৩০,০০০ ভোটে হারার পর গৌতম বাবুর উপলদ্ধি, এই বাম বাজারে খাবে না।
বাজারে চালাতে নতুন প্রোডাক্ট- সংশোধিত বাম। সেটি পেটে দেয় না পাতে খায়, উনিই জানেন-কিন্ত রাজ্যবাসী প্রশ্ন করতেই পারেন, সংশোধিত বাম মানে আরো বাম না ডান দিক? কোন দিক সেটি?
পশ্চিম বঙ্গে বামপন্থী তিন প্রকার।
বামাদর্শে বিশ্বাসী কিন্ত মাঠে নেমে রাজনীতি না করে, ধনতন্ত্রের সেবাদাস হয়েই জীবন কাটাবেন। এদের বামপন্থা মৃণাল সেনে আটকিয়ে। এরা অনেক আগেই সিপিএম ছেরে তৃনমূলে।
পারিবারিক আদর্শের কারনে বাম রাজনীতি করেন বা বিশ্বাস করেন-সিপিএমের তথাকথিত বাম এই গোষ্ঠির। এদের বাম সিপিএম এবং গণশক্তির আঠাতে আটকে আছে।
বামাদর্শে বিশ্বাসী এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করেন-এরা খ্যাপাটে নক্সাল। সিপিএমের ঘোর শত্রু।
তাহলে গৌতমবাবু যে বামেদের সংস্কারের কথা বলছেন-তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর বাম-মূলত পারিবারিক ঐতিহ্যে বাম। কিন্ত এদের মূল সমস্যা -এরা স্বাধীন চিন্তার মালিক নন। পলিটখুড়োরা পাঁজি দেখে যা ব্যখ্যা দেবে, সেটাই এরা মানে। পলিটখুড়ো যখন বলেছিল টাটার পা চাটতে-এরা তখন সেটাকেই সঠিক এবং বাস্তববাদি বাম বলে ঊদবাহু নেত্য করেছে।
এই অধঃপতিত বামেদের একটাই সংস্কার সম্ভব। স্বাধীন চিন্তা এবং যুক্তির বিকাশ যাতে দল বেঁধে পলিটখুরোরা বখলেসে টান খেয়ে ঘেও ঘেও না করে। চিন্তা এবং যুক্তিশক্তির বিকাশ হলে, মানুষ সাধারনত বিচক্ষন হয়-ডান বা বাম হয় না-সোজা পথে চলে। তবুও বাম সংস্কারের এটাই একমাত্র পথ। বকলেস বাঁধা কুকুরগুলিকে মানুষ হতে হবে-নইলে সিপিএমের সমর্থক এবং সিপিএম মানে পশ্চিম বঙ্গের জনগণের কাছে ঘেও ঘেও করা হার্মাদ কুকুরের ইমেজই ভেসে ওঠে।
1 comment:
khub khasa
Post a Comment