ফেসবুক জুরে যাদবপুর এবং জেন এন ইউ এর প্রাত্তনীদের এলিটপণাতে আমি খুবই বিরক্ত। একই ধরনের স্নব এটিচুড আই আই আনদের মধ্যেও আরো বাজে ভাবে দেখি। ভাবটা এমন যারা এইসব জায়গায় পায় নি- তারাসবাই বালছাল-আর আমরাই হলাম একমাত্র হনু। এটা পরিস্কার ভাবে কেউ কেউ বলেই ফেলে। আর যারা বলতে পারে না আকারে ইঙ্গিতে বলেই বুঝিয়ে দেয়।
আমার প্রশ্ন হল, হ্যা যাদবপুর, আই আই টি, জেন এন ইউ থেকে বেড়িয়ে সবাই বেশ মোটা মাইনের চাকরি করছে-ফেসবুকে তাদের বৈভবের ফটো পোষ্ট করছে-সবাই নিশ্চয় নিজের জন্য ভালোই করেছে-কিন্ত তাতে জুটমিল বা চাবাগানের যে শ্রমিকরা আত্মহত্যা করছে তাদের কি যায় আসে?
এই দুটোর মধ্যে যোগ কোথায়? যোগটা এখানেই যে জুট এবং চা শিল্প পশ্চিম বঙ্গের সব থেকে বড় দুই এক্সপোর্ট ছিল একসময়। অথচ এই দুই শিল্পে কোন গবেষনা হল না এদের আধুনিক করার জন্য। আধুনিকরন না হলে কোন শিল্পই টেকে না। আজ লাখে লাখে শ্রমিকরা মৃত্যুমুখে।
আপনি বলবেন দোষ ফরেদার শিল্পপতিদের। তারা কিছুই করতে চায় না। শুধু শ্রমিক শোষন করে লাভ করতে চায়। তাতে যাদবপুর বা আই আই টির দোষ কোথায়?
এটা ভ্যালিড প্রশ্ন। কিন্ত আরেকটু ভেবে দেখুন। আই আই টি খরগপুর বা যাদবপুর এমন কিছু করেছে-যা পশ্চিম বঙ্গের কাজে এসেছে? এরা ত রিসার্চে নাম্বার দুই আর আট পজিশন নিয়ে বসে আছে। তাতে রাজ্যের কি লাভ? লাখো জনতার কি লাভ?
খরগপুরে অধ্যাপকরা কিছু করার চেষ্টা করে না তা না। মুড়ি বানানোর মেশিন থেকে হৃদকম্পনের জন্য মোবাইল এপ- অনেক কিছুই নিউজে দেখি। কিন্ত সব কিছু আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। কিছুই দাঁড়ায় না। নিউজ ফ্ল্যাশ করে নিজেদের একটু দাম বাড়িয়ে নিয়েই সবাই খালাস।
এই রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের অবস্থা এখন এতটাই বাজে, টিম টিম করে চলছে দু একটি পিসিবি বানানোর কোম্পানী। তাও মাল্টিলেয়ার বোর্ড পারে না। হাওড়ার ওয়ার্কশপগুলিতে আধুনিক সিএনসি মেশিন আছে-এমন প্রায় নেই। ভাল মোল্ডিং শপ নেই। কারন ম্যানুফ্যাকচারিং কিস্যু নেই এই রাজ্যে। তাহলে খরগপুর আর যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষনায় দুই আর আট নাম্বারে এসে কি লাভ হল? তবে আই আই টি খরগপুরে ইসরোর কিছু ভাল কাজ হয়। কিন্ত তাতে রাজ্যের বাকী লোকের কি?
আমেরিকাতে রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির সব থেকে বড় ম্যান্ডেট থাকে সেই রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের উন্নতির জন্য কাজ করা। এগুলো রিভিউ হয় ইউনিভার্সিটির বোর্ডে। নইলে রাজ্যসরকার ফান্ড বন্ধ করে দেবে যদি দেখে তার রাজ্যের কাজে এরা আসছে না।
অবশ্য ইনফ্রাস্টাকচার দরকার। আমেরিকাতে টপ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলগুলির স্টার্টাপ এবং ভিসি মেকানিজম আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি মার্কেটে আনার। ভারতে একমাত্র আই আই টি মুম্বাইতে সেই ইকোসিস্টেম আছে যেহেতু মহারাষ্ট্র ইঞ্জিনিয়ারিং এ উন্নত ।
শুধু যদি ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়েও দিই, স্যোশাল সায়েন্সেই বা কি বড় বাল ছিঁড়েছে যাদবপুর? পশ্চিম বঙ্গে রাজনৈতিক হত্যা সব থেকে বেশী হয়। সেটা নিয়ে খুঁজতে গেলে দেখি সব কাজ হয়েছে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে!
পশ্চিম বঙ্গের যা অবস্থা তাতে একাডেমিক্স এলিটপণা আসলেই গাম্বাটপণার চূরান্ত। যাদবপুর বা আই আই টি খরগপু্র এই রাজ্যে ভিখিরীর বাড়ান্দায় ঝাড়লন্ঠন!!
যদ্দিন না এই রাজ্যে ইঞ্জিনুয়ারিং এর বেসিক, একদম নুন্যতম যা কিছু লাগে-যথা আধুনিক মেশিন শপ, পিসিবি তৈরী, মোল্ডিং এর নুন্যতম ক্যাপাবিলিটি তৈরী হবে, এই সব নাম্বার টু, এইট-আল্টিটেম লজ্জা । ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেসিক ইনফ্রাস্টাকচার পর্যন্ত নেই-আর লোকে ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষনায় দুই আর আট নাম্বার স্থান পেয়ে লাফাচ্ছে-এমনটা তারাই পারে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং কিছু বোঝে না।
তামিললাডুর কোয়েম্বাটুর ভারতের পাম্প তৈরীর রাজধানী। ওই একটা ছোট শহরের যে ইঞ্জিনিয়ারিং কেপেবিলিটি আছে, গোটা পশ্চিম বঙ্গের তা নেই। পশ্চিম বঙ্গের ইঞ্জিনিয়ারিং এর হাল এতটাই বাজে।
গর্ব করা ছেরে এবার মাটিতে পা দিন।
আমার প্রশ্ন হল, হ্যা যাদবপুর, আই আই টি, জেন এন ইউ থেকে বেড়িয়ে সবাই বেশ মোটা মাইনের চাকরি করছে-ফেসবুকে তাদের বৈভবের ফটো পোষ্ট করছে-সবাই নিশ্চয় নিজের জন্য ভালোই করেছে-কিন্ত তাতে জুটমিল বা চাবাগানের যে শ্রমিকরা আত্মহত্যা করছে তাদের কি যায় আসে?
এই দুটোর মধ্যে যোগ কোথায়? যোগটা এখানেই যে জুট এবং চা শিল্প পশ্চিম বঙ্গের সব থেকে বড় দুই এক্সপোর্ট ছিল একসময়। অথচ এই দুই শিল্পে কোন গবেষনা হল না এদের আধুনিক করার জন্য। আধুনিকরন না হলে কোন শিল্পই টেকে না। আজ লাখে লাখে শ্রমিকরা মৃত্যুমুখে।
আপনি বলবেন দোষ ফরেদার শিল্পপতিদের। তারা কিছুই করতে চায় না। শুধু শ্রমিক শোষন করে লাভ করতে চায়। তাতে যাদবপুর বা আই আই টির দোষ কোথায়?
এটা ভ্যালিড প্রশ্ন। কিন্ত আরেকটু ভেবে দেখুন। আই আই টি খরগপুর বা যাদবপুর এমন কিছু করেছে-যা পশ্চিম বঙ্গের কাজে এসেছে? এরা ত রিসার্চে নাম্বার দুই আর আট পজিশন নিয়ে বসে আছে। তাতে রাজ্যের কি লাভ? লাখো জনতার কি লাভ?
খরগপুরে অধ্যাপকরা কিছু করার চেষ্টা করে না তা না। মুড়ি বানানোর মেশিন থেকে হৃদকম্পনের জন্য মোবাইল এপ- অনেক কিছুই নিউজে দেখি। কিন্ত সব কিছু আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। কিছুই দাঁড়ায় না। নিউজ ফ্ল্যাশ করে নিজেদের একটু দাম বাড়িয়ে নিয়েই সবাই খালাস।
এই রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের অবস্থা এখন এতটাই বাজে, টিম টিম করে চলছে দু একটি পিসিবি বানানোর কোম্পানী। তাও মাল্টিলেয়ার বোর্ড পারে না। হাওড়ার ওয়ার্কশপগুলিতে আধুনিক সিএনসি মেশিন আছে-এমন প্রায় নেই। ভাল মোল্ডিং শপ নেই। কারন ম্যানুফ্যাকচারিং কিস্যু নেই এই রাজ্যে। তাহলে খরগপুর আর যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষনায় দুই আর আট নাম্বারে এসে কি লাভ হল? তবে আই আই টি খরগপুরে ইসরোর কিছু ভাল কাজ হয়। কিন্ত তাতে রাজ্যের বাকী লোকের কি?
আমেরিকাতে রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির সব থেকে বড় ম্যান্ডেট থাকে সেই রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের উন্নতির জন্য কাজ করা। এগুলো রিভিউ হয় ইউনিভার্সিটির বোর্ডে। নইলে রাজ্যসরকার ফান্ড বন্ধ করে দেবে যদি দেখে তার রাজ্যের কাজে এরা আসছে না।
অবশ্য ইনফ্রাস্টাকচার দরকার। আমেরিকাতে টপ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলগুলির স্টার্টাপ এবং ভিসি মেকানিজম আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি মার্কেটে আনার। ভারতে একমাত্র আই আই টি মুম্বাইতে সেই ইকোসিস্টেম আছে যেহেতু মহারাষ্ট্র ইঞ্জিনিয়ারিং এ উন্নত ।
শুধু যদি ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়েও দিই, স্যোশাল সায়েন্সেই বা কি বড় বাল ছিঁড়েছে যাদবপুর? পশ্চিম বঙ্গে রাজনৈতিক হত্যা সব থেকে বেশী হয়। সেটা নিয়ে খুঁজতে গেলে দেখি সব কাজ হয়েছে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে!
পশ্চিম বঙ্গের যা অবস্থা তাতে একাডেমিক্স এলিটপণা আসলেই গাম্বাটপণার চূরান্ত। যাদবপুর বা আই আই টি খরগপু্র এই রাজ্যে ভিখিরীর বাড়ান্দায় ঝাড়লন্ঠন!!
যদ্দিন না এই রাজ্যে ইঞ্জিনুয়ারিং এর বেসিক, একদম নুন্যতম যা কিছু লাগে-যথা আধুনিক মেশিন শপ, পিসিবি তৈরী, মোল্ডিং এর নুন্যতম ক্যাপাবিলিটি তৈরী হবে, এই সব নাম্বার টু, এইট-আল্টিটেম লজ্জা । ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেসিক ইনফ্রাস্টাকচার পর্যন্ত নেই-আর লোকে ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষনায় দুই আর আট নাম্বার স্থান পেয়ে লাফাচ্ছে-এমনটা তারাই পারে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং কিছু বোঝে না।
তামিললাডুর কোয়েম্বাটুর ভারতের পাম্প তৈরীর রাজধানী। ওই একটা ছোট শহরের যে ইঞ্জিনিয়ারিং কেপেবিলিটি আছে, গোটা পশ্চিম বঙ্গের তা নেই। পশ্চিম বঙ্গের ইঞ্জিনিয়ারিং এর হাল এতটাই বাজে।
গর্ব করা ছেরে এবার মাটিতে পা দিন।
No comments:
Post a Comment