কাশ্মীরের ইতিহাস ভীষন জটিল। এত স্টেট এবং নন-স্টেট এক্টর এর সাথে এতদিন ধরে জড়িত-কেউ যদি ভাবে ডায়ালোগ এবং ডেমোক্রাটীক ভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে-সে কাশ্মীরের জটিল ইতিহাস কিছুই জানে না।
প্রত্যেকে নিজেদের ইন্টারেস্ট নিয়ে খেলে গেছে- কেউ কাশ্মীরের লোকেদের ইন্টারেস্ট নিয়ে চিন্তিত ছিল না কোন দিনই।
ভেবেদেখুন- এই কাশ্মীর সমস্যার "শুধু" ইতিহাস বুঝতে এত গুলো ইতিহাস এবং স্টেট-নন স্টেট এক্টর আপনাকে বুঝতে হবে
- নেহেরু- শেখ আবদুল্লা সম্পর্ক। এর পরে ইন্দিরা গান্ধী-শেখ আবদুল্লা, রাজীব গান্ধী ফারুক আবদুল্লা সম্পর্ক, চারটে কাশ্মীর-ভারত চুক্তি। প্রতিটাই আবদুল্লা ফ্যামিলির সাথে গান্ধী ফ্যামিলির চোর-পুলিশ খেলা।
- ঠান্ডা যুদ্ধ -যার জন্য বহুদিন বৃটিশ-আমেরিকান এক্সিস পাকিস্তানের পক্ষে থেকে কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে চাপ দিয়েছে। ৯/১১ এ নিজেরা ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের ধাক্কা খাওয়ার পর সেটা পাল্টায়
- পাকিস্তানের আই এস আই এবং মিলিটারির অপারেশন টপাক। অপারেশন টপাক ছিল কাস্মীরে সন্ত্রাসবাদি পুশ করা।
- পাকিস্তানি মিলিটারি- সিভিলিয়ান সরকারের কনফ্লিক্ট
- বাংলাদেশের জন্ম
-খালিস্তানের জন্ম
- সোভীয়েত পতনের পর আল কায়দা, তালিবানের জন্ম এবং গোটা বিশ্বের ইসলামিক মিলিটান্সির সাথে কাশ্মীরের মিলিটান্সির যোগাযোগ
- চীন এবং পাকিস্তান সম্পর্ক । লাদাখের প্রতি চীনের দৃষ্টি।
- সোভিয়েত ইউনিয়ানের পতনের পর সেন্ট্রাল এশিয়াতে আজারবাইজান, উজবেকিস্তানে ইসলামিক রাজনৈতিক শক্তির উত্থান
- ইউ এন এবং ডিক্সন প্ল্যান। রিজোলিউশন ৩৭, ৪৬। যাতে ভারত বা পাকিস্তান কেউ রাজী হয় নি।
- পাঞ্জাবে খালিস্তানি মিলিটান্সি এবং আন্তর্জাতিক খালিস্থানি মুভমেন্টের সাথে কাশ্মীরি মিলিটান্সির সম্পর্ক।
- ভারতের হিন্দু জাতিয়তাবাদি মুভমেন্টের সাথে কাশ্মীরি পন্ডিত এবং জম্মুর হিন্দুদের ( যা আগে প্রজাপরিষদ বলে একটি রাজনৈতিক পার্টির হিসসা ছিল ) সম্পর্ক
- কাশ্মীর ভ্যালির হিন্দু পন্ডিত রিফিউজি এবং জম্মুর মুসলিম রিফিউজি
মোদ্দা কথা " কাশ্মীর" বিশ্বরাজনীতির বোরে- যেখানে সেই রাজ্যের লোকেরা "কোল্যাটেলার" ড্যামেজ।
রাজনৈতিক ইতিহাসের একটাই শিক্ষা। যেখানে এত স্টেট এবং নন স্টেট এক্টর জড়িত-যেখানে শান্তি এবং স্থিরতা আনতে, রাজনীতির একটা পরিস্কার রূপরেখা থাকা উচিত। ওই কোন একদিন কাশ্মীরে গণভোট হবে- তারা ভারতের অধীনে আছে সাময়িক ভাবে কারন আর্টিকল ৩৭০। এই ধরনের ধোঁয়াশা থাকাই উচিত না। পরিস্কার ভাবে বলা উচিত, এটা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিটা কাশ্মীরী ভারতের নাগরিক- ভারতের ভাল খারাপের হিস্যা। এই পরিস্কার রাজনৈতিক চিন্তা এবং সেটা যদি ভারত বিশ্বকে না জানাতে পারে বাকী স্টেট এক্টররা উৎসাহিত হচ্ছিল। সেটার জন্যই মোদি-শাহ জুটির এই ৩৭০ ডাইল্যুউশন অত্যন্ত দরকার ছিল।
আন্তর্জাতিকতা কি জিনিস? ওটাতে নেহেরু বিশ্বাসী ছিলেন নন-আলাইন মুভমেন্টের নেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। যার জন্য আজ এই কাশ্মীর সমস্যা।
চীন, রাশিয়া, আমেরিকা -কোন দিন আন্তর্জাতিক মতামতের তোয়াক্কা করে সিদ্ধান্ত নেয়? তারা নিজেদের দেশের স্বার্থ দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে।
No comments:
Post a Comment