বামপন্থার আসল নকল!
-বিপ্লব পাল
অধুনা ভিরমি খাইতেছি। শুধু আমি খাইলেই যথেষ্ঠ নহে, বিমান বোস ও খাইতেছেন। প্রকাশ কারাতের রাজ্য বাধ্যবাধকতা নাই-দিল্লী ফ্ল্যাশব্যাক পাইলেই উনি সিদ্ধ। কংগ্রেসকে না ডোবাইলে, তাহা অপ্রাপ্য, দুঃস্প্রাপ্য। তাই তিনি দিদিকে বামপন্থার সার্টিফিকেট দরাজ হাতে দিতে বাধ্য হইয়াছেন। বিমান বুদ্ধর ধুতির কোলে লুকাইয়া যাহা তিনি পান নাই, মমতার আঁচল ধরিয়া যদি ভবিষ্যতে দিল্লীতে কিছু খুঁটি ত
-বিপ্লব পাল
অধুনা ভিরমি খাইতেছি। শুধু আমি খাইলেই যথেষ্ঠ নহে, বিমান বোস ও খাইতেছেন। প্রকাশ কারাতের রাজ্য বাধ্যবাধকতা নাই-দিল্লী ফ্ল্যাশব্যাক পাইলেই উনি সিদ্ধ। কংগ্রেসকে না ডোবাইলে, তাহা অপ্রাপ্য, দুঃস্প্রাপ্য। তাই তিনি দিদিকে বামপন্থার সার্টিফিকেট দরাজ হাতে দিতে বাধ্য হইয়াছেন। বিমান বুদ্ধর ধুতির কোলে লুকাইয়া যাহা তিনি পান নাই, মমতার আঁচল ধরিয়া যদি ভবিষ্যতে দিল্লীতে কিছু খুঁটি ত
ৈয়ার হয়। সিপিএম সাইনবোর্ড পার্টি হইবে না ইতিহাসের পাতায় লুকাইবে, ইহা এখনো বলা সম্ভব নহে-কিন্ত মমতার বামমতিতে তাহার সম্ভবনা সুদুরপরাহত নহে।
কে আসল বামপন্থী, প্রকৃত গরীব দরদি-সে বাগযুদ্ধ স্যোশাল মিডিয়া হইতে প্রিন্ট মিডিয়াতে সর্বত্র দেখিতে পাইতেছি। ইহাতে আমোদিত হইবার যাবতীয় উপাদান মজবুত। ভাবুন, সকালে উঠিয়া দেখিলেন রাস্তার ধারের দুই গাছে দুই বালক মগডালে বসিয়া নিজের ডাল কাটিতেছে, আর নিজেদের মধ্যে কাজিয়া বাধাইতেছে, আমিই শালা আসল কালিদাস। তুই নকল। ইহাতে হাসিতে পারেন, কিন্ত যখন ভাবিবেন রাজ্যভার এই দুই কালিদাসের হাতেই-তখন ইতিহাসে তাকাইলে দেখিতে পাবেন, জ্যোতি বোস নামে এক মহাপূজিত বাঙালী কালিদাসের পুরাকীর্তি হেতু বাঙালী আই টি শিল্পে পুনে ব্যাঙ্গালোর অপেক্ষা শতযোজন পশ্চাতে বসিয়াছে। কারন বাঙালীর ইতিহাসে মহাসন্মানিত এই মহাকালিদাসটি কম্পিউটার মানুষের চাকরি খাবে বলিয়া পশ্চিম বঙ্গের আই টি শিল্পের ডালটি কাটিয়া ছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য সীমিত ক্ষমতা বলে, দিল্লীর কারাতীয় শৃঙ্খল পরিধান পূর্বক, এই কালিদাসত্ব থেকে উদ্ধার পাইবার চেষ্টা করিতেছিলেন। ফল মিলিতেছিল। পরিসংখ্যান বলিতেছে ২০০১ সাল হইতে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পশ্চিম বঙ্গের জিডিপি প্রায় ৯% হারে বাড়িয়াছে যা জাতীয় গ্রোথের ১% বেশি।
অধুনা কালিদাস-২ এর দ্বিতীয় সংস্করণ বাজারে আসিয়াছেন। এক্ষনে আমাদিগের মহাকালী মা দেবী, বলিতেছেন সাহাবাবু দের রক্ষার্থে বিদেশী বিনিয়োগ আটকাইবেন। সাধু! প্রযুক্তির উন্নতির সামনে কেরানীকুলের চাকরি জ্যোতিবাবু রাজ্যের মগডাল কাটিয়া আটকাইতে পারেন নাই। মমতাদেবীও সাহাবাবুদের বাঁচাইতে পারিবেন না। প্রযুক্তির হাতে তাহাদের শেষের সে দিন সমাগত-যেদিন মোবাইলে এক বাটনের চাপে লোকে ক্রয় বিক্রয় করিবে-গোডাউন থেকে ঘরে বাজার আসিবে ইকমার্স সিস্টেম। ইহাই ইতিহাসের গতি এবং লিখন। ইহাকে আটকাইবে কার সাধ্য? জ্যোতিবাবুর ন্যায় আটকানোর কালিদাসীয় কুনাট্য রচিলে, রাজ্যে ধপাস করিয়া আরেকবার বসিবে। ইহাতে আশ্চর্য্য কি? যে রাজ্যের লোকে মগডালে বসিয়া থাকা কালিদাসদের মহানেতা নেত্রী জ্ঞানে পূজা এবং কালিদাসী ক্রিয়ার ভজনা করিয়া থাকে, তাহাদের ভিন রাজ্যেই চাকরি খুঁজিতে হইবে।
কে আসল বামপন্থী, প্রকৃত গরীব দরদি-সে বাগযুদ্ধ স্যোশাল মিডিয়া হইতে প্রিন্ট মিডিয়াতে সর্বত্র দেখিতে পাইতেছি। ইহাতে আমোদিত হইবার যাবতীয় উপাদান মজবুত। ভাবুন, সকালে উঠিয়া দেখিলেন রাস্তার ধারের দুই গাছে দুই বালক মগডালে বসিয়া নিজের ডাল কাটিতেছে, আর নিজেদের মধ্যে কাজিয়া বাধাইতেছে, আমিই শালা আসল কালিদাস। তুই নকল। ইহাতে হাসিতে পারেন, কিন্ত যখন ভাবিবেন রাজ্যভার এই দুই কালিদাসের হাতেই-তখন ইতিহাসে তাকাইলে দেখিতে পাবেন, জ্যোতি বোস নামে এক মহাপূজিত বাঙালী কালিদাসের পুরাকীর্তি হেতু বাঙালী আই টি শিল্পে পুনে ব্যাঙ্গালোর অপেক্ষা শতযোজন পশ্চাতে বসিয়াছে। কারন বাঙালীর ইতিহাসে মহাসন্মানিত এই মহাকালিদাসটি কম্পিউটার মানুষের চাকরি খাবে বলিয়া পশ্চিম বঙ্গের আই টি শিল্পের ডালটি কাটিয়া ছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য সীমিত ক্ষমতা বলে, দিল্লীর কারাতীয় শৃঙ্খল পরিধান পূর্বক, এই কালিদাসত্ব থেকে উদ্ধার পাইবার চেষ্টা করিতেছিলেন। ফল মিলিতেছিল। পরিসংখ্যান বলিতেছে ২০০১ সাল হইতে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পশ্চিম বঙ্গের জিডিপি প্রায় ৯% হারে বাড়িয়াছে যা জাতীয় গ্রোথের ১% বেশি।
অধুনা কালিদাস-২ এর দ্বিতীয় সংস্করণ বাজারে আসিয়াছেন। এক্ষনে আমাদিগের মহাকালী মা দেবী, বলিতেছেন সাহাবাবু দের রক্ষার্থে বিদেশী বিনিয়োগ আটকাইবেন। সাধু! প্রযুক্তির উন্নতির সামনে কেরানীকুলের চাকরি জ্যোতিবাবু রাজ্যের মগডাল কাটিয়া আটকাইতে পারেন নাই। মমতাদেবীও সাহাবাবুদের বাঁচাইতে পারিবেন না। প্রযুক্তির হাতে তাহাদের শেষের সে দিন সমাগত-যেদিন মোবাইলে এক বাটনের চাপে লোকে ক্রয় বিক্রয় করিবে-গোডাউন থেকে ঘরে বাজার আসিবে ইকমার্স সিস্টেম। ইহাই ইতিহাসের গতি এবং লিখন। ইহাকে আটকাইবে কার সাধ্য? জ্যোতিবাবুর ন্যায় আটকানোর কালিদাসীয় কুনাট্য রচিলে, রাজ্যে ধপাস করিয়া আরেকবার বসিবে। ইহাতে আশ্চর্য্য কি? যে রাজ্যের লোকে মগডালে বসিয়া থাকা কালিদাসদের মহানেতা নেত্রী জ্ঞানে পূজা এবং কালিদাসী ক্রিয়ার ভজনা করিয়া থাকে, তাহাদের ভিন রাজ্যেই চাকরি খুঁজিতে হইবে।
No comments:
Post a Comment