আম আদমি পার্টির এই উত্থানের দিনে ১৯৭৭-৮০ সালের সিপিএমের উত্থান এবং গনজাগরণের কথা মনে পড়েছে। কিসব ছিল সেই দিনগুলো। আজ যেমন সবাই ভাবছে আআপ ভারতের বুকে অন্যরাজনীতির সূচনা দেবে, তাদের নেতারা থাকবে কুঁড়ে ঘরে, সর্বত্যাগী-ইত্যাদি ইত্যাদি সব আশা নিয়ে বসে ছিল পশ্চিম বঙ্গের মানুষও। আমরা বাড়ি ঘর পাড়ায় শুনতাম গণতান্ত্রিক বিপ্লবের কথা। সিপিএম নতুন দিনের সূচনা দেবে খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য। আজ আপকে নিয়ে যেমন প্রবল আবেগ সাধারন মানুষের-সেই দিন সিপিএমকে নিয়ে, জ্যোতি বসুকে নিয়েও ছিল সেই প্রবল প্রত্যাশা। কমিনিউস্টদের জীবনধারা ছিল আপের থেকেও সাধারন। বাই দি ওয়ে, সিপিএম এবং আআপের ম্যানিফেস্টোর মধ্যে খুব বেশী পার্থক্য নেই আজও। সাধারন জনতার হাতে ক্ষমতা দেওয়ার প্রক্রিয়াটা সিপিএমই শুরু করে-যদিও সেই সাধারন মানুষগুলিই ক্রমশ শাসক এবং শোষক গোষ্ঠির সহায়ক হয়ে ওঠে ক্রমশ।
তারপর সিপিএমের কি হয়েছে, কেন তারা আজ ইতিহাসের পথে আমরা সবাই জানি। সিপিএমের কেও না মানলেও বাস্তব হচ্ছে এই সিপিএম এই সমাজ এবং রাষ্ট্রকে কোন উন্নততর উৎপাদন ধারার জন্ম দিতে পারে নি। কৃষিতে অপারেশন বর্গার জন্য প্রথম দশ বছর কিছু উন্নত উৎপাদন এসেছে-কিন্ত শিল্পে পশ্চিম বঙ্গ ডুবেছে আরো বেশী। দেশের সব থেকে বেশী শিক্ষিত বেকার পশ্চিম বঙ্গে। ১৯৭৭ সালে সে রাজ্যটা শিল্প উৎপাদনে ছিল ৪ নাম্বারে ( মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং তামিলনাডুর পরেই) , ১৯৯০ শেষ হতে না হতেই সেই রাজ্যের সাথে তুলনা শুরু হয় বিহারের!! প্রথমের দিকে সিপিএম অবশ্য চেষ্টা করেছে- তন্তুজ, বেনেফিস ইত্যাদি নানান স্টেট কোয়াপরেটিভের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্ত পার্টি এবং রাজনীতির চাপে আস্তে আস্তে এই সংস্থাগুলি অসুস্থ হয়ে ওঠে। কেরালাতে কমরেডরা অবশ্য কোয়াপরেটিভ আন্দোলনে অনেক বেশী সফল। কোয়াপরেটিভ আন্দোলনের ব্য্ররথতা সিপিএমকে বাধ্য করে ভারতের ধনী বণিক গোষ্ঠিগুলিকে পশ্চিম বঙ্গে শিল্প স্থাপনে ডাকতে। ফলে সিপিএমের সাথে ভারতের অন্যান্য বুর্জোয়া পার্টিগুলির পার্থক্য এখন আর নেই।
সিপিএমের ম্যানিফেস্টো এবং অসম্পূর্ন কাজ এখন আম আদমি পার্টির হাতে। কিন্ত আম আদমি পার্টির ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কোন নির্দিষ্ট দিশা নেই। সিপিএমের তাও কোয়াপরেটিভের একটা দিশা ছিল বিকল্প উৎপাদন ব্যবস্থা হিসাবে। উৎপাদন ব্যবস্থার যদি পরিবর্তন না হয়, আম আদমি পার্টি খুব বড়জোর আমেরিকার ডেমোক্রাটির পার্টির মতন সেন্টার-লেফট পার্টি বা ভারতের কংগ্রেস মাইনাস গান্ধী পার্টির মতন আরেকটা পার্টি হবে। যাতে ভারতের কোন মৌলিক পরিবর্তন আশা সম্ভব নয়। মৌলিক পরিবর্তন আসে যদি উৎপাদন কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন হয়।
তবুও যদি আম আদমি পার্টি ভারতের রাজনীতির সংস্কার সাধন করে পার্টি প্রাইমারি চালু করার প্রথা শুরু করে, ভারত আরো ভাল গণতন্ত্র পেতে পারে.
তারপর সিপিএমের কি হয়েছে, কেন তারা আজ ইতিহাসের পথে আমরা সবাই জানি। সিপিএমের কেও না মানলেও বাস্তব হচ্ছে এই সিপিএম এই সমাজ এবং রাষ্ট্রকে কোন উন্নততর উৎপাদন ধারার জন্ম দিতে পারে নি। কৃষিতে অপারেশন বর্গার জন্য প্রথম দশ বছর কিছু উন্নত উৎপাদন এসেছে-কিন্ত শিল্পে পশ্চিম বঙ্গ ডুবেছে আরো বেশী। দেশের সব থেকে বেশী শিক্ষিত বেকার পশ্চিম বঙ্গে। ১৯৭৭ সালে সে রাজ্যটা শিল্প উৎপাদনে ছিল ৪ নাম্বারে ( মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং তামিলনাডুর পরেই) , ১৯৯০ শেষ হতে না হতেই সেই রাজ্যের সাথে তুলনা শুরু হয় বিহারের!! প্রথমের দিকে সিপিএম অবশ্য চেষ্টা করেছে- তন্তুজ, বেনেফিস ইত্যাদি নানান স্টেট কোয়াপরেটিভের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্ত পার্টি এবং রাজনীতির চাপে আস্তে আস্তে এই সংস্থাগুলি অসুস্থ হয়ে ওঠে। কেরালাতে কমরেডরা অবশ্য কোয়াপরেটিভ আন্দোলনে অনেক বেশী সফল। কোয়াপরেটিভ আন্দোলনের ব্য্ররথতা সিপিএমকে বাধ্য করে ভারতের ধনী বণিক গোষ্ঠিগুলিকে পশ্চিম বঙ্গে শিল্প স্থাপনে ডাকতে। ফলে সিপিএমের সাথে ভারতের অন্যান্য বুর্জোয়া পার্টিগুলির পার্থক্য এখন আর নেই।
সিপিএমের ম্যানিফেস্টো এবং অসম্পূর্ন কাজ এখন আম আদমি পার্টির হাতে। কিন্ত আম আদমি পার্টির ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কোন নির্দিষ্ট দিশা নেই। সিপিএমের তাও কোয়াপরেটিভের একটা দিশা ছিল বিকল্প উৎপাদন ব্যবস্থা হিসাবে। উৎপাদন ব্যবস্থার যদি পরিবর্তন না হয়, আম আদমি পার্টি খুব বড়জোর আমেরিকার ডেমোক্রাটির পার্টির মতন সেন্টার-লেফট পার্টি বা ভারতের কংগ্রেস মাইনাস গান্ধী পার্টির মতন আরেকটা পার্টি হবে। যাতে ভারতের কোন মৌলিক পরিবর্তন আশা সম্ভব নয়। মৌলিক পরিবর্তন আসে যদি উৎপাদন কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন হয়।
তবুও যদি আম আদমি পার্টি ভারতের রাজনীতির সংস্কার সাধন করে পার্টি প্রাইমারি চালু করার প্রথা শুরু করে, ভারত আরো ভাল গণতন্ত্র পেতে পারে.
No comments:
Post a Comment