এত দিস্তা খরচ হচ্ছে, অথচ সব থেকে গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নটা কেও তুলছে না। বা বাঙালীর বিদ্যাবুদ্ধি এত দ্রুত নীচে নেমেছে, সব থেকে গুরুত্বপূর্ন বিশ্লেষণ বা আত্মসমীক্ষা এখনো আমরা করি নি।
এই প্রশ্ন সবার আগে তোলা উচিত কেন বাংলাতে চিটফান্ড এবং চিটার -এই দুইগোত্রের সব থেকে বড় বেশি রমরমা?
খুব সহজ উত্তর হচ্ছে বাঙ্গালির ব্যাবসায় অনীহা। গুজরাতে মাথা পিছু আয় বাঙালীর আড়াইগুন। সেখানে চিটফান্ডের উৎপাত কেও শোনেনি। তাহলে বাঙালীর মধ্যেই এই সংক্রামক ব্যধিটি কেন? বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে-বাঙালীর ব্যবসা বিমুখতাই এর মূল এবং মুখ্য কারন।
এখানে আমরা সবাই লগ্নি করতে বাধ্য যেহেতু সুদ কিছু নেই। রিয়াল এস্টেট বা বাড়ি সব থেকে নিরাপদ লগ্নীর জায়গা। এই ২০০৮ সালের হাউসিং ক্রাশের পরেও। কিন্ত সাধারণত লগ্নি করা উচিৎ এসেট এবং ক্যাশ বিজেনেস মিলিয়ে। সেটা না হলে বন্ড মার্কেট খোলা আছে।
আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে বাড়তি পুজিকে আরো বাড়ানোর সেরা উপায় বাড়ি এবং জমি। হতেই পারে হত দরিদ্র বিনিয়োগকারীরা সেটাও পারে না। কিন্ত আমিত দেখছি খুব গরীবদের ও আমানতের পরিমান ১০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ ?
সেই টাকায় রিক্স বা ভ্যান কিনে ভাড়া দিলেও সারদার থেকে বেশি রিটার্ন পেত। সেইটুকু ব্যাবসায়িক বুদ্ধিও এদের নেই। নীচু থেকে উঁচু বাঙালীর মধ্যে এক রোগ-অলসভাবে বসে থেকে টাকা কামানোর ধান্দা।
আমি বারবার লিখেছি, বাঙালীর দুর্দশার জন্য সিপিএম বা তৃণমূল না, বাঙালী নিজেই দায়ী। যেমন জাতি, তেমন তার পার্টি। এমন ব্যাবসা বিমুখ জাতি যদ্দিন পারবে, তদ্দিন রবীন্দ্রনাথের দাড়ির উকুন হয়ে আঁতেল সাজবে। হয় লোকে তার পকেট কাটবে, বা সে লোকের পকেট কাটবে।
এই প্রশ্ন সবার আগে তোলা উচিত কেন বাংলাতে চিটফান্ড এবং চিটার -এই দুইগোত্রের সব থেকে বড় বেশি রমরমা?
খুব সহজ উত্তর হচ্ছে বাঙ্গালির ব্যাবসায় অনীহা। গুজরাতে মাথা পিছু আয় বাঙালীর আড়াইগুন। সেখানে চিটফান্ডের উৎপাত কেও শোনেনি। তাহলে বাঙালীর মধ্যেই এই সংক্রামক ব্যধিটি কেন? বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে-বাঙালীর ব্যবসা বিমুখতাই এর মূল এবং মুখ্য কারন।
- সহজলভ্য এজেন্ট। পশ্চিম বঙ্গে শিল্প নেই। কোনদিন হবেও না। সিপিএম এবং তৃণমূল উভয় পার্টি শিল্পবিরোধি পপুলিস্ট এজেন্ডাতে বিশ্বাস করে। ফলে এত বেকার আর কোথাও নেই। এতে এজেন্ট পেতে খুব সুবিধা।
- বাঙালীদের অধিকাংশর ব্যবসা নিয়ে নুন্যতম ধারনা নেই। ফলে ৩০% এজেন্ট কমিশন দিয়ে যে ২০% রিটার্ন দেওয়া যায় না, সেটা বোঝার মতন সামান্য ব্যবসায়িক বুদ্ধিও অধিকাংশ বাঙালীর নেই। কেও টাকা ফেরত পাচ্ছে শুনেই যুক্তিতিরোহিত হয়ে লাফাবে।
- গুজরাট বা অন্য যেকোন রাজ্যে লোকে, কিছু টাকা যেমন জমায়, কিছু টাকাতে জমি সোনা বাড়ি ইত্যাদি এসেট ও করে। খুব গরীবলোক ও জমিয়ে কিছু কিছু না কিছু এসেট করে। চীটফান্ড আসার আগে এইসব বাঙালীর মধ্যেও ছিল। কিন্ত বাঙালী এত অলস-এসেট করাতে যে খাটনি আছে, সেটুকুও করতে তারা নারাজ।
- পাঞ্জাবী বন্ধুদের মধ্যে চিট ফান্ড দেখিনি। সেখানে টাকা করার সহজ উপায় হচ্ছে বন্ধু বা আত্মীয়র ব্যবসাতে চড়াসুদে টাকা লাগানো। বাঙালীদের মধ্যে কেও ব্যাবসা করে না। আর করলেও তাকে কেও বিশ্বাস করে না। ফলে বন্ধু বা আত্মীয়র ব্যবসায় টাকা লাগিয়ে, টাকা করার উপায়-যেটাকে কমিউনিটি ফান্ডিং বলে, সেই সুযোগ বাঙালীদের মধ্যে নেই। সাধারনত এইভাবেই সব থেকে সহজ এবং বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। এই সুযোগটাই বাঙালী কমিউনিটির মধ্যে নেই। ফলে চিটিংবাজির রমরমা।
এখানে আমরা সবাই লগ্নি করতে বাধ্য যেহেতু সুদ কিছু নেই। রিয়াল এস্টেট বা বাড়ি সব থেকে নিরাপদ লগ্নীর জায়গা। এই ২০০৮ সালের হাউসিং ক্রাশের পরেও। কিন্ত সাধারণত লগ্নি করা উচিৎ এসেট এবং ক্যাশ বিজেনেস মিলিয়ে। সেটা না হলে বন্ড মার্কেট খোলা আছে।
আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে বাড়তি পুজিকে আরো বাড়ানোর সেরা উপায় বাড়ি এবং জমি। হতেই পারে হত দরিদ্র বিনিয়োগকারীরা সেটাও পারে না। কিন্ত আমিত দেখছি খুব গরীবদের ও আমানতের পরিমান ১০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ ?
সেই টাকায় রিক্স বা ভ্যান কিনে ভাড়া দিলেও সারদার থেকে বেশি রিটার্ন পেত। সেইটুকু ব্যাবসায়িক বুদ্ধিও এদের নেই। নীচু থেকে উঁচু বাঙালীর মধ্যে এক রোগ-অলসভাবে বসে থেকে টাকা কামানোর ধান্দা।
আমি বারবার লিখেছি, বাঙালীর দুর্দশার জন্য সিপিএম বা তৃণমূল না, বাঙালী নিজেই দায়ী। যেমন জাতি, তেমন তার পার্টি। এমন ব্যাবসা বিমুখ জাতি যদ্দিন পারবে, তদ্দিন রবীন্দ্রনাথের দাড়ির উকুন হয়ে আঁতেল সাজবে। হয় লোকে তার পকেট কাটবে, বা সে লোকের পকেট কাটবে।