Wednesday, March 31, 2010
মহেশ্বতা দেবীকে লেখা খোলা চিঠি
আমি আজই আনন্দবাজারে দেখলাম, আপনার জন্যে সুমন পদত্যাগ করছেন না। তার জন্যে এই চিঠি না। এই চিঠি লিখছি আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে যেখানে আপনি সুমনকে লিখেছেন বা বলেছেন ২০১১ সালে সিপিএমকে তাড়ানো খুব জরুরী-এবং সেই জন্যে তৃণমূলের বাস্তবতাকে স্বীকার করে "এমন কিছু না করতে যাতে সিপিএমের সুবিধা হয়"।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, আমি নিজেও পরিবর্তনের পক্ষে। তাই আমাকে শত্রুপক্ষের লোক বা হার্মাদদের দোশর ভাবলে ভুল করবেন।
কিন্ত আপনি যে যুক্তিতে সুমনের পদত্যাগ আটকাচ্ছেন-সেটা নিয়ে কি গভীরে ভেবেছেন?
২০১১ সালে সিপিএমের অপসরন জরুরী বলে আপনি মানেন। আমিও মানি। কিন্ত তার মানে কি এই-সুমন বা তৃণমূলের একজন কর্মী তৃণমূলের সমালোচনা করতে পারবে না? তাতে সিপিএমের সুবিধা হবে?
আচ্ছা সিপিএমটা কি বলুন ত মহেশ্বতা দেবী? একটা পার্টি না পার্টি কেন্দ্রীকতার রোগ ?
আপনি একবার ও কি ভেবেছেন, সিপিএম বা তৃণমূল বাঙালীরাই করে-যারা একই পরিবেশে -একই স্কুলে বড় হয়েছে। আজ সিপিএম সিঙ্গুরে নন্দীগ্রামে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করে নি বলে আপনি মাঠে নেমেছিলেন। কিন্ত এ কথা আপনি নিজেও জানেন তৃণমূলেও জমির দালাল কিছু কম নেই-বৈদিক কান্ডেই তা প্রমাণিত।
তাহলে রোগ না রুগী-কোনটা সারানো উচিত বলে আপনার মনে হয়? আজকে যে কারনে সিপিএমের নেতা এবং সমর্থকগুলো বিবেকরহিত নামানুষে পরিণত হয়েছে-সেটার কারন ও কিন্ত পার্টিকে সমালোচনা করার জন্যে যে প্রকাশ্য গণতন্ত্রের দরকার ছিল তার অভাব। সবার ওপর পার্টি সত্য-তাই পার্টির সমালোচনা জনসাধারনের কাছে করা চলবে না-দরজায় খিল দিয়ে করতে হবে-এই ধরনের ভুঁয়ো আদর্শবাদই আজ সিপিএমকে পথে বসিয়েছে। রোগের আসল উৎপত্তি গণতান্ত্রিক সমালোচনার পরিবেশ না তৈরী করা। আজ সিপিএমের মধ্যে এই জনগণতান্ত্রিক ব্যাপারটা থাকলে, তাদের পার্টির লোকদের অনেকেই পার্টিকে সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামের ভুল থেকে বাঁচাতে পারত। কিন্ত গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীকতার ঢপবাজি যেমন স্টালিনের জন্ম দিয়েছিল-ঠিক তেমনি আমাদের রাজ্যে তা দু এক পিস লক্ষন শেঠ বা তরিৎ তরফদারের মতন মাফিয়ার জন্ম দিয়েছে।
সেই রোগের একটাই উপশম আছে। সেটা হচ্ছে গণতন্ত্রকে, প্রতিটা পার্টির গণতন্ত্রকে আরো বেশী মজবুত করা। আপনি মমতার ভক্ত-কিন্ত আপনি একবার ও কি সমালোচনা করেছেন কেন তৃণমূলে গঠনতান্ত্রিক নির্বাচন হয় না? -ওপর থেকে নেতা চাপানো হয়? তাপস পাল, শতাব্দী রায়কে স্থানীয় তৃনমূল কর্মীদের মাথার ওপর চাপানো হয়? তাপস পাল যেখানের এম পি, সেটাত আমার চেনা জায়গা-যেখানে লোকেদের প্রথম দাবী ছিল, রেল লাইনের জন্যে। সেটাত অনেক দূর অস্ত- উনাকে ভোটের পর সেখানে আর কেও কোনদিন দেখেছে বলে জানি না। তিনি নিশ্চিন্তে শীতের যাত্রাপালাতে ব্যাস্ত ছিলেন বলেই জানি। এসব নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেই স্থানীয় স্তরে অনেক ক্ষোভ। কিন্ত সিপিএমের যেমন সবার ওপর পার্টি সত্য রোগ ছিল-তৃণমূলের সবার ওপর দিদি সত্য রোগ। কারন তৃণমূলের ত কোন পার্টি সংবিধান নেই। দিদির কথাই হচ্ছে সংবিধান।
আর আপনাদের মতন সুশীলরা সেই "সবার ওপর দিদি সত্য" কেই পার্টি এবং কর্মীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। সিপিএমের কর্মীরা যেমন পার্টির বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ বা পার্টির জন্যে তাদের গঠনমূলক সমালোচনাগুলোকে প্রকাশ্যে আনার সুযোগ পায় নি-ঠিক তেমনি তৃনমূলের কর্মীরাও তাদের হতাশা বা গঠনমূলক সমালোচনা করার জায়গাটা হারাচ্ছেন-কারন আপনাদের মতন সবাই তাদেরকে ২০১১ সালের সিপিএম জুজু দেখাচ্ছে। ঠিক যে ভাবে সিপিএম শ্রেনী শত্রু মজুতদার কংগ্রেসী ইত্যাদির জুজু দেখিয়ে, পার্টিকর্মীদের প্রকাশ্যে সমালোচনা থেকে আটকে রেখেছে।
তা আপনার কি মনে হয় গণতন্ত্রটা জুজুবুড়ির ভয় দেখিয়ে লোকেদের ব্রেইন ওয়াশ করার যাত্রাপালা? এই জুজুবুড়ির যাত্রাপালাতেই কিন্ত হার্মাদদের জন্ম হয়েছে-যারা পার্টির প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্য দেখাতে গিয়ে নিজেদের মনুষ্যত্ব হারিয়ে নামানুষে পরিণত। আপনার আন্দোলন কিন্তু সেই সব নামানুষদের বিরুদ্ধেই। কিন্ত দেখা যাচ্ছে আপনি নিজেও তৃণমূলে সবার ওপর দিদি সত্য নামানুষ ভাই তৈরী করার কাজেই মাঠে নেমেছেন।
প্রকাশ্যে সমালোচনাকে ভয় পাওয়াটা আমাদের গণতন্ত্রের সব থেকে বড় রোগ। কিন্ত সমালোচনা, বিবেকের তাড়নায় মানুষের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই গণতন্ত্রের চালিকা শক্তি। সেই শক্তিটাকে সিপিএমের লাল ফ্যাসিবাদ নষ্ট করে দিয়েছিল-আর পরিবর্তনের নামে আপনাদের মতন সুশীলরা তার থেকে ভাল কিছু করছে না।
আমার কথাগুলো ভেবে দেখলেও দেখতে পারেন। এই ধরনের মমতাময়ী সাইকোফ্যান্সি সৃষ্টি করে রাজ্য, দেশ, জনগণ বা মমতাদেবীর ও কি উপকার হবে?
প্রগতিশীল দেহ ব্যাবসা
ধর্ম এবং ধর্মনিরেপেক্ষতার সহাবস্থান সোনার পাথরবাটি ত বটেই। কারন প্রতিটি ধর্মগ্রন্থই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করে অন্যদের গালাগাল দিতে ওস্তাদ। এই ব্যাপারে একেশ্বরবাদি ধর্মগুলি আরো এককাঠি ওপরে। সেই অপ্রিয় সত্যকথনে তসলিমা দক্ষিনপূর্ব এশিয়াতে রাজনীতিবিদদের চক্ষ্যুশূল। বেসিক্যালি তসলিমা ইস্যুতে এটাই প্রমানিত ডান, বাম এইসব ব্যাপার গুলো আসলেই মুখোশ-আসল মুখটা হচ্ছে ভোটবাজি। নাম্বার গেম।
কোলকাতা থেকে তসলিমা বিতাড়িত। সিপিএম বা তৃণমূল কেওই মুসলিম ভোট হারানোর ভয়ে তাকে চাইছে না। বিজেপি তসলিমাকে নিয়ে সেই একই ভোটব্যাবসা করতেই ইচ্ছুক-শুধু মুদ্রার ওপিঠ মাত্র। বিজেপির কাছে মকবুল ফিসা হুসেন আর সিপিএম তৃণমুলের কাছে তসলিমা-ব্যাপারটা একই। ধর্মানুভুতি নামে এক অবুঝ মধ্যযুগীয় সুরসুরির ক্রীতদাস এরা। আবার রাজনীতি করার সময় মুখে বলবে আমরা প্রগতিশীলতার রাজনীতি করি। আমাদের রাজ্যে যারা প্রগতিশীলতার দাবিদার, তারা আসলেই প্রগতিশীলতার দেহব্যাবসা করেন। তসলিমা ইস্যুতে সেটা আরো পরিস্কার।
তসলিমা যেভাবে ধর্মকে সমালোচনা করেন-আমি সেই ভাবে ধর্মকে সমালোচনা করার পক্ষপাতি না। কারন ধর্মগুলি বিবর্তনের পথে মনুষ্য সমাজকে " রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেস" দিয়েছে। সমাজ এবং নৃতত্ববিজ্ঞানের চোখে, মনুষ্যসমাজের সেই বিবর্তন না বুঝলে এবং বোঝালে, শুধু শুধু ধর্মের সমালোচনা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কিন্ত তসলিমা বা অন্যকারোর সেই সমালোচনা করার অধিকার একটি লিব্যারাল ডেমোক্রাসিতে থাকবে-সেই জায়গাটা কেড়ে নিলে, কালকে আমরা যারা ধর্ম এবং সমাজের বিজ্ঞান সম্মত সমালোচনা করি-আঘাত এবং চাপটা আমাদের ওপর ও আসবে।
আমি বিশ্বাস করি পশ্চিম বঙ্গ এবং বাংলাদেশের এক বৃহৎ অংশের হিন্দু এবং মুসলিম ভাইরা আমার মতনই সত্যিকারের লিব্যারাল ডেমোক্রাসি-প্রগতিশীল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। এবং যেসব প্রগতিশীল রাজনীতিবিদরা, ( আমাদের রাজ্যে প্রায় সবাই, ঠগ বাছতে গাঁ উজার হবে) যারা মোল্লা এবং সব ধর্মের মৌলবাদিদের কাছে, প্রতিনিয়ত দেহ বেচে চলেছেন, তাদেরকে আমরা খুব ভাল ভাবেই চিনে গেছি। সমস্যা হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে আমরা কোন জোরালো জনমত গড়তে পারছি না। কারন আমাদের এই সেকশনটা সংগঠিত না। ভারত এবং বাংলাদেশের নাগরিক সমাজকে একত্রিত হয়েই এই সব প্রগতিশীল রাজনৈতিক বেশ্যাদের মুখোশ খোলা দরকার।
Monday, March 22, 2010
মনু, মহম্মদ কি নারী জাতির প্রতি অবিচার করেছিলেন?
পরিবার-বিবাহ-এগুলো সামাজিক বিবর্তনের ফল। পশু পাখি-সবাই লিভ টুগেদার করে-তাহলে মানব বিবর্তনের কোন ধাপে লিভ টুগেদারটাকে আরো জটিল এবং ঐশ্বরিক করে বিবাহ নামে প্রতিষ্ঠানটি শক্তিশালী হল সেটা বুঝতে হবে। বিবর্তন কিন্ত একটি এমরফিক স্বতস্ফূর্ত পদ্ধতি-সুতরাং বিবাহ প্রতিষ্ঠানটি সমাজের রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেস বাড়িয়েছে বলেই, এটি লিভটুগেদারের ওপর এক সময় প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। কিন্ত বর্তমানে ইউরোপে বিবাহ বিলুপ্তপ্রায়। লিভ টুগেদারই ফিরে এল। কে অত্যাচারিত বা শোষিত তাই দিয়ে বিবর্তন নির্নিত হয় না। বিবর্তনের মূল কথা হচ্ছে কোন সংস্কৃ্তিতে শক্তিশালী নতুন প্রজন্ম উ্ঠে আসে।
এখানেই প্রশ্ন উঠবে, তাহলে বিবাহ, সিঙ্গল মম বা লিভ টুগেদার-কিসের থেকে বেশী “ফিট” সন্তানের জন্ম হবে ( সংখ্যা এবং সারভাইভাল প্রবাবিলিটি)। এটি বিতর্কিত প্রশ্ন। ইউরোপে জন সংখ্যা কমছে-লিভ টুগেদারের ভূ্মিকা এর পেছনে আছে। বিবাহিতদের মধ্যে সন্তান উৎপাদনের হার একটু বেশী হবেই।
আমি এবার ধর্মগ্রন্থ গুলিতে মেয়েদের কেন দাবিয়ে পুরুষ তন্ত্রের দাসী করে রাখা হয়েছে তাই নিয়ে কিছু বলি। আমাদের একটি সাধারন ধারনা মহম্মদ কোরানে নারীদের বাজে ভাবে ট্রাক চাপা দিয়ে, নারী জাতির প্রতি ভয়ংকর অন্যায় করেছেন। সেটা এই যুগে মহম্মদ কোরান লিখলে নিশ্চয় বলা যেত-কিন্ত সেই যুগের জন্যে মহম্মদ বা মনু ঠিক না ভুল কাজ করেছেন সেটা সামাজিক বিবর্তনের দৃষ্টিতেই দেখতে হবে। বৈজ্ঞানিক চেতনার আলোকে ধর্মকে দেখা মানেই, সামাজিক বিবর্তনের চোখেই ধর্মকে দেখা উচিত।
তাহলে আসল কথাতে আসি। সেই যুগে শিশু মৃত্যুর হার ছিল অত্যাধিক বেশি। ফার্টালিটি 2.1 এর কম হলে সেই সমাজের নেগেটিভ গ্রোথ হয়। আদিম চিকিৎসা ব্যাবস্থা দিয়ে ওই ফার্টিলিটি ধরে রাখতে গেলে একজন নারীকে গড়ে ৬-৭ টি সন্তানের জন্ম দিতে হয়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা হচ্ছে আজকাল যেসব মেয়েরা লিব্যারাল, তারা দ্বিতীয় সন্তানত দূরের কথা প্রথম সন্তানই অনেকেই নিতে চাইছে না। ইস্যুটা বেলেল্লাপনা করার না-ইস্যুটা হচ্ছে সন্তানের জন্যে মেয়েদের স্বার্থত্যাগ স্বাধীনতা ত্যাগ-কতটা চেপে করানো হয়-আর কতটা স্বাভাবিক? এবার একজন মেয়েকে যদি ৬-৭ সন্তানের জন্যে রাজী করাতে হয়, তার ওপর কি পরিমান সামাজিক চাপ সৃষ্টি করাতে হবে? ঠিক সেটাইমনু বা মহম্মদ করেছেন। এটা না করলে, সেই সমাজ রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেসে তখনকার দিনে পিছিয়ে পড়ত। আজকের লিব্যারাল ইউরোপের সমাজ যতই উন্নত হৌক, তারাও রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেসে পিছিয়ে যাচ্ছে-কারন ইটালি, গ্রীস, জার্মানী ইত্যাদিদেশে ফার্টালিটি 1.1-1.3 -এর জন্যে তরুন লেবার শর্টেজ হচ্ছে এবং তৃতীয় বিশ্ব থেকে লোক এনে সেই ঘাটতি পূরন করতে হচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের মুসলিম বা হিন্দু সংস্কৃতিতে মেয়েদের ওপর সন্তান ধারনের সেই চাপ আছে-ফলে আজকে মুসলিমরা ইউরোপের সব দেশেই সব থেকে বেশী "রিপ্রোডাক্টিভ ফিট" জাতি।
লিব্যারাল সংস্কৃতি সমাজে রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেসের গুরুত্ব অস্বীকার করে জীবন যাপন করলে, ধর্মের অত্যাচার আরো বাড়বে-কমবে না। কারন সেই ছেলেগুলিই বড় হবে, যাদের ফ্যামিলিতে মেয়েদের ওপর সন্তান ধারনের জন্যে প্রচুর চাপ দেওয়া হয় ( ধর্মের মাধ্যমে) এবং মেমেটিক্সের সূত্র ধরে, সেই চাপ দেওয়া সংস্কৃতিটিই বিবর্তনে জিতবে। কারন সংস্কৃতির অধিকাংশটাই আমরা শিশুকালে পারিবারিক সুত্রে পেয়ে থাকি। সেটাই নানান পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত। ফলে ধর্মের ব্যাপারগুলি আমরা যত নৃতাত্বিক এবং সামাজিক বিবর্তন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করব, ততই ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে সংঘাত কমবে। লিব্যারাল সংস্কৃতিও একধরনের বিশ্বাস নির্ভর কালচার-সেটাকে বিজ্ঞানসম্মত বলে চালানো ভুল। ক্ষতিকারক ও হতে পারে। সামাজিক বিবর্তনের সূত্র ধরে যত আমরা ধর্মকে বোঝার চেষ্টা করব-ততই ধার্মিকদের সুবিধা হবে বিজ্ঞানের চেতনার পথে জীবনকে পরিচালিত করতে। কারন তবেই তারা বুঝতে পারবেন কেন ধর্ম গ্রন্থে মেয়েদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এবং সেই অবিচারের মূলে যে ঈশ্বর না, রিপ্রোডাক্টিভ সিলেকশন কাজ করেছে-সেটা বুঝলেই, তারা আস্তে আস্তে ঈশ্বরের অবৈধ হাতের থেকে বিবর্তনের খেলাতেই বেশী আস্বস্ত হবেন।
তবে হ্যা। বিবাহের সাথে রোম্যান্টিসিজম এবং ভালোবাসাকে গোলানো উচিত না। সন্তান পালনের জন্যে কর্তব্য হিসাবে দেখলেই বিবাহের বিশেষ ভার লাঘব হয়। ভালোবাসাটা বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের জন্যেই তুলে রাখা উচিত! অথবা ভালোবাসা বা রোম্যান্টিসিজমের মতন ধোঁয়াশা শব্দগুলো তুলে দিলেও হয! এই ভালোবাসার পাত্রের খোঁজে কত মেয়েযে শাদি ডট কমে খুঁজে খুঁজে বুড়ি হতে চললো এবং শেষকালে চাপে পড়ে ভুল্ভাল বিয়ে করে ডিভোর্স নিয়ে এখন জীবনটাকেই ভন্ডুল করে দিয়েছে-তার ইয়াত্তা নেই। তাই যৌনতা, বিবাহ এবং ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্য ঠিক ঠাক না বুঝলে আরো অনেক ছেলে -বিশেষত অনেক অবুঝ মেয়ের জীবন ভেসে যাবে।