প্রথমে মহিলা সংরক্ষণ বিল। তারপরে কর্পরেট দায়বদ্ধতার জন্যে কর্পরেট ম্যানেজমেন্টে শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব। এবং শেষে গতকাল কেন্দ্রীয় সরকার আরেকটি বিল আনতে চলেছেন-খনি এলাকাতে খনির মালিকদের লভ্যাংশের ২৬% স্থানীয় উন্নয়নে খরচ করতে হবে। প্রতিটি বিলের কারিগড়ই শ্রীমতি গান্ধী। এবং কোন সন্দেহ নেই তার সদিচ্ছার জন্যে বর্তমান ইউ পি এ সরকার কর্পরেট এবং ব্যাবসায়ীদের সামাজিক ভাবে আরো দায়বদ্ধ করতে চাইছে।
দুর্ভাগ্য এই যে, এই বিলগুলির পেছনে কর্পরেট সমর্থনের চেয়ে বিরোধিতা বেশী চোখে লাগছে। দুর্ভাগ্যজনক। কারন আমেরিকাতে সি ই ওরা সবাই স্বীকার করেন, কর্পরেট জগত সামাজিক দায়বদ্ধতা কাটিয়ে যেভাবে শেয়ার মার্কেটের নিকট নিজেদের গচ্ছিত রেখেছে-তাতে নাগরিক, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি আসন্ন। ধণতন্ত্রের পীঠস্থানে আমেরিকান কর্পরেট রথী মহারথীরা যখন, এই দায়বদ্ধতা মেনে নিচ্ছেন- তখন ভারতীয় ব্যাবসায়ী সমাজ, এটা মানতে পারছে না। কারন যুগ যুগ ব্যাপী সামন্ততান্ত্রিক মনোভাব। তারা বোর্ড অব গর্ভনর্সে শ্রমিকদের প্রতিনিধিকে মানতে চাইছে না। কারন সেক্ষেত্রে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শঠতা করতে অসুবিধা।
সব থেকে বড় কথা এসব নিয়ে আলোচনা বা বিতর্ক মিডিয়াতেও খুব বেশী খবর চোখে পড়ে না। কারন মিডিয়াও ত সেই কর্পরেটদের অনেক চাকার সব থেকে বড় চাকা। আর যাদের এই ব্যাপারে সব থেকে বেশী কংগ্রেসকে সমর্থন করা দরকার-এবং মিডিয়া ও জনগনকে এই ব্যাপারে সচেতন করা দরকার-সেই সাবেকি বামপন্থীরা ভোটপন্থী রাজনীতির সার্কাসে আজ জয়ললিতা কাল মায়াবতীর খাটে ঘুর ঘুর করছে। আমাদের বৃহত্তম বামপন্থী দল সিপিএমের নেতাদের উৎসাহ শুধু নিজেদের ছেলে মেয়েদের চাকরি এবং সুবিধা নিয়ে। আর মাঝে মধ্যে মমতাকে দুপ্রস্থ গালাগাল দেওয়া। এই হচ্ছে আমাদের বৃহত্তম বামপন্থী দলের বামপন্থা। সেখানে সোনিয়া গান্ধী অত্যন্ত দৃঢ় ভাবেই সমাজ এবং রাষ্ট্রের স্বার্থে প্রগতিশীল আইনগুলি
প্রণয়ন করছেন। তার চিন্তা এবং নেতৃত্বে আমরা গভীর পরিণতি ছাপ লক্ষ্য করছি। এই ব্যালান্সটা ভারতে অন্যান্য দলগুলির মধ্যে নেই।
No comments:
Post a Comment