Saturday, July 11, 2020

হাগিয়া সোফিয়া/আয়া সোফিয়া - প্যান্ডেমিকের মধ্যে ধর্মান্ধদের অন্ধ দর্শন

   (১)
  ২৯ই মে - ১৪৫৩ ।  ৫৩ দিনের  প্রবল যুদ্ধের পর,  মেহমুদ-২ এর সৈন্যরা কনস্টানিনোপলের হাজার বছরের দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেঙে খ্রীষ্ঠানদের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন  ঐতিহাসিক শহরে ঢুকে পড়েছে।  শহরের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম গীর্জা  হাগিয়া সোফিয়া।  আশ্রয় নিয়েছে শিশু কিশোর নারী  অথর্ব মানুষ এবং সমস্ত খ্রীষ্ঠান সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনীরা।  পোপ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সৈন্য রণতরী পাঠাবেন।  ২৭ মে অব্দি তার দেখা নেই। এদিকে ব্যাসিলিকার মতন ২৭ ফুটের বৃহৎ কামান, যার গোলার ওজন ৬০০ পাউন্ড বা তিনকুইন্টাল দিয়ে শহরের বিখ্যাত প্রাচীর প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে অটোমান গোলান্দাজরা।  আর কোন মতেই আটকানো যাবে না। জেনোয়া থেকে আগত  বিখ্যাত ইটালিয়ান সেনাপতি জিওভানি গুইস্তিয়ানির ২০০০ মার্সেনারী সেনার অধিকাংশ নিহত। যুদ্ধের প্রথম দিকে জিওভানির সফল নেতৃত্বে-তার সেনাদের অভিজ্ঞতায় মেহমুদের সৈন্যরা অনেকবার পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।  ৫৩ দিনের লাগাতার যুদ্ধে তাদের অধিকাংশ আহত বা নিহত।  কনস্টান্টিনোপল বাঁচানোর আর কোন আশাই নেই!

    ২৮ ই মে সন্ধ্যায় বাইজেন্টাইন সম্রাজ্যের শেষ সম্রাট, শহরের মালিক  একাদশ কনস্টানটাইন  হাগিয়া সোফিয়াতে শেষ পার্থনা সভা ডাকলেন-শহরের সব সন্ন্যাসী এবং বিশ্বাসীদের নিয়ে।  গত সপ্তাহের আগে পর্যন্ত পেন্ডুলামের মতন দোদুল্যমান ছিল শহরের ভাগ্য।  অর্থডক্স, গ্রীক খ্রীষ্ঠানদের দৃঢ় বিশ্বাস মাতা মেরী হাগিয়া সোফিয়াতে জাগ্রত। তিনিই বাঁচাবেন। শহরের ডিফেন্স যত দুর্বল হয়েছে,পার্থনার ধুম তত বাড়ন্ত! মাতা মেরী হাজার বছর ধরে বাঁচিয়েছেন। এবারো বাঁ চাবেন।

    অথচ একবছর আগে হাঙ্গেরিয়ান কামান ইঞ্জিনিয়ার অরবান যখন সম্রাট একাদশ কনস্টানটাইনকে প্রস্তাব দেন শহরের প্রতিরক্ষার জন্য বিশাল কামান বানিয়ে দেবেন, তাকেই পাত্তাই দেন নি সম্রাট। কনস্টানিনোপলের দুর্ভেদ্য প্রাচীর। মাতা মেরীর আশীর্বাদ। অত খরচ করে কামান বানানোর কি দরকার? আবার লোকটা বলে কি না, শহরের গীর্জার পিতলের বড় বড় ঘন্টা গলিয়েই কামান বানিয়ে দেবে!  খ্রীষ্ঠান হয়ে ঐ পাপ তিনি করতে অক্ষম।

   অরবান একজন ইঞ্জিনিয়িয়ার। পেশাদার কামান নির্মাতা। খ্রীষ্ঠান সম্রাট না পাত্তা দিল ত কি হয়েছে। মেহমুদ-২ আছেন। অটোমানরা কামান বানাতে দক্ষ না।  মেহমুদ-২ এর কাছে গেলে অরবান। মেহমুদ-২  অরবানকে দিলেন অঢেল অর্থ। সেযুগের বৃহত্তম ফাউন্ড্রি।  বললেন, বানাও। কতবড় কামান বানাতে পারবে বানাও। কিন্ত সেই কামানের গোলাতে যেন ভেঙে পড়ে কনস্টান্টিনোপলের ১০০০ বছরের দুর্ভেদ্য প্রাচীর।  তৈরী হল ঐতিহাসিক কামান ব্যাসিলিকা। ২৭ ফুট লম্বা। একেকটি গোলার ওজন ৬০০ পাউন্ড।  দুকিলোমিটার রেঞ্জ। গোটা পৃথিবী দেখেনি এত বড় কামান!

 ফলে ২৯ই মে, ১৪৫৩ ছিল সময়ের অপেক্ষা।

  একদিকে মেহমুদ-২ । যিনি হাঙ্গেরি সার্বিয়া থেকে ইউরোপের বেস্ট ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ করেছেন নিজের বাহিনীতে। বহু অর্থের বিনিময়ে।  তারা খ্রীষ্ঠান হলত কি হয়েছে।

  অন্যদিকে কনস্তানতাইন -১১। যিনি অন্ধ যীশু ভক্ত।  শহর বাঁচাতে লোকজন আরো বেশী করে হাগিয়া সোফিয়াতে পার্থনা সভা জমাল।  আর তিনি পোপকে লিখে গেলেন। না পার্থনা বা নিজের ধর্মের লোক তাকে বাঁচায় নি। অরবানের কথা শুনে শহরের সব গীর্জার বিখ্যাত ঘন্টাগুলোকে কামান বানালে এই দিন দেখতে হত না।

 ২৯ ই মে  মেহমুদের সৈন্যরা হাগিয়া সোফিয়াতে আটকে থাকা নিরীহ নরনারীদের ওপর যে অত্যাচার চালায় তা অবর্নীয়। সেকালের নিয়ম অনুযায়ী যুদ্ধজয়ের পরের দুদিন সেনাদের অধিকার থাকত লুঠতরাজের। হাগিয়া সোফিয়ার অসমর্থ লোকেদের মেরে ফেলা হল।  খ্রীষ্ঠান ধর্ম যাজকদের মেরে ফেলা হয়।  আটকে পড়া সমস্ত মেয়েদের যৌনদাসী হিসাবে ধরে নিয়ে যায় মেহমুদের সৈন্যরা। সন্নাসিনীদের ও জোর করে যৌনদাসী হিসাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়।  কিশোর এবং বালকদের ও স্লেভ হিসাবে বিক্রি করা হয় ধর্মান্তকরনের পর।  না যীশুখ্রীষ্ট বা মাতা মেরীর দেখা মেলে নি তাদের বাঁচাতে।  ওই একই দিনে যীশু এবং মেরীর সব মূর্তি ভাঙা হয় হাগিয়া সোফিয়াতে। কে যেন বলে ইসলামে যীশুও একজন প্রফেট?

 ২৯ই মে ১৪৫৩ হাগিয়া সোফিয়াতে খ্রীষ্ঠানদের ওপর যে নৃশংস অত্যচার হয়েছে, তা মধ্যযুগের ইতিহাসে ব্যতিক্রম কিছু না।  মধ্যযুগে  বিজয়ী খ্রীষ্টান এবং ইসলামিক সেনাদের ব্যবহার ওমনই ছিল।

 কিন্ত যা অত্যন্ত নোংরা এবং কুরুচিকর-সেটা হচ্ছে ২৯ মে, তুর্কীতে বিজয় উৎসবের দিন।  যেদিন খ্রীষ্টানদের মেরে ফেলে মুসলমানরা শহরের দখল নেয়। এইসব মধ্যযুগীয় ধর্মীয় উন্মাদনায় যদি এখনো মুসলমানরা বিশ্বাস করে, তাহলে, তারা যখন খ্রীষ্টান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ার সম্মুখীন হয়, তাদের কে বাঁচাবে?

 মনে রাখবেন আফগানিস্তান ইরাক আক্রমনের পূর্বে জর্জ বুশ বলেছিলেন এটা ক্রসেড। ট্রাম্প বলেন নি, কিন্ত উনি মাঝে মাঝেই মনে করিয়ে দেন ইসলামিক বিশ্ব থেকে আমেরিকাতে লোকজন আসা উনি পছন্দ করেন না। যদিও আমেরিকার সংবিধান তাকে বরাবর হতাশ করেছে।  আমেরিকার সংবিধান যদি তুর্কী বা ভারতের মতন দুর্বল হত, আমি নিশ্চিত ট্রাম্প বহু মুসলিমকে আমেরিকা ছাড়া করতেন।

এইসব ধর্মীয় উন্মাদনার মধ্যেই কিন্ত ভাল দিকের ও আভাস পাচ্ছি। আমেরিকাতে কলম্বাস ডে উদযাপিত হত। কলম্বাসের আমেরিকা পদার্পনকে স্বরণ করে। কিন্ত ভুলে যাওয়া হত, এই কলম্বাস বেসিক্যালি লুঠেরা এক খুনী। যেসব দ্বীপে সে পা দিয়েছে সেইসব দ্বীপের আদিবাসীদের সমূলে ধ্বংস করেছে এই স্প্যানিশ লুঠেরা।  গতমাসে গোটা আমেরিকা জুরে কলম্বাসের মূর্তি ভাঙা হয়েছে।  শুধু তাই না আমেরিকা দেশটির জাতীয় পিতা জর্জ ওয়াশিংটনের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। কারন তিনি দাস রাখতেন।

 সুতরাং মেহমুদ-২, তুর্কীর, মুসলমানদের জাতীয় বীরের সন্মান পেতেই পারেন। কিন্ত সেক্ষেত্রে মুসলমানদের মনে রাখতে হবে, এই বীরত্ব অসংখ্য  খ্রীষ্টানকে খুন করে। তাদের মধ্যে নিরীহ খ্রীষ্ঠান ও প্রচুর। এইসব কারনে যদি  খ্রীষ্ঠানরা মুসলমানদের  ঘৃনা করে --শুধু ইসলামোফোবিয়া বললে খ্রীষ্ঠান বিশ্বে কেউ পাত্তা দেবে না।

 এটা মহম্মদ ঘোরি বা বখতিয়ার খিলজির জন্যও প্রযোয্য। এরা নিষ্ঠূর লুঠেরা ডাকাত ছিল। ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিমত নেই। অসংখ্য হিন্দু বৌদ্ধ খুন করেছে এই দুই ডাকাত।  তবে সেটা ধর্মের জন্য না পয়সার জন্য- বলা মুশকিল। এহেন খুনী ডাকাতকে যখন পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের বই "হিরো" বা নায়কের মর্যাদা দেয়,  তখন সহজেই অনুমেয় কেন ভারতের হিন্দুরা মুসলমানদের বিশ্বাস করতে পারে না।

  এদিক দিয়ে দেখলে আমেরিকাতে ইতিহাসের যে পুনমুল্যায়ন শুরু হয়েছে, তাতে হিন্দু খ্রীষ্ঠান মুসলমান সবার সামিল হওয়া উচিত। কে কত অন্য ধর্মের অন্য জাতির লোক মেরে বীরত্ব দেখিয়েছে- তাদেরকে ইতিহাসের মহান নায়ক বলে স্বীকৃতি দিলে, মানব জাতির ইউনিটি সম্ভব না।  ইতিহাসের নায়ক তারাই যারা মানুষকে রক্ষা করেছে। নতুন আবিস্কারে পৃথিবীকে এগিয়ে দিয়েছে। মানবজাতির ইতিহাসকে অন্যভাবে লিখতে হবে।

 হিন্দু-মুসলমান-খ্রীষ্টান ঐক্য- গোটা মানবজাতির জন্য দরকার। এই বিভক্ত পৃথিবী আর নেওয়া যাচ্ছে না।  এটাই বর্তমান ইতিহাসের দাবি। বিজয়ী সেনাপতি রাজা মহারাজ বাদশা নবাবদের লুঠেরা খুনী বলে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। তাদেরকে  জাতির নায়কের  সিংহাসন থেকে টেনে নামানো হোক।

(২)
 ১৯৩৫ সালে কামাল আতার্তুক আয়া সোফিয়া মসজিদকে মিউজিয়াম বানালেন। কেন করেছিলেন? কারন উনি জানতেন হাজার বছর ধরে হাগিয়া সোফিয়া ছিল খ্রীষ্ঠানদের বৃহত্তম পার্থনা গৃহ। এই গৃহ যদ্দিন মসজিদ হিসাবে চালানো হবে, তাতে মুসলমানদের বিশ্বজয়ের  পাশবিক স্বপ্নের পুষ্টিকরন হতে পারে, কিন্ত খ্রীষ্ঠান বিশ্বের কাছে তুর্কী গ্রহনযোগ্য হবে না।  বিশেষত এই হাগিয়া সোফিয়ার সাথে খ্রীষ্ঠানদের হাজার বছরের ইতিহাস জড়িত। আবেগ জড়িত। যুদ্ধে জিতে একটা গীর্জার সব লোকেদের মেরেফেলে, দাস হিসাবে বিক্রি করে,  সেটাকে মসজিদ বানানো কালো ইতিহাস। সঙ্গত কারনেই উনি সামনের দিকে এগোতে চেয়েছিলেন সেই কালো ইতিহাস মুছে।  ফলে উনি মিউজিয়াম করে দিলেন। পরিস্কার আদেশ ছিল ওখানে কোন নামাজ পড়া যাবে না।

 কালক্রমে হাগিয়া সোফিয়া উনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে স্থান পায়। প্রচুর খীষ্ঠান টুরিস্ট আসত।

 ২০১০ সাল থেকে তুর্কীতে ইসলামিক পার্টিগুলির পালে হাওয়া লাগে। এদের এজেন্ডাতে বহুদিন থেকেই হাগিয়া সোফিয়া ছিল। কারন ধর্মীয় সুরসুড়ি যৌনসুরসুড়ির মতন এফেক্টিভ। রাজনীতির ক্ষেত্রে। ইমানদন্ড দাঁড়িয়ে যায়।

২০১৬ সাল থেকেই সেখানে নামাজ পড়া শুরু হয়েছে।  ২০১৮ সাল থেকে নিয়মিত নামাজ পড়া হত।  ২০২০ ১০ই জুলাই এর শেষ ডিক্রী অনুযায়ী ইহা এখন পুরো মসজিদ। কোন মিউজিয়াম থাকল না!

বাজারে ঘুরছে কোর্টের অর্ডারে এটা হয়েছে। ভুল। ২০১৬ সালে যখন পিটিশন আনে এটিকে মসজিদ করার জন্য, কোর্ট তার বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছিল। ১৯৩৪ সালে ভবিষ্যত দ্রষ্ট্রা প্রেসিডেন্ট কামাল আতার্তুক এটিকে প্রেসিডেন্টিয়াল ডিক্রিতে মিউজিয়াম বানিয়েছিলেন। ২০২০ সালেও সেই গায়ের জোরেই এরডোগানের ধর্মীয় মিনিস্ট্রি এটাকে মসজিদ বানালো।

অথচ ইউনেস্কোর সাথে আলাপ আলোচনা করলেন না প্রেসিডেন্ট এরডোগান। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বিল্ডিং হিসাবে টাকা পেত হাগিয়া সোফিয়া। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক আইন সম্পূর্ন লঙ্ঘন করে জোর করে নিজেকে ইসলামিক বিশ্বের নেতা জাহির করতে এই দুষ্কর্মটি করলেন এরডোগান।

 এরডোগান যেটা জানেন না- কি করা উচিত বা উচিত না, সেটা ঠিক করার শ্রেষ্ঠ উপায় ইমানুয়েল কান্টের ক্যাটেগরিক্যাল ইম্পারেটিভ। ক্যাটেগরিক্যাল ইম্পারেটিভের প্রন্সিপল হচ্ছে সিম্পল। তুমি যে কাজ অন্যের বিরুদ্ধে করছ- সেটা তখনই যাস্টিফায়েড যখন, অন্যকেউ সেই একই কাজ তোমার বিরুদ্ধে করলে যেন জাস্টিফায়েড হয়। অর্থাৎ এরডোগান যদি বলেন আল্লার ইচ্ছার জন্য উনি এই মিউজিয়ামকে মসজিদ বানালেন- তাহলে কালকে যদি মোদি বা ট্রাম্প বা  পুতিন কোন মসজিদকে মিউজিয়াম বা মন্দির বানিয়ে দেয়, সেটিও কিন্ত তার নিজের যুক্তিতেই সিদ্ধ হয়। কারন এরডোগানের মূল নীতি হচ্ছে মুসলমান দেশে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ভাবাবেগকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। সংখ্যালঘু খ্রীষ্ঠানদের ভাবাবেগকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না।

 যেসব মুসলমানরা এরডোগানকে সমর্থন করছেন, তারা ভুলে যাচ্ছেন, এই সমর্থনের মাধ্যমে তারা বাবরি মসজিদের ধ্বংসকে নৈতিক দিক দিয়ে সমর্থন জানালেন।

 অবশ্য এতটা ভাবাই হয়ত ভুল। কারন এতই যদি এদের পেটে বিদ্যাবুদ্ধি থাকবে, কেউ ধর্মান্ধ হবেই বা কেন?

 যাইহোক আমেরিকার বর্তমান ঘটনায় আমি আশাবাদি। ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে। হাগিয়া  সোফিয়াতে খ্রীষ্ঠানদের গণ নিধনের জন্য একদিন খোদ তুর্কীতেই মেহমুদ-২ খলনায়ক হবেন। যেমন আমেরিকাতে কলম্বাস এখন খলনায়ক। হাগিয়া সোফিয়া আবার খ্রীষ্ঠানদের হাতে ফিরিয়ে দেবে তুর্করা। শুধু সেই দিন, সেই দিন ইসলামিক বিশ্বের লোকেরা মুসলমান থেকে মানুষ হবে।

 আর এটা যদ্দিন পর্যন্ত হবে না- মুসলমানদের প্রতি অমুসলিমদের  ফোবিয়া থাকবেই। সেই ফোবিয়াকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন।






















No comments: