(১)
ভারত সরকার ১০০ টি শহরকে স্মার্ট সিটি প্রোজেক্টে আনতে চাইছে। এর মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২০ টি শহরকে তারা বেছে নিয়েছে প্রথম ধাপে। টোটাল ৫৪,০০০ কোটির ইনভেস্টমেন্ট। প্রথম কুড়িটা শহরের মধ্যে পশ্চিম বঙ্গের কোন শহর নেই।
আমি মোটামুটি বুঝছে চাইছি, ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে এটা কতটা হাইপড, কতটা কার্যকরী। প্রথম কুড়িটা শহরের মধ্যে না থাকার জন্য পশ্চিম বঙ্গের কি ক্ষতি ।
(২)
স্মার্ট সিটি বলতে কি বোঝায় সেটা বোঝার চেষ্টা করি আগে। আই ট্রিপলি , ভারত সরকার, ইউ এন, আমেরিকা সর্বত্র-স্মার্ট সিটির সংজ্ঞা আলাদা বা তেমন কোন সংজ্ঞা নেই। মোদ্দা কথা হচ্ছে এমন শহরের পরিকাঠামো হবে সেন্সর নির্ভর-যাতে ট্রাফিক কনট্রোল, দূষন কন্ত্রোল , সরকারি কাজকর্ম, গারবেজ ডিসপোজাল, ড্রেনেজ সিস্টেম, স্ট্রিট লাইট-সব কিছুতেই সেন্সর নির্ভর অটোমেশন থাকবে। এই পুরো সেন্সর নির্ভর ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেমকে পপুলার টার্মে আই ও টী বা ইন্টারনেট ওব থিংস বলা হয়।
মুশকিল হচ্ছে এর কতটা বাস্তব-কতটা সত্যি? স্মল স্কেলে সিউল, হংকং, ক্যান্সাস সিটি অনেক শহরেই স্মার্ট সিটি নিয়ে পরীক্ষা হয়েছে। কিন্ত অনেক কম পরিসরে-যেমন সিওলে ৩০০,০০০ স্কোয়ার ফিটের ওপরে শহরের দুটো আই টি পার্কে এটা করা হয়েছে। যা শহরের মোট আয়তনের ১%
হবে কি না সন্দেহ।
এই খানেই প্রশ্ন ওঠে এটা কতটা হাইপ-কতটা ট্যাক্স পেয়ারের টাকা নষ্ট। এই টাকাটা এখানে ব্যয় করা যুক্তি সঙ্গত কি না।
প্রথমত বলে নেওয়া ভাল, হাইপ কিছুটা আছে। কারন বর্তমানে প্রযুক্তির যা অবস্থা, তাতে একটা শহরের খুব সামান্য অংশই হয়ত স্মার্ট করা সম্ভব হবে। কিন্ত যদি সঠিক ভাবে প্ল্যান করা যায়-তাহলে এই লিমিডেট বাজেটেও অনেক কিছু করা সম্ভব, যা ১০০% শহরবাসীর কাজে লাগতে পারে।
এবার স্মার্ট সিটির প্রযুক্তি নিয়ে কিছু বলি। সব কিছুই দাঁড়িয়ে আছে যে প্রচুর সস্তার ওয়ারলেস সেন্সর লাগিয়ে ডেটা হল করে স্মার্ট ডিসিশন এবং কন্ত্রোল হবে। মুশকিল হচ্ছে ওই সস্তার সেন্সরের জায়গাটি ব্যথার। এমনিতে সিঙ্গল সিলিকন বা সেন্সর অন চিপ ( বা সক বলে) এর দৌলতে সেন্সর ইলেকট্রনিক্স খুব সস্তা। কিন্ত সেন্সরে সব থেকে ব্যথার জায়গাটা হল হাউসিং বা মাউন্টিং। এটার পেছনে প্রচুর খরচ যায়। এই এরিয়াটা ফার্টাইল। প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন প্রযুক্তি আসছে। এছাড়াও সেন্সর ডেটা থেকে ডিশিসন নেওয়াটা সহজ হলেও , সেই নিয়ে কোন কিছু কন্ত্রোল করা এখনো চাপের।
কিন্ত প্রযুক্তি মানেই প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন আসছে। আজ যা সমস্যা কাল নাও হতে পারে
(৩)
ভারতে স্মার্ট সিটি প্রকল্প একটা বড় ব্যপার এটা বুঝলাম ব্যঙ্গালোর আই ও টি নেক্সট ২০১৫। অনেকগুলো সেশন ছিল -সরকারি কর্তা, আই বিএমের লোকজন প্রচুর স্লাইড দেখাচ্ছিল । এগুলো অবশ্য সবই প্রায় টোকা-যা বুঝালাম এরাও হাইপেই চলছে। তবে আশার কথা যে অনেক গুলো স্টার্টাপ তৈরী হয়েছে ব্যাঙ্গালোরে যারা বেশ কিছু ফোকাসড এরিয়াতে কাজ করছে। যেমন একটা স্টার্টাপ সিটি লাইটিং নিয়ে কাজ করছে-কি করে এনার্জি সেভ করা যায় বা লাইটগুলোকে বেশীদিন টেকানো যায়। ইনফ্যাক্ট ওদেরকে কিছু সেন্সর আমরা দিচ্ছিও পাইলটের জন্য। আরেকটা কোম্পানী মিউনিসিপ্যাল ওয়েস্ট ডিসপোজাল নিয়ে কাজ করছে। ভরসার জায়গা এইটাই যে এই ৫৪,০০০ কোটি টাকার ইনভেস্টেমেন্টের জন্য ভারতেই অনেক আধুনিক কোম্পানী তৈরী হবে- যারা ভারতের সমস্যাগুলি নিয়ে কাজ করবে। এর থেকে ভাল কিছু হয় না। সুতরাং কিছুটা হাইপ হলেও, এর অনেক ভালো দিক ও আছে।
স্মার্ট সিটি প্রকল্প সফল হবে যদি প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা বুঝে-কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ন দিকে ফোকাস রাখা যায়। যেমন স্ট্রিট লাইটিং, ট্রাফিক কন্ট্রোল বা পল্যুউশন কন্ট্রোল।
(৪)
পশ্চিম বঙ্গে কোন একটা শহরে শুরু হলে এটা ভাল হত এই কারনে যে এতে কিছু ছেলে চাকরি পেত। বিশেষত সেন্সর মাউন্টিং এর মতন মেকানিক্যাল কাজের জন্য বেশ কিছু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের চাকরির সুযোগ হত। এছাড়াও পশ্চিম বঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয় গুলি কিছু প্রোজেক্ট করার সুযোগ হারালেন।
অবশ্যই পশ্চিম বঙ্গের কিছু বামেরা কুতর্ক জুরেছে-এসব করে কি হবে-মিড ডে মিলে বা নেগ্রাতে টাকা ঢালা হৌক। এগুলো অজ্ঞানের বিলাপ। দারিদ্রের মূল কারন অপচয় এবং অপবন্টন-সাথে কোরাপশন। এগুলি ঠিক করার শ্রেষ্ঠ উপায় আওটি। যেমন ধরুন চাষের খরচ বাড়ার মূল কারন সেচের জলের অপব্যবহার। আইওটি প্রযুক্তির মাধ্যমে মাটীর আদ্রতা ট্রাক করে স্পেনে ওরা সেচের জলের পরিমান ৯০% কমাতে পেরেছে। এতে ভারতে শুধু টাকা এবং ইলেক্ট্রিসিটিই বাঁচত না- ভূর্গভস্থ জলের হালত ও ভাল থাকত।
স্মার্ট সিটির থেকেও ভারতে বেশি দরকার স্মার্ট কৃষি। তবে এটা নিয়েও ভারত সরকার অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও ভারতে জমির পরিমান এত কম- সমবায় পদ্ধতি না শুরু হলে ভারতের কৃষিকে আধুনিক করা খুব মুশকিল। যেমন ধরুন আমেরিকাতে দেখেছি জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন মেশিন দিয়েই ২০০ একর জমিতে একদিনে বীচ রোপন করে দিচ্ছে। ভারতে ওই কাজ করতে নুন্যতম ৫০০ ম্যান ডে লাগবে-খরচ প্রায় ১ লাখ টাকার বেশী। ফলে ভারতে কৃষিজ ফসলের দাম উর্ধমুখি। এবং তাতেও চাষিরা আত্মহত্যা করছে-কারন চাষের খরচ এত বেশী যে ফসলে দাম একটু বাড়াতে কোন লাভই নেই। এক্ষেত্রে ভারতের সামনে একমাত্র সমাধান সমবায় এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার-যাতে অনেক কম খরচে বেশী ফসল হবে। চাষীদের জন্য মায়াকান্না কেঁদেত লাভ নেই। ফসলের দাম বেশী হলে, আপনারাই চেঁচাবেন। সুতরাং একমাত্র সমাধান কি করে সমবায় এবং উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষের খরচ ৯০% কমানো যায়। এতে পরিবেশ ও বাঁচবে। এবং এই ৯০% রিডাকশন সম্ভব-যদি সঠিক পরিকল্পনা নেওয়া যায়।
(৫)
পশ্চিম বঙ্গের কোন শহর প্রথম কুড়িটা প্রোজেক্টে নেই-কারন তাদের প্রোজেক্ট প্রপোজাল ভাল হয় নি। রাজ্যের কর্ম সংস্কৃতির যা হাল, তাতে এতটা আশা করা বোধ হয় অন্যায়। সুতরাং এটা প্রশাসনিক ব্যর্থতা হিসাবেই দেখতে হবে।
এই ব্যর্থতা থেকে বেড়োতে-রাজ্য সরকার এই লাইনের এক্সপার্ট দিয়ে একটা কমিটি তৈরী করুক-তাদের তত্ত্বাবধানে প্রপোজাল তৈরী হৌক।
ভারত সরকার ১০০ টি শহরকে স্মার্ট সিটি প্রোজেক্টে আনতে চাইছে। এর মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২০ টি শহরকে তারা বেছে নিয়েছে প্রথম ধাপে। টোটাল ৫৪,০০০ কোটির ইনভেস্টমেন্ট। প্রথম কুড়িটা শহরের মধ্যে পশ্চিম বঙ্গের কোন শহর নেই।
আমি মোটামুটি বুঝছে চাইছি, ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে এটা কতটা হাইপড, কতটা কার্যকরী। প্রথম কুড়িটা শহরের মধ্যে না থাকার জন্য পশ্চিম বঙ্গের কি ক্ষতি ।
(২)
স্মার্ট সিটি বলতে কি বোঝায় সেটা বোঝার চেষ্টা করি আগে। আই ট্রিপলি , ভারত সরকার, ইউ এন, আমেরিকা সর্বত্র-স্মার্ট সিটির সংজ্ঞা আলাদা বা তেমন কোন সংজ্ঞা নেই। মোদ্দা কথা হচ্ছে এমন শহরের পরিকাঠামো হবে সেন্সর নির্ভর-যাতে ট্রাফিক কনট্রোল, দূষন কন্ত্রোল , সরকারি কাজকর্ম, গারবেজ ডিসপোজাল, ড্রেনেজ সিস্টেম, স্ট্রিট লাইট-সব কিছুতেই সেন্সর নির্ভর অটোমেশন থাকবে। এই পুরো সেন্সর নির্ভর ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেমকে পপুলার টার্মে আই ও টী বা ইন্টারনেট ওব থিংস বলা হয়।
মুশকিল হচ্ছে এর কতটা বাস্তব-কতটা সত্যি? স্মল স্কেলে সিউল, হংকং, ক্যান্সাস সিটি অনেক শহরেই স্মার্ট সিটি নিয়ে পরীক্ষা হয়েছে। কিন্ত অনেক কম পরিসরে-যেমন সিওলে ৩০০,০০০ স্কোয়ার ফিটের ওপরে শহরের দুটো আই টি পার্কে এটা করা হয়েছে। যা শহরের মোট আয়তনের ১%
হবে কি না সন্দেহ।
এই খানেই প্রশ্ন ওঠে এটা কতটা হাইপ-কতটা ট্যাক্স পেয়ারের টাকা নষ্ট। এই টাকাটা এখানে ব্যয় করা যুক্তি সঙ্গত কি না।
প্রথমত বলে নেওয়া ভাল, হাইপ কিছুটা আছে। কারন বর্তমানে প্রযুক্তির যা অবস্থা, তাতে একটা শহরের খুব সামান্য অংশই হয়ত স্মার্ট করা সম্ভব হবে। কিন্ত যদি সঠিক ভাবে প্ল্যান করা যায়-তাহলে এই লিমিডেট বাজেটেও অনেক কিছু করা সম্ভব, যা ১০০% শহরবাসীর কাজে লাগতে পারে।
এবার স্মার্ট সিটির প্রযুক্তি নিয়ে কিছু বলি। সব কিছুই দাঁড়িয়ে আছে যে প্রচুর সস্তার ওয়ারলেস সেন্সর লাগিয়ে ডেটা হল করে স্মার্ট ডিসিশন এবং কন্ত্রোল হবে। মুশকিল হচ্ছে ওই সস্তার সেন্সরের জায়গাটি ব্যথার। এমনিতে সিঙ্গল সিলিকন বা সেন্সর অন চিপ ( বা সক বলে) এর দৌলতে সেন্সর ইলেকট্রনিক্স খুব সস্তা। কিন্ত সেন্সরে সব থেকে ব্যথার জায়গাটা হল হাউসিং বা মাউন্টিং। এটার পেছনে প্রচুর খরচ যায়। এই এরিয়াটা ফার্টাইল। প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন প্রযুক্তি আসছে। এছাড়াও সেন্সর ডেটা থেকে ডিশিসন নেওয়াটা সহজ হলেও , সেই নিয়ে কোন কিছু কন্ত্রোল করা এখনো চাপের।
কিন্ত প্রযুক্তি মানেই প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন আসছে। আজ যা সমস্যা কাল নাও হতে পারে
(৩)
ভারতে স্মার্ট সিটি প্রকল্প একটা বড় ব্যপার এটা বুঝলাম ব্যঙ্গালোর আই ও টি নেক্সট ২০১৫। অনেকগুলো সেশন ছিল -সরকারি কর্তা, আই বিএমের লোকজন প্রচুর স্লাইড দেখাচ্ছিল । এগুলো অবশ্য সবই প্রায় টোকা-যা বুঝালাম এরাও হাইপেই চলছে। তবে আশার কথা যে অনেক গুলো স্টার্টাপ তৈরী হয়েছে ব্যাঙ্গালোরে যারা বেশ কিছু ফোকাসড এরিয়াতে কাজ করছে। যেমন একটা স্টার্টাপ সিটি লাইটিং নিয়ে কাজ করছে-কি করে এনার্জি সেভ করা যায় বা লাইটগুলোকে বেশীদিন টেকানো যায়। ইনফ্যাক্ট ওদেরকে কিছু সেন্সর আমরা দিচ্ছিও পাইলটের জন্য। আরেকটা কোম্পানী মিউনিসিপ্যাল ওয়েস্ট ডিসপোজাল নিয়ে কাজ করছে। ভরসার জায়গা এইটাই যে এই ৫৪,০০০ কোটি টাকার ইনভেস্টেমেন্টের জন্য ভারতেই অনেক আধুনিক কোম্পানী তৈরী হবে- যারা ভারতের সমস্যাগুলি নিয়ে কাজ করবে। এর থেকে ভাল কিছু হয় না। সুতরাং কিছুটা হাইপ হলেও, এর অনেক ভালো দিক ও আছে।
স্মার্ট সিটি প্রকল্প সফল হবে যদি প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা বুঝে-কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ন দিকে ফোকাস রাখা যায়। যেমন স্ট্রিট লাইটিং, ট্রাফিক কন্ট্রোল বা পল্যুউশন কন্ট্রোল।
(৪)
পশ্চিম বঙ্গে কোন একটা শহরে শুরু হলে এটা ভাল হত এই কারনে যে এতে কিছু ছেলে চাকরি পেত। বিশেষত সেন্সর মাউন্টিং এর মতন মেকানিক্যাল কাজের জন্য বেশ কিছু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের চাকরির সুযোগ হত। এছাড়াও পশ্চিম বঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয় গুলি কিছু প্রোজেক্ট করার সুযোগ হারালেন।
অবশ্যই পশ্চিম বঙ্গের কিছু বামেরা কুতর্ক জুরেছে-এসব করে কি হবে-মিড ডে মিলে বা নেগ্রাতে টাকা ঢালা হৌক। এগুলো অজ্ঞানের বিলাপ। দারিদ্রের মূল কারন অপচয় এবং অপবন্টন-সাথে কোরাপশন। এগুলি ঠিক করার শ্রেষ্ঠ উপায় আওটি। যেমন ধরুন চাষের খরচ বাড়ার মূল কারন সেচের জলের অপব্যবহার। আইওটি প্রযুক্তির মাধ্যমে মাটীর আদ্রতা ট্রাক করে স্পেনে ওরা সেচের জলের পরিমান ৯০% কমাতে পেরেছে। এতে ভারতে শুধু টাকা এবং ইলেক্ট্রিসিটিই বাঁচত না- ভূর্গভস্থ জলের হালত ও ভাল থাকত।
স্মার্ট সিটির থেকেও ভারতে বেশি দরকার স্মার্ট কৃষি। তবে এটা নিয়েও ভারত সরকার অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও ভারতে জমির পরিমান এত কম- সমবায় পদ্ধতি না শুরু হলে ভারতের কৃষিকে আধুনিক করা খুব মুশকিল। যেমন ধরুন আমেরিকাতে দেখেছি জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন মেশিন দিয়েই ২০০ একর জমিতে একদিনে বীচ রোপন করে দিচ্ছে। ভারতে ওই কাজ করতে নুন্যতম ৫০০ ম্যান ডে লাগবে-খরচ প্রায় ১ লাখ টাকার বেশী। ফলে ভারতে কৃষিজ ফসলের দাম উর্ধমুখি। এবং তাতেও চাষিরা আত্মহত্যা করছে-কারন চাষের খরচ এত বেশী যে ফসলে দাম একটু বাড়াতে কোন লাভই নেই। এক্ষেত্রে ভারতের সামনে একমাত্র সমাধান সমবায় এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার-যাতে অনেক কম খরচে বেশী ফসল হবে। চাষীদের জন্য মায়াকান্না কেঁদেত লাভ নেই। ফসলের দাম বেশী হলে, আপনারাই চেঁচাবেন। সুতরাং একমাত্র সমাধান কি করে সমবায় এবং উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষের খরচ ৯০% কমানো যায়। এতে পরিবেশ ও বাঁচবে। এবং এই ৯০% রিডাকশন সম্ভব-যদি সঠিক পরিকল্পনা নেওয়া যায়।
(৫)
পশ্চিম বঙ্গের কোন শহর প্রথম কুড়িটা প্রোজেক্টে নেই-কারন তাদের প্রোজেক্ট প্রপোজাল ভাল হয় নি। রাজ্যের কর্ম সংস্কৃতির যা হাল, তাতে এতটা আশা করা বোধ হয় অন্যায়। সুতরাং এটা প্রশাসনিক ব্যর্থতা হিসাবেই দেখতে হবে।
এই ব্যর্থতা থেকে বেড়োতে-রাজ্য সরকার এই লাইনের এক্সপার্ট দিয়ে একটা কমিটি তৈরী করুক-তাদের তত্ত্বাবধানে প্রপোজাল তৈরী হৌক।