আমাদের গ্রামের দিকে নব্বই এর দশকে ক্রীসমাস বলতে কিছু ছিল না। একটা দিন ছুটি। রাস্তায় সারি সারি কেকের পসার। হলদে কাহজে মোরা -সস্তা কেক। কেক ফেক গ্রামের দিকে অন্য কোনদিন কেউ খেত না। শুধু জানত ওটা বড়দিনের ডেলিকেসি। আমাদের করিমপুরে আবার কোন চার্চ ও ছিল না। কাছাকাছি চার্চ বলতে চাপড়া-না হলে কৃষ্ণনগরে । কৃষ্ণনগরে অবশ্য খুব ঘটা করে বড় দিন হত।
খ্রীষ্ঠান ইভ্যাঞ্জেলিক্যালরা মাঝে মাঝে আসত বড়দিনে। রাস্তার মোরে প্রোজেক্টর ফেলে যীশুর সিনেমা দেখাত।
বড়দিন প্রথম বিরাট আকারে পালন করি নরেন্দ্রপুরে এসে-ক্লাস ইলেভেনে। এই দিনটাই স্পেশাল খাওয়া দাওয়া, বাইবেল থেকে পাঠ হত। মহারাজরা যীশুর বানী নিয়ে গুরু গম্ভীর আলোচনা করতেন। সেটা শেষ হলেই অবশ্য প্রাচীর ডিঙিয়ে এক্স রেটেড সিনেমা বা প্রফেসার কোয়ার্টারে ঝাড়ি মারত সদ্য গোঁফ ওঠা ছাত্রদের দল।
আমার সেরা ক্রীসমাস ১৯৯৯ সালে ইটালিতে। তুরিন শহরে। ওই সময় একটা ক্যাথোলিক হোস্টেলে থাকতাম । দক্ষিন ইটালী থেকে আসা পলিটেকনিক ডি তুরিনোর ছেলে মেয়েরাই মূল বাসিন্দা। কোয়েড হোস্টেল-কিন্ত ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা বিল্ডিং। ইটালিয়ান কিছু বুঝি না। কিন্ত ওই দিন হোস্টেলেরই বিরাট চার্চে বিরাট উৎসব। ভালো ভালো ইটালিয়ান ওয়াইন। মিউজিক, ওর্কেস্ট্রা-ওপেরা। না জানি ইটালিয়ান, না মিউজিক--
এমন অবস্থায় সুন্দরী ইটালিয়ান মেয়েগুলোকে দেখে ঝাড়ি মারা ছাড়া আর সময় কাটানোর বিকল্প নেই। সাথে টুক টুক করে ওয়াইন, নাও, খাও।
রাত বারোটার সময় হোস্টেলের ওয়ার্ডেন-যিনি নিজেও পাদ্রী-তিনি এবং আমি দুজনেই প্রচুর ওয়াইন খেয়ে আউট। তিনি যীশুর দুঃখে, আমি ভাল মাল খাওয়ার আনন্দে। উনার পাশেই ছিল আমার রুম। তারপরেই শুরু হত মেয়েদের উইং। মেয়ে গুলোকে ওই অফিসের সামনে দিয়ে হেঁটে ঘরে ঢুকতে হোত।
উনি আমাকে ডাকলেন-পুরো আউট। বোঝাচ্ছেন
-এই জন্যেই আমি খৃষ্ট ধর্মে। মাল খাওয়ায় বাধা নেই। ইসলামে বা তোমাদের হিন্দু ধর্মে এই সুযোগ নেই-
বলে খ্যাঁক খ্যাঁক উচ্ছাস।
আমি বল্লাম
-পাপা ( ফাদারকে ইটালিয়ানে পাপা বলে ), হিন্দু ধর্মেও সন্ন্যাসীদের ওয়াইন খাওয়াতে বাধা ছিল না। উদাহরন ঋকবেদ। কিন্ত গরম ওয়েদার ত- মাল খেয়েই মাগীদের পেছনে ছুটে সব কেলেঙ্কারী বাধাত। ফলে আস্তে আস্তে হিন্দু সন্ন্যাসীরা নির্জলা নীরস হতে থাকে।
এমন বড় দিনের ঠান্ডায় খেলে, ঠিক হজম করে ফেলত!
হোস্টেলের মেয়েগুলো তখন টসকাতে, টলকাতে টলকাতে পাপার অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা দুজনেই ফ্যালফেলে চোখে তাকিয়ে।
খ্রীষ্ঠান ইভ্যাঞ্জেলিক্যালরা মাঝে মাঝে আসত বড়দিনে। রাস্তার মোরে প্রোজেক্টর ফেলে যীশুর সিনেমা দেখাত।
বড়দিন প্রথম বিরাট আকারে পালন করি নরেন্দ্রপুরে এসে-ক্লাস ইলেভেনে। এই দিনটাই স্পেশাল খাওয়া দাওয়া, বাইবেল থেকে পাঠ হত। মহারাজরা যীশুর বানী নিয়ে গুরু গম্ভীর আলোচনা করতেন। সেটা শেষ হলেই অবশ্য প্রাচীর ডিঙিয়ে এক্স রেটেড সিনেমা বা প্রফেসার কোয়ার্টারে ঝাড়ি মারত সদ্য গোঁফ ওঠা ছাত্রদের দল।
আমার সেরা ক্রীসমাস ১৯৯৯ সালে ইটালিতে। তুরিন শহরে। ওই সময় একটা ক্যাথোলিক হোস্টেলে থাকতাম । দক্ষিন ইটালী থেকে আসা পলিটেকনিক ডি তুরিনোর ছেলে মেয়েরাই মূল বাসিন্দা। কোয়েড হোস্টেল-কিন্ত ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা বিল্ডিং। ইটালিয়ান কিছু বুঝি না। কিন্ত ওই দিন হোস্টেলেরই বিরাট চার্চে বিরাট উৎসব। ভালো ভালো ইটালিয়ান ওয়াইন। মিউজিক, ওর্কেস্ট্রা-ওপেরা। না জানি ইটালিয়ান, না মিউজিক--
এমন অবস্থায় সুন্দরী ইটালিয়ান মেয়েগুলোকে দেখে ঝাড়ি মারা ছাড়া আর সময় কাটানোর বিকল্প নেই। সাথে টুক টুক করে ওয়াইন, নাও, খাও।
রাত বারোটার সময় হোস্টেলের ওয়ার্ডেন-যিনি নিজেও পাদ্রী-তিনি এবং আমি দুজনেই প্রচুর ওয়াইন খেয়ে আউট। তিনি যীশুর দুঃখে, আমি ভাল মাল খাওয়ার আনন্দে। উনার পাশেই ছিল আমার রুম। তারপরেই শুরু হত মেয়েদের উইং। মেয়ে গুলোকে ওই অফিসের সামনে দিয়ে হেঁটে ঘরে ঢুকতে হোত।
উনি আমাকে ডাকলেন-পুরো আউট। বোঝাচ্ছেন
-এই জন্যেই আমি খৃষ্ট ধর্মে। মাল খাওয়ায় বাধা নেই। ইসলামে বা তোমাদের হিন্দু ধর্মে এই সুযোগ নেই-
বলে খ্যাঁক খ্যাঁক উচ্ছাস।
আমি বল্লাম
-পাপা ( ফাদারকে ইটালিয়ানে পাপা বলে ), হিন্দু ধর্মেও সন্ন্যাসীদের ওয়াইন খাওয়াতে বাধা ছিল না। উদাহরন ঋকবেদ। কিন্ত গরম ওয়েদার ত- মাল খেয়েই মাগীদের পেছনে ছুটে সব কেলেঙ্কারী বাধাত। ফলে আস্তে আস্তে হিন্দু সন্ন্যাসীরা নির্জলা নীরস হতে থাকে।
এমন বড় দিনের ঠান্ডায় খেলে, ঠিক হজম করে ফেলত!
হোস্টেলের মেয়েগুলো তখন টসকাতে, টলকাতে টলকাতে পাপার অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা দুজনেই ফ্যালফেলে চোখে তাকিয়ে।
No comments:
Post a Comment