দুহাজার এগারোর নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রক্তসিক্ত হচ্ছে বাংলার মাটি। শাসন থেকে সল্টলেকে লাশ পড়া অব্যাহত। এসব কোন ঘটনাই অপ্রত্যাশিত না। সিপিএম হারার আগে মরন কামড় দেবে-সেটা সবাই ধরেই নিয়েছে। শুধু একটাই পার্থনা, যাতে লাশ কম পড়ে! যদি সত্যই হিংসা এই ভাবে বাড়তে থাকে-তাহলে প্রেসিডেন্ট রুল বাংলাতে জারি করা শ্রেয়। কারন আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারে পুলিশের ওপর বুদ্ধদেবের আর কোন নিয়ন্ত্রন নেই-সেটা এখন প্রকাশ্য। ফলে সামনের এই কটা মাস, গুন্ডা বদমাইশদের জন্যে বরাদ্দ। তাদের বাজারদর বাড়বে। জনসাধারনের ভাগ্যে কি আছে কে জানে।
যারা এত দিন রাজ্যসরকার নামক সাদা গাভীটির দুধ দুইয়ে বেঁচে আছে, তারা ক্ষমতা থেকে এত সহজ এ যাবে না। কিন্ত তার জন্যে গ্রামে গ্রামে অস্ত্রাগার গড়তে হবে-এধরনের তৃণমুলী নীতিও ঠিক না। বরং তারা চেষ্টা করুক প্রেসিডেন্ট শাসন জারি করে, পশ্চিম বঙ্গের গ্রামে গ্রামে তল্লাশি করে সব অস্ত্র উদ্ধার করা হৌক। আইন শৃঙ্খলার এই পরিস্থিতিতে সিপিএমকে আর রাজ্য চালাতে দিলে, গোটা পশ্চিম বঙ্গেই গৃহযুদ্ধ লাগবে। চিদাম্বরম এখন কার কথা শুনবেন-এসব নিয়ে ভাবা অবান্তর। সিপিমের ভোট কংগ্রেসের ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে-এই ধারনা বর্জন করা উচিত। এই মুহুর্তে কাল বিলম্ব না করে-প্রেসিডেন্ট শাসন পশ্চিম বঙ্গে চালু হোক-এবং তার সাথে সাথে সব অস্ত্র উদ্ধার করা হোক। তারপর দুমাসের মধ্যে ভোট হলেই সব স্থিতু হবে।
No comments:
Post a Comment