বাঙালী আত্মঘাতি কালিদাস বলিয়া ইতিহাসে সমাদৃত। মহাভারত হইতে লর্ড ক্লাইভ-বাঙালী জাতির গুণগান করিয়াছে-ক্লাইভ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বোর্ডে লিখিয়াছিলেন বাঙালীর ন্যায় পরশ্রীকাতর জাতি তিনি দুনিয়াতে দেখেন নাই। তাই ইহাদের মধ্যে বিবাদ ঘটাইয়া, মুর্শিদাবাদের মসনদ তিনি অচিরেই দখল করিবেন। ক্লাইভ বুঝিয়াছিলেন বাঙালী সেই জাতি যাহারা নিজেদের বাগানের কলা লইয়া ঝগড়া করিতে বেশী পছন্দ করে। হনুমান আসিয়া কলা খাইয়া গেলেও বাঙালী প্রতিবেশীর সহিত ঝগড়া করিবে-হনুমান তাড়াইবে না।
ক্লাইভের দিন অতীত হইয়াছে-সিরাজদৌল্লা, মিরজাফরদের দল ইতিহাস হইয়াছে-কিন্ত বাঙালী জীবন্ত ফসিল হইয়া আজও বাঁচিয়া আছে। সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে প্রথমে বিনিয়োগের বিরুদ্ধে আগুন জ্বলিল-মমতার দল ইহাতে ঘি ঢালিলেন। টাটা সেলিমের দল পালাইল। বাম বাঙালী উচ্ছ্বাসিত হইল-এবং খেত মজুর পিতা কাজ না পাইয়া তাহার কন্যাকে মুম্বাই পাঠাইতে থাকিলেন। জনগণের অধিকার রক্ষা হইয়াছে ইহা আহ্লাদের কথা-গর্বের কথা-কিন্ত শিল্পস্থাপন না হইলে ঘণবসতিপূর্ন বাংলাতে লোকেরা খাইবে কি? সিঙ্গুরে জমি গ্রহণ প্রক্রিয়া ঠিক হয় নাই-ইহা সত্য। কৃষক জমি দিতে বাধ্য নহে। ইহাও মানিতে হইবে। কিন্ত তাহা হইলে, জমি গ্রহনের জন্যে একটি সর্বজনগ্রাহ্য সর্বদলীয় ফর্মূলা নির্নিত হৌক?
তাহাতে কাহারও উৎসাহ নেই। উৎসাহ শুধু, কাঠি করিতে।
টাটা সেলিম পালাইয়াছে, তাহাতে কিছু ক্ষতি হইলেও তৃণমুল এবং কংগ্রেসের লোকসভা বিজয়, বাংলার সামনে আবার সুযোগ আনিয়াছিল। এবার মমতার রেল প্রকল্পে কাঠি করিতে বুদ্ধ মাঠে নামিলেন।
বাস্তবে অবস্থা দাঁড়াইল এই- বাংলার রাজনীতি দুই নেংটি পাগলের লড়াই এ পর্যবাসিত হইতেছে। দুই পাগল নেংটি পড়িয়া নাচিতেছে-আর একজন অন্যজনের নেংটি ধরিয়া টানিয়া বলিতেছে-তোকে ন্যাংটো করিয়া ছাড়িব।
No comments:
Post a Comment