Monday, July 20, 2009

সমকামিতা কি জ়ৈবিক দিয়ে স্বাভাবিক ?

যৌনতার প্রশ্নে কি স্বাভাবিক আর কি অস্বাভাবিক তার বিচার খুব কঠিন। যেমন বালকদের মধ্যে তাদের থেকে অনেক বেশী বয়সের মহিলাদের প্রতি যৌন আকর্ষন দেখা যায়। যা অসামাজিক মনে হলেও জৈবিক দিয়ে স্বাভাবিক।

সমকামি বিবাহ এবং সমকামীতাকে আইন সিদ্ধ করতে আগের দুই দশক ঘোরতর আন্দোলন হয়েছে। এবং এই বিতর্কে একটি ভরকেন্দ্র হচ্ছে সমকামিতা প্রকৃতিসিদ্ধ না প্রকৃতিবিরুদ্ধে? নাকি পরিবেশ জনিত শুধু একটি বিশেষ মানসিক গঠন? অর্থাৎ সমকামীদের মস্তিস্ক বা দেহের গঠন বা জেনেটিক্সে এমন কিছু আছে যার জন্যে তারা সমকামী? এটি যদি হয়ে থাকে তাহলে সমকামিতার আইগত অধিকার পাওয়া সহজ হয়। যদি না হয়, তাহলে প্রমানিত হবে, সমকামী লোকেদের স্বাভাবিক যৌন জীবনে ফেরানো সম্ভব।

এটি বিলিয়ান ডলারের প্রশ্ন। এই নিয়ে গত দুই দশকে বহু গবেষনা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এই সাবজেক্ট নিয়ে লেখার সব থেকে বড় অসুবিধা হচ্ছে এই লাইনের অধিকাংশ গবেষনাই এক দশকের বেশী টেকে নি। পরবর্ত্তীতে দেখা গেছে সেই রেজাল্ট ভুল ছিল বা পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল গবেষনায়। সুতরাং কোথাও কোন জার্নালে পেপার ছাপিয়েছে মানেই সেটা ফ্যাক্ট এবং ট্রুথ-ধ্রুব সত্য-এমন না ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই ব্যাপারে ২০০৮ এর কাজ ২০০৯ সালে ভুল প্রমানিত হয়েছে এমনও আছে। পদ্ধতিগত সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে বিশুদ্ধ গে বা লেসবিয়ান পাওয়া। বিশেষত নারী সমকামীদের প্রায় সবাই উভকামী বা বাই-সেক্সুয়াল[১]। তাই সাবধানে আমরা দেখব আদৌ এই ব্যাপারে আমরা নির্দিষ্ট করে কিছু জানতে পেরেছি কি না। এই ব্যাপারে জেনেটিক্স, ফর্মোন, জমজ বালক-বালিকা , হমোসেক্সুয়ালদের মাতৃকূল নিয়ে গবেষনা, মস্তিস্কের গঠন-এবং আরো অনেক কিছু নিয়েই গবেষনা হয়েছে। এই প্রবন্ধে সব কিছু লেখা সম্ভব না। আমি একটি ওভারভিউ দেবার চেষ্টা করব মাত্র।

  • ফর্মোনঃ সুইডেনে এ ব্যাপারে সব থেকে বিখ্যাত নাম ডঃইভাঙ্কা স্যাভিক। ডঃ স্যাভিকের কাজ সমকামী আন্দোলনকারীরা খুব ব্যবহার করে থাকেন। সুতরাং সত্যটা জানা উচিত। ডঃ স্যাভিক ছেলেদের ঘাম আর মেয়েদের প্রশ্বাব থেকে এক জ়াতীয় জৈব আবিস্কার করেন। হর্মোনের নির্জাস এই জৈবকে উনি ফর্মোন বলছেন। দেখা গেছে গে এবং নারীরা পুরুষ ফর্মোনে একই ভাবে আকৃষ্ট হয়। এর থেকে উনি সিদ্ধান্তে আসেন সমকামিতা 'অর্জিত ব্যাবহার' নয়-তার জৈবিক ভিত্তি আছে [২]।
    এর পরে ডঃ ওয়ারেন থ্রম্পটন প্রশ্ন তোলেন কিভাবে এই পরীক্ষা থেকে সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব যে ফর্মন সিলেকশনের পেছনে অর্জিত জ্ঞান বা ব্যাবহারের ভিত্তি নেই? জন্মের থেকেই গে দের ওই ফর্মোনই পছন্দ ছিল? এই ব্যাপারে ডঃস্যাভিকও স্বীকার করেন-গে দের নারীরদের মতন ফর্মন প্রীতি জন্মগত না অর্জিত কিছুই বলা সম্ভব না। ফলে এতদ্বারা প্রমান হইল সমকামী ব্যাবহারের পেছনে জৈবিক ভিত্তি আছে-এমন সিদ্ধান্ত ডঃ স্যাভিকের কোন গবেষনা থেকেই আসা যায় না-এবং ডঃ স্যাভিক তা নিজে বারন করছেন! [৩] **********************
    Dr. Savic:
    The Associated Press story came out today about your study and I think they have reported it incorrectly.

    First I am wondering if you can help me understand things more clearly. I am enclosing a link to the AP report: http://www.forbes.com/entrepreneurs/feeds/ap/2006/05/08/ap2729698.html

    First, in the report the reporter writes: "It's a finding that adds weight to the idea that homosexuality has a physical underpinning and is not learned behavior."

    THIS IS INCORRECT AND NOT STATED IN THE PAPER

    As I understand your article in PNAS, you specifically offer learning as a hypothesis for your findings. Isn't this true? I believe the reporter is misleading on that point.

    THIS IS VERY UNFORTUNATE; AND YOU ARE ABSOLUTELY RIGHT

    Second, the AP report says: "In lesbians, both male and female hormones were processed the same, in the basic odor processing circuits, Savic and her team reported." I understand that the study did show that AND (male condition) was processed akin to other odors by lesbians. But wasn't there also some hypothalamic processing of EST (female condition) by lesbians?

    YES! AND ALSO CONJUNCTIONAL ANALYSIS SHOWED A COMMON HYPOTHALAMIC CLUSTER IN THE HYPOTHALAMUS:

    It was weaker and apparently not in the anterior hypothalamus but didn't you also find dorsomedial and paraventricular hypothalamic activation? So it would be inaccurate, would it not, to say "both male and female hormones were processed the same?"

    YOU ARE FULLY CORRECT
    ্যাইহোক ফর্মনের সাথে সমকামীদের গঠন জ়ৈবিক কি না, তা নিয়ে কোন সম্পর্ক নেই। সেই রকম কিছু গবেষকরাও দাবী করেন নি।

  • গে জীনঃ জেনেটিক্সের সাথে সমকামিতার সম্পর্ক আরেক্ট ধোয়াশাপূর্ণ বিতর্ক। এই ব্যাপারে কোন প্রমানিত বৈজ্ঞানিক সত্য নেই। সবটাই হয় ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস বা হাইপোথিসিস। এই ব্যাপারে মূলত দুটী ব্যাপার নিয়ে গবেষনা হয়েছে ক) আইডেন্টিক্যাল টুইন খ) সমকামী পুরুষের মাতৃকূল নিয়ে। এই ব্যাপারে গে এবং লেসবিয়ানদের আলাদা করে নিয়ে গবেষনা করা হয়। কারন এই ধরনের এম্পিরিক্যাল স্ট্যাডি করে মেয়েদের মধ্যে কিছু পাওয়া যায় নি বা গেলেও সেহেতু মেয়েদের মধ্যে বাই সেক্সুয়ালের সংখ্যা অনেক বেশী নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। আইডেন্টিক্যাল টুইন এর ওপর গবেষনা নিয়ে কিছু আলোকপাত করা দরকার। এদের জেনেটিক গঠন একই রকম সুতরাং টুইনদের দুজনেই যদি গে হয়, তাহলে বোঝা যাবে হয় একই ধরনের জেনেটিক্স ফ্যাক্টর থেকে গে তৈরী হচ্ছে বা মাতৃজঠরে কোন পরিবর্তন থেকে এরা গে হচ্ছেন। এই ব্যাপারে সব থেকে বৃহত্তম স্যাম্পল নিয়ে কাজ হয়েছে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে-প্রায় ১৪০০০ আইডেন্টিক্যাল টুইন নিয়ে। দেখা গেছে এক ভাই গে হলে অন্যভাই এর গে হওয়ার সম্ভাবনা ৩৪%। লেসবিয়ানদের ক্ষেত্রে এটা ৩০%। অন্যান্য স্টাডিতেও এর কাছাকাছি ফল পাওয়া গেছে [৪]। ১০০% বা তার ধারে কাছেও নেই এই সংখ্যা। তবুও ৩০% সংযোগ যথেষ্ঠ বেশী এবং ডঃ বেইলীর মত বিজ্ঞানীরা মনে করেন সেহেতু আইডেন্টিক্যাল টুইনরা একই ফ্যামিলি বা সমাজ বা যৌন পরিবেশে মানুষ হয়েছে, ৩০% ক্ষেত্রে দুই ভ্রাতাই সমকামী হয়েছে। এটি প্রমান করার জন্যে ডঃ বেইলী আরেকটি পরীক্ষা করেন। তাতে দুই জমজ ভ্রাতার মধ্যে একটি সমকামী এবং অন্যজন স্বাভাবিক ছিল। দেখা গেছে একই সমাজ এবং পরিবারে থেকেও তাদের শিশু বয়েসে বেড়ে ওঠার ঘটনা দুজনে আলাদা ভাবে নিয়েছে [৫]। অর্থাৎ দেখা আচ্ছে একই পরিবেশে মানুষ, একই জেনেটিক গঠনের হলেও দুজনের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন আলাদা হতে পারে-শুধু যদি বিশেষ কোন ঘটনা-যেমন বয়স্ক পুরুষ দ্বারা ধর্ষন ইত্যাদি তাদের জীবনে আলাদা হয়। পৃথিবীর বৃহত্তম টুইন স্টাডিগুলি সমকামিতার সাথে জীনের সম্পর্ক নস্যাত করে [৬]।
আরেকটি ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছেন ডীন হ্যামার। উনি ১৯৯৪ সালে ৭৬ টি গেএর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে সিদ্ধান্তে এসেছিলেন গে দের মাতৃকূলে সমকামীর সংখ্যা বেশী। উনারা সেই থেকে Xq28 একটি জেনেটিক মার্কার প্রস্তবনা করেন যা গে-জ়িন নামে জনপ্রিয় হয়। পরবর্ত্তীকালে বেইলী এবং ম্যাকনাইট একই পরীক্ষা চালিয়ে হ্যামারে রেজাল্ট পান নি এবং তারা এই গেজীন তত্ত্বকে ভুল বলে প্রমান করেন [৭]। রাইস এবং এন্ডারসন সায়েন্সে প্রকাশিত একটি পত্রে ৫৭ টি গের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে Xq28 জীনতত্ত্বকে সম্পূর্ণ বাতিল প্রমান করেন [৮]। পরবর্ত্তীকালে জেনোম প্রজেক্টে দেখা গেছে সমকামীদের মাতৃকূলের সাথে সম্পর্কের জন্যে Xq28 ছারা আরো অনেক মার্কার দায়ী-যেমন 8p12, 7q36 and 10q26। কিন্ত ইনারাও বলছেন এর থেকে মোটেও বলা যায় না এই মার্কার গুলির জন্যে সমকামিতা হয়ে থাকে! কারন তাদের স্ট্যাটিস্টিক্যাল সাম্পলিং স্পেস খুব ছোট! পরবর্ত্তীকালে এই নিয়ে হিউমান জেনোম প্রজেক্টে আরো কাজ হয়েছে-কিন্ত কোন সিদ্ধান্তে আসা যায় নি। হেরিডিটিক্যাল ট্রেটের ইনহেরিটান্স নিয়ে ডঃ কলিনস (২০০৭) জেনোম প্রজেক্টের ফলাফল বিশ্লেষন করতে গিয়ে মন্তব্য করেন-মানব জাতির সব অভিব্যাক্তির মধ্যেই (রাগ, গোয়াত্তুমি, আবগ) জেনেটিক্সের জটিল ছাপ খুঁজে পাওয়া যাবে-কিন্ত তার মানে এই নয়-এইসব অভিব্যাক্তির সব কিছুই জেনেটিক্স নিয়ন্ত্রন করছে। বরং তা পরিবেশ এবং সমাজ দ্বারাই বেশী নিয়ন্ত্রিত [৯]। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে ডঃ কলিন্স হিউম্যান জেনোম প্রজেক্টের অধিকর্তা ছিলেন বহুদিন।

অর্থাৎ ব্যাপারটা দাঁড়াল এই-আমাদের রাগ ভালোবাসার জন্যেও নিশ্চয় জীনেরাই দ্বায়ী। কিন্ত সেটাই সব না। পরিবেশ এবং সমাজই শেষ নিয়ন্ত্রক হয়ে দাঁড়ায়। আরো ভাল ভাবে বললে-এই সমকামিতা ব্যাপারটা হয়ত সবার মধ্যেই সুপ্ত ভাবে আছে-বিশেষ কিছু সামাজিক পরিবেশ বা ঘটনা, তা ট্রিগার করতে পারে। আবার রাগ বা আবেগের মতনই এ চিরস্থায়ী নয়। চিকিৎসা করলে সেরে যাবে।

এছারাও আরো কিছু দাবী ঊঠেছে মস্তিস্কের গঠন এবং সমকামিতা নিয়ে। তৃতীয় ইন্টারস্টিয়াল নিউক্লিয়াস-এন্টারিয়াল হাইপোথ্যালামাস (INAH3) এর গঠনে মেয়ে এবং গেদের কিছু সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায় (সিমন ল্যাভে,১৯৯১) [৮]। কিন্তু বাইনের (২০০১) কাজ থেকে জানা যায় গেদের INAH3 ছোট হলেও নিউরনের সংখ্যা স্বাভাবিক পুরুষদের সমান যা নারীর ক্ষেত্রে কিছু কম থাকে [৮]। তাছাড়া সিমন ল্যাভের পরীক্ষায় স্যাম্পল সাইজ ছিল ৩৭-তার মধ্যে তিনজন গের INAH3 স্বাভাবিক পুরুষদের মতনই ছিল। আবার তিনজন স্বাভাবিক পুরুষের INAH3 মেয়েদের মতন ছোট ছিল। সুতরাং INAH3 স্টাডি থেকেও নিশ্চিত ভাবে কিছুই বলা যায় না। সব থেকে বড় কথা IANH3 মানুষের ব্যাবহারের ফলেও বদলায়।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত যতটুকু আবিস্কার হয়েছে, তার ভিত্তিতে বলা যায় সমকামীদের পেছনে জীন বা পরিবেশের চেয়েও, অর্জিত গুনাবলীর ভূমিকা বেশী। সমকামীদের এক্সক্লুসিভ জিন বলে কিছু নেই-সেটা জেনোম প্রজেক্ট থেকেই প্রমানিত। সুতরাং চিকিৎসার মাধ্যমে সমকামীদের স্বাভবিক যৌনজীবনের ফেরানো সম্ভব-এটির দিকেই বিজ্ঞানের পাল্লা আপাতত ভারী।


[১] Murray, B. (2000). Sexual identity is far from fixed in women who aren't exclusively heterosexual. Monitor on Psychology, 32(3), pp. 64-67.
[২] http://www.nytimes.com/2005/05/10/science/10smell.html?_r=1&incamp=article_popular
[৩]http://www.narth.com/docs/smell.html
[৪]Bailey, JM; Dunne,MP; Martin,NG (2000): Genetic and Environmental influences on sexual orientation and its correlates in an Australian twin sample. J. Pers. Social Psychology 78, 524-536
[৫]Bailey, NM; Pillard,RC (1995): Genetics of human sexual orientation. Ann. Rev. Sex Research 6, 126-150.
[৬] Hershberger, SL (1997): A twin registry study of male and female sexual orientation. J. of Sex Research 34, 212-222.
[৭] Wilson, G.D., & Rahman, Q. (2005). Born Gay: The Biology of Sex Orientation. London: Peter Owen Publishers
[৮] Rice, Anderson, Risch and Ebers (1999)
Male Homosexuality: Absence of Linkage to Microsatellite Markers at Xq28. Science 23(5414): pp. 665-667. Retrieved 2007-01-18
http://mypage.iu.edu/~bmustans/Mustanski_etal_2005.pdf
[৯] http://www.lifesitenews.com/ldn/2007/mar/07032003
.html

Friday, July 17, 2009

গণতন্ত্র, রীতা বহুগুনা এবং মঙ্গলকোট

উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিম বঙ্গে পিঠোপিঠি দুই দিনে ভারতীয় গণতন্ত্রের দুই কদর্যরূপ দেখলাম আমরা।

মায়াবতী তার বিরোধী নেত্রীকে জেলে ভরলেন। রীতা বহুগুনা যা বলেছেন তা নিন্দানীয় মোটেও কিছু না। তফসিলী জাতি উপজাতিকেও উনার বক্তব্যে কোন অপমান করা হয় নি। মায়াবতীর মতন একজন দুর্নীতি পরায়ন ফ্যাসিস্ট সুবিধাবাদি নেত্রীকে যদি ততধিক সুবিধাবাদি পার্টির আরেক নেত্রী বলে থাকেন -যদ্দিন মায়াবতীকে কেও ধর্ষন না করবে, এই সুবিধাবাদি মহিলাটি, যেসব ধর্ষিত মহিলাদের নিয়ে রাজনীতি করছেন, তাদের দুঃখ তিনি বুঝবেন না। মায়াবতীকে উল্লেখ করতে উনি দলিতদের নেত্রী কথাটি ব্যাবহার করেছেন। এতে অপরাধ কি-মহাভারত কিসে অসুদ্ধ হবে তাও বুঝলাম না। কারন মায়াবতী নিজেকেত সেই অর্থেই সম্বোধন করে থাকেন! এই টুকু কথা বলার স্বাধীনতা না থাকলে গনতন্ত্রের তামাকু টানিয়া লাভ কি?

এবং ভারতের এই সব আদ্দিকালের আইন টাইন গুলোও অদ্ভুত। পৃথিবীর অধিকাংশ সভ্যদেশেই মানহানির মামলা বড়জোর সিভিল হতে পারে-ক্রিমিন্যাল হয় না। ভারতের আইন কানুন এত পিছিয়ে এখনো এই দেশে আপনি দশ বিশটি মানুষ খুন করে দিব্বি মন্ত্রী হতে পারেন-কিন্ত একটি বেফাঁস কথা বল্লে, এবং রাজনীতি আপনার বিপক্ষে থাকলে জেলে যাবেন। বরুণ গান্ধীর হিন্দুদের জন্যে গরম চা ঢালিলেন। হিন্দু মেয়েদের দিকে তাকালেই হাত কেট ফেলব-এই জাতীয় কিছু গরম হট ডগ জনতাকে খাওয়াতে গিয়ে উনি মাস খানেক জেলে থাকলেন! কিন্ত সমাজবাদির পার্টির মুসলিম এম পি হাজি ওয়াকব কুরেশি,
ড্যানিশ কার্টুনিস্টের মাথার ওপর কোটি টাকার ফতেয়া দিয়েও বহাল তবিয়তে ঘোরেন! তসলিমা কে যে ৫ জন মুসলিম এম এল এ আক্রমন করেছিল হায়দ্রাবাদে-তাদের একটি দিনও জেলে থাকতে হয় নি! অদ্ভুত আমার দেশ! এখানে পছন্দ সই কথা না বলিলে আপনি জেলে। কিন্ত রাজনীতি আপনার পক্ষে থাকলে-বিপক্ষকে দু ঘা মেরে আসুন-তার বাড়ি পুড়িয়ে দিন। কিস্যুই হবে না-কে ছোঁবে আপনার টিকি? মায়াবতী নিজেই এর থেকে অনেক বাজে কথা বলেছে। কিন্তু ওই যে বল্লাম। ঠিক সময়ে বললে ক্ষতি নেই। কালকে মায়াবতী রাজ্যপাট হারালে জয়ললিতে মতন জেলে যাবে। এদের লজ্জা শরমও আজকাল কিস্যুই নেই।

মঙ্গলকোটে যা হল-সেটাও সেই একই ব্যাধি। এই দেশে আইন-আদালত-পুলিশ এসব আদৌ কিছু আছে কি না-রাজ্যের মুখমন্ত্রী নিজেও জানেন না। দেদারসে দুই দিকেই লাশ পড়ছে। মন্ত্রী জুতোপেটা খাচ্ছেন-বিধায়করাও ধুতি তুলে পালাচ্ছে। গণতন্ত্রের জন্যে সুসংবাদ না দুঃসংবাদ সেটাও বুঝতে পারছি না।

পুলিশের অস্তিত্ব না থাকলে কোর্টের ও থাকে না। পুলিশ বুঝে গেছে দুবছর বাদে পালা বদল হবে। ফলে এখনও সিপিএমের বশংবদ হয়ে থাকলে দুবছর বাদে ভাগ্যে শাঁসালো পোস্টিং এর বদলে পুরুলিয়াতে মাওবাদিদের হাতে পড়তে হতে পারে। আবার সিপিএমের বিরুদ্ধে গেলে, এখুনিই বিপদ। এই রাজ্যের পুলিশ ফোর্সের কাছে, তাদের চাকরি এখন শাঁখের করাত। ফলে উনারাও হাত গুটিয়ে দর্শকের ভূমিকায়। আমাদেরই মতন।

পুলিশ এবং আমাদের আইন-এর আমূল পরিবর্তন দরকার। বৃটিশ আমলে আইনজ্ঞদের যে সন্মান ছিল-আজ তা নেই। বস্তুত কোর্ট আইন-আদালত-পুলিশ-রাজনীতির এই কুম্ভীপাকের ওপর কারুর কোন বিশ্বাসই আজ নেই। গণতন্ত্রের জন্যে, রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যের জন্য, এহেন অবস্থা অনভিপ্রেত। পুলিশ, আইন -এসব পুলিশ বা আইনমন্ত্রীরা হাতে না রেখে, একটি পার্লামেন্টারী কমিটির হাতে থাকুক। যাতে সব দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। আদালতেও আমেরিকার মতন জুরী ব্যাবস্থা চালু হৌক। যাতে জনগনও আদালতের রায়দানের প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হতে পারে। আইনটা শুধু আইনজ্ঞ এবং বিচারকদের হাতে চললে, সেখানে টাকার ঘুগু চরবে। যা চলছেও। নইলে মাত্র ৪০ হাজারটাকা ঘুঁশ দিয়ে কেও রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে এরেস্ট ওয়ারেন্ট বার করতে পারে এই দেশে!

মোদ্দা কথা সরকার নামক বস্তুটা থেকে পুলিশ এবং আদালতকে আলাদা করতে হবে। এটা না করতে পারলে, পুলিশ এবং আদালতের ওপর নূন্যতম আস্থাটুকুও কারুর থাকবে না। এতে জনগন এবং আইনজ্ঞ-সবারই ক্ষতি। রাষ্ট্রের স্বার্থেই এখন সবাইকে রাজী হতে হবে, পুলিশ এবং আদালত যেন প্রকৃতভাবে জনগণের হাতে থাকে। এইটুকু রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাজলে নৈরাজ্যের আরো ঘন অমবশ্যাতে ডুবে যাবে পশ্চিম বঙ্গ।

Friday, July 10, 2009

সমকামিতার অধিকারঃ উদার না উদ্ভ্রান্ত সমাজ?


[ ডঃ এ ডীন বায়ার্ডঃ সমকামিতার ওপর প্রায় ১০০ টি গবেষনা পত্রে প্রমান করেছেন সমকামিতা একটি মানসিক রোগ]
http://www.narth.com/docs/byrd.html
http://en.wikipedia.org/wiki/A._Dean_Byrd

ভারতে দিল্লী হাইকোর্ট কোর্ট সম্প্রতি সমকামিতাকে অপরাধ মুক্ত করেছে বৃটিশ আমলের ৩৭৭ ধারাটির বিরুদ্ধে সমকামী মানুষের ক্ষোভ বহূদিনের সংবাদপত্র থেকে টিভি-সর্বত্র এই ঐতিহাসিক রায়ে সংস্কৃতি, ফিল্ম এবং বিদ্যান জগতের মানুষেরা এত উদ্বেলিত-ব্যাপারটা দেখে মনে হতেই পারে সমকামিতা একটি স্বাভাবিক যৌনতা! এবং এর সম্পূর্ণ সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়া উচিত!

যৌনতা ব্যাপারটিতে স্বাভাবিক-অস্বাভাবিক এইসব শব্দগুলো ভীষন ভাবে বেমানান সমকামিতা স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক যৌনতা তাই নিয়ে ইন্টারনেট ঘাঁটলে পক্ষে বিপক্ষে হাজারো তথ্য বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা পাওয়া যাবে, যার থেকে নিশ্চিত ভাবে কিছুই বলা সম্ভব না তার থেকেও মারাত্মক তথ্য হচ্ছে সমাকামীদের নানান সংগঠন-যেমন ধরুন ম্যান বয় লাভ এসোশিয়েশন (NAMBLA-North American Man Boy Love Association) শিশু যৌনতাকে আইনানুগ করার দাবি তুলছে NAMBLA এর মার্ক্সিস্ট সম্পাদক কেভিন বিশপ জানিয়েছেন সমকামীরা শিশুদের সাথে প্রেম করতে চাইছে এবং তার জন্যে কনসেন্টুয়াল সেক্স এজ ১৮ থেকে ১২ তে-- পারলে আরো নীচে নামাতে হবে [1] আরেক র‌্যাডিক্যাল মার্ক্সিস্ট ফেমিনিস্ট এবং লেসবিয়ান এক্টিভিস্ট কেট মিলেট "লাভিং বয়েজ" নামে এক গ্রন্থে (১৯৮০) মত প্রকাশ করেছিলেন, শিশুদের অবাধ যৌনতার অনুমতি দেওয়া উচিত [1] কারন তাদের ওপর যেসব যৌন বাধানিশেষ রাষ্ট্র এবং সমাজ আরোপ করে, তা থেকেই নাকি সামাজিক শোষন এবং উৎপীড়নের জন্ম হয়! এইসব সমকামীরা সোজা কথায় শিশুদের সাথে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার জন্যে পাশ্চাত্যে প্রকাশ্যে আন্দোলন করছেন তাতে ক্ষতি ছিল না-এরা না হয় সামাজিক ভাবে ব্রাত্য কিন্তু ১৯৯৪ সালে আমেরিকান সাইক্রিয়াটিস্ট এসোসিয়েশন জানাচ্ছে শিশুদের প্রতি গে দের এই আকর্ষন নাকি স্বাভাবিক! আবার এর বিরুদ্ধেও প্রচুর গবেষনা পত্র আছে! এর পরবর্ত্তীতে ডাচ সরকার কনসেন্টুয়াল সেক্সের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১২ করে! যাতে সমকামীরা শিশুদের ওপর যৌন অত্যাচার চালালে তা অপরাধ বলে গণ্য না হয়!

যাইহোক যে কথাটা আমি বলতে চাইছি-সেটা হচ্ছে এই- কোন যৌনতা স্বাভাবিক তা সাইকোএনালাইসিসের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করে বলা যায় না স্যার কার্ল পপারের বিজ্ঞানের সংজ্ঞা অনুযায়ী সাইকোএনালাইসিস আবার বিজ্ঞানের পর্যায়ভুক্তই না-কারন ফলসিফিকেশন সম্ভব না অনেক সিদ্ধান্তের ফলে ডঃ ডিন বার্থ ২০০২ সালে ৮৮৭ জন পেশেন্টের ওপর গবেষনা করে যখন দেখান সমকামিতা একটি ব্যাধি এবং তার চিকিৎসা সম্ভব-গে এক্টিভিস্টরা গেল গেল রব তোলে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ভদ্রলোকই গে কম্যুনিটিতে হিরো ছিলেন-কারন সমকামিতা নিয়ে তার ১৯৬৭ সালের গবেষনা প্রমান করেছিল সমকামিতা কোন ব্যাধি না মজার ব্যাপার হচ্ছে সমকামিতা যে ব্যাধি, তা নিয়ে ডঃ ডিন প্রায় ১০০টি গবেষনা পত্র প্রকাশিত করেছেন এবং সবক্ষেত্রেই গে এক্টিভিস্টরা দাবি তুলেছেন, তার স্ট্যাটিস্টিক্যাল সাম্পলিং ভুল বা ইচ্ছাকৃত ভাবে বায়াস করা রেজাল্ট অন্যদিকে সমকামিতা স্বাভাবিক এই নিয়ে যা গবেষনা হয়েছে তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে

অর্থাৎ অর্থাৎ সমকামিতা ভাল কি মন্দ-সেটা নিয়ে মনোবিজ্ঞান কোন বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তে আসতে পারে নি-সম্ভবত পারবেও না সব থেকে বড় কথা শিশুদের সাথে যৌনতা ভাল কি মন্দ-এই সাধারন সিদ্ধান্তটুকুও মনোবিজ্ঞান দিয়ে নেওয়া যায় না-একথা আমি আগেই লিখেছি কারন মনোবিজ্ঞান আদতেই কোন বিজ্ঞান না-তা বিজ্ঞানের পপারিয়ান ফলসিফিকেশন সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না সুতরাং ভারতীয় মিডিয়া যখন দাবী করছে সমকামিতা প্রমানিত ভাবে স্বাভাবিক--অত্যন্ত ভুল তথ্য জানাচ্ছে লোকজন কে বিজ্ঞান এমন কোন সিদ্ধান্তে আসে নি আসা সম্ভবও না

সমকামিতা একধরনের জেনেটিক বিকৃতি থেকে আসতে পারে বলে আগে মনে করা হত। ২০০২ সালের মধ্যেই এই গে জীন জাতীয় ধারনা গোঁজামিল বলে প্রমানিত হয়েছে। ডঃ স্যাভিক নামে এক সুইডিশ বিজ্ঞানী অসশ্য মস্তিস্কের গঠনের সাথে হমো এবং হেটারোসেস্কুয়ালিটির কিছু পার্থক্য পেয়েছেন বলে দাবী করেছেন-যদিও তিনি একটি সাক্ষাতকারে জানান, তার গবেষনা এখনো কনক্লুসিভ কিছু নয়।

তাহলে সমকামিতার সাথে যুক্ত আইনগুলি কিভাবে তৈরী হবে? রাষ্ট্র এবং সমাজ কিভাবে সমকামী এবং সমকামিতার প্রতি আইন তৈরী করবে? এই ক্ষেত্রে সমাজের প্রোডাক্টিভিটিকেই প্রধান্য দিতে হবে প্রোডাক্টিভিটির অর্থ হচ্ছে ভবিষ্যতের সিটিজেন অর্থাৎ এই ধরনের যৌনতা আগামী দিনের নাগরিকদের ওপর কি প্রভাব ফেলবে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত

সেই দিক দিয়ে দেখলে কি দেখা যাচ্ছে?
(A) মাত্র ২৫% [আমেরিকার হিসাব] গে দম্পতি সন্তান মানুষ করে [3] লেসবিয়ান দম্পতিদের গড় ৩৩% [৩] তাও গড়ে একটি করে [3] এবং সেই সন্তানেরও গে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশী [4] অথচ প্রতিটি দম্পতি গড়ে 2.1 টি করে সন্তান ধারন না করলে একটি দেশের জনসংখ্যা ধরে রাখা যায় না তাহলে গে দের গড় দাঁড়াচ্ছে 0.1২5! ইটালিতে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে [৫] অন্যান্য কারন ত আছেই-সমকামিতাও একটি বড় কারনস্ক্যানডেনেভিয়ান দেশগুলির জনসংখ্যা হ্রাসের জন্যে সমকামিতা অংশত দায়ী
[৫]

(B) গে বা সমকামিরা শিশুদের সাথে যৌন প্রেমের অধিকার চাইছে ডাচ সরকার ত এই সিদ্ধান্ত মেনেও নিয়েছে [1] । তবে সমকামীরা বাচ্চাদের ওপর গুপ্ত যৌনাচার চালাতে পারে কি না-এই নিয়ে আমেরিকাতে বিশাল বিতর্ক চালু আছে। আমেরিকাতে শিশু নিপীড়নের ২৫-৩৩%, বয়স্ক পূরুষেরা পুরুষ শিশুর ওপর করে থাকে। যেহেতু গে দের সংখ্যা আমেরিকাতে ৩%-সেহেতু, রক্ষনশীল বিজ্ঞানীরা এই তথ্য দেখিয়ে দাবী করেন, এর অর্থ সমকামীদের শিশুযৌনাচারের সম্ভাবনা প্রায় ১০ গুন বেশী। সমস্যা হচ্ছে আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী সংস্থা তা মানে না। কারন দেখা গেছে, এই অপরাধীরা প্রায় সবাই বিবাহিত। এবং বয়স্ক পুরুষে তাদের উৎসাহ নেই। তারা, শিশুদের কোমলতার মধ্যে একধরনের বিকৃতকাম খুঁজে পায়-এবং এই 'পিডোফিলিয়া'কে অনেক বিজ্ঞানী গে দের সাথে জড়াতে নারাজ। যেহতু তাদের যুক্তিতে এটি অন্যধরনের সেক্সুয়ায়ল অরিয়েন্টেশন।
সমকামীদের একটি অংশ-যেমন NAMBLA বালকদের ওপর দুর্বার আকর্ষন বোধ করে। এদের ওয়েব সাইটে এর শিশুদের সাথে যৌনক্রীয়ার জন্যে দাবী জানাচ্ছেন (http://www.nambla.org/) । এবং এরা মেইন স্ট্রিম গে সমাজের থেকে খুব দূরে থাকেন না। এটা কি কোন ভদ্র সভ্য সমাজ মেনে নেবেন? কেও কি মেনে নেবেন, তার ১০ বছরের শিশু পুত্র বা কন্যাটি তার শিক্ষক বা শিক্ষিকার সাথে যৌন সংসর্গ করলেও তাদের আটকানোর জন্যে কোন আইন থাকবে না?

(C) যৌনরোগের সংখ্যাও সমকামিদের মধ্যে বেশী কারন তারা দ্রুত যৌনসঙ্গী বদলায় B'cos it is a sex without responsibility
শুধু তাই না-এন্যাল সেক্স প্রায় ১৬ টি নতুন রোগের জন্ম দেয় যা ভ্যাজাইন্যাল সেক্সে হয় না। আর এন্যাল সেক্স গেদের মধ্যে প্রায় ১০-১৫ গুন বেশী চালু- অন্যান্য হেটারো দম্পতিদের থেকে।

(D) ব্যাক্তিস্বাধীনতার সীমানা কোথায়? সমাজ থেকে আমরা যা পাচ্ছি, তা ফিরিয়ে না দেওয়ার স্বাধীনতা কি আমাদের আছে? কোন সমাজে সেই ব্যাক্তিস্বাধীনতা যদি দেওয়া যায়, যা সামাজিক লজিস্টিক সিস্টেমের বিরুদ্ধে তাহলে অচিরেই সেই সমাজ ধ্বংশ হবে কথাগুলি জন স্টুয়ার্ট মিল, তার বিখ্যাত লিবার্টি গ্রন্থে লিখেছিলেন [7] সমকামিতার অধিকার-সেই ধরনের একটি অধিকার অর্থাৎ আমরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে যা পেলাম-তারা আমাদের মানুষ করলেন এবার আমাদের যখন সমাজকে সেই ঋণ ফিরিয়ে দেওয়ার পালা-অর্থাৎ আমাদের যখন সন্তান পালন করার কথা-আমরা করলাম না এটি সামাজিক অপরাধ না হতে পারে-কিন্ত সামাজিক ভাবে এই ধরনের ভ্রান্ত ব্যাক্তিস্বাধীনতাকে প্রশয় দিলে ভবিষ্যত-নাগরিকের অভাবে সমাজই উঠে যাবে


মোদ্দা কথা সমকামিতা মোটেও কোন সুস্থ স্বাভাবিক যৌনতা নয় এ সম্পূর্ণ এক ধরনের দ্বায়িত্বহীন যৌনতা যা শুধু শারীরিক বা সামাজিক রোগের জন্ম দিতে পারে এটা সুস্থ না অসুস্থ, তা নিয়ে বৈজ্ঞানিক তর্ক বৃথা কিন্ত সমাজের আগামী দিনের নাগরিকদের জন্যে এটা একটা ভয়ঙ্কর ট্রেন্ড যাকে কোনভাবেই সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া যায় না এবং সমকামিতাকে লিব্যারালিজম বলে চালানো আরেক ধরনের অবুঝ হনুকরন

সুত্রঃ

[1]http://www.us2000.org/cfmc/Pedophilia.pdf
[2]
http://www.mega.nu:8080/ampp/baldwin_pedophilia_homosexuality.pdf
[3]http://www.mattbarton.net/tikiwiki/tiki-index.php?page=Gay+Marriage+Statistics

আমেরিকার ন্যাশানাল গড় ২৫%
http://www.freerepublic.com/focus/f-news/1741151/posts :
এটা সানফ্রান্সিস্কো, যেখানে সব থেকে বেশী গে দম্পতিরা সন্তান পালন করে তার হিসাব ৩৬% আমেরিকার অন্যান্য যায়গায় এই % অনেক কম

[4]http://www.youtube.com/watch?v=GGfKxFEXoVo
[এই ব্যাপারে গবেষনা লদ্ধ ফল খুবই কম-যেটুকু আছে, তার ভিত্তিতে কিছুই প্রায় বলা যায় না-তবুও তথ্য বলছে এদের ছেলেদের বা মেয়েদের সমকামী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী]

[5]http://sursumcorda.salemsattic.com/post/1/107

The Padua team speculates that the study could explain why the incidence of homosexuality appears to vary, as it did in ancient Rome where a form of condom was in use. Prof. Camperio-Ciani writes: "When fecundity in general is high because every female reproduces as much as possible, these homosexual genes that enhance fecundity are not expressed significantly. But when the population is declining because of a decrease of fecundity (modern Italians) or birth control (ancient Romans), then these factors may well make the difference in relatively promoting fecundity—and therefore homosexuality—in the population."

[6]http://www.narth.com/docs/concluded.html

[7]http://ebooks.adelaide.edu.au/m/mill/john_stuart/m645o/

A large debate exposing and exploring many aspect of this article can be found in PIWB forum of Orkut:
http://www.orkut.com/Main#CommMsgs.aspx?cmm=62384129&tid=5356838629364063721&na=1&nst=1