আজ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু হল। প্রায় হাজার বছর বাদে খুললো নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় যা মধ্যযুগের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে খ্যাতিলাভ করে। সপ্তম শতাব্দিতে হিউয়েন সাং এর ভ্রুমন বৃত্তান্ত থেকে আমরা জানতে পারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০০ এর বেশী শিক্ষক এবং ১০,০০০ ছাত্র ছিল। লাইব্রেরী বিল্ডিং ছিল তিনটি। ১১৯৭ সালে বখতিয়াল খিলজি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেন-হাজার খানেক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর শিরোচ্ছেদ করা হয়। লাইব্রেরী পুড়িয়ে দেওয়া হয়। লাইব্রেরী পোড়ানোর আগে খিলজি জানতে চেয়েছিলেন, ঐ লাইব্রেরীতে কোরান আছে কি না ? কোরান নেই শুনে উনার মন্তব্য ছিল-তাহলে ওই লাইব্রেরী ফালতু-কাফেরদের অনিষ্ট। আজকে খিলজির সুযোগ্য উত্তরাসুরীরা একই ভাবে ধ্বংস করছে ইরাকের ব্যাবিলনীয় সভ্যতা। অবশ্য শুধু খিলজিই নন-তার আগে নালন্দাকে ধ্বংস করেছিলেন গৌড়ের শৈব রাজারা। পরে পাল রাজবংশের অর্থে নালন্দা আবার গড়ে ওঠে।
এটাই ভীষন দুঃখের যে আজকের বিখ্যাত অক্সফোর্ড বা কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় জন্ম নেয় ১২০০ শতাব্দীতে। নালন্দার ধ্বংসের সময়েই। সেই সময় কেন, ১৭০০ সাল নাগাদ ও ধারে, ভারে, সাইজে অক্সফোর্ড আদি নালন্দার সমত্যুল্য ছিল না। ভারতে নালন্দা আর তক্ষশীলার হাত ধরেই জন্ম বিশ্ববিদ্যলয় সংস্কৃতির। ভারতেই জন্ম হওয়ার কথা নিউটন, লেইবিঞ্জ দের। কিন্ত তার বদলে, মুসলমান আক্রমনের ফলে গভীর আঁধারে নিমজ্জিত হয় সমগ্র ভারত বর্ষ। দুর্বল মিলিটারী শক্তি কোন কালেই নিজেদের জ্ঞানকে রক্ষা করতে পারে নি। ভারত ও তার ব্যাতিক্রম না। ইংল্যান্ডে অক্সফর্ড বা কেম্ব্রিজ ক্রমশ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানপীঠে পরিনত হয়েছে এর মূল কারন বৃটিশরা মিলিটারী শক্তিতে তা শুধু রক্ষা করে নি-অন্যদেশের জ্ঞান ভান্ডার ও সেখানে জমা হয়েছে। বৃটিশরা যদি ১০০ বছরের যুদ্ধে ফ্রান্সের হাতে হারত-অক্সফোর্ডের হাল হত নালন্দার মতন।
নালন্দা এবং অক্সফোর্ড/ কেম্ব্রিজের ইতিহাস থেকে সব থেকে বড় শিক্ষা-জ্ঞানকে মিলিটারী শক্তি দিয়ে রক্ষা করতে না পারলে, সেই জ্ঞান অন্ধকারের শক্তির হাতেই পড়বে।
এটাই ভীষন দুঃখের যে আজকের বিখ্যাত অক্সফোর্ড বা কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় জন্ম নেয় ১২০০ শতাব্দীতে। নালন্দার ধ্বংসের সময়েই। সেই সময় কেন, ১৭০০ সাল নাগাদ ও ধারে, ভারে, সাইজে অক্সফোর্ড আদি নালন্দার সমত্যুল্য ছিল না। ভারতে নালন্দা আর তক্ষশীলার হাত ধরেই জন্ম বিশ্ববিদ্যলয় সংস্কৃতির। ভারতেই জন্ম হওয়ার কথা নিউটন, লেইবিঞ্জ দের। কিন্ত তার বদলে, মুসলমান আক্রমনের ফলে গভীর আঁধারে নিমজ্জিত হয় সমগ্র ভারত বর্ষ। দুর্বল মিলিটারী শক্তি কোন কালেই নিজেদের জ্ঞানকে রক্ষা করতে পারে নি। ভারত ও তার ব্যাতিক্রম না। ইংল্যান্ডে অক্সফর্ড বা কেম্ব্রিজ ক্রমশ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানপীঠে পরিনত হয়েছে এর মূল কারন বৃটিশরা মিলিটারী শক্তিতে তা শুধু রক্ষা করে নি-অন্যদেশের জ্ঞান ভান্ডার ও সেখানে জমা হয়েছে। বৃটিশরা যদি ১০০ বছরের যুদ্ধে ফ্রান্সের হাতে হারত-অক্সফোর্ডের হাল হত নালন্দার মতন।
নালন্দা এবং অক্সফোর্ড/ কেম্ব্রিজের ইতিহাস থেকে সব থেকে বড় শিক্ষা-জ্ঞানকে মিলিটারী শক্তি দিয়ে রক্ষা করতে না পারলে, সেই জ্ঞান অন্ধকারের শক্তির হাতেই পড়বে।
No comments:
Post a Comment