জেনইউকে কেন্দ্রকরে যে সমস্যাটা আবার উঠে আসছে- এই ভাবে ছাত্র রাজনীতি চালিয়ে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কি লাভ হচ্ছে? সবথেকে বড় কথা ছাত্ররা শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি না করে, হঠাৎ অতিবাম ইস্যুগুলি নিয়েই ক্ষেপে উঠল কেন?
ভারতের রাজনীতিতে আমি দুজনকে বেশ শ্রদ্ধা করি-এবং মনে করি-এরা ভারতকে অনেক কিছু দিতে পারেন। প্রথম জন কেজরিওয়াল, দ্বিতীয় জন মনোহর পারিকর। মনোহর পারিকরের রাজনৈতিক আদর্শের সাথে ( উনি আর এস এস প্রচারক ছিলেন) আমি সহমত নই-কিন্ত এই ভদ্রলোক যথেষ্ট ভদ্র এবং নম্র-এবং মোটামুটি বোঝা যায় মাটিতে পা রেখে কাজের চেষ্টা চালান-অন্যন্য সঙঘীদের মতন হাম্বা করার অভ্যেস নেই। কাজের লোক এই জন্য বলছি-ডিফেন্স ম্যানুফ্যাকচারিং এর অনেক কিছুই ভারতে বানানোর একটা রোডমাপ উনি দিতে পেরেছেন। যা কংগ্রেসের আমলে দিল্লীর রাশিয়ান দালালদের চক্করে কিছুই এগোয় নি।
কেজরিওয়ালকে নিয়ে কিছু বলার নেই- আমি মনে করি ভারতে এই মুহুর্তে কেজরিওয়ালই ভরসা। কারন একমাত্র উনারই কোন হিন্দুত্ব বা কমিনিউজমের এজেন্ডা নেই-নিখাদ ভারতের প্রতি ভালোবাসা আছে। জনগনের দুঃখ লাঘব করার সৎ আকাঙ্খা আছে। এবং সব থেকে বড় কথা -মাথায় বুদ্ধি আছে। ভুল উনি অনেক করেছেন-কিন্ত মাথায় বুদ্ধি থাকার জন্য শুধরেও নিয়েছেন দ্রুত। আমি অবশ্যই আশা রাখি, কেজরিওয়াল কোনদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
এদের মধ্যে কেজরিওয়াল আই আই টি খরগপুরের, পানিকার আই আই টি মুম্বাই এর। আই আই টিতে ছাত্র রাজনীতি আছে-কিন্ত সেখানে ভারতের পার্টিগুলির প্রবেশ নেই। এত ছাত্র রাজনীতি করে তাহলে জেন এন ইউ ভারতকে কোন ধরনের নেতা উপহার দিল ? যদি ধরেই নিই ছাত্রদের রাজনীতি করার দরকার আছে- দেশের রাজনৈতিক নেতা তুলে আনতে -তাহলে ভারতের রাজনীতিতে জেন এন ইউ এর অবদান, সিতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাত। প্রথম জন চেসেস্কু এবং কিম জং কত বড় কমিনিউস্ট ছিলেন তা প্রমান করতে পিপলস ডেমোক্রেসির পাতায় দস্তার পর দিস্তা লিখেছেন। দ্বিতীয় জন দ্বায়িত্ব নিয়ে ভারতের বাম রাজনীতিকে কবরে পাঠিয়েছেন। যেখানে কেজরি-মাত্র একবছরের মধ্যে একটা পার্টি তৈরী করে দিল্লীতে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে সাইনবোর্ড বানিয়েছে।
এইত হচ্ছে জেনিইউ বনাম আই আই টি থেকে তৈরী রাজনীতিবিদদের পার্থক্য!!! সিতারাম ইয়েচুরী এবং প্রকাশ কারাত যদি জেন এন ইউ এর রাজনৈতিক নেতা তৈরীর উদাহরন হয়-আমি এটাই বলব, জেন ইউ কে যে সাবসিডি দেওয়া হয়, তা যোগমায়া কলেজকে দেওয়া হৌক। তারা তাও একপিস মমতা দেখাতে পারবে।
ইনফ্যাক্ট ভারতের বামরাজনীতির এই দুর্দশার জন্য জেন এন ইউ সর্বাধিক দায়ী। কারন ওখানে গিয়ে বাম মনোভাবা সম্পন্ন ছেলে মেয়েরা রেজিমেন্টেড বাম হয়ে যাচ্ছে- মুক্তমনের , ক্রিটিক্যাল মাইন্ডের অধিকারি হতে পারছে না। ফলে সেই বাতিল লেনিন নিয়ে লুলুবাবু হয়ে বাকী জীবন কাটাচ্ছে। এতে দেশের বা দেশের বামপন্থার কোনটারই কিছু লাভ হচ্ছে না। বামপন্থায় যে আলটারনেটিভ চিন্তা দরকার -দেশের মাটির সাথে সম্পৃক্ত একটি বাম ধারার দরকার-তার কোন কিছুইত জেন এন ইউ দিতে পারে নি। তাহলে তারা কিসের বাম ইন্টেলেকচুয়াল ? আমি মনে করি তারা ইউজলেস জাঙ্ক। পাতি মেয়ে পটানোর জন্য, একটু মিডিয়া লাইট খাওয়ার জন্য ক্যাম্পাস রাজনীতি করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্টির রাজনীতি ঢুকিয়ে রাজনৈতিক নেতা তৈরী করা যায় না। কেজরিওয়াল, নীতিশ কেউই সেই অর্থে ছাত্রনেতা ছিলেন না। এবং এই দুজনই বর্তমানে ভারতের সেরা দুই মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি জেন এন ইউএর বাম নেতাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। বিজেপি যদি এইসব খাঁচার তোতাপাখিদের ও ভয় পায়, বুঝতে হবে, বিজেপির ভিত বলে কিছু নেই-শুধু কাদার ওপরে মাচা বাঁধা। বিশেষত এইসব বামতোতারা যখন দেশের সংবিধানের প্রতি আস্থা রেখেছেন এবং দেশ বিরোধি শ্লোগানের বিরোধিতা করেছেন, তাদের জেলে আটকে রাখা গণতন্ত্রের জন্য কলঙ্ক। এবং যেখানে বাক স্বাধীনতা নেই, সেখানে গণতন্ত্র নেই। ইনফ্যাক্ট তারা দেশ বিরোধি শ্লোগান দিলেও-তাদের ওইভাবে জেলে আটকানো যায় না। কারন আইডিয়াকে আইডিয়া দিয়েই আটকাতে হয়-পুলিশ দিয়ে আইডিওলজি আটকানো যায় না। আমি জানি ভারতের রেজিমেন্টেড বামেরাও বিজেপির মতনই রাজনৈতিক দিক দিয়ে অসহিষ্ণু-কিন্ত কান্টিয়ান লজিক মেনে-এটাই বলা যাক, গণতন্ত্রে বাকস্বাধীনতার শর্ত আনকন্ডিশনাল। বামছাত্র নেতারা লেনিনের মতন ঘৃন্য একজন বাক স্বাধীনতা বিরোধি, খুনী নেতার পূজারী-এসব ঠিক ই । কিন্ত তারা বাক স্বাধীনতার বিরোধি রাজনীতির ধারক বাহক বলে, তাদের বাক স্বাধীনতার অধিকার নেই-এটাও লজিক হতে পারে না।
ভারতের রাজনীতিতে আমি দুজনকে বেশ শ্রদ্ধা করি-এবং মনে করি-এরা ভারতকে অনেক কিছু দিতে পারেন। প্রথম জন কেজরিওয়াল, দ্বিতীয় জন মনোহর পারিকর। মনোহর পারিকরের রাজনৈতিক আদর্শের সাথে ( উনি আর এস এস প্রচারক ছিলেন) আমি সহমত নই-কিন্ত এই ভদ্রলোক যথেষ্ট ভদ্র এবং নম্র-এবং মোটামুটি বোঝা যায় মাটিতে পা রেখে কাজের চেষ্টা চালান-অন্যন্য সঙঘীদের মতন হাম্বা করার অভ্যেস নেই। কাজের লোক এই জন্য বলছি-ডিফেন্স ম্যানুফ্যাকচারিং এর অনেক কিছুই ভারতে বানানোর একটা রোডমাপ উনি দিতে পেরেছেন। যা কংগ্রেসের আমলে দিল্লীর রাশিয়ান দালালদের চক্করে কিছুই এগোয় নি।
কেজরিওয়ালকে নিয়ে কিছু বলার নেই- আমি মনে করি ভারতে এই মুহুর্তে কেজরিওয়ালই ভরসা। কারন একমাত্র উনারই কোন হিন্দুত্ব বা কমিনিউজমের এজেন্ডা নেই-নিখাদ ভারতের প্রতি ভালোবাসা আছে। জনগনের দুঃখ লাঘব করার সৎ আকাঙ্খা আছে। এবং সব থেকে বড় কথা -মাথায় বুদ্ধি আছে। ভুল উনি অনেক করেছেন-কিন্ত মাথায় বুদ্ধি থাকার জন্য শুধরেও নিয়েছেন দ্রুত। আমি অবশ্যই আশা রাখি, কেজরিওয়াল কোনদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
এদের মধ্যে কেজরিওয়াল আই আই টি খরগপুরের, পানিকার আই আই টি মুম্বাই এর। আই আই টিতে ছাত্র রাজনীতি আছে-কিন্ত সেখানে ভারতের পার্টিগুলির প্রবেশ নেই। এত ছাত্র রাজনীতি করে তাহলে জেন এন ইউ ভারতকে কোন ধরনের নেতা উপহার দিল ? যদি ধরেই নিই ছাত্রদের রাজনীতি করার দরকার আছে- দেশের রাজনৈতিক নেতা তুলে আনতে -তাহলে ভারতের রাজনীতিতে জেন এন ইউ এর অবদান, সিতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাত। প্রথম জন চেসেস্কু এবং কিম জং কত বড় কমিনিউস্ট ছিলেন তা প্রমান করতে পিপলস ডেমোক্রেসির পাতায় দস্তার পর দিস্তা লিখেছেন। দ্বিতীয় জন দ্বায়িত্ব নিয়ে ভারতের বাম রাজনীতিকে কবরে পাঠিয়েছেন। যেখানে কেজরি-মাত্র একবছরের মধ্যে একটা পার্টি তৈরী করে দিল্লীতে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে সাইনবোর্ড বানিয়েছে।
এইত হচ্ছে জেনিইউ বনাম আই আই টি থেকে তৈরী রাজনীতিবিদদের পার্থক্য!!! সিতারাম ইয়েচুরী এবং প্রকাশ কারাত যদি জেন এন ইউ এর রাজনৈতিক নেতা তৈরীর উদাহরন হয়-আমি এটাই বলব, জেন ইউ কে যে সাবসিডি দেওয়া হয়, তা যোগমায়া কলেজকে দেওয়া হৌক। তারা তাও একপিস মমতা দেখাতে পারবে।
ইনফ্যাক্ট ভারতের বামরাজনীতির এই দুর্দশার জন্য জেন এন ইউ সর্বাধিক দায়ী। কারন ওখানে গিয়ে বাম মনোভাবা সম্পন্ন ছেলে মেয়েরা রেজিমেন্টেড বাম হয়ে যাচ্ছে- মুক্তমনের , ক্রিটিক্যাল মাইন্ডের অধিকারি হতে পারছে না। ফলে সেই বাতিল লেনিন নিয়ে লুলুবাবু হয়ে বাকী জীবন কাটাচ্ছে। এতে দেশের বা দেশের বামপন্থার কোনটারই কিছু লাভ হচ্ছে না। বামপন্থায় যে আলটারনেটিভ চিন্তা দরকার -দেশের মাটির সাথে সম্পৃক্ত একটি বাম ধারার দরকার-তার কোন কিছুইত জেন এন ইউ দিতে পারে নি। তাহলে তারা কিসের বাম ইন্টেলেকচুয়াল ? আমি মনে করি তারা ইউজলেস জাঙ্ক। পাতি মেয়ে পটানোর জন্য, একটু মিডিয়া লাইট খাওয়ার জন্য ক্যাম্পাস রাজনীতি করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্টির রাজনীতি ঢুকিয়ে রাজনৈতিক নেতা তৈরী করা যায় না। কেজরিওয়াল, নীতিশ কেউই সেই অর্থে ছাত্রনেতা ছিলেন না। এবং এই দুজনই বর্তমানে ভারতের সেরা দুই মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি জেন এন ইউএর বাম নেতাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। বিজেপি যদি এইসব খাঁচার তোতাপাখিদের ও ভয় পায়, বুঝতে হবে, বিজেপির ভিত বলে কিছু নেই-শুধু কাদার ওপরে মাচা বাঁধা। বিশেষত এইসব বামতোতারা যখন দেশের সংবিধানের প্রতি আস্থা রেখেছেন এবং দেশ বিরোধি শ্লোগানের বিরোধিতা করেছেন, তাদের জেলে আটকে রাখা গণতন্ত্রের জন্য কলঙ্ক। এবং যেখানে বাক স্বাধীনতা নেই, সেখানে গণতন্ত্র নেই। ইনফ্যাক্ট তারা দেশ বিরোধি শ্লোগান দিলেও-তাদের ওইভাবে জেলে আটকানো যায় না। কারন আইডিয়াকে আইডিয়া দিয়েই আটকাতে হয়-পুলিশ দিয়ে আইডিওলজি আটকানো যায় না। আমি জানি ভারতের রেজিমেন্টেড বামেরাও বিজেপির মতনই রাজনৈতিক দিক দিয়ে অসহিষ্ণু-কিন্ত কান্টিয়ান লজিক মেনে-এটাই বলা যাক, গণতন্ত্রে বাকস্বাধীনতার শর্ত আনকন্ডিশনাল। বামছাত্র নেতারা লেনিনের মতন ঘৃন্য একজন বাক স্বাধীনতা বিরোধি, খুনী নেতার পূজারী-এসব ঠিক ই । কিন্ত তারা বাক স্বাধীনতার বিরোধি রাজনীতির ধারক বাহক বলে, তাদের বাক স্বাধীনতার অধিকার নেই-এটাও লজিক হতে পারে না।
No comments:
Post a Comment