২০১৭। ইউ এন খুব গর্ব করে ঘোষনা করেছিল, এই প্রথম পৃথিবীতে যত না লোক না খেতে পেয়ে মরেছে-তার থেকে অনেক বেশী লোক মারা গেছে বেশী খেয়ে। অবেসিটি থেকে। মানে বেশী খেয়ে মোটা হয়ে।
এটা ঠিক ২০১৩ সালে পৃথিবীতে অভুক্ত লোকেদের সংখ্যা নেমে আসে ২০০ মিলিয়ান বা কুড়ি কোটির কম। যাদের অধিকাংশই আবার ভারত আর আফ্রিকাতে।
২০২২। প্যান্ডেমিক গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং যুদ্ধের ত্রিফলায় বর্তমানে ৮০ কোটির বেশীর লোক অভুক্ত। যার মধ্যে আছে পাকিস্তান, আফ্রিকার অধিকাংশ দেশ। ভারত ত পার্মানেন্ট মেম্বার। ইউক্রেন থেকে গমের সাপ্লাই বন্ধ।
মধ্যবিত্তরা খেতে পারছে। কিন্ত খাবার কেনার জন্য, অন্য খরচের অনেক কিছু ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছে। এটা শুধু ভারতে না, আমেরিকার জন্য আরো বেশী সত্য। ফলে দুটো দেশেই কনজিউমার ইন্ডেক্সের অবস্থা খারাপ। আমেরিকা রিশেশনের সম্মুখীন।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং থেকে খাদ্য সংকট। সমস্যা একটাই। বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে ঠিক যায়গায় কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কারন পুঁজির ধর্ম। ওই দু জায়গায় পুঁজি ঢাললে রিটার্ন কম। এখন বরং খাদ্য ব্যবসায় তাও একটু জোয়ার এসেছে। ভারতে যা জমির পরিমান এবং আবহাওয়া, তাতে বর্তমানে যা প্রোডাকশন, তার তিনগুন উৎপাদন হওয়া উচিত। কিন্ত হবে না। কারন সবার এক লপ্তে ছোট জমি-তাতে অটোমেশন আধুনিক কৃষি সম্ভব না। আর ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। না সম্ভব কৃষি সংস্কার। না স্টালিনের মতন ডিক্টেটর এসে কোয়াপরেটিভে বাধ্য করবে। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্যও একই সত্য। ওখানে পুঁজি ঢেলে রিটার্ন নেই। নেহাত কিছু বিলিয়ানার কয়েকশো মিলিয়ান ডলারের ফান্ড তৈরী করেছে ক্লাইমেট ক্লীনটেকের জন্য। তাতে কিস্যু হবে না।
ভারতে গত বছর ১০৬ টা স্টার্টাপ নাকি ইউনিকর্ন হয়েছে। যদিও এগুলোর সবই ডুববে- সব থেকে বাজে দিক হল এর মধ্য একটি স্টার্টাপ ও ছিল না - যা কৃষি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে। অথচ ভারত সব থেকে বেশী অভুক্তরা থাকে। খাবারের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাহলে পুঁজি এখানে আসছে না কেন? কারন কৃষি প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করে যদি কেউ মেশিন বানায়-কিনবে কে? ছোট ছোট জমির জন্য অধিকাংশ চাষীই নতুন প্রযুক্তি কিনতে পারবে না। ফলে অনেক কিছু করা সম্ভব -কিন্ত বিজ্ঞান প্রযুক্তি এখানেও ঠুঁটো জগন্নাথ।
এই অচল অবস্থা আর কদ্দিন চলে দেখি।
No comments:
Post a Comment