Saturday, May 9, 2009

সইফুদ্দিনকে বসানোর জন্যে বুদ্ধদেবের চাল

সইফুদ্দিন চৌধুরী যাতে যাদবপুরে সিপিএম বিক্ষুব্ধ ভোট না পান তার জন্যে ঠিক স্ট্রাটেজিক মুহুর্তে একটি মারাত্মক চাল চাললেন বুদ্ধদেব বাবু ঘোষনা করেদিলেন সইফুদ্দিন চৌধুরীকে তিনি নাকি ব্যাক্তিগত ভাবে ফেরানোর চেষ্টা করেছেন বা করছেন যাতে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায় কারন এটা সবাই জানে বিক্ষুব্ধ সিপিএমের এক বিরাট অংশের ভোট সইফুদ্দিনের কাছে যাবে বামপন্থি অনেকের কাছেই তৃণমুল এখনো অচ্ছুৎ-এবং তারা সিপিএমের দ্বিচারিতা ও দাম্ভিকতায় ক্রদ্ধও বটে তাদের কাছে সইফুদ্দিন অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য এর পরে ভাঙরে তৃণমূল বিধায়কের জমির দালালির জন্যে তৃণমূলের অনেকেই সেখানে সম্প্রতি পিডিএসে যোগ দিয়েছেন তাদের মধ্যেও যাতে বিভ্রান্তু ছড়ায়, তার জন্যে মমতা ঘোষনা করেই দিয়েছেন-ভোটের পর নাকি সইফুদ্দিন সিপিএমে যোগ দেবেন! এবং তাকে সিপিএম দাঁড় করিয়েছে মুসলিম ভোট কাটতে আমার যদ্দুর ধারনা, এই যাদবপুর কেন্দ্রের ব্যাবসায়ী, বুদ্ধিজীবি এবং শিক্ষিত মানুষের একটা বড় অংশ পিডিএসে পাশে দাঁড়াতে, প্রমান গণেছেন বিরোধি রাজনীতির মালকিন এটাত কারোরই অজানা নয়, পশ্চিম বঙ্গের সংখ্যা গরিষ্ঠ লোকই তৃণমূল এবং সিপিএমের হিংসা ও ক্ষমতা দখলের কুনাট্যে ভীষন ক্রুদ্ধ এই শুন্যস্থান কংগ্রেস অবশ্যই পূরণ করতে পারত কিন্ত তারাও দিল্লীতে ক্ষমতা দখল ছাড়া কিছু বোঝে না-ফলে মমতার কাছে মাথা নত করে নিজের ভবিষ্যতে কুড়ুল মারল


তাহলে রাজ্যের একটি বিরাট অংশের লোক-যার বিলক্ষন বুঝতে পারছে তৃণমূলকে এনে সিপিএমের তৈরী দমবন্ধ করা অগণতান্ত্রিক পরিবেশত উদ্ধার হবেই না-বরং আরো বাজে দিকে এগোবে-তারা কোথায় যাবে? দুদিন আগেই তৃণমূলের হামলা করে বিজেপির মিছিলে এবং সেই ফটো তুলতে গিয়ে আমার বন্ধু ফটোগ্রাফার জয়মন্ডলকে তৃণমুলের সমর্থকটা পেটায় এবং প্রায় ১৪ লাখ টাকা মূল্যের তার দুটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়

(জয় মন্ডলের মুখেই শুনুন)
http://www.vinnobasar.org/read.aspx?linkid=984

ঠিক একদিন আগে তৃণমুল ভাঙরে পিডিএসের মিছিলে হামলা করে
(প্রত্যক্ষ দর্শীর মুখে ঘটনাটি শুনুন)
http://www.vinnobasar.org/read.aspx?linkid=977

গোটা রাজ্যে সিপিএম যেভাবে বুথ ক্যাপচার করে, তার পালটা দিল তৃণমূল নন্দীগ্রামে এতে অন্ধ সিপিএম বিরোধিরা উল্লাসিত হতে পারেন, আমি তাদের একজন হতে পারলাম না বলে দুঃখিত সিপিএমের ফ্যাসিজমের জবাবে তৃণমূলের ফ্যাসিজম কখনোই পশ্চিম বঙ্গের ভবিষ্যত হতে পারে না জনগণ আস্তে আস্তে হলেও এটা বুঝছেন কিন্ত তাদের সামনে উপায় কি?

সেই উপায়টা পিডিএস এবার দাঁড় করাচ্ছিল কংগ্রেস নিজেদের কবর নিজে খোঁড়ায়, পিডিএসের সামনে, এই সুযোগ অনেকটাই কংগ্রেসের ভুলের ফলে চলে আসে কিন্ত প্রশ্ন যেটা বরাবরই থাকে-তাহলে এদের বাদ দিয়ে কে? সেই তৃতীয় শক্তিটাই পিডিএস দাঁড় করাচ্ছিল-যেহেতু কংগ্রেস সরে গেছে এবং পিডিএস সিপিএম ও কংগ্রেস উভয়ের কাছেই গ্রহণযোগ্য একটি রাজনৈতিক শক্তি যা অনেক উন্নততর আদর্শ এবং এজেন্ডার ওপর দাঁড়িয়ে ( পিডিএস এজেন্ডাঃ http://www.pdsindia.org/)

ফলে মমতা প্রমান গণেছেন এবং উলটো পালটা বকছেন কিছু অতিবাম এবং অন্ধ তৃণমূল সমর্থকের কাছে মমতা দেবী হতে পারেন-কিন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিম বংগের মানুষের কাছে উনি নাথিং কারন তারা একটু ভালো ভাবে বাঁচতে চাই হ্যাঁ তারা পরিবর্ত্তন ও চাই-এবং সেই জন্যেই তৃণমুলকে ভোট দিচ্ছে কিন্তু যারা ক্ষমতাই আসার আগেই সিপিএমের মতন ব্যাবহার করা শুরু করেছে, তাদের সম্মন্ধে মোহভঙ্গ হবে খুবই দ্রুত

ফলে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে এই-মমতা থাকলে সিপিএম নিরাপদ কারন আমি এখনো মনে করি না বিরোধি নেতৃত্বের যোগ্যতা তার বিন্দুমাত্র আছে সুতরাং মমতা এবং সিপিএম-এই দুজনের জন্যেই কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল পিডিএস ফলে জনগণের মনে একটা বিভ্রান্তি ছড়ানো হল, সইফুদ্দিন ভোটের পরে সিপিএমে যোগ দেবে পিডিএসের ওয়েব সাইটে কম্যুনিজম এবং তার ভয়াবহতার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং ধণতন্ত্রকে সমাজতন্ত্রের মধ্যেই আদর্শগত ভাবেই ধারন করা হয়েছে প্রযুক্তি ভিত্তিক সমাধানকে রাজনৈতিক সমাধানের চেয়ে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে-যা একমাত্র উন্নত দেশের রাজনৈতিক দলগুলিই এযাবৎ কাল করে এসেছে আদর্শ এবং যে কর্মপন্থা নিয়ে পিডিএস তৈরী হয়েছে তা সিপিএম এবং তৃণমূলের চেয়ে শতযোজন এগিয়ে জনগণ যত দ্রুত এটা জানবে-তত সিপিএমে এবং তৃণমূলের মোহ তাদের কেটে যাবে

আর সেটা বুদ্ধবাবু বা মমতাদেবী চাইবেন কেন? তাই পিডিএসকে অঙ্গুরে বিনাশ করার জন্যে নোংরা খেলায় মেতেছে সিপিএম এবং তৃণমূল তবে এর জবাব দেবে ভাবীকালের ইতিহাস




কারন সিপিএম এবং তৃণমূলকে পছন্দ করে না-এই পোলারিটিই পশ্চিম বঙ্গে সংখ্যা গরিষ্ঠ যা অতীব হাস্যকর কারন পিডিএস এবং সিপিএমের আদর্শ সাংঘাতিক ভাবেই আলাদা


No comments: