গোটা পৃথিবীতে এখন দুই মেরুর বাসিন্দা। একমেরুতে লোকজন প্রযুক্তি বিপ্লবের সুযোগ নিয়ে নিজেদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থানের উন্নতি করছে। অন্যমেরুতে যারা এটা পারছেনা, তারা ট্রাডিশনাল বা গতানুগতিক উৎপাদন ব্যবস্থায় বাঁচতে গিয়ে আরো পিছিয়ে পড়েছে। আরো গরীব হচ্ছে। ভারতে আই টি কর্মীরা প্রথম মেরুর বাসিন্দা। অন্যদিকে শিল্প-কৃষি শ্রমিক, ব্যাঙ্ক করনিক, আইনজ্ঞ, সাংবাদিক, ট্রাডিশনাল স্কিল্ড লেবার যেমন ছুতোর, রাজমিস্ত্রি এরা দ্বিতীয় মেরুর বাসিন্দা। অনেক ডাক্তার, শিক্ষক প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে থাকলেও যেহেতু শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যে সরকারি চাকরি-সেহেতু, তারা এই হিসাবের বাইরে। প্রাইভেট টিচারদের মাইনে বেড়েছে খাতা কলমে। কেও তাদের সঠিক মাইনা দেয় না ।
একটু পিছিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে কি মারাত্মক বৈষম্য তৈরী হচ্ছে প্রযুক্তির জন্য। ১৯৯২-৯৫ সালে আই টিতে সিনিয়ার লোকেরা পেত বছরে ৪-৭ লাখ টাকা (ব্যাঙ্গালোরে) । ২০০১-২ সালে সেটা হল, প্রায় ১২-২০ লাখ। এখন ব্যাঙ্গালোরে সিনিয়র পজিশনে লোকেরা পাচ্ছে ৩০-৬০ লাখ। অর্থাৎ মাইনে বেড়েছে প্রায় দশগুন। যদি ডলারে ধরি, তাহলে ইনফ্লেশন এডজাস্টেড ভ্যালু পাব। ,৯২-৯৫ এ ডলার ছিল ৩০-৩৫ টাকা। সুতরাং ডলারে সেটা ছিল ১৩-২০ হাজার ডলার। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৫০-১০০ হাজার ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৫ গুন বৃদ্ধি ইনফ্লেশন এডজাস্টেড। এবার একজন সরকারি কর্মচারীর বেতন ও কিন্ত বেড়েছে প্রায় ৩-৬ গুন। ইনফ্লেশন এডজাস্টেড ভাবে দেখলে দুই থেকে তিনগুন। হাউসমেড বা বাড়িতে কাজ করা মেয়েদের বেতন এই সময়ের মধ্যে সমানুপাতিক হারে বেড়েছে। কিন্ত শিল্প শ্রমিকদের বেতন সেই ৯১ এ যারা ৫-১০ হাজার পেতেন এখন বড়জোর পান ১৫-২০,০০০। কি অনেকেই সেটা পান না । অর্থাৎ ইনফ্লেশন এডজাস্টেড হারে দেখলে শিল্প শ্রমিকদের বেতন কমেছে। সাংবাদিকদের ও এক হাল। '৯৫ থেকে '১৪ এর মধ্যে ভাল সাংবাদিকদের বেতন খুব বেশী হলে বেড়েছে দুই থেকে চারগুন। সেটা ইনফ্লেশন এডজাস্ট করলে নেগেটিভ বা সামান্য বৃদ্ধি হবে। কৃষি শ্রমিকদের লেবার রেট বেড়েছে এই সময়ে প্রায় আড়াইগুন। অর্থাৎ ইনফ্লেশন ধরলে কিছুই বাড়ে নি। তবে যাদের জমি আছে, তাদের আয় বেড়েছে। এসেট বেড়েছে-কারন জমির দাম বেড়েছে দশগুনের বেশী।
সব থেকে খারাপ অবস্থা এন্ট্রি পজিশনে। '৯৫ সালে ইনফি এন্ট্রি পজিশনে একজন ইঞ্জিনিয়ারকে দিত ১৩,০০০ -এখন দেয় ১৬,০০০ । সর্বত্র এন্ট্রি পজিশনে মাইনে আসলে কমেছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০% যদি ইনফ্লেশন এডজাস্টেড ভ্যালু দেখা যায়। সাংবাদিকতাতে এন্ট্রি পজিশনে কেও আজকাল পয়সা দেয় না ।
অর্থাৎ প্রযুক্তির কারনে বেতনে অসাম্য আরো বাড়ছে। সম্পদেও বাড়ছে। তবে আস্তে আস্তে প্রযুক্তির কারনে, এই অসাম্য আস্তে আস্তে কমবে। যখন সবাইকে প্রযুক্তির আওতাই আনা সম্ভব হবে।
একটু পিছিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে কি মারাত্মক বৈষম্য তৈরী হচ্ছে প্রযুক্তির জন্য। ১৯৯২-৯৫ সালে আই টিতে সিনিয়ার লোকেরা পেত বছরে ৪-৭ লাখ টাকা (ব্যাঙ্গালোরে) । ২০০১-২ সালে সেটা হল, প্রায় ১২-২০ লাখ। এখন ব্যাঙ্গালোরে সিনিয়র পজিশনে লোকেরা পাচ্ছে ৩০-৬০ লাখ। অর্থাৎ মাইনে বেড়েছে প্রায় দশগুন। যদি ডলারে ধরি, তাহলে ইনফ্লেশন এডজাস্টেড ভ্যালু পাব। ,৯২-৯৫ এ ডলার ছিল ৩০-৩৫ টাকা। সুতরাং ডলারে সেটা ছিল ১৩-২০ হাজার ডলার। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৫০-১০০ হাজার ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৫ গুন বৃদ্ধি ইনফ্লেশন এডজাস্টেড। এবার একজন সরকারি কর্মচারীর বেতন ও কিন্ত বেড়েছে প্রায় ৩-৬ গুন। ইনফ্লেশন এডজাস্টেড ভাবে দেখলে দুই থেকে তিনগুন। হাউসমেড বা বাড়িতে কাজ করা মেয়েদের বেতন এই সময়ের মধ্যে সমানুপাতিক হারে বেড়েছে। কিন্ত শিল্প শ্রমিকদের বেতন সেই ৯১ এ যারা ৫-১০ হাজার পেতেন এখন বড়জোর পান ১৫-২০,০০০। কি অনেকেই সেটা পান না । অর্থাৎ ইনফ্লেশন এডজাস্টেড হারে দেখলে শিল্প শ্রমিকদের বেতন কমেছে। সাংবাদিকদের ও এক হাল। '৯৫ থেকে '১৪ এর মধ্যে ভাল সাংবাদিকদের বেতন খুব বেশী হলে বেড়েছে দুই থেকে চারগুন। সেটা ইনফ্লেশন এডজাস্ট করলে নেগেটিভ বা সামান্য বৃদ্ধি হবে। কৃষি শ্রমিকদের লেবার রেট বেড়েছে এই সময়ে প্রায় আড়াইগুন। অর্থাৎ ইনফ্লেশন ধরলে কিছুই বাড়ে নি। তবে যাদের জমি আছে, তাদের আয় বেড়েছে। এসেট বেড়েছে-কারন জমির দাম বেড়েছে দশগুনের বেশী।
সব থেকে খারাপ অবস্থা এন্ট্রি পজিশনে। '৯৫ সালে ইনফি এন্ট্রি পজিশনে একজন ইঞ্জিনিয়ারকে দিত ১৩,০০০ -এখন দেয় ১৬,০০০ । সর্বত্র এন্ট্রি পজিশনে মাইনে আসলে কমেছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০% যদি ইনফ্লেশন এডজাস্টেড ভ্যালু দেখা যায়। সাংবাদিকতাতে এন্ট্রি পজিশনে কেও আজকাল পয়সা দেয় না ।
অর্থাৎ প্রযুক্তির কারনে বেতনে অসাম্য আরো বাড়ছে। সম্পদেও বাড়ছে। তবে আস্তে আস্তে প্রযুক্তির কারনে, এই অসাম্য আস্তে আস্তে কমবে। যখন সবাইকে প্রযুক্তির আওতাই আনা সম্ভব হবে।