আমাদের যাদের বয়স হয়েছে ১৯৮৯ এর স্মৃতি খুবই উজ্জ্বল। অলি গলিমে শোর হ্যায় রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়। রাস্তার একদিকে বিজেপি, অন্যদিকে সিপিএম। বিজেপির তখন মোটে ২ টি এম পি।
তারপর ১৯৮৯-৯১ পর্যন্ত কংগ্রেস বিরোধিদের বারো মিশেলি সিপিম-বিজেপিদের মন্ত্রীসভা কি ভাবে সরকার চালিয়েছে আমরা সবাই জানি। ১৯৯০ সালে ভারত প্রায় দেওলিয়া হয়ে গিয়েছিল। ভারতের সোনা বন্ধক দিয়ে তেল কিনতে হয়েছে।
রাজনীতি অভিনয়ের মঞ্চ। কেও সিপিএমের রোল করে-কেও বিজেপির। দিনের শেষে এর অন্তিম লক্ষ্য একটাই-ক্ষমতা। রাজার আলখাল্লায় হিটলারের বা স্টালিনের যারই দাগ থাকুক না কেন, রাজনীতির লোকগুলো একটাই ভাষা বোঝে-ক্ষমতা দখল।
বামফ্রন্টের সিট অর্ধেক হয়ে যাওয়াতে এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে প্রকাশ কারাত সম্পূর্ন অপ্রাসঙ্গিক। আগে ছিলেন প্রাসঙ্গিক ননসেন্স -কারন ক্ষমতা ছিল। এখন ক্ষমতাহীন ননসেন্স-তাই ভাইরাভাইএর চ্যানেল ছারা কেও ডাকে না। ক্ষমতাহীন নখদন্তহীন অবস্থায় বসে থাকতে কোন রাজনীতিবিদদের আর ভালো লাগে?
সিপিএম ধর্মঘট ডাকলে ত্রিপুরা, কেরালা আর পশ্চিম বঙ্গে ছুটি পালিত হয়। কেও পাত্তা দেয় না। কারন সবাই জানে পশ্চিম বঙ্গ থেকে সিপিএম মুছে যাওয়ার মুখে। সময়ের অপেক্ষা। ফলে এই মুহুর্তে বিজেপির সাথে গাঁটছারা বাধা ছারা কারাতের সামনে কোন লাইন খোলা নেই। সেদিন একই অবস্থা ছিল জ্যোতিবাবুদের। রাজীবের সামনে ওরা কোনঠাসা ছিলেন। তাই বিগ্রেডে জ্যোতি-বাজপেয়ী একসাথে হাত তুলেছেন। আজকে কারাত আর গাডকারী হয়ত এক সাথে হাত ধরবেন না-কিন্ত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নিজেদের অস্তিত্ব রাখতে, একসাথে কর্মসূচী নেবেন।
আমি আগেও বলেছি আদর্শবাদি রাজনীতির ভবিষ্যত নেই। আজকের তরুনরা একটু ভাল থাকতে চাই-গোটা বিশ্বকে ছুঁতে চাই।সস্তার দাদাগিরি না করে- তাদের শিক্ষা, চাকরীর আর জীবিকার ব্যাবস্থা করুন। জীবিকা তৈরীর রাজনীতিতে বিজেপি বা সিপিএমের ভরসা নেই-ফলে বর্তমান প্রজন্মের সাথে সিপিএম আর বিজেপির দূরত্ব বাড়ছে। আর এরাও ধর্মঘটের মতন সস্তার চমকে বিশ্বাস করছে।
পৃথিবীটা গোল-তাই একটু বেশী বামদিকে গেলে, সেটা ডান দিক হওয়াটাই স্বাভাবিক।
No comments:
Post a Comment