আমি দুবছর আগে লিখেছিলাম, সিপিএমের বিরুদ্ধে মানুষের জনরোষে এত বেশি, মমতা এমনিতেই জিতবেন। কিন্ত তৃণমূল পার্টির সাথে যেভাবে চিটফান্ডের লোকেরা জড়িয়ে যাচ্ছে, তিনি বাঘের পিঠে চেপে আজ ছাগল খেলেও, কাল বাঘের হাতেই তার শেষকৃত্য হবে। আপাতত সেদিকেই তিনি এগোচ্ছেন। সারদা দিয়ে ত সবে শুরু। রোজভ্যালি কেলেঙ্কারী এই সপ্তাহেই বাজারে আসছে। তারাও আমানতকারিদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। তাদের পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এর পরে প্র্যয়াগ, এগ্রোটেক ইত্যাদি আরো শ খানেক ফান্ডের সলিল সমাধি সময়ের অপেক্ষা। কারন এদ্দিনে আমানতকারীরা টাকা তুলে নিতে চাইছেন। আর নতুন টাকা না এলে, পঞ্জি স্কীম সেখানেই শেষ।
এগুলি ছিল সময়ের লিখন-শিক্ষিত বাঙালী মাত্রই জানত এদিন একদিন আসবে। পঞ্জি স্কিম একদিন না একদিন তাদের ঘরের মতন ভাংবে।
কিন্ত যেটা নিয়ে সবাই নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন, তা হচ্ছে সন্তান স্নেহে কুনাল ঘোষকে রক্ষা করছেন দিদি। কুনাল ঘোষ এখন তৃণমূলের সব থেকে বড় ল্যায়াবিলিটি। তাকে আগলাচ্ছেন মমতা। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে কুনালকে সরালে কিছু হারাবেন মমতা । কুনালকে রেখে দিয়ে যা হারাচ্ছেন তার থেকেও সেই লস বেশি। সেখানেই সব থেকে বড় রহস্য।
অর্থাৎ কুনালকে টেনে নামালে, কুনাল ও অনেককেই নামাবেন। প্রশ্ন হচ্ছে তার মধ্যে মমতা থাকবেন কি না।
চিটফান্ডের প্রতি মমতা সহ তৃণমূলের প্রচ্ছন্ন মদত ছিল, এত তৃণমূলের নেতারাই স্বীকার করেছেন। স্বীকার না করলেও ক্ষতি নেই টিভিতে, চিটফান্ডের টিভিতেই সেই পাপকার্য্য দেখেছে রাজ্যের লোক। সমস্যা হচ্ছে কতটা জানতেন মমতা?
সেবি তাকে বারে বারে ছিঠি দিয়ে জানিয়েছে। কংগ্রেস সিপিএমের অনেক নেতা বিধান সভায় অন্তত তিন বার [ গত দু বছরে ] চিটফান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য মোশন আনতে বলেছেন। তৃণমূল সংহিসতার সাথে তাদের বাধা দিয়েছে। আর আজকে তিনি বলছেন তিনি কিছু জানতেন না। আর তিনি হচ্ছেন "সততার প্রতীক" ? "গরীব দরদি" ?
সত্য এটাই মমতা সব জানতেন। চিটফান্ডগুলি ছিল তার অর্থনৈতিক মুশকিল আসান। এদের মিডিয়া হেল্প ও দরকার ছিল। যেখানে কারখানা অধিগ্রহণ করতে হবে, সারদাগ্রুপকে দিয়ে তা করিয়েছেন। বাস নামাতে হবে, সেখানেও চিটফান্ড মালিকদের ভয় দেখিয়ে নামিয়েছেন। এটা মমতা জানতেন সৎ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অত সহজে টাকা পাবেন না। অসাধু চিটফান্ডের মালিকরা হচ্ছে দুগ্ধবৎ গাভী। চাইলেই দোয়াতে পারবেন-কারন এদের পায়ের তলায় মাটি নেই।
এই কুকর্ম করানো হত কুনালঘোষকে দিয়ে। তিনিও সুযোগ বুঝে দাঁও মেরেছেন দুদিকেই।
তৃনমূল এখন বলতে চাইছে সিপিএমের আমলে চিটফান্ডের উত্থান!! কি যুক্তি!! যদি ধরেও নিই সিপিএমের অনেক মেজ সেজ নেতা চিটফান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন, তাহলে তৃণমূলের যুক্তি এটাই-ওরা যেহেতু প্যান্টখুলে ঘুরে বেড়ায়, আমরাও বেড়াব!! এটা কোন সুস্থ রাজনীতির লজিক?
সত্য এটাই প্রাত্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত অনেকবার চিটফান্ড বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। পারেন নি সম্ভবত পার্টির চাপেই। কিন্ত বিমান বোস ত বলছেন, তৃণমূল সিপিএমের সেই নেতাদের নামগুলো দিক। এদিকে যেমন কুনাল ঘোষ এবং সৃজিত বোসের নাম প্রকাশ্যে এসেছে এবং কোন সন্দেহ থাকার কথা না যে এই দুই পেশাদার একদম পেশাদারিত্বের সাথে চিটফান্ডের গুড় খেয়েছে, তেমন দুজন সিপিএম নেতার নাম দিক তৃনমূলীরা। আমরাও আনন্দিত হব। বিমান বোস ও হবেন।
এবার রাজ্যবাসী নিজেকে প্রশ্ন করুন-অভিনয়ে কাকে বেশি নম্বর দেবেন? মমতা না সুদীপ্ত সেনকে?
এগুলি ছিল সময়ের লিখন-শিক্ষিত বাঙালী মাত্রই জানত এদিন একদিন আসবে। পঞ্জি স্কিম একদিন না একদিন তাদের ঘরের মতন ভাংবে।
কিন্ত যেটা নিয়ে সবাই নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন, তা হচ্ছে সন্তান স্নেহে কুনাল ঘোষকে রক্ষা করছেন দিদি। কুনাল ঘোষ এখন তৃণমূলের সব থেকে বড় ল্যায়াবিলিটি। তাকে আগলাচ্ছেন মমতা। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে কুনালকে সরালে কিছু হারাবেন মমতা । কুনালকে রেখে দিয়ে যা হারাচ্ছেন তার থেকেও সেই লস বেশি। সেখানেই সব থেকে বড় রহস্য।
অর্থাৎ কুনালকে টেনে নামালে, কুনাল ও অনেককেই নামাবেন। প্রশ্ন হচ্ছে তার মধ্যে মমতা থাকবেন কি না।
চিটফান্ডের প্রতি মমতা সহ তৃণমূলের প্রচ্ছন্ন মদত ছিল, এত তৃণমূলের নেতারাই স্বীকার করেছেন। স্বীকার না করলেও ক্ষতি নেই টিভিতে, চিটফান্ডের টিভিতেই সেই পাপকার্য্য দেখেছে রাজ্যের লোক। সমস্যা হচ্ছে কতটা জানতেন মমতা?
সেবি তাকে বারে বারে ছিঠি দিয়ে জানিয়েছে। কংগ্রেস সিপিএমের অনেক নেতা বিধান সভায় অন্তত তিন বার [ গত দু বছরে ] চিটফান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য মোশন আনতে বলেছেন। তৃণমূল সংহিসতার সাথে তাদের বাধা দিয়েছে। আর আজকে তিনি বলছেন তিনি কিছু জানতেন না। আর তিনি হচ্ছেন "সততার প্রতীক" ? "গরীব দরদি" ?
সত্য এটাই মমতা সব জানতেন। চিটফান্ডগুলি ছিল তার অর্থনৈতিক মুশকিল আসান। এদের মিডিয়া হেল্প ও দরকার ছিল। যেখানে কারখানা অধিগ্রহণ করতে হবে, সারদাগ্রুপকে দিয়ে তা করিয়েছেন। বাস নামাতে হবে, সেখানেও চিটফান্ড মালিকদের ভয় দেখিয়ে নামিয়েছেন। এটা মমতা জানতেন সৎ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অত সহজে টাকা পাবেন না। অসাধু চিটফান্ডের মালিকরা হচ্ছে দুগ্ধবৎ গাভী। চাইলেই দোয়াতে পারবেন-কারন এদের পায়ের তলায় মাটি নেই।
এই কুকর্ম করানো হত কুনালঘোষকে দিয়ে। তিনিও সুযোগ বুঝে দাঁও মেরেছেন দুদিকেই।
তৃনমূল এখন বলতে চাইছে সিপিএমের আমলে চিটফান্ডের উত্থান!! কি যুক্তি!! যদি ধরেও নিই সিপিএমের অনেক মেজ সেজ নেতা চিটফান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন, তাহলে তৃণমূলের যুক্তি এটাই-ওরা যেহেতু প্যান্টখুলে ঘুরে বেড়ায়, আমরাও বেড়াব!! এটা কোন সুস্থ রাজনীতির লজিক?
সত্য এটাই প্রাত্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত অনেকবার চিটফান্ড বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। পারেন নি সম্ভবত পার্টির চাপেই। কিন্ত বিমান বোস ত বলছেন, তৃণমূল সিপিএমের সেই নেতাদের নামগুলো দিক। এদিকে যেমন কুনাল ঘোষ এবং সৃজিত বোসের নাম প্রকাশ্যে এসেছে এবং কোন সন্দেহ থাকার কথা না যে এই দুই পেশাদার একদম পেশাদারিত্বের সাথে চিটফান্ডের গুড় খেয়েছে, তেমন দুজন সিপিএম নেতার নাম দিক তৃনমূলীরা। আমরাও আনন্দিত হব। বিমান বোস ও হবেন।
এবার রাজ্যবাসী নিজেকে প্রশ্ন করুন-অভিনয়ে কাকে বেশি নম্বর দেবেন? মমতা না সুদীপ্ত সেনকে?
No comments:
Post a Comment