Sunday, February 19, 2023

ভাষা দিবসের প্রাক্কালে- আমার বাংলা ভাষা ভাবনা

 ভাষা দিবসের প্রাক্কালে- আমার বাংলা ভাষা ভাবনা

বিপ্লব পাল, ২০ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

(১)
ভাষা আবেগের অন্য নাম। আপনি যখন স্বপ্ন দেখেন বা যখন অবচেতন মনের দৈত্য, আপনার সাথে একান্তে নিভৃতে কথা বলতে চায়-তখন আপনি কোন ভাষায় কথা বলেন? সেই ভাষাটি চিনেছেন কি যে ভাষায় আপনি স্বপ্নে কথা বলেন?

 ওটিই আপনার আসল ভাষা!

আমি ভাষাবিদ নই। ভাষার গঠন এবং গ্রামার নিয়েও আমার ধারনা দুর্বল। তবে ওয়েবে বাংলায় লিখছি বহুদিন। লেখার মধ্যে অসংখ্য বানান এবং ব্যাকারন-দুই এরই মা-মাসি করে লিখি। আসলে বিশুদ্ধ বাংলা বা বিশুদ্ধ ভাষায় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি চর্চা হতে পারে- কিন্ত সাহিত্য, গান- বা সাধারনের জন্য লেখালেখির ক্ষেত্রে অশুদ্ধ বা আঞ্চলিক ভাষা অনেক বেশী কার্যকরী। আমি এই লেখা লিখছি মূলত একজন প্রযুক্তিবিদ হিসাবে এবং ইতিহাস যেটুকু বুঝি, তার প্রেক্ষিতে। ভাষার সাথে ইতিহাস দর্শন মনস্তত্ব সাহিত্য পুঁজি রাজনীতি প্রযুক্তি-সবকিছুই জড়িত। তাই শুধু গ্রামার বা শুধুই সাহিত্যের ইতিহাস দিয়ে একটা ভাষাকে দেখা-নেহাতই মায়োপিক চিন্তা। যা শুধু ভাষাভিত্তিক সঙ্কীর্নতার ধাত্রীগৃহ।

তাছারা এই চ্যাটজিপিটির যুগে ভাষার ভবিষ্যতই বা কি?  

(২)
প্রথমে ইতিহাসে দেখি। প্রথম লিখিত ভাষার উদ্ভব  মেসোপটেমিয়াতে। সুমেরু সভ্যতার ট্যাবলেট। ইজিপ্সিয়ানরাও লিখতে জানত। হরপ্পানরাও জানত। একটা ব্যাপারত পরিস্কার। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সেই ব্রোঞ্জযুগেও ছিল। আজ থেকে চার হাজার বছর আগেও ভারত ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের সাথে বাণিজ্য করছে। একে অন্যের ভাষা না জানলে সেটা সম্ভব হত?

আরেকটা টুইস্ট দিই ইতিহাস থেকে। বৃটিশ বা ইউরোপিয়ানরা ভারতে বাণিজ্য শুরু করে মোটামুটি মুঘল আমলের শুরু থেকে। মুঘল আমলের শেষের দিক থেকে তারা রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। আচ্ছা আজ থেকে ৩০০ বছর আগে, একটা বিদেশীদের দল-যারা গোটা ভারতে সংখায় ২০,০০০ ও ছিল না- তারা কি করে ভারতের মতন একটা ভূখন্ড দখল করে বসল? তারা কিভাবে ভারতের স্থানীয় ভাষা শিখল? কি ভাবে কোন ভাষাতে ভারতীয়দের সাথে ব্যবসা করত?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে আমি তিনটে তথ্য উপস্থাপন করব

#১- বাংলা ভাষার অভিধান, মানে প্রথম ডিকশনারি কে লেখে? কবে লেখা হয়? বাংলা ভাষার প্রথম ডিকশনারি "Vocabulario em Idioma Bengalla e Portuguez " বাংলা-পর্তুগীজ-ফ্রেঞ্চ। প্রকাশিত পতুগালের লিসবন থেকে ১৭৪৩। সংকলক একজন পাদ্রী- ফাদার মানোয়েল ডে এদামকাম। যিনি ঢাকা এলাকায় দীর্ঘদিন ছিলেন। বইটি ছোটখাট না- ৬০৮ পৃষ্ঠার। মূলত বাংলায় ব্যবসা করতে আসা ইউরোপিয়ান বণিকদের জন্য এটি লেখা। বাংলা শব্দগুলি রোমান হরফে মুদ্রিত।

#২  বৃটিশরা যখন পলাশীর যুদ্ধেরপর গোটা ভারতে ক্ষমতা দখল করছে-তখন বাংলার যেসব ব্যক্তিরা তাদের সহায়ক ছিলেন-বা তখন যে শ্রেনীটি ফুলেফেঁপে ওঠে- যেমন বাবু নবকৃষ্ণ, রাজা রামমোহন, প্রিন্স দ্বারকানাথ-এদের "মূল" কোয়ালিফিকেশন কি?  একটা সাধারন প্যাটার্ন আপনারা দেখতে পারেন। ইনারা সবাই ফার্সি, ইংরেজি, বাংলা, সংস্কৃত, হিন্দুস্থানী -একাধিক ভাষা বলতে এবং লিখতে পারতেন। 

# ৩ আজকে হিন্দি এবং বাংলা ভাষার যে রূপ দেখছি- উভয়ের রূপকার বৃটিশরা।  বিদ্যাসাগরকে বিশুদ্ধ বাংলা ভাষা তৈরীর ঠিকেদারি বা হিন্দুস্থানী ভাষাকে ভারতের যোগসূত্র হিসাবে গড়ে তোলা-যা মুঘল আমল থেকে শুরু হয়েছিল- এসব কিছুই বৃটিশ প্রশাসকদের দান। কিন্ত কেন? কারন একটাই। ভাষার স্টান্ডার্ডাইজেশন ছাড়া, প্রশাসন চালানো মুশকিল। বৃটিশরা এটা বুঝতেন। কেননা তাদের ইউরোপের অভিজ্ঞতা। গোটা ইউরোপের অধিকাংশ তখন হ্যাসবার্গ রাজন্যবর্গদের অধীনে। এই সমস্যাটা তারাও বুঝতেন বলে, অস্ট্রোহ্যাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্য থেকে জারের সাম্রাজের ভাষা পলিসিতে "রাজভাষার" পলিসি খুব গুরুত্বপূর্ন ছিল। বৃটিশরা যার জন্যে ভারতে "সাম্রাজ্য" প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই বাংলা বা হিন্দি ভাষার গ্রামার থেকে স্টান্ডাডাইজশনে টাকা খরচ করে। বিদ্যসাগর সেই কলোনিয়াল পুঁজির ইচ্ছা পূরন করেছিলেন মাত্র। 

                 (৩)
 সুতরাং...।

  ভাষার আসল চালিকা শক্তি পুঁজি, এবং পুঁজির সব থেকে বড় ইঞ্জিন শাসক কূলের প্রশাসন।  সাহিত্য গান  পৃথিবীর হাজার হাজার ভাষায় লেখা হয়েছে। তাদের ৯৯% আজ বিলুপ্ত। কারন তাদের পেছনে কোন পুঁজি নেই।  ভাষাকে একটা বিজনেস মডেলের অংশ হতেই হবে। নইলে সে বিলুপ্ত হবেই। যেসব ভাষা পৃথিবীতে এখনো বৃহৎ ভাষা হিসাবে টিকে আছে-তাদের পেছনে পুঁজি এবং রাজন্যবর্গের ভূমিকা আছে। বাংলা ভাষা হিসাবে যে একটা বড় ভাষা- তার মূল কারন মুঘল আমলে বাংলা বানিজ্য। বাংলার সমৃদ্ধি। যার টানে গোটা ইউরোপের বণিকরা বাংলায় একদিন বানিজ্য করতে এসেছে। পশ্চিম থেকে মারোয়ারি সহ বেনিয়া সম্প্রদায় এসেছে।  বাংলার পুঁজির টানেই ফাদার মানোয়েল বাংলা-পর্তুগীজ অভিধান লিখেছেন ইউরোপিয়ান বণিকদের জন্য। এবং তা লিসবন থেকে ছাপা হয়েছে। ৬০৮ পৃষ্টার একটা  বাংলা অভিধান  ছাপানোর খরচ ১৭৪৩ সালে কি হতে পারে? তার খরচ কে এবং কেন দিয়েছিল?  
 
কোলকাতার বইমেলা সবে শেষ।  প্রচুর বাঙালী লেখক এখন। ১০০ টা বই বিক্রি হয়েছে এমন বাঙালী লেখকের সংখ্যা আঙুলে গোনা যাবে।  বাংলার পাঠক নেই? ইউটিউবে কোন কোন বাংলা গান দুই থেকে পাঁচকোটি বার লোকে শুনেছে-তাও দেখি। 

আসলে দুটো ব্যপার লক্ষ্য করুন। 

#১  ফেসবুকের লেখা, ইউটিউবের বাংলা গান বা বাংলা নাটক-এসবের প্রচুর পাঠক আছে। কারন ফ্রি।  এর মধ্যে ইউটিউব বা ওটিটির দৌলতে তাও গান বা সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের একটা ইকনমি আছে- মানে- লোকে দেখে-তাতে এডসাপোর্টেড রেভিনিউ বা সাবস্কিপশন রেভিনিউএর জন্য বাংলার কনটেন্ট ক্রিয়েটররা কিছু হলেও পাচ্ছে। কিন্ত যারা বাংলাই উপন্যাস বা গল্প লিখছেন-সবাই এখন সৌখিন লেখক। কোন মার্কেট নেই। ইকনমি নেই। ইকোসিস্টেম নেই। 


  নেটফ্লিক্সে বা আমাজন প্রাইমে গোটা ভারত এবং বিদেশ মিলিয়ে ধরুন ৫ লাখ বাঙালী সাবসস্ক্রাইবার আছে। হয়চই প্ল্যাটফর্মে হয়ত বেশী। এই ৫ লাখ হয়ত কিছুই না-নেটফ্লিক্সের মোট ৭৫০ লাখ সাবস্ক্রাইবারের মধ্যে। এমন কি ভারতের ৫০ লাখ সাবস্ক্রাইবার  ও নস্যি। 

# ২ কিন্ত এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম গুলোর আন্তর্জাতিক এক্সেসের কারনেই, আজ বাংলায় ওয়েব সিরিজ করে গোটা বিশ্বে দেওয়া সম্ভব ইংরেজি ডাবিং করে। কারন ৫ লাখ  বাঙালী সাবস্ক্রাইবার থেকে নেটফ্লিক্সের আয় খুব বেশী হলে ৩০-৪০ কোটি ( বাৎসরিক)। যা কিছুই না। সেই জন্য হিন্দি ওয়েব সিরিজ ও আজকাল ইংরেজিতে ডাব করা হচ্ছে-আর স্টোরি লাইন গুলো আন্তর্জাতিক। এটা হচ্ছে যাতে এগুলি ওই ৭৫০ লাখ সাবসক্রাইবারদের মধ্যে অন্তত যদি ১০০ লাখ দেখে-যাদের মাতৃভাষা হয়ত বাংলা বা হিন্দি না। তাহলে ওয়েব সিরিজ বানানোর ৩০-৫০ কোটি খরচ উঠে আসবে। 

 এখন প্রশ্ন উঠবে এই মাস মার্কেটের জন্য লিখে কি নোবেল প্রাইজ তুল্য সাহিত্য হবে?  মার্কোয়েজের অনেক উপন্যাসের সিনেমাটিক ভার্সন আমি নেটফ্লিক্সেই যদিও প্রথম দেখি। আন্তর্জাতিক মার্কেটের জন্য লিখলে, সেটা আর যাইহোক বর্তমান বাঙালী পাঠকের থেকে অনেক বেশী বিদ্গধ এবং ম্যাচিওরড মার্কেটের জন্য লেখা হবে। ভালোই হবে। 

 কিন্ত এখানেই সমস্যা। বাংলায় আন্তর্জাতিক মানের ওয়েব সিরিজ বানালে বিক্রির অসুবিধা নেই। কিন্ত লিখবেটা কে? বাংলায় সেই গোত্রের লেখক নেই। আর শুরুর ইনভেস্টমেন্ট প্রায় ১০-২০ কোটি টাকার। সেটাই বা কে দেবে ? আসলে পুরো সমস্যাটাই পুঁজির। দক্ষিনে পুঁজির সমস্যা নেই। ফলে তেলেগু, তামিল ভাষার ওয়েব সিরিজ দেদার আসছে আন্তর্জাতিক মার্কেটে। 

 বাংলা ভাষায় উন্নত মানের সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, উপন্যাস ( কবিতা , গান এগুলোতে কম ইনভেস্টমেন্ট-তাই অসুবিধা নেই)  এগুলোর মূল অন্তরায়-বাঙালীর পুঁজির অভাব।  ভাষা আবেগে টেকে  না। ভাষার পেছনে পুঁজির জোর দরকার। 

 ধরুন একজন বাংলা ভাষায় দুর্দান্ত একটি উপন্যাস লিখবেন।  লোকটিকে প্রচুর পড়াশোনা করে সেটি লিখতে হবে। ছমাসের ধাক্কা। এবার ছমাস খরচ করে একটি উপন্যাস লিখলে, এটলিস্ট লোকটির ১০-২৫ লাখটাকা সেই সাহিত্যকর্ম থেকে পাওয়া উচিত।  এখন একটি বই থেকে ৫০ টাকা রইয়ালিটি পেলে- অন্তত ২০,০০০-৫০,০০০ বই বিক্রি হলে, সেই টাকা উঠবে। যা বর্তমানে প্রায় অসম্ভব। কিন্ত ওই উপন্যাস থেকে ওয়েব সিরিজ হলে-যার বাজেট প্রায়শ ৫-৫০ কোটি টাকার মধ্যে থাকে, ১০ লাখ টাকা রইয়াল্টি সম্ভব। 

 কিন্ত সেই ইকোসিস্টেম তৈরী না হলে-বাংলা ভাষায় সাহিত্যকর্ম সেই টিম টিম করেই চলবে। লোকে চাকরি করতে করতে হবি হিসাবে লিখবে।  এইভাবে ভাল সাহিত্য অসম্ভব। 

(৪)
ভবিষ্যত কি? 
 আমরা ট্রান্সহিউম্যান সভ্যতার দিকে এগোচ্ছি। ট্রান্সহিউম্যানিজম মানে আমরা লেখা শোনা কর্মে প্রযুক্তির সাহায্য আরো বেশী নেব। যেমন--

যেমন ধরুন আমি   ফেসবুকে বাংলায় লিখলেও এখন একটা মোটামুটি ট্রান্সলেশন [ যার অধিকাংশই ভুল]-ইংরেজি ফিডে চলে আসে। কিন্ত লার্জ ল্যাঙ্গোয়েজ মডেলের দৌলতে, যা হয়ত ফেসবুকে শীঘ্রই দেখতে পাব-গুগুল ব্লগেও পাব- আমি কোন ভাষায় লিখছি-এটা গুরুত্বপূর্ন হবে না।  সবকিছুর ঠিকঠাক ইংরেজি ট্রান্সলেশন আমরা শীঘ্রই দেখতে পাব।
 
 কারন রিয়াল টাইম ট্রান্সলেশন সম্ভব হবে। অর্থাৎ কেউ জাপানী বললেও, আমরা শুনতে পাব বাংলা বা ইংরেজিতে। এমন ডিভাইস এখনই কিনতে পাওয়া যায়। লার্জ ল্যাঙ্গোয়েজ মডেলে এগুলি আরো উন্নত হবে। অর্থাৎ ধরুব ওয়েব সিরিজ বানানো হল বাংলায়- কিন্ত বিশ্বের লোক শুনতে পাবে তাদের মাতৃভাষায়।  এগুলো আর কল্পবিজ্ঞান না। এই দশকেই আমরা এর ব্যপক ইউজ দেখতে পাব।

  তাহলে বাংলায় ভাল উপন্যাস লেখায় সমস্যা কি? ওই যে বল্লাম পুঁজি।  আপনি সব কিছু ছেড়ে ছমাস ধরে যে বাংলায় একটা মারকাটারি উপন্যাস লিখবেন-যার থেকে ধরুন নার্কোস বা ওই ধরনের দুর্ধষ্য ওয়েব সিরিজ সম্ভব- সেই রিস্ক কে নেবে? রিওয়ার্ড কোথায়? 

 আমার ধারনা এটা আসবে।  লার্জ লাঙ্গোয়েজ মডেল ট্রান্সলেটর চলে আসার দিন সমাগত। 

(৫)
 হিন্দির বিরুদ্ধে আন্দোলন সময় নষ্ট। ভারতের কারুর মাতৃভাষা হিন্দি না। হিন্দি-যা হিন্দুস্থানী থেকে আগত-তাহল ভারত নামক এই রাষ্ট্রের ইতিহাসের  অবিচ্ছেদ্য অংশ।  মুঘলরা এই রাষ্ট্রের প্রয়োজনেই হিন্দুস্থানী শুরু করে। বৃটিশরা সেই কাজ এগিয়ে দিয়েছে। বর্তমানের ভারত সরকার সেই কাজ সম্পূর্ন করতে চাইছে।  বলিউড যারা তৈরী করেছেন, সেইসব নায়ক নায়িকা- কারুর মাতৃভাষা হিন্দি না। আজকেও বলিউডে হিন্দি স্ক্রিপ্ট রোমানে লেখা হয়।  এটা বুঝতে হবে হিন্দির পেছনে আছে ন্যাশানাল ক্যাপিটাল।  

কিন্ত হিন্দির এই কানেক্টিং ক্ষমতাটাই অপ্রয়োজনীয় হতে চলেছে লার্জ ল্যাঙ্গোয়েজ মডেলের দৌলতে। যদি মাতৃভাষার রিয়াল টাইম ট্রান্সলেশন সম্ভব হয়-তাহলে কিভাষায় অনুষ্ঠান হচ্ছে-কিভাষার সিনেমা-কিছু যায় আসে না।  কারন শুনছি মাতৃভাষাতে। ভারতে এটা হচ্ছে। সব ন্যাশানাল সিরিয়াল আঞ্চলিক ভাষায় হচ্ছে। আঞ্চলিক ভাষার সিনেমা হিন্দীতে ডাব করে বলিউডের মার্কেট ধরছে। কারন? তাদের সেই "গল্প" আছে। 
 
বাঙালী পারছে না। তামিল তেলেগুরা পারছে।  কারন ওদের পুঁজি আছে। বাঙালীর নেই। পুঁজি না থাকলে আবেগে ভাষা বা জাতি কোনটাই টিকবে না। 

সুতরাং বাংলা ভাষার ভবিষ্যত বাঙালী পুঁজির ওপর নির্ভরশীল। বাঙালীর হাতে পুঁজি থাকলে এই ভাষা টিকবে। পুঁজি না থাকলে, তা সম্ভব না।  কিছু পাগোল ছাগল নিজের বই নিজেরা ছাপাবে-নিজেরাই পড়বে।  ফেসবুকের বন্ধুরা তা না পড়েই আহ কি লিখেছিস বলে চুলকে দেবে। ওই দিয়ে ভাষা টিকবে না।  বাংলা  ভাষাকে কেন্দ্র করে বৃহৎ কনটেন্ট বাণিজ্য দরকার। 



No comments: