এই ফোরামে হামাস-ইস্রায়েল ইস্যুতে সবাই বেশ পোলারাইজড। বাম-মুসলিম জোট ইস্রায়েলের মুন্ডপাত করছে ত বাকীরা মুসলমান এবং ইসলামের মুন্ডপাত করছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, ইসলাম নিয়ে অন্যান্য ধর্মের মতন হতাশ হলেও মুসলিমদের নিয়ে হতাশ আমি নই। যারা ভাবছেন মুসলমানদের ভবিষয়ত নেই কারন ওরা ইসলামের অন্ধকারে ধর্মান্ধ-তারাও ভুল ভাবছেন। একসময় আমরা হিন্দুরা, বা খ্রীষ্টানরাও ধর্মান্ধই ছিলাম। কিন্ত পরিবর্তিত রাজনীতি ও সমাজ-আরো পরিস্কার করে বললে পরিবর্তিত উৎপাদন ব্যবস্থা আমাদের ক্রমশ ধর্ম প্রসঙ্গে লিব্যারাল এবং সেকুলার করেছে।
এর মূল কারন অবশ্যই উৎপাদন ব্যাবস্থার পরিবর্তন। আমেরিকার অধিকাংশ মুসলমান ইমিগ্রান্ট হলেও নিজেদের আমেরিকান ভাবে এবং তাদের একটা বড় অংশই ধর্মান্ধ বিরোধি। ভারতে বা ইউরোপে মুসলিমদের মধ্যে ইসলামি ভাব বেশী এবং ধর্মান্ধও বেশী। কেন এমন হয়?
এর মূল কারন অবশ্যই ধনতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা। আমেরিকাতে মুসলিমরা দেখেছে, মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও মার্কেটের কারনে প্রতিভা এবং কর্মদক্ষতার খাতিরে তারা যোগ্য কাজ পেয়ে থাকে। এই সিস্টেমে ধর্মের চেয়ে অর্থ বড় এবং সেখান থেকে উপকৃত হয়ে তারা আস্তে আস্তে আমেরিকান সিস্টেমের উপকারিতা বোঝে -ইসলাম তাদের কাছে একটা স্পিরিচুআল লেভেলে থেকে যায়। তাতে অসুবিধা নেই। মাথা থেকে শরিয়া, পলিটিক্যাল ইসলামের ভূত নামে।
ভারতে সামন্ততান্তিকতার রমরমা আর ইউরোপে স্যোশালিজমের। মুসলমানদের এখানে যোগ্যতা এবং প্রতিভার খাতির যথাযত হয় না। তারা অনেক বঞ্ছনার শিকার। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই বঞ্ছনাটা ধর্মীয় জিহাদের রূপ নেয়। সেটাই আমরা দেখি এবং এটা বুঝতে অসমর্থ হই-এর পেছনে অনেক আর্থ সামাজিক কারন আছে।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি আমেরিকান ক্যাপিটালিজমের ভাল দিক-খারাপ দিক অবশ্যই আছে। ভাল দিক যেটা দেখি-সেটা হচ্ছে এই সিস্টেম জাতি ধর্মের ওপরে উঠে যোগ্যতাকে, প্রতিভাকে সন্মান দিয়ে থাকে। মুসলমান সমাজের মধ্যে বা মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে যথাযত ক্যাপিটালিজম এলে, মার্কেট তার নিজস্ব কায়দায় ধর্মকে কাবু করবে। কিন্ত সেটা হওয়ার নয়-কারন মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে প্রিন্সরা। পাকিস্তান চালায় ৪০০ জমিদার ফামিলি।
আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগেও ভারতে মেয়েদের কাজ করা বা উচ্চশিক্ষার চল ছিল না। কিন্ত ৩০-৪০ বছর আগে মধ্যবিত্ত দেখল, বাড়ির মেয়েরা কাজ না করলে, সংসার চালনো মুশকিল। ফলে মূলত হিন্দু মধ্যবিত্ত মেয়েরা চাকরি করতে এল-পশ্চিম বঙ্গে এটা আরো আগে এসেছে-কারন অনেক বাঙাল ফামিলিতেই মেয়েরা চাকরি না করলে সংসারগুলো পথে বসত।
এর নীট ফল হয়েছে দুটি-প্রথমত ফামিলি সাইজ কমে দুই সন্তানে এসেছে। আর মেয়েদের স্বাধীনতা বৃদ্ধিতে ধর্মের প্রকোপ কমেছে। ধর্মের প্রকোপ কমাতে গেলে নারীর চাকরি সবার আগে দরকার। ধর্ম আসলেই পুরুষতান্ত্রিকতার দশাননের মূল মুখ।
কিন্ত মুসলিম মেয়েরা চাকরিতে এল না ভারতে। না তারা যোগ দিতে পারল পারিবারিক ব্যবসায় । এটাই মূল কারন ভারতে মুসলিমদের পেছনে চলে যাওয়ার এবং এর জন্য নেহেরু দায়ি। কারন ভারতে মুসলিমদের শরিয়া আইনের কবলে রেখে মুসলিম মেয়েদের সব অধিকার হরন করা হয়।
সুতরাং আমেরিকার মতন একটি ইকুয়াল অপারচুনিটি নির্ভর মার্কেট ইকোনমির সাথে মুসলিম সমাজ যোগ দিলে মার্কেটের চাপেই ইসলাম বাস্প হবে। মার্কেটের মহিমা ধর্মের চেয়েও বড়। এর জন্যে মুসলিম দেশগুলিতে গণতন্ত্র এবং ধনতন্ত্র দুটোই দরকার। দুর্ভাগ্য এই যে আমেরিকানরা মুসলিম দেশে তার উল্টোটিই চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, ইসলাম নিয়ে অন্যান্য ধর্মের মতন হতাশ হলেও মুসলিমদের নিয়ে হতাশ আমি নই। যারা ভাবছেন মুসলমানদের ভবিষয়ত নেই কারন ওরা ইসলামের অন্ধকারে ধর্মান্ধ-তারাও ভুল ভাবছেন। একসময় আমরা হিন্দুরা, বা খ্রীষ্টানরাও ধর্মান্ধই ছিলাম। কিন্ত পরিবর্তিত রাজনীতি ও সমাজ-আরো পরিস্কার করে বললে পরিবর্তিত উৎপাদন ব্যবস্থা আমাদের ক্রমশ ধর্ম প্রসঙ্গে লিব্যারাল এবং সেকুলার করেছে।
এর মূল কারন অবশ্যই উৎপাদন ব্যাবস্থার পরিবর্তন। আমেরিকার অধিকাংশ মুসলমান ইমিগ্রান্ট হলেও নিজেদের আমেরিকান ভাবে এবং তাদের একটা বড় অংশই ধর্মান্ধ বিরোধি। ভারতে বা ইউরোপে মুসলিমদের মধ্যে ইসলামি ভাব বেশী এবং ধর্মান্ধও বেশী। কেন এমন হয়?
এর মূল কারন অবশ্যই ধনতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা। আমেরিকাতে মুসলিমরা দেখেছে, মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও মার্কেটের কারনে প্রতিভা এবং কর্মদক্ষতার খাতিরে তারা যোগ্য কাজ পেয়ে থাকে। এই সিস্টেমে ধর্মের চেয়ে অর্থ বড় এবং সেখান থেকে উপকৃত হয়ে তারা আস্তে আস্তে আমেরিকান সিস্টেমের উপকারিতা বোঝে -ইসলাম তাদের কাছে একটা স্পিরিচুআল লেভেলে থেকে যায়। তাতে অসুবিধা নেই। মাথা থেকে শরিয়া, পলিটিক্যাল ইসলামের ভূত নামে।
ভারতে সামন্ততান্তিকতার রমরমা আর ইউরোপে স্যোশালিজমের। মুসলমানদের এখানে যোগ্যতা এবং প্রতিভার খাতির যথাযত হয় না। তারা অনেক বঞ্ছনার শিকার। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই বঞ্ছনাটা ধর্মীয় জিহাদের রূপ নেয়। সেটাই আমরা দেখি এবং এটা বুঝতে অসমর্থ হই-এর পেছনে অনেক আর্থ সামাজিক কারন আছে।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি আমেরিকান ক্যাপিটালিজমের ভাল দিক-খারাপ দিক অবশ্যই আছে। ভাল দিক যেটা দেখি-সেটা হচ্ছে এই সিস্টেম জাতি ধর্মের ওপরে উঠে যোগ্যতাকে, প্রতিভাকে সন্মান দিয়ে থাকে। মুসলমান সমাজের মধ্যে বা মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে যথাযত ক্যাপিটালিজম এলে, মার্কেট তার নিজস্ব কায়দায় ধর্মকে কাবু করবে। কিন্ত সেটা হওয়ার নয়-কারন মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে প্রিন্সরা। পাকিস্তান চালায় ৪০০ জমিদার ফামিলি।
আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগেও ভারতে মেয়েদের কাজ করা বা উচ্চশিক্ষার চল ছিল না। কিন্ত ৩০-৪০ বছর আগে মধ্যবিত্ত দেখল, বাড়ির মেয়েরা কাজ না করলে, সংসার চালনো মুশকিল। ফলে মূলত হিন্দু মধ্যবিত্ত মেয়েরা চাকরি করতে এল-পশ্চিম বঙ্গে এটা আরো আগে এসেছে-কারন অনেক বাঙাল ফামিলিতেই মেয়েরা চাকরি না করলে সংসারগুলো পথে বসত।
এর নীট ফল হয়েছে দুটি-প্রথমত ফামিলি সাইজ কমে দুই সন্তানে এসেছে। আর মেয়েদের স্বাধীনতা বৃদ্ধিতে ধর্মের প্রকোপ কমেছে। ধর্মের প্রকোপ কমাতে গেলে নারীর চাকরি সবার আগে দরকার। ধর্ম আসলেই পুরুষতান্ত্রিকতার দশাননের মূল মুখ।
কিন্ত মুসলিম মেয়েরা চাকরিতে এল না ভারতে। না তারা যোগ দিতে পারল পারিবারিক ব্যবসায় । এটাই মূল কারন ভারতে মুসলিমদের পেছনে চলে যাওয়ার এবং এর জন্য নেহেরু দায়ি। কারন ভারতে মুসলিমদের শরিয়া আইনের কবলে রেখে মুসলিম মেয়েদের সব অধিকার হরন করা হয়।
সুতরাং আমেরিকার মতন একটি ইকুয়াল অপারচুনিটি নির্ভর মার্কেট ইকোনমির সাথে মুসলিম সমাজ যোগ দিলে মার্কেটের চাপেই ইসলাম বাস্প হবে। মার্কেটের মহিমা ধর্মের চেয়েও বড়। এর জন্যে মুসলিম দেশগুলিতে গণতন্ত্র এবং ধনতন্ত্র দুটোই দরকার। দুর্ভাগ্য এই যে আমেরিকানরা মুসলিম দেশে তার উল্টোটিই চালিয়েছে।
No comments:
Post a Comment