কিন্ত যেভাবে হিংসাতে সারা পশ্চিম বঙ্গ উত্তাল, তাতে চুপ করে থাকা গেল না।
রাজনৈতিক পরিবর্তন এলে কিছু লাশ পড়বে-এসব বিপ্লবী বিশ্বাস। পরিতক্ত্য ধারনা। উন্নত বিশ্বে রাজনীতির জন্যে এই ভাবে মানুষ খুন হয় না।
রাজনৈতিক খুন এবং হিংসার পেছনে কারন গুলো নিম্নরুপঃ
(১)
নিউ ম্যালথেসিয়ান তত্ত্ব ঃ
জমি কম, লোক বেশী। সীমিত সম্পদ নিয়ে পশুর মতন খেওখেয়ি। তৃতীয় বিশ্বে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে যত কাজ দেখেছি, তাতে এই নিউ ম্যালথেসিয়ান তত্ত্বটা বার বার এসেছে। কেও কি অস্বীকার করতে পারে কেশপুর থেকে নন্দীগ্রাম থেকে সিঙ্গুরে, এই সীমিত সম্পদ নিয়ে মারামারি করার ভূমিকা? ১৯৭৭ সালে এক একর জমির ওপর কজন জীবিকা নির্বাহ করত? এখন কজন করে?
জন সংখ্যা চীনের মতন কড়া হাতে নিয়ন্ত্রন করতেই হবে।
(২)
গণতন্ত্রের অভাবঃ
নানান লেভেলে। সব লেভেলেই ব্যাবসায়ীরা কব্জা করতে চাইছে গন-নিয়ন্ত্রন ব্যাবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ। প্রতিটা রাজনীতিবিদই এখন ব্যাবসায়ীদের
বোরে মাত্র। গণতন্ত্রের এই ব্যাবসা বন্ধ করতে দরকার রাজনৈতিক সংস্কার। সিপিএম বাস্তঘুঘু জন্মের পেছনে, এটাই কারন। যা কংগ্রেসের ও বহুদিনের রোগ
(৩)
সমাজ জীবনের ওপর সরকারী নির্ভরতা বড্ড বেশী। যার জন্যে যে ভোটে জিতবে, তার সামনে অসংখ্য ব্যাবসা। এটা বন্ধ করতে হবে।
সরকারী সব ডিপার্টমেন্ট গুলো মন্ত্রীদের হাতে না থেকে বিধান সভার একটা কমিটির হাতে থাক যাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং কিছু গুনী ব্যাক্তি থাকুন। ঘুঘু এত খাবার পেলে, অনেক ডিম ত পাড়বেই। আর সীমিত সম্পদ থাকলে খেয়োখেয়িও শুরু হবে
(৪)
পুলিশ যেন কোন মন্ত্রীর হাতে না থাকে। এতে পুলিশ একটা রাজনৈতিক দলের সেবাদাসের পরিনত হচ্ছে।ফলে লোকে পুলিশের ওপর ভরসা হারিয়ে নিজেরাই অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। পুলিশ থাকুক বিচারপতি এবং বিধান সভার কোন কমিটির হাতে।
******************
সমস্যা অনেক। সমাধান চাই।
সমস্যা একটাই-সেটা হচ্ছে রাজনীতির ব্যাবসা। এটাকে বন্ধ না করলে, আরো লাশে লাল হবে এই বঙ্গের মাটি।
No comments:
Post a Comment