Thursday, October 20, 2016

মমতার দ্বিতীয় টার্ম

কিছু কিছু বিপ্লব ঘটে নিঃশব্দে। যেমন এবারের রাজ্যসভা নির্বাচন। মমতার দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া, বাংলার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ন টার্নিং পয়েন্ট।  কারন এই নির্বাচনে, তৃনমূলের বিরুদ্ধে থাকা সব রাজনৈতিক বিরোধিতা কার্যত শেষ। সিপিএম সখ্যাত সলিলে । কংগ্রেস বহুদিন আগেও প্রান্তিক পার্টি ছিল-এখনো তাই। রাহুলের নেতৃত্বে বিশেষ কিছু হবার না-যদি না তারা প্রশান্ত কিশোরের মতন পেশাদার কাউকে নিয়ে আসে। কিন্ত সেখানেও গেরো-শোনা যাচ্ছে প্রশান্ত কিশোর দিদির জন্যই কাজ করতে বেশী আগ্রহী এবং দিদিও সেটাই চান! বাংলার বিজেপি একটা বিজে-মানে বিগ জোকস। লেট দেম বি!

  এই নিঃশব্দ বিপ্লব এই জন্যেই যে গত ছমাসে বাংলায় "রাজনৈতিক" ঘটনা, সংঘর্ষ বেশ কম। উস্কানিমূলক রায়োট লাগানোর চেষ্টা অব্যাহত। আমি জুলাই আগষ্টমাসে যখন কোলকাতায় ছিলাম এবং রাজারহাট, নিউটাউনে নতুন অফিস স্পেস খুঁজেছি-দেখলাম বহুপ্রজেক্ট দ্রুত গতিতে শেষ করার দিকে প্রমোটাররা অর্থাৎ তারা ধরেই নিয়েছেন কোলকাতায় এবার বহু কোম্পানী আসবে। পশ্চিম বঙ্গে গত চল্লিশ বছরে অনেক শিল্পগোষ্টিই কোন ম্যানুফাকচারিং বাড়ান নি। কারন রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ অনূকূলে ছিল না। এখন তাদের অনেকেই বাংলায় এক্সপ্যানশনে আগ্রহী। কারন ম্যানপাওয়ার এখানে এখনো সস্তা।  পশ্চিম বঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন অন্য যেকোন রাজ্যের থেকে অনেক বেশী স্থিতিশীল।  বিদ্যুৎ পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত। অনেকগুলো ওভার ব্রিজ হওয়াতে ট্রাফিকেও গতি বেশী।  তুলনামূলক ভাবে ব্যাঙ্গালোর শহরের অবস্থা দিনে দিনে আরো খারাপ হয়েছে।  ভারতের বন্ধ ক্যাপিটাল এখন ব্যাঙ্গালোর। কোলকাতা ভারত বন্ধের দিনেও বিন্দাস খোলা ছিল।

রাজনৈতিক সদিচ্ছা একটা রাজ্যকে বদলে দিতে পারে। আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে তামিলরা যেভাবে তামিল জাতিয়তাবাদি আন্দোলনের মাধ্যমে তামিলনাডুর প্রভূত উন্নতি করেছে, মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে বাঙালী জাতিয়তাবাদের উত্থানের মাধ্যমে বাংলাও সেই দিকে এগোচ্ছে।  বাঙালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী যারা না-যথা সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি-দিল্লীমুখী সব পার্টিকেই বাংলার লোকজন প্রত্যাখান করছে। এটা বহুদিন আগেই হওয়া দরকার ছিল।

  এর মধ্যেও চোরাগোপ্তা সাম্প্রদায়িক শ্রোত আছে-উস্কানি আছে উগ্র উর্দুভাষী মুসলমান এবং উত্তরভারত থেকে আগত হিন্দুদের কাছ থেকে।  এরাই দাঙ্গা বাধায়। দরকার হলে এদেরকে পার্শেল করে বিহারে পাঠানো হোক।



No comments: