গণতন্ত্র নিয়ে ফ্রাস্ট্রেশন, এথেন্সে গণতন্ত্রের শুরু থেকেই। গুরু সক্রেটিস গণতন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে সেই আড়াই হাজার বছর আগে, যা প্রশ্ন করেছেন, তা আজও প্রাসঙ্গিক।
প্লেটোর রিপাবলিক, যা কিনা আজও রাজনীতির বাইবেল, তার ষষ্ঠ অধ্যায়ে আমরা পাই সক্রেটিস এবং তার ছাত্র এডিমেন্টাসের ডায়ালোগ। সক্রেটিস এডিমেন্টাসকে বলছেন ধর আমরা জাহাজে করে যাচ্ছি। জাহাজের দায়িত্ব, সমুদ্রের অভিজ্ঞ ক্যাপটেনের হাতে দেবে, নাকি জাহাজের যাত্রীরা ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে?
সক্রেটিস বলছেন, এই রাষ্ট্র ত জাহাজের মতনই। পদে পদে তার বিপদ। বহিঃশত্রুর আক্রমন, দেশে অনাহার বেকারি অনুৎপদন - সব সময় উত্তাল সমুদ্রের মধ্যে দিয়েই চলে একটা রাষ্ট্র। তাহলে জাহাজের দ্বায়িত্বে যদি আমরা অভিজ্ঞ ক্যাপটেনকে চাই, রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে কেন আমরা ভোট ভিত্তিক সিদ্ধান্তে যাচ্ছি? বিশেষত এটা যখন সবারই জানা, অধিকাংশ রাজনীতিবিদই নেতা কম, অভিনেতা বেশী?
আরো ভাবুন। আপনার হার্টের সার্জারির জন্য হার্ট সার্জেন খুঁজছেন। ট্যাক্সে গন্ডগোল হলে, অভিজ্ঞ একাউন্টান্ট। সব কিছুতেই আপনার স্পেশালিস্ট দরকার। অথচ কি আশ্চর্য্য, যা কিনা আপনাকে সব থেকে প্রভাবিত করে - সেই রাজনীতির ক্ষেত্রে, আপনি কিন্ত স্পেশালিস্টদের স্থলে দক্ষ অভিনেতার হাতে আপনার সব থেকে গুরুত্বপূর্ন দ্বায়িত্বটি দিচ্ছেন। কারন রাষ্ট্র এবং সমাজের সাপোর্ট ছাড়া আপনি নাথিং। সে ব্যবসাই করুন, বা অধ্যাপনা করুন। মসনদে গাম্বাট গেলে, আপনার কপালে দুঃখ আছে প্রচুর।
আমেরিকার গণতন্ত্রের হাল দেখুন। মেক্সিকান বর্ডারে ওয়াল বানানোর ঝগড়ায়, গর্ভমেন্টই বন্ধ। সরকারি কাজকর্ম সব বন্ধ। একদিকে অতিডান গাম্বাট প্রেসিডেন্ট, অন্যদিকে গাম্বাট বামপন্থী মেজরিটি কংগ্রেস। মধ্যে খানে জনগণ তেলেভাজা। একটা রিয়ালিটি শোয়ের অভিনেতাকে পৃথিবীর সব থেকে শক্তিধর দেশের মাথায় বসালে, কি হতে পারে, সেই সাক্ষাৎ ইতিহাসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি এখন।
ভারতের হাল দেখুন। মোদি চৌকিদারি, সব কা সাথ সব কা বিকাশ ইত্যাদি বিশাল বপু অভিনয় করে, অনেক আশা জাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিছু সৎ ইচ্ছা হয়ত ছিল- কিন্ত ডিমনেটাইজেশন থেকে জিসটি-সব ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, তার এক্সিকিউশন সাংঘাতিক বাজে ছিল। রাফাল ঘোটালা প্রমান করছে, দিল্লীতে যে অস্ত্র লবি কংগ্রেসের আমলে এক্টিভ, ছিল, বিজেপি আমলে তারাই প্রভু- বরং তারা আরো বেশী সাহসী হয়ে দুনাম্বারী করেছে। এখন ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে তিনি " গরীব" উচ্চবর্নের সংরক্ষনের রাজনীতিতে নেমেছেন।
সংরক্ষনের রাজনীতি, সে গরীবদের জন্যই হৌক বা কাস্ট ভিত্তিকই হৌক- রাষ্ট্রের জন্য সর্বনাশ ছাড়া কিছুই না।
সংরক্ষন রাজনীতিকে মেনে নেওয়া মানে, এটাও মেনে নেওয়া সেই রাষ্ট্রে গরীব বা নীচু কাস্টের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা বা সামাজিক ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পায় না। বা ডিসক্রিমিনেশনের শিকার।
সুতরাং সেই ক্ষেত্রে সরকারের প্রথম কাজ, এটা নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রের প্রতিটি সন্তান, সে যে কাস্টেই জন্মাক, যে গরীব ঘরেই জন্মাক- শিক্ষার ক্ষেত্রে যেন সমান সুযোগ পায়। সেটা না করে যখন , রিজার্ভেশনের রাজনীতি তৈরী করা হয়, যেখানে মেধার জায়গায়, আইডেন্টিটিকেই টানা হয়, তার কনসিকোয়েন্স মারত্মক খারাপ। কারন তা রাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে বিভাজনের বিভেদের সৃষ্টি করে।
রিজার্ভেশনের রাজনীতি মানে এটা মেনে নেওয়া রাষ্ট্রে অসাম্য আছে, এবং সেই অসাম্যের দরুন, রাষ্ট্রের কিছু কিছু সন্তান " দুর্বল" হবে শিক্ষাগত যোগ্যতায় - কিন্ত যেহেতু তারা শিক্ষাগত ভাবে দুর্বলতর "রাষ্ট্রের অপদার্থতার" কারনে- তাদেরকেই দেশের গুরুত্বপূর্ন পদে দিতে হবে!
অর্থাৎ এই সংরক্ষনের রাজনীতির বেসিকটা একটু ঘাঁটলে এটাই দাঁড়াচ্ছে - রাষ্ট্র বলছে, রাষ্ট্র অসাম্য দূর করতে অপদার্থ, তাই অপদার্থ দেশে তৈরী হচ্ছে, এবং সেই অপদার্থদেরই চাকরি দিতে হবে- যাতে এই অপদার্থ সিস্টেম চলতে থাকে!! এই কারনেই সক্রেটিস সেই আড়াই হাজার বছর আগেই লিখে দিয়েছিলেন কেন গণতন্ত্রে এই ধরনের অপদার্থতা চলতে থাকবে।
তাহলে উপায় কি। ডিক্টেটরশিপ বা স্বৈরাচারিতা আরো বাজে। কিন্ত উপায় আছে।
আজকে বিজনেসের ক্ষেত্রে আমরা বিগ ডেটা আনালাইটিক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুযোগ নিচ্ছি। যাতে বিজনেস ডিসিশনে ভুল কম থাকে। সরকারি ক্ষেত্রেও বিগ ডেটা আনালাইটিক, বিগ ডেটা সিম্যুলেশন ভিত্তিক সিদ্ধান্তের দিন সমাগত। যে কোন দেশের রাজনীতিবিদদের চেয়ে মেশিন অনেক অনেক বেশী ভাল সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ।
রাজনীতির যা অবস্থা, প্রযুক্তিই একমাত্র ভরসা। অটোমেশনের ফলে শুধু শ্রমিকদেরই কেন চাকরি যাবে? রাজনীতিবিদ, যাদের পারফর্মান্স সব থেকে খারাপ, তাদেরকে অটোমেশন দিয়ে নির্বাসনে পাঠানো হৌক সবার আগে।
প্লেটোর রিপাবলিক, যা কিনা আজও রাজনীতির বাইবেল, তার ষষ্ঠ অধ্যায়ে আমরা পাই সক্রেটিস এবং তার ছাত্র এডিমেন্টাসের ডায়ালোগ। সক্রেটিস এডিমেন্টাসকে বলছেন ধর আমরা জাহাজে করে যাচ্ছি। জাহাজের দায়িত্ব, সমুদ্রের অভিজ্ঞ ক্যাপটেনের হাতে দেবে, নাকি জাহাজের যাত্রীরা ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে?
সক্রেটিস বলছেন, এই রাষ্ট্র ত জাহাজের মতনই। পদে পদে তার বিপদ। বহিঃশত্রুর আক্রমন, দেশে অনাহার বেকারি অনুৎপদন - সব সময় উত্তাল সমুদ্রের মধ্যে দিয়েই চলে একটা রাষ্ট্র। তাহলে জাহাজের দ্বায়িত্বে যদি আমরা অভিজ্ঞ ক্যাপটেনকে চাই, রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে কেন আমরা ভোট ভিত্তিক সিদ্ধান্তে যাচ্ছি? বিশেষত এটা যখন সবারই জানা, অধিকাংশ রাজনীতিবিদই নেতা কম, অভিনেতা বেশী?
আরো ভাবুন। আপনার হার্টের সার্জারির জন্য হার্ট সার্জেন খুঁজছেন। ট্যাক্সে গন্ডগোল হলে, অভিজ্ঞ একাউন্টান্ট। সব কিছুতেই আপনার স্পেশালিস্ট দরকার। অথচ কি আশ্চর্য্য, যা কিনা আপনাকে সব থেকে প্রভাবিত করে - সেই রাজনীতির ক্ষেত্রে, আপনি কিন্ত স্পেশালিস্টদের স্থলে দক্ষ অভিনেতার হাতে আপনার সব থেকে গুরুত্বপূর্ন দ্বায়িত্বটি দিচ্ছেন। কারন রাষ্ট্র এবং সমাজের সাপোর্ট ছাড়া আপনি নাথিং। সে ব্যবসাই করুন, বা অধ্যাপনা করুন। মসনদে গাম্বাট গেলে, আপনার কপালে দুঃখ আছে প্রচুর।
আমেরিকার গণতন্ত্রের হাল দেখুন। মেক্সিকান বর্ডারে ওয়াল বানানোর ঝগড়ায়, গর্ভমেন্টই বন্ধ। সরকারি কাজকর্ম সব বন্ধ। একদিকে অতিডান গাম্বাট প্রেসিডেন্ট, অন্যদিকে গাম্বাট বামপন্থী মেজরিটি কংগ্রেস। মধ্যে খানে জনগণ তেলেভাজা। একটা রিয়ালিটি শোয়ের অভিনেতাকে পৃথিবীর সব থেকে শক্তিধর দেশের মাথায় বসালে, কি হতে পারে, সেই সাক্ষাৎ ইতিহাসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি এখন।
ভারতের হাল দেখুন। মোদি চৌকিদারি, সব কা সাথ সব কা বিকাশ ইত্যাদি বিশাল বপু অভিনয় করে, অনেক আশা জাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিছু সৎ ইচ্ছা হয়ত ছিল- কিন্ত ডিমনেটাইজেশন থেকে জিসটি-সব ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, তার এক্সিকিউশন সাংঘাতিক বাজে ছিল। রাফাল ঘোটালা প্রমান করছে, দিল্লীতে যে অস্ত্র লবি কংগ্রেসের আমলে এক্টিভ, ছিল, বিজেপি আমলে তারাই প্রভু- বরং তারা আরো বেশী সাহসী হয়ে দুনাম্বারী করেছে। এখন ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে তিনি " গরীব" উচ্চবর্নের সংরক্ষনের রাজনীতিতে নেমেছেন।
সংরক্ষনের রাজনীতি, সে গরীবদের জন্যই হৌক বা কাস্ট ভিত্তিকই হৌক- রাষ্ট্রের জন্য সর্বনাশ ছাড়া কিছুই না।
সংরক্ষন রাজনীতিকে মেনে নেওয়া মানে, এটাও মেনে নেওয়া সেই রাষ্ট্রে গরীব বা নীচু কাস্টের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা বা সামাজিক ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পায় না। বা ডিসক্রিমিনেশনের শিকার।
সুতরাং সেই ক্ষেত্রে সরকারের প্রথম কাজ, এটা নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রের প্রতিটি সন্তান, সে যে কাস্টেই জন্মাক, যে গরীব ঘরেই জন্মাক- শিক্ষার ক্ষেত্রে যেন সমান সুযোগ পায়। সেটা না করে যখন , রিজার্ভেশনের রাজনীতি তৈরী করা হয়, যেখানে মেধার জায়গায়, আইডেন্টিটিকেই টানা হয়, তার কনসিকোয়েন্স মারত্মক খারাপ। কারন তা রাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে বিভাজনের বিভেদের সৃষ্টি করে।
রিজার্ভেশনের রাজনীতি মানে এটা মেনে নেওয়া রাষ্ট্রে অসাম্য আছে, এবং সেই অসাম্যের দরুন, রাষ্ট্রের কিছু কিছু সন্তান " দুর্বল" হবে শিক্ষাগত যোগ্যতায় - কিন্ত যেহেতু তারা শিক্ষাগত ভাবে দুর্বলতর "রাষ্ট্রের অপদার্থতার" কারনে- তাদেরকেই দেশের গুরুত্বপূর্ন পদে দিতে হবে!
অর্থাৎ এই সংরক্ষনের রাজনীতির বেসিকটা একটু ঘাঁটলে এটাই দাঁড়াচ্ছে - রাষ্ট্র বলছে, রাষ্ট্র অসাম্য দূর করতে অপদার্থ, তাই অপদার্থ দেশে তৈরী হচ্ছে, এবং সেই অপদার্থদেরই চাকরি দিতে হবে- যাতে এই অপদার্থ সিস্টেম চলতে থাকে!! এই কারনেই সক্রেটিস সেই আড়াই হাজার বছর আগেই লিখে দিয়েছিলেন কেন গণতন্ত্রে এই ধরনের অপদার্থতা চলতে থাকবে।
তাহলে উপায় কি। ডিক্টেটরশিপ বা স্বৈরাচারিতা আরো বাজে। কিন্ত উপায় আছে।
আজকে বিজনেসের ক্ষেত্রে আমরা বিগ ডেটা আনালাইটিক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুযোগ নিচ্ছি। যাতে বিজনেস ডিসিশনে ভুল কম থাকে। সরকারি ক্ষেত্রেও বিগ ডেটা আনালাইটিক, বিগ ডেটা সিম্যুলেশন ভিত্তিক সিদ্ধান্তের দিন সমাগত। যে কোন দেশের রাজনীতিবিদদের চেয়ে মেশিন অনেক অনেক বেশী ভাল সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ।
রাজনীতির যা অবস্থা, প্রযুক্তিই একমাত্র ভরসা। অটোমেশনের ফলে শুধু শ্রমিকদেরই কেন চাকরি যাবে? রাজনীতিবিদ, যাদের পারফর্মান্স সব থেকে খারাপ, তাদেরকে অটোমেশন দিয়ে নির্বাসনে পাঠানো হৌক সবার আগে।
2 comments:
আরো বিস্তারিত হলে ভালো হতো।
ভালো লাগলো পড়ে বিপ্লব ।
শেয়ার না করে পারলাম না
Post a Comment