মমতা ব্যনার্জি ক্ষমতায় আসার পর, তার অন্যতম সিদ্ধান্ত, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে মাদ্রাসা শব্দটি লাগানো। নির্বাচনী
প্রতিশ্রুতি। বা ধর্মীয় সুড়সুরি দিয়ে সংখ্যালঘু ভোট টানার চেষ্টা-কারন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ইসলামিক ছাত্র ইউনিয়ানের সেটিই ছিল নাকি দাবী। ভোটের আগে সিপিএম এবং তৃণমূল-দুটি দলই মুসলমানদের মন পেতে, ঢালাও ভাবে সাম্প্রদায়িকতার চর্চা করেছে বাংলার রাজনীতিতে। সেই ধরনের অনেক ধর্মীয় তোষনের মণিমুক্তোর, এটি একটি ছোট মুক্ত।
আপাতত বিধি বাম। আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে "মাদ্রাসা" শব্দটির যোগ করায় আতঙ্কিত-এবং তারা পরীক্ষা বয়কট করছে। আনন্দবাজারের রিপোর্টঃ
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে ‘মাদ্রাসা’ শব্দটি যুক্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পরীক্ষা বয়কট শুরু করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। শুক্রবারের পরে সোমবারেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিষ্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ামককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এর আগে শুক্রবার ওই পড়ুয়ারা মহাকরণের সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের রাগ খুব স্বাভাবিক। তারা সেখানে এসেছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজার হতে। সেখানে ডিগ্রির আগে মাদ্রাসা শব্দটা জুরলে, তাদের অসুবিধা সাংঘাতিক। এমনিতেই মুসলমান নাম থাকলে, ভারতে প্রাইভেট সেক্টরে চাকরি পাওয়া খুব মুশকিল। তারপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে যদি মাদ্রাসা শব্দটা বসে, তাহলে অবস্থা কি হবে সহজে অনুমেয়।
এই সমাজে তাদের ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার হিসাবেই বেঁচে থাকতে হবে-মুসলিম ডাক্তার বা মুসলিম ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নয়। এটা তারা ভালো বোঝেন। কিন্ত বোঝেন না মমতা ব্যানার্জি সহ এই রাজ্যের সমস্ত হিন্দু নেতৃত্ব। তারা মুসলমানদের উপকার করতে গিয়ে হয় দেন ৩০০ মাদ্রাসার উপহার ( সিপিএমের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি) বা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের আগে মাদ্রাসা জুরে সংঘালঘুদের সুরসুড়ি দেওয়া। স্বাধীনতার পরে, এটাই হিন্দু রাজনৈতিক নেতৃত্ব করে এসেছে-এবং তাতে হিন্দু-মুসলমানদের দূরত্ব আরো বেড়েছে।
হিন্দু মুসলমান পরিচয়টা টেকানোর জন্যে রাজনীতি আজকে বিপজ্জনক। কেরালাতে কমিনিউজমের এত চাষাবাস হয়েছে সেখানে হিন্দু খ্রীষ্ঠান এবং মুসলিম ভোটের বিভাজন সম্পূর্ন এবং ধর্মীয় পার্টিগুলি দারুন রেজাল্ট করেছে। আসামে প্রধান বিরোধি পার্টি এখন একটি ধর্মীয় মৌলবাদি দল। "মুসলমানরা" আলাদা এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল এবং সেই বৃত্ত থেকে আজও আমাদের রাজনীতিবিদরা বেড়তে পারলেন না। কারন তারা মুসলমানদের মানুষ হিসাবে না ভেবে মুসলমান হিসাবেই ভেবে চলেছেন।
কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি-কেওই এর ব্যতিক্রম না।
1 comment:
Balosyo-Baal lekha ekta. kono sar-mormo nei. kichhu ekta bole dilei holo.
Post a Comment