গায়ে একটু একটু রক্ত লেগে থাকবে- বয়স ২৫-৪৫ হলে চলবে। বেশী বয়স হলে লোকে বলবে, খাতায়ত নামটা উঠেই গেছিল। একটু আগে ডাক পড়ল আর কি! সহানুভূতির ঢল না নামলে কি ভোটের বাক্স ভরে?
মমতার লাশ মিছিলে কারা সামিল হবে জানা নেই-তবে কেতুগ্রামের দুই ভাই এর লাশ নিয়ে আমরা কৌতুহলী। গণশক্তি দাবী করছে, তারা দুই ভাই। জমির বিবাদে মারা গেছে। একজন কংগ্রেস, একজন তৃণমুল। তৃণমূল নাকি কংগ্রেসী লাশটাও ঝেড়ে দিয়েছে। মমতার দাবী সিপিএম মেরেছে। হয়ত দুই দলের দাবীই সত্য। ছিল জমির বিবাদ-হয়ে গেল পার্টির লড়াই। হিন্দু মুসলমানের দাঙ্গাও এই ভাবেই হয়। সব দ্বন্দই বস্তবাদি, তা এই দ্বিধাবিভক্ত সমাজ, ধর্ম এবং রাজনীতিতে ঘৃতাহুতি দেয়। লাশ পড়ে। লাশবঙ্গের দেহের ওপর শ্বশানকালী মৃতদেহ নিয়ে নৃত্য করেন।
দিনকাল যা পড়েছে পশ্চিম বঙ্গ দেখলেই আমার গ্রামের শ্বশানের কথা মনে পড়ে। দুই ডোম সেখানে বসে থেকে ঝগড়া করত কোন লাশটা তার। শ্বশানবঙ্গে ন্যানো থেকে শুরু করে পাট চা কেমিক্যাল-সব শিল্পেরই লাশ পড়ে। তখন কোন পার্টি পথে নামে না। পশ্চিম বঙ্গে শিল্পের লাশ হচ্ছে বেওয়ারিশ। জমির ঝগড়ায় দুই ভাই মারা গেলে তারা মমতার মালা পান। তারা শহিদ হন। জমির বিবাদে খুন হয়ে শহিদ হওয়ার সৌভাগ্য এই রাজ্যবাসীরই হতে পারে!
কে জানে যদি শিল্প থাকত রাজ্যে, হয়ত জমির ওপর চাপ কমত। জমি নিয়ে বিবাদ ও কমত।
লাশে সাপ্লাই লাইন না থাকলে হয়ত রাজনীতি হয় না।
No comments:
Post a Comment