১৯১৮-১৯১৯ সালে লেনিনের বলশেভিক পার্টি রাশিয়ান পার্লামেন্ট ভেঙে বিরোধি খুন করতে লাল সন্ত্রাসের শুরু করে। রাজনৈতিক বিরোধি বাম বা ডান-প্রায় সবাইকেই তিন বছরের মধ্যে শেষ করে বলশেভিক লালসেনা। কিউবা, উত্তর কোরিয়া এবং কমিনিউস্ট চীনের ইতিহাসও এক। সমস্ত রাজনৈতিক বিরোধিদের খুন করাটা "কমিনিউস্ট" দের অন্যতম প্রথম এবং প্রধান ধর্ম। কারন তারা মানুষের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে " বিপ্লব" করাতে বিশ্বাস করেন।
আজ লালগড়ে হার্মাদরা ৭ জনকে গুলি করে খুন করেছে-এতে সবাই নন্দীগ্রামের মতন বিচলিত। কিন্তু আসল কারনের দিকে আমরা কেও তাকাচ্ছি না। গত ৩৫ বছর ধরে সিপিএম রাজ্যে পার্টিতন্ত্র কায়েম করেছে-রাজ্যে সংবিধানের অস্তিত্ব নেই-ক্যাডার তথা হার্মাদ বাহিনী হচ্ছে রাজ্যের আসল পুলিশ! এবং এই ধরনের পার্টিতন্ত্র সম্পূর্নভাবেই সিপিএম পার্টির "আদর্শ"। এটা ভুলে গেলে চলবে না-খুন করা কমিনিউস্টদের কাছে হারাম না-এবং তারা মানুষ মেরে আনন্দই পায়। কমিনিউস্ট পার্টিগুলোর ইতিহাসটাই তাই। গরীবদের কথা বলে আন্দোলণ শুরু করে, ক্ষমতা দখলের পর ক্ষমতা রাখার জন্যে গরীব হত্যা। তাই নন্দীগ্রাম বা লালগড়ের হত্যাকান্ডে বিচ্ছিন্ন কিছু নেই। এই হত্যাকান্ড লাল ফ্যাসিজমের ধারাবাহিক ইতিহাস।
কোন কমিনিউস্ট নেতা এর ব্যাতিক্রম? লেনিন ১৯১৮-১৯২১ সালের মধ্যে ৫০০,০০০ কৃষক হত্যা করেছিলেন। করতে হয়েছিল-নইতে কমিবাবুদের ক্ষমতা টিকত না। রাশিয়া বলশেভিকদের বিরুদ্ধে শ্রমিক কৃষক বিদ্রোহে উত্তাল ছিল তখন। বর্তমানে পশ্চিম বঙ্গেও কৃষকরা লাল-নাগপাশ থেকে মুক্তি চাইছে। সৌরভ ঘরাই শ্যামানন্দ ঘরাইরা হাজারে হাজারে মিলিত হয়েছিল লাল সন্ত্রাস বাহিনীর বিরুদ্ধে। উত্তরে এসেছে গুলি।
আমি বহুদিন আগে থেকেই বলছি পশ্চিম বঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে, গ্রামগুলোকে অস্ত্রশুন্য করা হৌক। সিপিএমের হাতে প্রচুর অস্ত্র। অস্ত্র তৃনমূলের হাতেও আছে। বিমান বোস, বুদ্ধরা জানেন মস্তানি ছারা পশ্চিম বঙ্গে তারা একদিন ও টিকতে পারবেন না। এই রাজ্যে আইন নেই, পুলিশ নেই-মুখ্যমন্ত্রী এবং তারদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নেতা!
জেলে ঢোকাতে হলে আগে বুদ্ধ এবং বিমানকেই ধরে জেলে ঢোকানো উচিত। সন্ত্রাসের মূল মদতকারী এরাই। চুনোপুঁটি হার্মাদ ধরে কি হবে? বড় হার্মাদদের ধরুন।
এই অবস্থায় কেন রাষ্ট্রপতি শাসনে ভোট হবে না?
Friday, January 7, 2011
Thursday, January 6, 2011
লাশ চাই লাশ!
মরা না তাজা!
গায়ে একটু একটু রক্ত লেগে থাকবে- বয়স ২৫-৪৫ হলে চলবে। বেশী বয়স হলে লোকে বলবে, খাতায়ত নামটা উঠেই গেছিল। একটু আগে ডাক পড়ল আর কি! সহানুভূতির ঢল না নামলে কি ভোটের বাক্স ভরে?
মমতার লাশ মিছিলে কারা সামিল হবে জানা নেই-তবে কেতুগ্রামের দুই ভাই এর লাশ নিয়ে আমরা কৌতুহলী। গণশক্তি দাবী করছে, তারা দুই ভাই। জমির বিবাদে মারা গেছে। একজন কংগ্রেস, একজন তৃণমুল। তৃণমূল নাকি কংগ্রেসী লাশটাও ঝেড়ে দিয়েছে। মমতার দাবী সিপিএম মেরেছে। হয়ত দুই দলের দাবীই সত্য। ছিল জমির বিবাদ-হয়ে গেল পার্টির লড়াই। হিন্দু মুসলমানের দাঙ্গাও এই ভাবেই হয়। সব দ্বন্দই বস্তবাদি, তা এই দ্বিধাবিভক্ত সমাজ, ধর্ম এবং রাজনীতিতে ঘৃতাহুতি দেয়। লাশ পড়ে। লাশবঙ্গের দেহের ওপর শ্বশানকালী মৃতদেহ নিয়ে নৃত্য করেন।
দিনকাল যা পড়েছে পশ্চিম বঙ্গ দেখলেই আমার গ্রামের শ্বশানের কথা মনে পড়ে। দুই ডোম সেখানে বসে থেকে ঝগড়া করত কোন লাশটা তার। শ্বশানবঙ্গে ন্যানো থেকে শুরু করে পাট চা কেমিক্যাল-সব শিল্পেরই লাশ পড়ে। তখন কোন পার্টি পথে নামে না। পশ্চিম বঙ্গে শিল্পের লাশ হচ্ছে বেওয়ারিশ। জমির ঝগড়ায় দুই ভাই মারা গেলে তারা মমতার মালা পান। তারা শহিদ হন। জমির বিবাদে খুন হয়ে শহিদ হওয়ার সৌভাগ্য এই রাজ্যবাসীরই হতে পারে!
কে জানে যদি শিল্প থাকত রাজ্যে, হয়ত জমির ওপর চাপ কমত। জমি নিয়ে বিবাদ ও কমত।
লাশে সাপ্লাই লাইন না থাকলে হয়ত রাজনীতি হয় না।
Subscribe to:
Posts (Atom)