- মমতাকে আমরা এই জন্যে এনেছিলাম?
আমার এই প্রবাসী দাদাটিও আই আই টি খরগপুরের প্রাত্তনী-সিপিএম পরিবারের সন্তান এবং এখন কমিনিউস্ট বিরোধি- বিজেপি পন্থী-তবে গোমাতা গোমূত্র মাইনাস।
আমি বললাম, দেখ, তুমিও ওদেশের নাগরিক না-আমিও না-যারা মমতাকে সমর্থন করে এনেছিল তাদেরকেই ভাবতে দাও।
শুধু এটুকু বলতে পারি। গত দুবছরে বন্ধের জন্য একটা ও কাজের নষ্ট হয় নি যেটা আমার ব্যবসার জন্য দরকার ভীষন। কারন, স্ট্রাইকের জন্য, কাজ হচ্ছে না-এটা ক্লায়েন্টকে বলা যায় না। যদি আমার ভোটাধিকার থাকত-তাহলে মমতাকেই এবার ভোট দিতাম-কারন ব্যবসায়িক স্বার্থ। সিপিএমের সূর্য্যকান্ত এবং বুদ্ধবাবু-দুজনেই আমার পছন্দের লোক। কিন্ত তাদের মাথার ওপরে আছেন ইয়েচুরী। দিল্লীর পলিটবুরো কখনোই পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ ভাবে নি-ফলে বুদ্ধবাবু চাইলেও বন্ধ কালচার বন্ধ করতে পারেন নি। পারেন নি ইউএস-ইন্ডিয়া নিউক্লিয়ার ডিলের বিরুদ্ধে প্রকাশ কারাতের ছায়াযুদ্ধ আটকাতে-যাতে পশ্চিম বঙ্গ এবং সিপিএম পার্টি দুটোর স্বার্থেরই ক্ষতি হয়েছে অসীম। যারা নিজেদের ভাল বোঝে না, তারা জনগণের ভাল বুঝবে-এটা মানা যায় না। বন্ধ এবং কর্মহীনতার সংস্কৃতি কাটিয়ে একটু একটু করে কোলকাতা উঠছে- সিপিএম এলে আবার সব যাবে।
দাদাটি অট্টহাস্য করে উঠলেন ।
-বলো কি মমতা এবং শিল্প? আনন্দবাজার পড় না? দেখছ না পশ্চিম বঙ্গে কোন শিল্পই আসে নি মমতার আমলে
আমি বললাম -আনন্দবাজারের মাধ্যমে মমতা এবং পশ্চিম বঙ্গ বুঝলে মুশকিল আছে।
চৌত্রিশ বছরে সিপিএম যে শিল্প এবং শিল্পপতি বিরোধি পরিবেশ গড়ে তুলেছে, তা মমতার পক্ষে চার বছরে রিপেয়ার করা সম্ভব-আমি বিশ্বাস করি না। কেন আসবে শিল্প কোলকাতায়? কোন আধুনিক মেশিন শপ নেই, মোল্ডার নেই, ভাল পিসিবি ম্যানুফ্যাকচার নেই-এখানে ম্যানুফ্যাকচারিং করা খুব কঠিন। সবাই অন্যত্র চলে গেছে। স্কিলড, ট্যালেন্ডেড বাঙালীরা অন্যরাজ্যে । আনন্দবাজার পড়ে তারা বঙ্গাতঙ্কে ভোগে। কেউ ফিরতে চাইছে না। কি ভাবে হবে শিল্প? টাকা ঢাললেই ত শিল্প হয় না-ইকোসিস্টেম লাগে। সেটাইত লাল আমলে ধ্বংশ সম্পূর্ন। কে আসবে এখন?
আমি প্রতিটা দিন এইসব সমস্যা ফেস করি। এর কোনটার জন্য মমতা দায়ী? আমাদের ভীষন অসুবিধা হয়-প্রতিটা পার্টস এবং পিসিবি অন্যরাজ্য থেকে বানাতে হয়। ফলে এই রাজ্যে শুরু করে অন্যরাজ্যে চলে গেছে অনেক ছোট ছোট কোম্পানী। কিন্ত এর জন্যে কি মমতা দায়ী?
মমতা কি করতে পারতেন? কোলকাতাকে বসবাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করতে পারতেন। করছেন ও। শিল্পের ইকোসিস্টেম বানানোর চেষ্টা করতে পারতেন। সে চেষ্টা করেছেন। কিন্ত শিল্পই নেই-ত হবে টা কি?
আমি প্রবাসী বাঙালীদের বলবো শিল্প হচ্ছে না-সব দোষ মমতার- এমন বলে লাভ নেই কারো। প্রবাসে আপনারা অনেকেই ভাল কামিয়েছেন। পশ্চিম বঙ্গে অন্তত দশ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে ছোট একটা আউটসোর্সিং ইউনিট করুন। আপনার নিজের ডিসিপ্লিনে। কোলকাতার লেবার এখনো সস্তা। ছোট করেই শুরু করে বাংলার দুটো লোককে চাকরি দিন নিজের লাইনে। সব কিছু মমতা ব্যানার্জি করে দেবে-এমন আবদার করলে কি করে হবে? আপনার দ্বায়িত্ব পালন করুন। আমি এটা বলতে পারি, আর যাইহোক মমতা জমানায় স্ট্রাইকের কারনে আপনার ইউনিট বন্ধ হবে না। তবে সিপিএম ক্ষমতায় এলে অবশ্য সে গ্যারান্টি নেই।
আমার এই প্রবাসী দাদাটিও আই আই টি খরগপুরের প্রাত্তনী-সিপিএম পরিবারের সন্তান এবং এখন কমিনিউস্ট বিরোধি- বিজেপি পন্থী-তবে গোমাতা গোমূত্র মাইনাস।
আমি বললাম, দেখ, তুমিও ওদেশের নাগরিক না-আমিও না-যারা মমতাকে সমর্থন করে এনেছিল তাদেরকেই ভাবতে দাও।
শুধু এটুকু বলতে পারি। গত দুবছরে বন্ধের জন্য একটা ও কাজের নষ্ট হয় নি যেটা আমার ব্যবসার জন্য দরকার ভীষন। কারন, স্ট্রাইকের জন্য, কাজ হচ্ছে না-এটা ক্লায়েন্টকে বলা যায় না। যদি আমার ভোটাধিকার থাকত-তাহলে মমতাকেই এবার ভোট দিতাম-কারন ব্যবসায়িক স্বার্থ। সিপিএমের সূর্য্যকান্ত এবং বুদ্ধবাবু-দুজনেই আমার পছন্দের লোক। কিন্ত তাদের মাথার ওপরে আছেন ইয়েচুরী। দিল্লীর পলিটবুরো কখনোই পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ ভাবে নি-ফলে বুদ্ধবাবু চাইলেও বন্ধ কালচার বন্ধ করতে পারেন নি। পারেন নি ইউএস-ইন্ডিয়া নিউক্লিয়ার ডিলের বিরুদ্ধে প্রকাশ কারাতের ছায়াযুদ্ধ আটকাতে-যাতে পশ্চিম বঙ্গ এবং সিপিএম পার্টি দুটোর স্বার্থেরই ক্ষতি হয়েছে অসীম। যারা নিজেদের ভাল বোঝে না, তারা জনগণের ভাল বুঝবে-এটা মানা যায় না। বন্ধ এবং কর্মহীনতার সংস্কৃতি কাটিয়ে একটু একটু করে কোলকাতা উঠছে- সিপিএম এলে আবার সব যাবে।
দাদাটি অট্টহাস্য করে উঠলেন ।
-বলো কি মমতা এবং শিল্প? আনন্দবাজার পড় না? দেখছ না পশ্চিম বঙ্গে কোন শিল্পই আসে নি মমতার আমলে
আমি বললাম -আনন্দবাজারের মাধ্যমে মমতা এবং পশ্চিম বঙ্গ বুঝলে মুশকিল আছে।
চৌত্রিশ বছরে সিপিএম যে শিল্প এবং শিল্পপতি বিরোধি পরিবেশ গড়ে তুলেছে, তা মমতার পক্ষে চার বছরে রিপেয়ার করা সম্ভব-আমি বিশ্বাস করি না। কেন আসবে শিল্প কোলকাতায়? কোন আধুনিক মেশিন শপ নেই, মোল্ডার নেই, ভাল পিসিবি ম্যানুফ্যাকচার নেই-এখানে ম্যানুফ্যাকচারিং করা খুব কঠিন। সবাই অন্যত্র চলে গেছে। স্কিলড, ট্যালেন্ডেড বাঙালীরা অন্যরাজ্যে । আনন্দবাজার পড়ে তারা বঙ্গাতঙ্কে ভোগে। কেউ ফিরতে চাইছে না। কি ভাবে হবে শিল্প? টাকা ঢাললেই ত শিল্প হয় না-ইকোসিস্টেম লাগে। সেটাইত লাল আমলে ধ্বংশ সম্পূর্ন। কে আসবে এখন?
আমি প্রতিটা দিন এইসব সমস্যা ফেস করি। এর কোনটার জন্য মমতা দায়ী? আমাদের ভীষন অসুবিধা হয়-প্রতিটা পার্টস এবং পিসিবি অন্যরাজ্য থেকে বানাতে হয়। ফলে এই রাজ্যে শুরু করে অন্যরাজ্যে চলে গেছে অনেক ছোট ছোট কোম্পানী। কিন্ত এর জন্যে কি মমতা দায়ী?
মমতা কি করতে পারতেন? কোলকাতাকে বসবাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করতে পারতেন। করছেন ও। শিল্পের ইকোসিস্টেম বানানোর চেষ্টা করতে পারতেন। সে চেষ্টা করেছেন। কিন্ত শিল্পই নেই-ত হবে টা কি?
আমি প্রবাসী বাঙালীদের বলবো শিল্প হচ্ছে না-সব দোষ মমতার- এমন বলে লাভ নেই কারো। প্রবাসে আপনারা অনেকেই ভাল কামিয়েছেন। পশ্চিম বঙ্গে অন্তত দশ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে ছোট একটা আউটসোর্সিং ইউনিট করুন। আপনার নিজের ডিসিপ্লিনে। কোলকাতার লেবার এখনো সস্তা। ছোট করেই শুরু করে বাংলার দুটো লোককে চাকরি দিন নিজের লাইনে। সব কিছু মমতা ব্যানার্জি করে দেবে-এমন আবদার করলে কি করে হবে? আপনার দ্বায়িত্ব পালন করুন। আমি এটা বলতে পারি, আর যাইহোক মমতা জমানায় স্ট্রাইকের কারনে আপনার ইউনিট বন্ধ হবে না। তবে সিপিএম ক্ষমতায় এলে অবশ্য সে গ্যারান্টি নেই।
No comments:
Post a Comment