খুব সম্ভবত শেষ হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ছয় ক্রিকেটারের খেলোয়ার জীবন। তবে প্রানে বেঁচেছেন ড্রাইভারের জন্যে-হয়ত এইটুকু ভাগ্য নিয়েই কমেন্ট্রি বক্সে বাকী জীবন কাটাবেন মেন্ডিস, সঙ্গকারা বা জয়বর্ধনের মতন বিশ্বসেরা ক্রীকেটাররা। তবুও বেঁচে থাকবেন-এটাই বোধ হয় একমাত্র ভরসাস্থল।
হুজি না হরকত না এল ই টি- কে করেছে সেই তত্ত্বের মধ্যে না গিয়ে-পাকিস্থান রাষ্ট্রটা আজ কোথায় দাঁড়িয়েছে সেটা একটু দেখা যাক।
(১) লাহোরের লিবার্টি চক ঝাঁ চকচকে পরিস্কার যায়গা। সেখানে ১২ জন লোক রকেট লঞ্চার, একে-৪৭ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল-কেও লক্ষ্য করল না! যেন হয়ে থাকে!
(২) টীমের ওপর আক্রমন হতে পারে সেই গোয়েন্দা সংবাদ ছিল। সেই মত বাসের পথও ঘোরানো হল। কিন্তু যেটা প্রশ্ন
বুলেট প্রুফ বাস দেওয়া হল না কেন?
মাত্র একটা পুলিশের এসকর্ট ভ্যান?
কে খবর ফাঁস করল রাস্তার? তাহলে ত সর্ষের মধ্যে ভুত আছে।
(৩) শর্ষের মধ্যে ভুত আরো পরিস্কার করা যাক। এই এল ই টি থেকে হুজি-এদের জন্ম পাকিস্থানের মিলিটারি ইন্টালিজেন্স আই এস আই এর হাতে। ৯/১১ এর আগে পর্যন্ত পাকিস্থানের মিলিটারি এবং জঙ্গীরা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে সহবাস করেছে। ৯/১১ এর পরে জঙ্গীদের স্ট্যাটাসটা রক্ষিতার স্তরে নামানো হয়েছে আন্তর্জাতিক চক্ষুলজ্জার জন্যে।
(৪) ভারতের বিরুদ্ধে এদের জিহাদ আসলেই মিলিটারির ব্যাবসা করার জন্যে কভার। আই এস আইএর লোকেরা সরাসরি আফিং এবং হিরোইন ট্রেডের সাথে যুক্ত। ভারত বেশ কয়েকটি হিরোইন এসাইনমেন্ট ধরেছে-যেখানে আই এস আই এর লোকেরা হুজিদের হাত দিয়ে হিরোইন পাঠাচ্ছিল থাইল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায়। জিহাদের নাম করে আফিং ব্যাবসা-এটাই পাকিস্থানের আই এস আই এর মূল চরিত্র।
(৫) পাকিস্থান দেশটার অবস্থা বুঝুন। খবর ছিল আক্রমন হবে। অথচ আটকানো গেল না। দেশটা কে চালাচ্ছে-কি ভাবে চলছে কেও জানে না। সরকার না মিলিটারী না জঙ্গী-দেশের নেতা কে-সেই নিয়ে গোটা বিশ্বই বিভ্রান্ত। সোয়াত উপত্যকায় জঙ্গীদের শাসন মেনে নিতে হয়েছে। মুম্বাই ঘটনার পরিপেক্ষিতে আমরা দেখেছি-জারদারি কিয়ানির কথায় উঠবোস করতে বাধ্য হচ্ছেন। এখনত পাঞ্জাবে স্বয়ং নওয়াজ বলছেন তাকে ডোবানোর জন্যে জারদারি এই কাজ করেছেন! কারন পাঞ্জাবে জার্দারির নবনিযুক্ত গর্ভর্নর তাসিরের বিরুদ্ধে নওয়াজের বিক্ষোভ বেড়েই চলছিল।
এসব যাক -মোদ্দা কথা পাকিস্থানে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট বন্ধ। অর্থনীতি রুদ্ধ। শেষ দুবছরে অর্ধভুক্ত লোকের সংখ্যা বেড়েছে ২০%! পাকিস্থানের এখন একমাত্র তুলনা সোমালিয়া বা সুদান।
১৯৪৭ সালে-একটা ভুলের ভিত্তিতে যে রাষ্ট্রের জন্ম-তার মৃত্যু এগিয়ে আসছে। শুধু ধর্মের ভিত্তিতে একটা রাষ্ট্রের জন্ম-বা ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যার্থ হতে বাধ্য। কারন মানুষ বা সেই দেশের নাগরিকই একটা দেশের চালিকা শক্তি-আর সেই চালিকা শক্তির ভিত্তি যদি ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস হয়-মৃত্যু সমাগত। অনেকে বলতেই পারেন ধর্মকের ব্যাবহার করা হয়েছে-ইসলামের অপব্যাবহার ইত্যাদি।
কিন্তু ইতিহাস থেকে আমরা কি দেখি? ধর্মের উৎপত্তি এবং বেঁচে থাকার একমাত্র কারন হচ্ছে একে রাষ্ট্র শক্তি এবং রাজনীতিবিদরা নিজেদের ক্ষমতায়ানের জন্যে ব্যাবহার করে। ধর্মের মধ্যে প্রতিবাদি এবং প্রতিক্রিয়াশীল উভয় চরিত্রই বিদ্যমান। কিন্তু ধর্মের ইতিহাসে-সব ধর্মেই আমরা দেখবো-শ্রেনীদ্বন্দকে চাপাদেওয়ার জন্যে প্রতিক্রিয়াশীল চরিত্র দিয়ে প্রতিবাদকে আনা হচ্ছে। আনছে ক্ষমতালোভী কিছু গোষ্টি-পাকিস্থানে এরা মিলিটারি শাসক।
যাইহোক পাকিস্থানের বর্তমান অবস্থা থেকে বাংলাদেশে যারা ইসলামিক রাষ্ট্র চান-বা ভারতে যারা হিন্দু রাষ্ট্র চান-তারাও শিক্ষা নিন। ধর্মীয় রাষ্ট্রে কি পরিমান ধর্মীয় জঙ্গীর চাষাবাদ হতে পারে। ধর্মে হিংসা, ঘৃণা অনুমোদন করে না-এসব বাজে কথা। সব ধর্মই শর্ত সাপেক্ষে হিংসাকে মদত দেয়। বিধর্মীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। আবার মানবতা নিয়ে বড় বড় কথাও বলে। এই খিচুরী খেলে পেট খারাপ হওয়া ছাড়া আর ভাল কিছু হতে পারে না।
চাই বিজ্ঞান চিন্তার উন্মেষ। জঙ্গীদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার রাজনৈতিক ডাকে কিছু হবে না-যতদিন পর্যন্ত আমরা বিজ্ঞান চিন্তার আলোকে বুঝতে পারবো আমরা কেও হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ নই। আমরা সবাই মানুষ। কেন না আমি পাকিস্থানি, আমি বাংলাদেশী-আমি হিন্দু-আমি মুসলমান-এই বিভেদ যতদিন থাকবে-সন্ত্রাসবাদিদের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন ও তত দিন থাকবে। জনসাধারনের সমর্থন ছারা সন্ত্রাসবাদ বাঁচে না।
সুতরাং গোটা দক্ষিন এশিয়া ছড়ানো হৌক বিজ্ঞান শিক্ষার আলো-যে আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে প্রতিটা মানুষ তার নিজের এবং অন্যের মনুষত্বকে অনুভব করতে পারে। মানবতার এই মহান অনুভূতি ছাড়া-ছারা-হিংসাবিভক্ত পৃথিবীতে সন্ত্রাসবন্ধের আর কোন সহজ পথ নেই।
হুজি না হরকত না এল ই টি- কে করেছে সেই তত্ত্বের মধ্যে না গিয়ে-পাকিস্থান রাষ্ট্রটা আজ কোথায় দাঁড়িয়েছে সেটা একটু দেখা যাক।
(১) লাহোরের লিবার্টি চক ঝাঁ চকচকে পরিস্কার যায়গা। সেখানে ১২ জন লোক রকেট লঞ্চার, একে-৪৭ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল-কেও লক্ষ্য করল না! যেন হয়ে থাকে!
(২) টীমের ওপর আক্রমন হতে পারে সেই গোয়েন্দা সংবাদ ছিল। সেই মত বাসের পথও ঘোরানো হল। কিন্তু যেটা প্রশ্ন
বুলেট প্রুফ বাস দেওয়া হল না কেন?
মাত্র একটা পুলিশের এসকর্ট ভ্যান?
কে খবর ফাঁস করল রাস্তার? তাহলে ত সর্ষের মধ্যে ভুত আছে।
(৩) শর্ষের মধ্যে ভুত আরো পরিস্কার করা যাক। এই এল ই টি থেকে হুজি-এদের জন্ম পাকিস্থানের মিলিটারি ইন্টালিজেন্স আই এস আই এর হাতে। ৯/১১ এর আগে পর্যন্ত পাকিস্থানের মিলিটারি এবং জঙ্গীরা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে সহবাস করেছে। ৯/১১ এর পরে জঙ্গীদের স্ট্যাটাসটা রক্ষিতার স্তরে নামানো হয়েছে আন্তর্জাতিক চক্ষুলজ্জার জন্যে।
(৪) ভারতের বিরুদ্ধে এদের জিহাদ আসলেই মিলিটারির ব্যাবসা করার জন্যে কভার। আই এস আইএর লোকেরা সরাসরি আফিং এবং হিরোইন ট্রেডের সাথে যুক্ত। ভারত বেশ কয়েকটি হিরোইন এসাইনমেন্ট ধরেছে-যেখানে আই এস আই এর লোকেরা হুজিদের হাত দিয়ে হিরোইন পাঠাচ্ছিল থাইল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায়। জিহাদের নাম করে আফিং ব্যাবসা-এটাই পাকিস্থানের আই এস আই এর মূল চরিত্র।
(৫) পাকিস্থান দেশটার অবস্থা বুঝুন। খবর ছিল আক্রমন হবে। অথচ আটকানো গেল না। দেশটা কে চালাচ্ছে-কি ভাবে চলছে কেও জানে না। সরকার না মিলিটারী না জঙ্গী-দেশের নেতা কে-সেই নিয়ে গোটা বিশ্বই বিভ্রান্ত। সোয়াত উপত্যকায় জঙ্গীদের শাসন মেনে নিতে হয়েছে। মুম্বাই ঘটনার পরিপেক্ষিতে আমরা দেখেছি-জারদারি কিয়ানির কথায় উঠবোস করতে বাধ্য হচ্ছেন। এখনত পাঞ্জাবে স্বয়ং নওয়াজ বলছেন তাকে ডোবানোর জন্যে জারদারি এই কাজ করেছেন! কারন পাঞ্জাবে জার্দারির নবনিযুক্ত গর্ভর্নর তাসিরের বিরুদ্ধে নওয়াজের বিক্ষোভ বেড়েই চলছিল।
এসব যাক -মোদ্দা কথা পাকিস্থানে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট বন্ধ। অর্থনীতি রুদ্ধ। শেষ দুবছরে অর্ধভুক্ত লোকের সংখ্যা বেড়েছে ২০%! পাকিস্থানের এখন একমাত্র তুলনা সোমালিয়া বা সুদান।
১৯৪৭ সালে-একটা ভুলের ভিত্তিতে যে রাষ্ট্রের জন্ম-তার মৃত্যু এগিয়ে আসছে। শুধু ধর্মের ভিত্তিতে একটা রাষ্ট্রের জন্ম-বা ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যার্থ হতে বাধ্য। কারন মানুষ বা সেই দেশের নাগরিকই একটা দেশের চালিকা শক্তি-আর সেই চালিকা শক্তির ভিত্তি যদি ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস হয়-মৃত্যু সমাগত। অনেকে বলতেই পারেন ধর্মকের ব্যাবহার করা হয়েছে-ইসলামের অপব্যাবহার ইত্যাদি।
কিন্তু ইতিহাস থেকে আমরা কি দেখি? ধর্মের উৎপত্তি এবং বেঁচে থাকার একমাত্র কারন হচ্ছে একে রাষ্ট্র শক্তি এবং রাজনীতিবিদরা নিজেদের ক্ষমতায়ানের জন্যে ব্যাবহার করে। ধর্মের মধ্যে প্রতিবাদি এবং প্রতিক্রিয়াশীল উভয় চরিত্রই বিদ্যমান। কিন্তু ধর্মের ইতিহাসে-সব ধর্মেই আমরা দেখবো-শ্রেনীদ্বন্দকে চাপাদেওয়ার জন্যে প্রতিক্রিয়াশীল চরিত্র দিয়ে প্রতিবাদকে আনা হচ্ছে। আনছে ক্ষমতালোভী কিছু গোষ্টি-পাকিস্থানে এরা মিলিটারি শাসক।
যাইহোক পাকিস্থানের বর্তমান অবস্থা থেকে বাংলাদেশে যারা ইসলামিক রাষ্ট্র চান-বা ভারতে যারা হিন্দু রাষ্ট্র চান-তারাও শিক্ষা নিন। ধর্মীয় রাষ্ট্রে কি পরিমান ধর্মীয় জঙ্গীর চাষাবাদ হতে পারে। ধর্মে হিংসা, ঘৃণা অনুমোদন করে না-এসব বাজে কথা। সব ধর্মই শর্ত সাপেক্ষে হিংসাকে মদত দেয়। বিধর্মীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। আবার মানবতা নিয়ে বড় বড় কথাও বলে। এই খিচুরী খেলে পেট খারাপ হওয়া ছাড়া আর ভাল কিছু হতে পারে না।
চাই বিজ্ঞান চিন্তার উন্মেষ। জঙ্গীদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার রাজনৈতিক ডাকে কিছু হবে না-যতদিন পর্যন্ত আমরা বিজ্ঞান চিন্তার আলোকে বুঝতে পারবো আমরা কেও হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ নই। আমরা সবাই মানুষ। কেন না আমি পাকিস্থানি, আমি বাংলাদেশী-আমি হিন্দু-আমি মুসলমান-এই বিভেদ যতদিন থাকবে-সন্ত্রাসবাদিদের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন ও তত দিন থাকবে। জনসাধারনের সমর্থন ছারা সন্ত্রাসবাদ বাঁচে না।
সুতরাং গোটা দক্ষিন এশিয়া ছড়ানো হৌক বিজ্ঞান শিক্ষার আলো-যে আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে প্রতিটা মানুষ তার নিজের এবং অন্যের মনুষত্বকে অনুভব করতে পারে। মানবতার এই মহান অনুভূতি ছাড়া-ছারা-হিংসাবিভক্ত পৃথিবীতে সন্ত্রাসবন্ধের আর কোন সহজ পথ নেই।
No comments:
Post a Comment