আজ দেখলাম একজন লিখেছেন হিন্দমোটরসে এক শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন। পশ্চিম বঙ্গে চাবাগান থেকে চটকল, সর্বত্রই ছাঁটাই, রুগ্নতা এবং মৃত্যু মিছিল।
কেও বিড়লাকে দোষ দিচ্ছেন, কেও রাজনীতি, কেও সরকারকে। বেসিক্যালি ঘোলা জলে মাছ ধরা। শিল্প, কারখানা কোন কিছুই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত না এযুগে। পুরাতন শিল্পগুলো যে মরবে, এটাই বাস্তব। প্রযুক্তির যুগে কোন কিছুই চিরস্থায়ী না । আজ ফ্লোরিডা থেকে ট্রেনে ফেরার পথে একদা ব্যস্ত শিল্প শহরগুলিতে অজস্র কারখানা কঙ্কাল দেখলাম। সব দেশে সব রাজ্যেই শিল্প কারখানা মরে। কিন্ত নতুন কারখানাও গজায়। পশ্চিম বঙ্গের সমস্যা হচ্ছে নতুন কোন শিল্প আসে নি। ফলে কর্মচ্যুত শ্রমিকদের পুনঃবাসন হচ্ছে না ।
আরো একটা বাস্তবকে স্বীকার করা যাক। কারখানা হলেই যে কর্মসংস্থান হবে তা বর্তমান যুগে সত্য না । অটোমেশনের দৌলতে এখন অনেক অনেক কম শ্রমিক নিয়েই চলছে কারখানা। হাওড়া-চব্বিশ পরগনা বেল্টের অধিকাংশ কর্ম সংস্থান এখন বেয়াইনী ছোট ছোট কারখানা গুলোতে।
পরিস্থিতি কোন সরকার এসে, কোন নতুন রাজনীতি এসে বদলে দেবে এসব আকাশ কুসুম কল্পনা। এই ইউটোপিয়ান স্বপ্নের জগতে থাকলে আরো শ্রমিক মরবে। এখন যেটা দরকার-সেটা হচ্ছে পুরাতন শ্রমিকদের নতুন স্কিলে রিহ্যাব এবং সেটা সরকার থেকেই করতে হবে। যেমন পুরাতন শ্রমিকদের মোবাইল, কম্পিউটার, আটোমোবাইল সারানোর কাজে ট্রেনিং দেওয়া যেতে পারে। তার জন্য সরকার থেকে স্কিল রিহ্যাব স্কীম এখুনী চালু করা উচিত।
কারখানা খুলে, টিসিএস ইনফির মতন বড় শিল্প এসে পশ্চিম বঙ্গে দিন বদলাবে এসব নতুন প্রযুক্তির সামনে সব গল্প এখন। ইনফাক্ট, ইনফি, টিসিএস ও কর্মী কমাচ্ছে বা কমাতে বাধ্য হচ্ছে নতুন প্রযুক্তি এবং বিজনেস মডেলের সামনে। কিন্ত কোলকাতাতেই কিছু কিছু ছোট ছোট আই টি কোম্পানী ডোমেস্টিক সস্তার প্রোডাক্ট বার করে ভালোই করে খাচ্ছে। কর্ম সংস্থান কিন্ত সেখানেই হচ্ছে। অথচ সরকার থেকে কিছুই করে না এইসব ছোট আই টি কোম্পানীগুলোর জন্য। পার্থ চ্যাটার্জি থেকে অমিত মিত্র সবাই নামী দামী শিল্পপতিদের তেলা মাথায় তেল মাখাতে ব্যস্ত-এদিকে সেই তেল কিন্ত আর চুইয়ে পড়ছে না ।
সরকার দেওলিয়া। ওখানে প্রাইমারী স্কুলের চাকরিও দিতে পারবে না বা দিলে, নিজেদের ছেলে বৌকে দেবে। বড় শিল্পে কোন কর্ম সংস্থান হবে না অটোমেশনের জন্য। সুতরাং বাঙালীর সামনে এখন ব্যবসা অথবা আত্মহত্যা ছাড়া কোন উপায় নেই । অন্য রাজ্যে গিয়ে এদ্দিন করে খাচ্ছিল, সেটাও আস্তে আস্তে সম্ভব হবে না কারন বড় শিল্পে ছাঁটাই চলতেই থাকবে। এটা সমস্যার। বাঙালীর না আছে পুঁজি, না আছে বিজনেস স্কিল। দেখা যাক দেওয়ালে পিঠ ঠেকা একটা জাতি কিভাবে নিজেদের উদ্ধার করে। তবে সমাধান লুকিয়ে আছে কিভাবে এই সব ছোট ছোট আধুনিক শিল্পগুলিকে সরকার সাহায্য দিতে পারে। এই ব্যপারে আমি দেখছি আমেরিকা কি করছে। সস্তায় অফিস দেওয়া থেকে বিজনেস নেটোয়ার্কিং , বিজনেস লোন, মেন্টরশিপ-সমস্ত রকমের সাহায্য দেওয়া হয় আমেরিকাতে যারা প্রযুক্তি ব্যবসায় আসতে চায়। এর একটা মূল কারন, তথ্য অনুয়ায়ী, আমেরিকাতে ৬৭% নতুন চাকরী সৃষ্টি হয়েছে নতুন প্রযুক্তি সেক্টরে-যেগুলি ছোট ছোট টেক কোম্পানী। বড় কোম্পানীগুলি কর্মী কমিয়েছে আমেরিকাতে। একই ঘটনা ঘটছে কোলকাতাতেও। কিন্ত এখানে সরকার আমেরিকার মতন ছোট কোম্পানীগুলিকে সাহায্য করার জন্য যাযা দরকার তা করছে না । আসলে এই সরকার এত মিডিয়া লাইট খেতে ভালবাসে-এরা ভোট পাওয়ার জন্য শতাব্দি বা মুনমুন সেনের বুকের খাঁজের ওপর যত ভরসা করে-খাঁটি কাজের ওপর করে না । সবটাই যেখানে ধাপ্পাবাজি, কাজের কাজ আর কে করবে?
কেও বিড়লাকে দোষ দিচ্ছেন, কেও রাজনীতি, কেও সরকারকে। বেসিক্যালি ঘোলা জলে মাছ ধরা। শিল্প, কারখানা কোন কিছুই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত না এযুগে। পুরাতন শিল্পগুলো যে মরবে, এটাই বাস্তব। প্রযুক্তির যুগে কোন কিছুই চিরস্থায়ী না । আজ ফ্লোরিডা থেকে ট্রেনে ফেরার পথে একদা ব্যস্ত শিল্প শহরগুলিতে অজস্র কারখানা কঙ্কাল দেখলাম। সব দেশে সব রাজ্যেই শিল্প কারখানা মরে। কিন্ত নতুন কারখানাও গজায়। পশ্চিম বঙ্গের সমস্যা হচ্ছে নতুন কোন শিল্প আসে নি। ফলে কর্মচ্যুত শ্রমিকদের পুনঃবাসন হচ্ছে না ।
আরো একটা বাস্তবকে স্বীকার করা যাক। কারখানা হলেই যে কর্মসংস্থান হবে তা বর্তমান যুগে সত্য না । অটোমেশনের দৌলতে এখন অনেক অনেক কম শ্রমিক নিয়েই চলছে কারখানা। হাওড়া-চব্বিশ পরগনা বেল্টের অধিকাংশ কর্ম সংস্থান এখন বেয়াইনী ছোট ছোট কারখানা গুলোতে।
পরিস্থিতি কোন সরকার এসে, কোন নতুন রাজনীতি এসে বদলে দেবে এসব আকাশ কুসুম কল্পনা। এই ইউটোপিয়ান স্বপ্নের জগতে থাকলে আরো শ্রমিক মরবে। এখন যেটা দরকার-সেটা হচ্ছে পুরাতন শ্রমিকদের নতুন স্কিলে রিহ্যাব এবং সেটা সরকার থেকেই করতে হবে। যেমন পুরাতন শ্রমিকদের মোবাইল, কম্পিউটার, আটোমোবাইল সারানোর কাজে ট্রেনিং দেওয়া যেতে পারে। তার জন্য সরকার থেকে স্কিল রিহ্যাব স্কীম এখুনী চালু করা উচিত।
কারখানা খুলে, টিসিএস ইনফির মতন বড় শিল্প এসে পশ্চিম বঙ্গে দিন বদলাবে এসব নতুন প্রযুক্তির সামনে সব গল্প এখন। ইনফাক্ট, ইনফি, টিসিএস ও কর্মী কমাচ্ছে বা কমাতে বাধ্য হচ্ছে নতুন প্রযুক্তি এবং বিজনেস মডেলের সামনে। কিন্ত কোলকাতাতেই কিছু কিছু ছোট ছোট আই টি কোম্পানী ডোমেস্টিক সস্তার প্রোডাক্ট বার করে ভালোই করে খাচ্ছে। কর্ম সংস্থান কিন্ত সেখানেই হচ্ছে। অথচ সরকার থেকে কিছুই করে না এইসব ছোট আই টি কোম্পানীগুলোর জন্য। পার্থ চ্যাটার্জি থেকে অমিত মিত্র সবাই নামী দামী শিল্পপতিদের তেলা মাথায় তেল মাখাতে ব্যস্ত-এদিকে সেই তেল কিন্ত আর চুইয়ে পড়ছে না ।
সরকার দেওলিয়া। ওখানে প্রাইমারী স্কুলের চাকরিও দিতে পারবে না বা দিলে, নিজেদের ছেলে বৌকে দেবে। বড় শিল্পে কোন কর্ম সংস্থান হবে না অটোমেশনের জন্য। সুতরাং বাঙালীর সামনে এখন ব্যবসা অথবা আত্মহত্যা ছাড়া কোন উপায় নেই । অন্য রাজ্যে গিয়ে এদ্দিন করে খাচ্ছিল, সেটাও আস্তে আস্তে সম্ভব হবে না কারন বড় শিল্পে ছাঁটাই চলতেই থাকবে। এটা সমস্যার। বাঙালীর না আছে পুঁজি, না আছে বিজনেস স্কিল। দেখা যাক দেওয়ালে পিঠ ঠেকা একটা জাতি কিভাবে নিজেদের উদ্ধার করে। তবে সমাধান লুকিয়ে আছে কিভাবে এই সব ছোট ছোট আধুনিক শিল্পগুলিকে সরকার সাহায্য দিতে পারে। এই ব্যপারে আমি দেখছি আমেরিকা কি করছে। সস্তায় অফিস দেওয়া থেকে বিজনেস নেটোয়ার্কিং , বিজনেস লোন, মেন্টরশিপ-সমস্ত রকমের সাহায্য দেওয়া হয় আমেরিকাতে যারা প্রযুক্তি ব্যবসায় আসতে চায়। এর একটা মূল কারন, তথ্য অনুয়ায়ী, আমেরিকাতে ৬৭% নতুন চাকরী সৃষ্টি হয়েছে নতুন প্রযুক্তি সেক্টরে-যেগুলি ছোট ছোট টেক কোম্পানী। বড় কোম্পানীগুলি কর্মী কমিয়েছে আমেরিকাতে। একই ঘটনা ঘটছে কোলকাতাতেও। কিন্ত এখানে সরকার আমেরিকার মতন ছোট কোম্পানীগুলিকে সাহায্য করার জন্য যাযা দরকার তা করছে না । আসলে এই সরকার এত মিডিয়া লাইট খেতে ভালবাসে-এরা ভোট পাওয়ার জন্য শতাব্দি বা মুনমুন সেনের বুকের খাঁজের ওপর যত ভরসা করে-খাঁটি কাজের ওপর করে না । সবটাই যেখানে ধাপ্পাবাজি, কাজের কাজ আর কে করবে?
No comments:
Post a Comment