(1) হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কি করোনার সংক্রমন নিরসনে কাজ করবে?
এই কোটি টাকার প্রশ্নে, চীনের এক গবেষনাদল, প্রথম একটা প্রপার ক্লিনিকাল রিলিজ করেছে [১] । তাতে দেখা যাচ্ছে ওভারল কোন লাভ নেই। বরং সাইড এফেক্টে ক্ষতি হতে পারে [ আমি রেফারেন্স দিচ্ছি]। কিন্ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে, যেখানে ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমন ও ছড়ায়, সেখানে ক্লোরোকুইন ভাল কাজ করেছে।
অর্থাৎ এটি মুড়িমুরকির মতন খেলে ক্ষতি হবে। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া একদম নেওয়া উচিত না।
(২) করোনা টেস্ট রেজাল্ট কতটা বিশ্বাসযোগ্য? একদমই না। দেখা যাচ্ছে ২০-৩০% ভুল। বয়স্কদের জন্য আরো ভুল। সুতরাং টেস্ট করলেই করোনা সমস্যা সমাধানের দিকে এগোবে, এটাও রাজনৈতিক মিথ [২]। আমি তথ্যসূত্র দিলাম। বিজ্ঞান এখানেও খুব বেশী সুরাহা করতে ব্যর্থ। এক্ষেত্রে এফেক্টিভ সেই একটাই স্ট্রাটেজি-ধরে নিতে হবে আমাদের সবার করোনা ভাইরাসে ধরেছে। সেই ভাবেই স্যোশাল ডিসটান্স মেইন্টেইন করতে হবে।
টেস্ট হচ্ছে না বলে রাজনীতি করে লাভ নেই। টেস্ট হলেই যে সুরাহা হবে, তথ্য কিন্ত তা বলছে না। তবুও বেশী টেস্ট করা উচিত। কারন নাই মামার থেকে কানা মামা ভাল। কিন্ত টেস্ট করলেই সব মুশকিল আসান-তা কিন্ত না।
(৩) কতটা স্যোশাল ডিসটান্স মেইন্টেইন করবেন অন্যজন্যের কাছ থেকে?
অন্যকেউ ভাইরাস এফেক্টেড হলে তার মুখ থেকে নির্গত হাঁচি এবং নিশ্বাসে থাকা ভাইরাস ২২ ফুট অব্দি যেতে পারে [৩]। তাও পরিস্কার বাতাসে। কোলকাতার দূষিত বাতাসে যেখানে পার্টিকুলেট অনেক কনসেন্ট্রেশন বেশী-এটা আরো দূর যেতে পারে। সুতরাং স্যোশাল ডিস্টান্সিং এর সাথে মাস্কও দরকার। ২২ ফুট দূরত্ব মেইন্টেইন করা অবান্তর। মাস্ক, ভাল এন-৯৫ মাস্ক দরকার। না হলে গামছা। কয়েকটা লেয়ারে।
2 comments:
Good information...sutarang eto corona nie bhebe labh nei..
দাদা এই কোরেনটাইনের সময়ে বেশি বেশি আর্টিকেল লিখুন। আপনার লেখা আমার খুব ভালো লাগে।
Post a Comment