ভারত যখন বৃটিশ শাসনে ছিল- তখনকার কিশোর তরুনদের একটা অংশের মধ্যে "ভারতের স্বাধীনতা" , জাতিয়তাবাদের কারনে কিশোর বয়স থেকেই ছাত্র ছাত্রীরা এক বৃহত্তর উদ্দেশ্যের সন্ধান পেত। যারা ঐ সময় স্বদেশী করতেন-তাদের অনেকেই আমার শিক্ষক বা আত্মীয় ছিলেন। ছোটবেলায় মন্ত্রমুগ্ধের মতন তাদের কথা শুনতাম। সেইসব ঋজু চরিত্রগুলো বাঙালী জীবনে আজ আর নেই। দেখি না।
স্বাধীনতাপূর্ব ভারত, কোন ল্যাবেরটরী, কোন অর্থ সাহায্য ছাড়াও সিভি রমন, জেসিবোস, সত্যেন বোস, মেঘনাদ সাহাদের জন্ম। স্বাধীনতার পরে, ভারতের বিজ্ঞানে এত টাকা ঢেলেও , বলার মতন কেউ নেই। কোন নোবেল প্রাইজ আসে নি।
আর রাজনীতির কথা না বলাই ভাল। স্বাধীনতার পূর্বের কংগ্রেসের নেতাদের সাথে নিশ্চয় বর্তমানের নেতাদের তুলনা আপনি করবেন না।
সমস্যার সূত্রপাত কিন্ত ওই স্কুল শিক্ষায়। ছেলেমেয়েদের আপনি কি শেখাচ্ছেন? নাম্বার পেতে হবে? কম্ফটেবল লাইফের সন্ধান খুব শক্ত ঘুঁটি না। জীবনে যখনই ঝড় ঝঞ্জা আসবে- জীবনের উদ্দেশ্য আরো বৃহত্তর না হলে, সে টিকতেই পারবে না।
প্রফেশনাল এক্সিলেন্সির কথা বাদ দিলাম। ওটা ওই প্যাশন ছাড়া সম্ভবই না।
ভারতের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার। নইলে রাষ্ট্রটাই টিকবে না।
No comments:
Post a Comment