এই দুদিনের বন্ধ সিপিএমের ডুবে যাওয়া জাহাজের আর্তনাদ ছাড়া কিছুই না। বাঙালীর পাওয়না উদবৃত্ত হয়রানি।
এই বন্ধের একটি দাবী নুন্যতম বেতন ১৮ হাজার টাকা করা। এটি ভাল দাবী। কারন শ্রমিকের নুন্যতম বেতন ক্রম থাকলে সেখানে কোয়ালিটি ভাল কাজ হয়। এটি সারা বিশ্বে প্রমানিত। কিন্ত ভারত সহ পশ্চিম বঙ্গের স্কুল কলেজ গুলিতে সরকারি সার্কুলারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রাইভেট চিচারদের মোটে ৫-১০ হাজার টাকা মাইনে দেওয়া হয়। এবং তা সিপিএম জমানা থেকেই চলছে। যার ফলে পশ্চিম বঙ্গ সহ গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ন ধ্বংসের মুখে। ১০হাজার টাকার শিক্ষক কারা হয় সবাই জানে। তাদের কাছে ছাত্রছাত্রীরা কি শিখছে সেটাও অভিভাবকরা জানে।
সিপিএম তথা বামফ্রন্টের নেতাদের কাছে প্রশ্ন
(১) যদি নুন্যতম বেতন নিয়ে তারা সত্যিই চিন্তিত, তাহলে যেখানে অন্তত সরকারি নিয়ম আছে যেমন প্রাইভেট স্কুল কলেজে, সেখানে শিক্ষিক শিক্ষিকাদের নুন্যতম বেতন গ্যারান্টি দেওয়ার কাজে তাদের আগ্রহ কোনদিন দেখা যায় নি কেন ? অন্তত এমন একটা কাজ যেখানে তারা জনগণকে সাথে পেতেন!
সব থেকে বড় সত্য, এই সব প্রাইভেট স্কুল কলেজের মালিক পক্ষের অনেকেই সিপিএমের নেতাদের নিকট আত্মীয়। এখন রাজনীতি বদলেছে। তারাও রঙ বদলেছেন।
(২) যেখানে সরকারি আইন থাকা সত্ত্বেও নুন্যতম বেতন গ্যারান্টি নেই ( যা স্কুল কলেজের ক্ষেত্রে প্রমানিত), সেখানে ১৮,০০০ টাকা নুন্যতম বেতন আইন করে কি লাভ হবে?
চটকলে ধর্মঘট করে কি হবে? আরো দুটো চটকল বন্ধ হবে। যেখানে দরকার পাটের তন্তুর নতুন ব্যবহার, আরো নতুন ধরনের প্রোডাক্ট, সেখানে স্ট্রাইক সুইসাইড ছাড়া কিছুই না।
অর্থাৎ ব্যপারটা কি দাঁড়াল। বামপন্থীরা নতুন ভাবে কিছুই ভাবছেন না। পৃথিবী বদলাচ্ছে , তারা বদলাচ্ছেন না। তারা জাদুঘরে ডাইনোসর হতে চান।
মানুষ এবং শ্রমিকের বঞ্চনা চলছে। কিন্ত সেদিকে তাদের নজর কই। সেটা থাকলে প্রাইভেট স্কুল কলেজগুলিতে শিক্ষকদের যে শোষন করা হয়, সেটা নিয়ে আন্দোলন চোখে আসত। সেসব কিছুতে তাদের মন নেই। বরং যেটুকু পেশীবল বেঁচে আছে সেটা দেখিয়ে স্কুল বাস ভাঙচুর করছেন বাচ্চাদের ভয় দেখাতে।
বাঙালী বামেদের শিশুতুল্য ব্রেইন বলতাম আগে। এখন দেখছি, তারা বাচ্চা বুদ্ধির ও অধম।
No comments:
Post a Comment