গত দুসপ্তাহ ভারতের নানান শহরে চরকির মতন ঘুরছি। আশঙ্কা ছিল ডিমনেটাইজেশনের বাজারে, ক্যাশ সংকটে ভুগিতে হইবে। কিন্ত তেমন কিছু হল না-বরং দেখলাম কোলকাতা বাদ দিলে, অন্য মেট্রোগুলোতে ক্যাশ ছাড়া বাঁচা সম্পূর্ন সম্ভব। অন্তত ট্রাভেলারদের পক্ষে।
কিন্ত যেটা আশংকাজনক বলে মনে হল-সেটা হচ্ছে সারফেস ওয়াটার রিজার্ভ। নদী, নালা, পুকুর-ভারতের সর্বত্র যাতা অবস্থা। এটা জানা ছিল গত ত্রিশ বছরে ভারতে নদীর জল ধারন ক্ষমতা কমেছে ৫৪%। আমারত দেখে শুনে মনে হচ্ছে ওটা ৯০% এর কাছাকাছি হবে।
ব্যাঙ্গালোর থেকে মাদুরাই গেলাম একদম আমেরিকান কোয়ালিটির এক্সপ্রেস ওয়েতে। পথে কাবেরী থেকে আরো কিছু নদীনালা। কোত্থাও কোন জল নেই।
কালনার কাছে গঙ্গা বড়াবর অনেকটা ঘুরলাম মটর সাইকেলে। চারিদিকে চড়া গজিয়েছে। ছোটবেলায় দেখতাম কালনা ভর্তি থাকত পুকুরে। এখন প্রতিটা পুকুরকে ইচ্ছা করে মজাচ্ছে তাদের মালিকরা। যাতে চড়াদামে বেচতে পারে। কারনে শহরে আর কোন জমি নেই।
পুনে শহরের বুকচিরে আছে অনেক নদী, ক্যানাল। কোথাও জল নেই। জলের স্তর নেমে গেছে আশঙ্কা জনক ভাবে। পুনে শহরে জলের সংকট বেশ তীব্র।
ব্যঙ্গালোরের লাইফ-লাইন অনেকগুলো লেক। একটা সেন্সর প্রোজেক্টের কর্মসূত্রে শহরের মধ্যের একটা লেকে গেলাম -নামটা বোধ হয় বেলান্দুর লেক। জলের অবস্থা বেশ খারাপ। শুনলাম ব্যাঙ্গালোরের প্রায় কুড়িটা ছোটবড় লেক বোঁজানো হয়েছে।
এত যা দেখছি ভারতে উন্নয়নের নামে আত্মহত্যা চলছে। চারিদিকে ঝকমকে মল। রাস্তাঘাট ভাল হচ্ছে। হাই রাইজ উঠছে। কিন্ত নদী, নালা জলের সোর্সগুলোকে যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে, তাতে আর জাস্ট দশ বছর বাদে অধিকাংশ শহরে পানীয় জলের সাপ্লাইএর তীব্র সংকট দেখা দেবে। দিতে বাধ্য।
পৃথিবীতে মানব সভ্যতার ইতিহাসে, পরিবেশ ধ্বংশ করে ফুটে যাওয়ার লিস্টিটা ছোট না।
পরিবেশ নিয়ে চিন্তাভাবনা আছে। মোদি সরকার দেখছি ঠুটো জগন্নাথ পল্যুউশন বোর্ডকে একটু হলেও নাড়িয়েছে। ২৩০০ কোম্পানীর কাছে ক্লোজার নোটিশ গেছে। কালনা শহরেও শুনলাম, তৃনমূল এসে পুকুর বোঁজানো বন্ধ করেছে, যা সিপিএম আমলে ছিল বেশ র্যামপ্যান্ট। সবটাই শোনা কথা যদিও। এগুলো আশার কথা। আমি আশাবাদি।
ডিমনেটাইজশনের ফলে আশা করি জমি, বাড়ির উদ্ভট দাম ধ্বসে যাবে। এগুলো হলে হাই রাইজ তোলা বন্ধ হবে। ট্রাম্প বাবাজি যদি আউটসোর্সিং এ কার্পেট বম্বিং করে, তাহলে ব্যাঙ্গালোরের বাকি লেকগুলো অন্তত খাসি হওয়ার হাত থেকে বাঁচবে।
কখনো সখনো মনে হয়, এই উন্নতি না হলেই হয়ত দেশটা বেঁচে যেত।
কিন্ত যেটা আশংকাজনক বলে মনে হল-সেটা হচ্ছে সারফেস ওয়াটার রিজার্ভ। নদী, নালা, পুকুর-ভারতের সর্বত্র যাতা অবস্থা। এটা জানা ছিল গত ত্রিশ বছরে ভারতে নদীর জল ধারন ক্ষমতা কমেছে ৫৪%। আমারত দেখে শুনে মনে হচ্ছে ওটা ৯০% এর কাছাকাছি হবে।
ব্যাঙ্গালোর থেকে মাদুরাই গেলাম একদম আমেরিকান কোয়ালিটির এক্সপ্রেস ওয়েতে। পথে কাবেরী থেকে আরো কিছু নদীনালা। কোত্থাও কোন জল নেই।
কালনার কাছে গঙ্গা বড়াবর অনেকটা ঘুরলাম মটর সাইকেলে। চারিদিকে চড়া গজিয়েছে। ছোটবেলায় দেখতাম কালনা ভর্তি থাকত পুকুরে। এখন প্রতিটা পুকুরকে ইচ্ছা করে মজাচ্ছে তাদের মালিকরা। যাতে চড়াদামে বেচতে পারে। কারনে শহরে আর কোন জমি নেই।
পুনে শহরের বুকচিরে আছে অনেক নদী, ক্যানাল। কোথাও জল নেই। জলের স্তর নেমে গেছে আশঙ্কা জনক ভাবে। পুনে শহরে জলের সংকট বেশ তীব্র।
ব্যঙ্গালোরের লাইফ-লাইন অনেকগুলো লেক। একটা সেন্সর প্রোজেক্টের কর্মসূত্রে শহরের মধ্যের একটা লেকে গেলাম -নামটা বোধ হয় বেলান্দুর লেক। জলের অবস্থা বেশ খারাপ। শুনলাম ব্যাঙ্গালোরের প্রায় কুড়িটা ছোটবড় লেক বোঁজানো হয়েছে।
এত যা দেখছি ভারতে উন্নয়নের নামে আত্মহত্যা চলছে। চারিদিকে ঝকমকে মল। রাস্তাঘাট ভাল হচ্ছে। হাই রাইজ উঠছে। কিন্ত নদী, নালা জলের সোর্সগুলোকে যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে, তাতে আর জাস্ট দশ বছর বাদে অধিকাংশ শহরে পানীয় জলের সাপ্লাইএর তীব্র সংকট দেখা দেবে। দিতে বাধ্য।
পৃথিবীতে মানব সভ্যতার ইতিহাসে, পরিবেশ ধ্বংশ করে ফুটে যাওয়ার লিস্টিটা ছোট না।
পরিবেশ নিয়ে চিন্তাভাবনা আছে। মোদি সরকার দেখছি ঠুটো জগন্নাথ পল্যুউশন বোর্ডকে একটু হলেও নাড়িয়েছে। ২৩০০ কোম্পানীর কাছে ক্লোজার নোটিশ গেছে। কালনা শহরেও শুনলাম, তৃনমূল এসে পুকুর বোঁজানো বন্ধ করেছে, যা সিপিএম আমলে ছিল বেশ র্যামপ্যান্ট। সবটাই শোনা কথা যদিও। এগুলো আশার কথা। আমি আশাবাদি।
ডিমনেটাইজশনের ফলে আশা করি জমি, বাড়ির উদ্ভট দাম ধ্বসে যাবে। এগুলো হলে হাই রাইজ তোলা বন্ধ হবে। ট্রাম্প বাবাজি যদি আউটসোর্সিং এ কার্পেট বম্বিং করে, তাহলে ব্যাঙ্গালোরের বাকি লেকগুলো অন্তত খাসি হওয়ার হাত থেকে বাঁচবে।
কখনো সখনো মনে হয়, এই উন্নতি না হলেই হয়ত দেশটা বেঁচে যেত।
No comments:
Post a Comment