জীবন ও জীবিকা ৪ - এবার যারা বিটেক পাশ করছে তাদের ভবিষ্যত কি?
-৫ই মার্চ, ২০২৩
[১]
#১ ইনফোসিস উইপ্রো এক্সেঞ্চার ফ্রেশার লেওফ করেছে। আরো করবে কিছু খবরে আসছে। অধিকাংশই খবরে আসে নি । এদের ক্যাম্পাসিং হয়েছিল ২০২১ সালে। ২০২২ সালে যারা ক্যাম্পাসিং করে পেয়েছে, তাদের অধিকাংশ এখনো জয়েনিং ডেট এবং লেটার পায় নি। তাদের ঢোকার কথা ছিল আগষ্ট অক্টবরে। যদিও খবরে দেখানো হচ্ছে ইন্টারন্যাল টেস্ট পাশ করতে পারে নি বলে এদের তাড়ানো হয়েছে। আমি এমন ছেলেমেয়েদের সাথে কথা বলে জেনেছি-আসলে এরা বেঞ্চে ছিল। কোম্পানী কাজই দিতে পারছিল না। কিন্ত খবর এসেছে অন্যভাবে [ তথ্যসূত্র কমেন্টে)
# ২
টিসিএস, কগনিজেন্ট, উইপ্রো-সবার এক অবস্থা ২০২২ এবং ২০২১ সালের পাশ আউট ফ্রেশার দের নিয়ে। বেসিক্যালি ভারতের আই টি মেজরদের সবার অবস্থা এরকম
২০২১ সালে যাদের ক্যাম্পাসিং হয়েছিল তাদের ম্যাক্সিমাম বেঞ্চে আছে এবং নীরবে লেওফ ফেস করছে।
২০২২ সালে যারা ক্যাম্পাসিং এ পেয়েছিল তাদের অধিকাংশর জয়েনিং এরা দিতে পারছে না এখনো। [ কমেন্টে নিউজ লিংক দেখুন] কারন বেঞ্চে প্রচুর ফ্রেশার বসে আছে।
২০২৩ সালে ক্যাম্পাসিং প্রায় হচ্ছে না।
এগুলো নিয়ে যেটুকু সংবাদ আসে-তা খুব সামান্য। কারন কর্পরেট লবি এসব খবর চেপে দিতেই পছন্দ করে। মুর্গী হয় ছাত্রছাত্রীরা। কিন্ত তবুও এবার খবর আটকানো যাচ্ছে না। প্রচুর সংবাদ আসছে, গ্লোবাল আই টি রিশেসনে ফ্রেশারদের দুরাবস্থা নিয়ে।
[২]
এবার দুটো জিনিস আরো জানা যাক।
# ১ আই টি, সফটোয়ার অটোমেশন এগুলো বাড়াতেই থাকবে। আই টির ডিমান্ডে সমস্যা নেই।
# ২ আই টির সার্ভিস মার্কেটে ফ্রেশারদের ডিমান্ড থাকবেই। কারন ফ্রেশারদের দিয়ে কাজ করিয়েই কোম্পানীগুলির আসল মার্জিন-মানে বড় লাভ হয়।
কিন্ত দুটো নতুন জিনিস ও জানা দরকার।
# ১ চ্যাটজিপিটির কোডেক্স টাইপের সফটোয়ার নিজে নিজেই মোবাইল এপ ইত্যাদি লিখে দিচ্ছে-শুধু ফিচার কি হবে বলে দিলেই হল। সুতরাং আই টি এবং সফটোয়ারের ডিমান্ড বেশী থাকা মানেই কিন্ত চাকরির সংখ্যা বাড়তেই থাকবে- সেটা না। অন্য স্কিলের লোকজনের সংখ্যা বেশী হবে। যেমন অলরেডি কোম্পানী সেই টাইপের লোক খুঁজছে যারা চ্যাট জিপিটি কাজে লাগিয়ে তাদের কাজ টা করে দেবে। এতে কোম্পানীর প্রফিট বেশী।
# ২ ফ্রেশার দিয়ে লাভ করা- এই বিজনেস মডেল থাকবে কি না- সেটাই সন্দেহ। কারন বেসিক কোডিং চ্যাট জিপিটিই করে দেবে।
কেউ কেউ আবার এতোটাই আশাবাদি [ কমেন্টে তথ্যসূত্র দেখুন], তারা বলছেন আগামী ৫ বছরে কোডিং টাই থাকবে না। আমি এদের দলে। কারন আমি পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি প্রাইভেট ডেটাবেসে এই ধরনের লার্জ লাঙ্গুয়েজ মডেল ট্রেইন করাতে পারলে, বটেরা মানুষের থেকে অনেক ভাল কোড করবে।
সুতরাং আই টি সেক্টরে ক্যাম্পাসিং, অতীতের গল্প হয়ে যেতে পারে। যদিও মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রিকাল ইত্যাদি কোর সেক্টরে এখনো সেই ভয় নেই। কিন্ত ভারতে কোর সেক্টরের মাইনে খুব কম।
[৩]
প্রশ্ন হচ্ছে ফ্রেশ গ্রাজুয়েটরা কি করবে? কারন শুধু ২০২৩ সালে যারা পাশ করবে তারা না, ২০২১ সালে যারা পাশ করেছে, দুর্দিন তাদের সামনেও।
সুতরাং আমার উপদেশ, নতুন ছাত্রদের চ্যাটজিপিটির কোডেক্সের সাথে পরিচিত হতে হবে। নতুন যেসব কোডিং ট্রেনিং আসছে চ্যাটজিপিটিকে ব্যবহার করে [ যেখানে চ্যাট জিপিটি নিজেই ট্রেনার]-সেগুলো শিখতে হবে দ্রুত। এগুলো করলে, ভালোই চান্স আছে। নইলে আগের মতন ক্যাম্পাসিং এর ভরসাই থাকলে, ভাগ্যে দুর্ভাগ্য আর হতাশা ছাড়া কিছু আশা দিতে পারছি না। আমি বলব ছাত্রছাত্রীরা তাদের আগের ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানুন শিখুন মার্কেটের অবস্থাটা কি।
See insights
No comments:
Post a Comment