিক্ষিত তরুন তরুনীরা এডুকেশন লোনে জর্জরিত।
ট্রাম্পের ইকোয়েশন অন্য। ট্রাম্প জানেন আসল ব্যটল গ্রাউন্ড সুইং স্টেটগুলো যথা ওহায়ো, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা। এর মধ্যে ট্রাম্প পেনসিল্ভেনিয়া এবং ওহায়ো টানতে পারবেন হিলারীকে তাদের দুর্দশার জন্য দায়ী করে। ভার্জিনিয়া জিততে গেলে ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি জিততে হবে-কারন বাকি কাউন্টির অধিকাংশ এমনিতেই রিপাবলিকান। ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টিতে এত বেশী ডেমোক্রাট , ওখানেই বাকী সব কাউন্টির রিপাবলিকান ভোট ব্যালান্সড হয়। ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির প্রায় ৩০% ভারতীয় এবং এশিয়ান। তাদের ৮৮% ডেমোক্রাটিক ভোটার। ফলে এদের টানতে ট্রাম্প এখন প্রোইন্ডিয়ান। এই ভারতীয়দের যেহেতু ৯৫% হিন্দু এবং মুসলমানদের ওপরে তাদের একটা জাত রাগ আছেই-সেটা কাজে লাগিয়ে, ট্রাম্প হয়ত ৫০-৬০% ভারতীয় ভোট পেলেও পেতে পারেন ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টিতে। তবে ভারতীয়দের আবার ৪০% ভোটার রেজিস্ট্রেশন করে না-না হলে সিটিজেনশিপ নেয় না।
আপাতত বেশ ক্লোজ ইলেকশন। ট্রাম্প যদি মেগালোম্যানিয়াক নার্সিসিস্ট না হত, এই যাত্রায় হিলারী ভরাডুবি ছিল আসন্ন। হিলারী ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ২০ গুন বেশী টাকা তুলছেন-কিন্ত তবুও দেখা যাচ্ছে হিলারী ভল্যুইন্টার মুভমেন্ট শুধু মাত্র কালো সিভিল রাইট এবং ফেমিনিস্ট এক্টিভিস্টদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেখানে ট্রাম্প কিন্ত গ্রামাঞ্চলে বিরাট ভলিউন্টিয়ার মোবিলাইজ করতে সক্ষম হয়েছেন।
ট্রাম্প কনম্যান, মিডিয়া অভিনেতা। ১০০% অবিশ্বাসযোগ্য। ফলে তাকে বিশ্বাস করে যে আমেরিকাবাসী ঠকবে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্ত ট্রাম্প কিছু প্রশ্ন তুলেছেন-যা অন্যান্য রাজনীতিবিদরা তোলেন নি। উচিত ছিল। এবং সাধারন মানুষের রাগের ফল কি হতে পারে অন্যান্য রিপাবলিকান নেতারা বুঝেছেন এত দিনে। হিলারীর সেই কাতারে যাওয়ার সম্ভাবনা কিন্ত উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
No comments:
Post a Comment