(১) ভোটে জাতিয়তাবাদ খুব গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠছে-রুটিমোকামের থেকেও বেশী-অনেক বেশী। সেই উভাল নোয়া হারারির প্রতিধ্বনিই দেখছি- আদর্শবাদের লড়াইটাই মুখ্য হচ্ছে। এবং এক্ষেত্রে বিজেপি দুই ধাপ এগিয়ে। কারন তারা ভারতীয় জাতিয়তাবাদ এবং হিন্দু জাতিয়তাবাদ দুটোই কব্জা করেছে।
(২) বিজেপির ডবল ইঞ্জিন আদর্শবাদ রুখে দিতে সক্ষম কেবল মাত্র ভাষাভিত্তিক রাজ্য জাতিয়তাবাদ-যেমন বাঙালী, তামিল, মালইয়ালি, উড়িষ্যা, তেলেগু, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি। ভাষাভিত্তিক জাতিয়তাবাদের ফেডারেল জোট ছাড়া বিজেপিকে ২০২৪ সালে আটকানো অসম্ভব।
(৩) নোটবন্দী, জিএসটিতে, কৃষিবিলে যতই দুর্দশা বাড়ুক-জনগণ তাও বিজেপিতে ভরসা রেখেছে-কারন ধরে নেওয়া হচ্ছে মোদি দেশটাকে বদলাতে চাইছেন-তাই ওইটুকু যন্ত্রনা সহ্য করতে হবে!
(৪) লড়াইটা হচ্ছে কোন পার্টি সরকারি পরিশেবা, সরকারি স্কিম/টাকা জনগনের মধ্যে ভাল করে বিলিয়ে দিতে সক্ষম। সব পার্টিই এখন স্কিমে বিশ্বাসী।
(৫) পৃথিবীর সবদেশে বামেরা ১০-৩০% ভোটপান। আমেরিকাতেও বামেদের ভোট ১৫-২০%। কিন্ত ভারতে বামেরা সম্পূর্ন ভাবে ডাইনোসোর গোত্র । পাঞ্জাবে একদা বামেরা ৮-১২% ভোট-সিট পেতেন। এখন কোথাও কোন সিট নেই। কেন? কারন পৃথিবীর সর্বত্র বামেরা পরিবেশ, সাসটেনেবিলিটি কোয়াপরেটিভের ওপর ভিত্তি করে নতুন পৃথিবীর আদর্শ তৈরী করেছে। ভারতের বামেরদের থেকে অপদার্থ রাজনীতিবিদ পৃথিবীর ইতিহাসে পাওয়া অসম্ভব। এরা এখনো লেনিন-স্টালিনের হেগোপোঁদ চেটে যাচ্ছে-একে ওকে দোষদিচ্ছে। নিজেদের প্রোডাক্টটা যে এক্সপায়ারড সেটা এরা কেউ বুঝছে না। এতটাই বুদ্ধিহীন ভারতের বাম!
(৬) তৃনমুল জাতীয় রাজনীতিতেব গুরুত্ব নিতে চাইলে #২ এর ওপর ফোকাস করতে হবে- ২০২৪ সালে বিজেপিকে হারানোর ওটাই একমাত্র সরুপথ। এই ওই রাজ্যে গিয়ে তিনোপার্টি খুলে লাভ নেই। তবে ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসামে কংগ্রেসের বিকল্প তৃনমূল। কংগ্রেস এই রাজ্যগুলো থেকে উঠে যাবে।
(৭) আপ - হিন্দি হার্টল্যান্ডে কংগ্রেসকে ফেলবে আগামী পাঁচ বছরে। ইউপিতে সপাকেও খাবে। সপার ভোটব্যাঙ্ক বেশীদিন টিকবে না। কারন বর্তমানে এর অধিকাংশই বিজেপি বিরোধি ভোট। গোটা ভারতে আপ বিজেপির অলটারনেটিভ হলে, ঐ ভোট আপেই যাবে। সপাতে না। ইনফ্যাক্ট সপার দিকে ভোট পোলারাইজড হওয়া বিজেপিকে ২০২৪ সালে বাঁচিয়ে দিল। কিন্ত আপের দুর্বলতা অনেক। ওটা কেজরিভিত্তিক দল। দিল্লী থেকে নিয়ন্ত্রন করতে চায়। ফলে এদ্দিনে এত পোটেনশিয়া থাকা সত্ত্বেও শুধু পাতা ফেলে গেছে। কেজরি যদি বোঝে রাজ্যের আপ ইউনিটগুলিকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত-তবেই আপ এগোবে। যেখানে রাজ্যভিত্তিক দল শক্তিশালী-সেখানে আপের সময় নষ্ট করা উচিত না।
No comments:
Post a Comment