বাবা সাহেব আম্বেদকর। ভারতীয় সংবিধানের স্রষ্টা। নেহেরু, নেতাজি, গান্ধীর পাশে তিনি ছিলেন। বইএর পাতায়। জানার চেষ্টা করেছি নেহেরু, গান্ধী, নেতাজিকে। বাবা সাহেব সম্মন্ধে কনামাত্র উৎসাহও আমার ছিল না। শুধু মনে হত এই লোকটাই সংরক্ষণের ঘোটলাটা পাকিয়েছে। সংরক্ষন হওয়া উচিত ছিল গরীব এবং গ্রামাঞ্ছলের ছেলে মেয়েদের জন্য।
গত কয়েকদিন আম্বেদকরের কিছু লেখা পড়ে বুঝলাম সংরক্ষনের ব্যাপারে আমার অবস্থান তার থেকে আলাদা কিছু ছিল না। সব থেকে বড় কথা রাষ্ট্রনীতি এবং সমাজ দর্শনে তার চিন্তাধারা নেতাজি, নেহেরু বা গান্ধীর থেকে অনেক বেশী আধুনিক এবং এগিয়েই ছিল। মোদ্দা কথা আম্বেদকর সম্মন্ধে ভাল করে না পড়াশোনা না করে, একটা মহা ভুল করেছি। সেটা হচ্ছে আজকে ভারতে যে সব আপাত বৈপীরত্য এবং সাংবিধানিক সমস্যাগুলো দেখা যাচ্ছে, সেটা তিনি সংবিধানটা নামিয়ে সেই ১৯৫১ সালেই ভবিষয়তবাণী করে গিয়েছিলেন।
যেমন সংবিধানটা নামিয়েই উনি কোটি টাকার একটা উক্তি করেছিলেন-সেটা হচ্ছে ১৯৫১ সাল থেকে দুটো ভারতের অস্তিত্ব থাকবে। একটা সাংবিধানিক ভারত-যা মানুষের সমানাধিকার এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা দান করে। আরেকটা হচ্ছে ধর্মীয় সামন্ততান্ত্রিক ভারত-যার অবস্থান ভারতের সংবিধানের বিপরীতে। তিনি এটাও বলেছিলেন, এই ভয়ংকর স্ববিরোধিতা, জাতি বা দেশ হিসাবে ভারতের উত্থানের পথের সব থেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
সব থেকে বড় কথা, ধর্মের বিরুদ্ধে উনার অবস্থান নেতাজি, নেহেরু বা গান্ধীর থেকে অনেক বেশী স্বচ্ছ ছিল। বাবাসাহেব বলেছিলেন, ভারতের সংবিধানের সার্বভোমত্ব রক্ষা করতে গেলে, ধর্মের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুন্ন করত হবেই। কারন ভারতের সংবিধান আধুনিক-ধর্মীয় সংবিধান মধ্যযুগীয়। ধর্ম ভাল, ধর্মর স্বার্থ রক্ষা করতে হবে আবার ভারতের সংবিধানকে রক্ষা করে হবে-এই দুটো একসাথে হবে না তা বাবা সাহেব অনেকদিন আগেই বলে গেছেন।
নেহেরু বাবা সাহেবের সর্তকতা স্বত্ত্বেও মুসলিমদের জন্য শরিয়া আইনের বন্দোবস্ত করেন। মুসলমানদের শরিয়া আইন অবশ্যই ভারতের সংবিধান এর স্পিরিটের বিরোধি কারন এই আইনে মুসলিম মেয়েদের দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক করে রাখে। যা অবশ্যই সংবিধান বিরোধি।
বাবা সাহেব সংবিধানে এক আধুনিক ভারত চেয়েছিলেন, যা ধর্মের ওপরে উঠে একটি আধুনি জাতির প্রতিষ্ঠা করবে। উনি খুব পরিস্কার ভাবে বলেছিলেন, ভারতে যদ্দিন ধর্মের দৌরাত্ব থাকবে, তা ভারতীয় জাতিয়তাবাদের বিরোধি সত্ত্বা হিসাবে কাজ করবে।
বাংলাদেশ ও বাবাসাহেবের লেখা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। ধর্ম এবং আধুনিক সংবিধান একটা রাষ্ট্রএ একসাথে চলতে পারে না। এই ধরনের গোঁজামিল রাষ্ট্র একটি অস্থির ব্যর্থ রাষ্ট্রর জন্ম দেবে। এটাও উনার কথা। আমি সম্পূর্ন একমত। এই জন্যেই উনি নেহেরু, নেতাজি বা গান্ধীর থেকে অনেক এগিয়ে-কারন এরা ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে পৃথক করতে পারেন নি। গান্ধী ধর্ম ছারা রাষ্ট্র ভাবতেই পারতেন না। নেতাজি মনে করতেন ধর্মের সাথে আধুনিক ভারতের বিরোধ নেই-শুধু ধর্মটা আধ্যাত্মিক গন্ডীতেই আটকে রাখলেই হল। নেহেরু অবশ্যই আধুনিক চিন্তানায়ক-কিন্ত ভোটের বাজারে ক্ষমতার লোভে মুসলমান মেয়েদের সর্বনাশটা উনিই করেছেন শরিয়াকে বৈধ করে। এখানে বাবা সাহেবে বক্তব্য বেশ পরিস্কার- হিন্দু ধর্ম ঠিক, ইসলাম ঠিক আবার ভারতীয় সংবিধানও ঠিক এই গোঁজামিল বেশীদিন চলতে পারে না।
গত কয়েকদিন আম্বেদকরের কিছু লেখা পড়ে বুঝলাম সংরক্ষনের ব্যাপারে আমার অবস্থান তার থেকে আলাদা কিছু ছিল না। সব থেকে বড় কথা রাষ্ট্রনীতি এবং সমাজ দর্শনে তার চিন্তাধারা নেতাজি, নেহেরু বা গান্ধীর থেকে অনেক বেশী আধুনিক এবং এগিয়েই ছিল। মোদ্দা কথা আম্বেদকর সম্মন্ধে ভাল করে না পড়াশোনা না করে, একটা মহা ভুল করেছি। সেটা হচ্ছে আজকে ভারতে যে সব আপাত বৈপীরত্য এবং সাংবিধানিক সমস্যাগুলো দেখা যাচ্ছে, সেটা তিনি সংবিধানটা নামিয়ে সেই ১৯৫১ সালেই ভবিষয়তবাণী করে গিয়েছিলেন।
যেমন সংবিধানটা নামিয়েই উনি কোটি টাকার একটা উক্তি করেছিলেন-সেটা হচ্ছে ১৯৫১ সাল থেকে দুটো ভারতের অস্তিত্ব থাকবে। একটা সাংবিধানিক ভারত-যা মানুষের সমানাধিকার এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা দান করে। আরেকটা হচ্ছে ধর্মীয় সামন্ততান্ত্রিক ভারত-যার অবস্থান ভারতের সংবিধানের বিপরীতে। তিনি এটাও বলেছিলেন, এই ভয়ংকর স্ববিরোধিতা, জাতি বা দেশ হিসাবে ভারতের উত্থানের পথের সব থেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
সব থেকে বড় কথা, ধর্মের বিরুদ্ধে উনার অবস্থান নেতাজি, নেহেরু বা গান্ধীর থেকে অনেক বেশী স্বচ্ছ ছিল। বাবাসাহেব বলেছিলেন, ভারতের সংবিধানের সার্বভোমত্ব রক্ষা করতে গেলে, ধর্মের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুন্ন করত হবেই। কারন ভারতের সংবিধান আধুনিক-ধর্মীয় সংবিধান মধ্যযুগীয়। ধর্ম ভাল, ধর্মর স্বার্থ রক্ষা করতে হবে আবার ভারতের সংবিধানকে রক্ষা করে হবে-এই দুটো একসাথে হবে না তা বাবা সাহেব অনেকদিন আগেই বলে গেছেন।
নেহেরু বাবা সাহেবের সর্তকতা স্বত্ত্বেও মুসলিমদের জন্য শরিয়া আইনের বন্দোবস্ত করেন। মুসলমানদের শরিয়া আইন অবশ্যই ভারতের সংবিধান এর স্পিরিটের বিরোধি কারন এই আইনে মুসলিম মেয়েদের দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক করে রাখে। যা অবশ্যই সংবিধান বিরোধি।
বাবা সাহেব সংবিধানে এক আধুনিক ভারত চেয়েছিলেন, যা ধর্মের ওপরে উঠে একটি আধুনি জাতির প্রতিষ্ঠা করবে। উনি খুব পরিস্কার ভাবে বলেছিলেন, ভারতে যদ্দিন ধর্মের দৌরাত্ব থাকবে, তা ভারতীয় জাতিয়তাবাদের বিরোধি সত্ত্বা হিসাবে কাজ করবে।
বাংলাদেশ ও বাবাসাহেবের লেখা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। ধর্ম এবং আধুনিক সংবিধান একটা রাষ্ট্রএ একসাথে চলতে পারে না। এই ধরনের গোঁজামিল রাষ্ট্র একটি অস্থির ব্যর্থ রাষ্ট্রর জন্ম দেবে। এটাও উনার কথা। আমি সম্পূর্ন একমত। এই জন্যেই উনি নেহেরু, নেতাজি বা গান্ধীর থেকে অনেক এগিয়ে-কারন এরা ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে পৃথক করতে পারেন নি। গান্ধী ধর্ম ছারা রাষ্ট্র ভাবতেই পারতেন না। নেতাজি মনে করতেন ধর্মের সাথে আধুনিক ভারতের বিরোধ নেই-শুধু ধর্মটা আধ্যাত্মিক গন্ডীতেই আটকে রাখলেই হল। নেহেরু অবশ্যই আধুনিক চিন্তানায়ক-কিন্ত ভোটের বাজারে ক্ষমতার লোভে মুসলমান মেয়েদের সর্বনাশটা উনিই করেছেন শরিয়াকে বৈধ করে। এখানে বাবা সাহেবে বক্তব্য বেশ পরিস্কার- হিন্দু ধর্ম ঠিক, ইসলাম ঠিক আবার ভারতীয় সংবিধানও ঠিক এই গোঁজামিল বেশীদিন চলতে পারে না।