Tuesday, May 31, 2011

অসীম দাশগুপ্তর ধাপ্পাবাজি বামফ্রন্ট পতনের অন্যতম কারন


রাজ্যের দেনা এই মুহূর্তে ২ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা।

অসীম বাবু দাবী করছেন- এই দেনা এত বেশী লাগছে কারন "এর অধিকাংশই ক্ষুদ্র সঞ্চয় ঋণ"।
রাজ্যের লোক খুব ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে জমাচ্ছে, তাই রাজ্যের দেনা এত বেশী।

রাজ্যের লোক চীট ফান্ড ছেরে রাজ্যকে ধার দিচ্ছে-এটা ভাল সিস্টেম। কিন্ত সেই ধারটা কোন কাজে লাগিয়েছেন অসীম
বাবু? ওই ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের টাকাটা যদি রাজ্যের উন্নয়নের কাজে যেত-তাহলে সেটা ভাল ইনভেস্টমেন্ট। কারন সেক্ষেত্রে সেই উন্নয়ন থেকে বর্ধিত হারে রাজস্ব আসত রাজ্যের হাতে-তাই দিয়ে ধার শোধ হত। কিন্ত সেটাত হয় নি-রাজ্যকর্মচারীদের মাইনে দিতেই চলে গেছে সব টাকা। অমিতবাবুর দেওয়া তথ্য থেকে আমরা জানলাম, এই রাজ্য মাথাপিছু উন্নয়ন বাজেট সব থেকে কম। কারন মাইনে দিতে হচ্ছে ধার করে।

ধার- আমি মারোয়ারী, ব্যাঙ্ক বা ক্ষুদ্রঋণ-যার কাছ থেকেই নিই না কেন -সেটা ধারই। এবং সেই টাকা উন্নয়নে ইনভেস্ট না করে , মাইনে দেওয়া মানে সাংঘাতিক বিপর্যয়। ওই টাকাটা যার কাছ থেকেই ধার নিই না কেন-তা শোধ দিতে হবে-এবং সুদও দিতে হবে। সুতরাং সেই ধারের টাকাটা যদি আমি এমন খাতে ব্যয় করি, যাতে বর্ধিত রাজস্ব আসার পথ না খোলে, তাহলে তা সাংঘাতিক বিপদ। রাজ্যে লোকেরা টাকাটা ত দান করে নি!

মন্টেক সিং, মনমোহন এবং প্রণব বাবু বারবার অসীম বাবুকে বুঝিয়েছেন, স্বল্প সঞ্চয়ের টাকা ধারের টাকা। ওটা রাজস্ব না। তাই ওই গুপি দিয়ে রাজস্ব ঘাটতি মেটানো দেখাবেন না। অসীম বাবু শোনেন নি। এমন ভাব দেখাচ্ছেন যেন ক্ষুদ্র ঋণ আর ব্যাঙ্কের ঋণ আলাদা!

ফল এই যে, দেনার চাপে আজকে কাহিল রাজ্য- মাইনে দিতেও ধার করতে হচ্ছে বাজার থেকে। অসীম বাবুর কথা শুনে ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাত্তন অর্থনীতির শিক্ষক শুধু হেঁসেছেন-নিশ্চয় আশ্চর্য্য ও হয়েছেন কি করে এক জন " অর্থনীতিবিদ" এই ধরনের পাতি ধাপ্পাবাজি চালিয়ে এসেছে এতদিন।

এর ফলে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ বামফ্রন্ট সরকার নিজে। বেতন দিতে গিয়ে, কোন মন্ত্রকেই কোন টাকা ছিল না। সবাই নামেই ছিল মন্ত্রী-একটা টাকাও তাদের দিতে পারেন নি অসীম বাবু। এই নিয়ে তাদের মধ্যেও ক্ষোভ ছিল। কিন্ত পার্টির জন্যে কিছুই বলতে পারেন নি মন্ত্রীরা-শুধু ভোটে দাঁড়িয়ে জ্যন্ত ভুত হয়েছেন জনগণের হাতে।

ধাপ্পাবাজির ফল আর কোন কালে ভাল হয়েছে? তবে সিপিএম এর থেকেও শিক্ষা নিল না। এখনো চেঁচাচ্ছে রাজ্যের হাল ভাল ছিল। এই ধরনের মিথ্যে কথা বললে কি লোকে শুনবে? এর থেকে ভুল স্বীকার করে শিক্ষা নিলেই জনগণ তাদের ওপর আস্থা রাখবে।

No comments: