সব আদর্শবাদই কমবেশী স্ববিরোধিতায় ভোগে। তবে দ্বিচারিতার প্রশ্নে ফেমিনিজম না নারীবাদ অদ্বিতীয়। জন্ম থেকেই একজন মেয়েকে এত বেশী পরস্পর বিরোধি আইডিয়া এবং টানাপোড়নের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, অধিকাংশ নারীচরিত্র ময়দার তালের মতন। সমাজ, ধর্ম, মার্কেট, টিভি, গ্যাজেট এবং বর্তমানে স্যোশাল মিডিয়া একজন মেয়েদের শরীরের কার্ভ থেকে কথন-প্রতিটি ইঞ্চি গড়ে দিচ্ছে। ফলে আধুনিক নারী সব দেশেই মার্কেট এবং মিডিয়া প্রভাবিত এক অদ্ভুত ককটেল জীব।
এবার নারীবাদ প্রসঙ্গে আসি। নারীর দেহ প্রদর্শন কি নারীবাদি না পুরুষবাদি? এই ব্যাপারেও নারীবাদিরা ভার্টিক্যালি স্পিল্ট। সেক্স পজিটিভ ফেমিনিস্টরা মনে করে, বেশ্যা বা পর্ন নায়িকারাই একমাত্র স্বাধীন-কারন তাদের দেহ, তাদের অধীন। একজন বেশ্যা তার সঙ্গী নির্বাচিত করতে পারে-কিন্ত একজন বিবাহিত বা সামাজিক নারীকে তার সাথেই শুতে হয়, যা আইন তাকে মনোনিত করেছে। সুতরাং কে বেশী নারী স্বাধীনতা ভোগ করে, তা সহজে অনুমেয়। অন্যদিকে রক্ষনশীল ফেমিনিস্টরা মনে করেন নারীর দেশপ্রদর্শন পুরুষতান্ত্রিক লিপ্সা মেটাতে। সুতরাং তা পুরুষতন্ত্রের অন্যপিঠ।
কি হ্যাপা? উভয় দিকেই কট্টর যুক্তি! তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াল ? নারীর দেহ প্রদর্শন একই সাথে নারীবাদি এবং পুরুষবাদি!! মানে নারীবাদ হচ্ছে সোনার পাথরবাটি!
আরেকটা উদাহরন দিচ্ছি। মেয়েদের নিরাপত্তা ভারতে খুব কম-আমেরিকাতে খুব বেশী বলতে পাচ্ছি না। আগে মেয়েরা খুব বেশী নিরাপদ ছিল তাও না। ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসা অনেক বেশী খবরে আসছে। আগে আসত না। যুদ্ধ থেকে দাঙ্গা-সর্বত্র ধর্ষনের শিকার সবার আগে হয় মেয়েরা। সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই পুরুষের বলাৎকারের শিকার মেয়েরা। আমার কাছে এমন কোন ডেটা নেই যার থেকে বলতে পারি ইতিহাস কখনো কোন সভ্যতার জন্ম দিয়েছে যেখানে মেয়েরা ছিল নিরাপদ। ক্ষমতার চাবিকাঠি আবাহমান কাল থেকে পুরুষের হাতে-এবং সেটা যদ্দিন থাকবে, মেয়েদের নিরাপত্তা অলীক স্বপ্ন।
তবে এটা আমার লেখার বিষয় না।প্রশ্ন হচ্ছে নানান টাইপের নারীবাদিরা এটাকে কিভাবে দেখে?
এটা নিয়ে ঘাঁটতে গেলে দেখা যাবে এই ইস্যুতে তারা ৩৬০ ডিগ্রি। কেও বলে পুরুষবাদি সমাজে এটাই হবে-কেও বলে নারীকে নিজের অস্ত্র নিজেকে ধরতে হবে। কেও কড়া আইন চাইছে। কেও টিভিকে দোষ দিচ্ছে। কেও ইন্টারনেট পর্ন কে। কেও নারীর চাল চলন পোষাককে।
মেয়েরাই বোধ হয় সব থেকে ভাল জানে যে নারীবাদ হচ্ছে সোনারপাথরবাটি সমগ্র। ফলে ফেসবুক থেকে ট্রামে বাসে-সর্বত্র তারা নিজেদেরকে দেখানোর প্রতিযোগিতায় । ফেসবুকের লাইক বাটনের দৌলতে-এই প্রতিযোগিতা আরো তীব্রতর এবং ভয়বহ ! এখন যেকোন পার্টিতে গেলে পাশের মেয়েটি তার ফোনটা হাতে দিয়ে বলবে, দাদা একটা ফটো তুলে দিন। দুটো পোজ। ক্লিক করে ফেসবুকে উঠে গেল মেয়েটির লেটেস্ট পার্টি ড্রেস বা সেলফি। তারপর সে মুহুর্মুহু চোখ রাখে লাইক কাউন্টে।
আমা্র কাছে নারীবাদের ডেফিনিশনটা শর্টকার্ট। নারী নিজেকে দেখাতে চাইছে। আপনি দেখুন। আপনি পুরুষবাদি এবং পুরুষালী। আর বিবেকানন্দর মতন, ইগনর করতে পারলে-আপনি নারীবাদি, মাইয়্যা!
ভাববেন না ঠাট্টা করছি!
এবার নারীবাদ প্রসঙ্গে আসি। নারীর দেহ প্রদর্শন কি নারীবাদি না পুরুষবাদি? এই ব্যাপারেও নারীবাদিরা ভার্টিক্যালি স্পিল্ট। সেক্স পজিটিভ ফেমিনিস্টরা মনে করে, বেশ্যা বা পর্ন নায়িকারাই একমাত্র স্বাধীন-কারন তাদের দেহ, তাদের অধীন। একজন বেশ্যা তার সঙ্গী নির্বাচিত করতে পারে-কিন্ত একজন বিবাহিত বা সামাজিক নারীকে তার সাথেই শুতে হয়, যা আইন তাকে মনোনিত করেছে। সুতরাং কে বেশী নারী স্বাধীনতা ভোগ করে, তা সহজে অনুমেয়। অন্যদিকে রক্ষনশীল ফেমিনিস্টরা মনে করেন নারীর দেশপ্রদর্শন পুরুষতান্ত্রিক লিপ্সা মেটাতে। সুতরাং তা পুরুষতন্ত্রের অন্যপিঠ।
কি হ্যাপা? উভয় দিকেই কট্টর যুক্তি! তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াল ? নারীর দেহ প্রদর্শন একই সাথে নারীবাদি এবং পুরুষবাদি!! মানে নারীবাদ হচ্ছে সোনার পাথরবাটি!
আরেকটা উদাহরন দিচ্ছি। মেয়েদের নিরাপত্তা ভারতে খুব কম-আমেরিকাতে খুব বেশী বলতে পাচ্ছি না। আগে মেয়েরা খুব বেশী নিরাপদ ছিল তাও না। ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসা অনেক বেশী খবরে আসছে। আগে আসত না। যুদ্ধ থেকে দাঙ্গা-সর্বত্র ধর্ষনের শিকার সবার আগে হয় মেয়েরা। সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই পুরুষের বলাৎকারের শিকার মেয়েরা। আমার কাছে এমন কোন ডেটা নেই যার থেকে বলতে পারি ইতিহাস কখনো কোন সভ্যতার জন্ম দিয়েছে যেখানে মেয়েরা ছিল নিরাপদ। ক্ষমতার চাবিকাঠি আবাহমান কাল থেকে পুরুষের হাতে-এবং সেটা যদ্দিন থাকবে, মেয়েদের নিরাপত্তা অলীক স্বপ্ন।
তবে এটা আমার লেখার বিষয় না।প্রশ্ন হচ্ছে নানান টাইপের নারীবাদিরা এটাকে কিভাবে দেখে?
এটা নিয়ে ঘাঁটতে গেলে দেখা যাবে এই ইস্যুতে তারা ৩৬০ ডিগ্রি। কেও বলে পুরুষবাদি সমাজে এটাই হবে-কেও বলে নারীকে নিজের অস্ত্র নিজেকে ধরতে হবে। কেও কড়া আইন চাইছে। কেও টিভিকে দোষ দিচ্ছে। কেও ইন্টারনেট পর্ন কে। কেও নারীর চাল চলন পোষাককে।
মেয়েরাই বোধ হয় সব থেকে ভাল জানে যে নারীবাদ হচ্ছে সোনারপাথরবাটি সমগ্র। ফলে ফেসবুক থেকে ট্রামে বাসে-সর্বত্র তারা নিজেদেরকে দেখানোর প্রতিযোগিতায় । ফেসবুকের লাইক বাটনের দৌলতে-এই প্রতিযোগিতা আরো তীব্রতর এবং ভয়বহ ! এখন যেকোন পার্টিতে গেলে পাশের মেয়েটি তার ফোনটা হাতে দিয়ে বলবে, দাদা একটা ফটো তুলে দিন। দুটো পোজ। ক্লিক করে ফেসবুকে উঠে গেল মেয়েটির লেটেস্ট পার্টি ড্রেস বা সেলফি। তারপর সে মুহুর্মুহু চোখ রাখে লাইক কাউন্টে।
আমা্র কাছে নারীবাদের ডেফিনিশনটা শর্টকার্ট। নারী নিজেকে দেখাতে চাইছে। আপনি দেখুন। আপনি পুরুষবাদি এবং পুরুষালী। আর বিবেকানন্দর মতন, ইগনর করতে পারলে-আপনি নারীবাদি, মাইয়্যা!
ভাববেন না ঠাট্টা করছি!
1 comment:
নারীর দেহ প্রদর্শন এর ব্যাপারে যদি আপনি বলেন তাহলে বলব , পুরুষরাই বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এ বিভিন্ন ভিডিও, চলচ্চিত্রে নারীকে তার দেহ প্রদর্শন করাতে বাধ্য করছে , আবার অনেকে স্বেচ্ছায় করে কিন্তু পেটের দায়ে । আবার অনেকে ভাল লাগছে বলে নিজের ইচ্ছামত ড্রেস পড়ছে । আমার কথা হল, নারীর শরীর নারীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলবে , সে তার শরীর ঢেকে রাখবে নাকি প্রদর্শন করবে সেটা তার ব্যাপার , তবে কাউকে যেন জোর করে কিছু করান না হয় বা কাউকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে টাকার জন্য যেন বাধ্য হয়ে এসব করতে না হয় ।
আপনারা পুরুষরা বেশ্যাদের অনেক গালাগালি করেন । কিন্তু বেশ্যা পল্লী গড়ে উঠার পিছনে আপনারাই প্রধানত দায়ী । আপনাদের জন্যই মেয়েদের ধরে ধরে এ কাজে জড়ান হয় । একজন বেশ্যা যেচে এই কাজে আসে না , হয় তাকে জোর করা হয় , নয় বাধ্য হয়ে টাকার প্রয়োজনে এই লাইনে আসে তারা । পুরুষরা নিজেদের লালসা ,নিজেদের লাভের জন্য এই ব্যবসা গড়ে তুলেছে । আচ্ছা , এগুলতে নাই বা গেলাম !
ইতিহাসে আপনি কোন সমাজে দেখেন নি যে মেয়েরা নিরাপদ ছিল , হ্যা ,মেয়েরা কখনই নিরাপদ ছিল না , কারন আদিম পুরুষ ছিল নারী শরীর লিপ্সু । কিন্তু এখনও তারা তাদের এই বৈশিষ্ট্য জিনে বাচিয়ে রেখেছে । কিন্তু এখন এই আধুনিক যুগে এসেও পুরুষ যদি নারীর উপর বর্বরতা দেখায় তাহলে আমাদের আধুনিক যুগে এসে ত কোন লাভ ই হল না , তাই মনে করি , নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে । আর আপনি শুধু ফেসবুকে মেয়েদের প্রদর্শন করাটা কেন তুলে ধরলেন ? ছেলেরা কি নিজেদের ছবি ফেসবুকে দেয় না ? পার্টি তে যদি আপনি ছেলেদের অনুরুধ পেতেন ছবি তুলার জন্য অবশ্যই বিষয়টা ওইভাবে নিতেন না! তাই না ? আসলে হয় কি , বেশির ভাগ ছেলেই মেয়েদের ছবি আগ্রহের সাথে তুলে দেয় এবং নিজেদের আগ্রহের জের ঢাকতে চায় এভাবে , মেয়েরা নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়ায় । যেমন টা হয় ধর্ষিতার বেলায় । ধর্ষণের পর তাকে শুনতে হয়, সে ঠিকঠাক ড্রেস কেন পড়েনি, সে কেন রাত্রে বেড়িয়েছিল ।
সবশেষে বলতে চাই , নারীদের সাহসি, আত্মবিশ্বাসী , স্বনির্ভর আর নিজেকে অস্ত্রে রুপান্তরিত করে নিজেকে সচেতন , বুদ্ধিদীপ্ত , উচ্চ মানসিকতার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা ।
Post a Comment