মহামারীর ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য পেলাম। যার থেকে সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করছি। ভুল হতে পারে। কিন্ত এগুলো ফারদার ইগনোর করলে মুশকিল।
(১) ১৯১৮-১৯ সালে উত্তর ফ্রান্স থেকে যে স্প্যানিশ ফ্ল ছড়িয়েছিল, তাতে সব থেকে বেশী মারা যায় ভারতে। প্রায় ১ কোটি সত্তর লক্ষ। দেশভাগ বা কোন যুদ্ধে ভারতে এত লোক মারা যায় নি। গঙ্গা ভরে গিয়েছিল ভেসে ওঠা পচাগলা মৃতদেহে। অথচ ইতিহাসের এই পর্বটি সম্পূর্ন গায়েব।
এটির উৎপত্তিও মুর্গী থেকে। উত্তর ফ্রান্সে। প্রথম যুদ্ধ শেষে ফ্রান্স ফেরত ২০০ জন সৈনিক বোম্বেতে অবতরন থেকে এটা ভারতে ছড়ায়।
আস্তে আস্তে গঙ্গা ভেসে ওঠে মৃতদেহে। পোড়ানোর লোক পর্যন্ত ছিল না। কেশব বালিরাম হেজগাওগারের জীবনী পড়তে গিয়ে জেনেছিলাম ১৯১৯ সালে মহামারী হয়েছিল। কারন এই মহামারীর বিরুদ্ধে তার স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের সাথে পরবর্তীকালে ১৯২৫ সালে আর এস এসের জন্মের একটা সম্পর্ক আছে। ঠিক একই সময় খিলাফত আন্দোলন শুরু হয়। পাকিস্থানের জন্মের বীজ ছিল খিলাফত আন্দোলনে। সুতরাং ১৯১৯ সালের মহামারীর ইতিহাস প্রায় মৃত, সব সার্চ লাইট খেয়েছে খিলাফত আন্দোলন। অথচ গান্ধীজি সহ কংগ্রেস নেতৃত্বের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন এই স্প্যানিশ জ্বরে।
আস্তে আস্তে গঙ্গা ভেসে ওঠে মৃতদেহে। পোড়ানোর লোক পর্যন্ত ছিল না। কেশব বালিরাম হেজগাওগারের জীবনী পড়তে গিয়ে জেনেছিলাম ১৯১৯ সালে মহামারী হয়েছিল। কারন এই মহামারীর বিরুদ্ধে তার স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের সাথে পরবর্তীকালে ১৯২৫ সালে আর এস এসের জন্মের একটা সম্পর্ক আছে। ঠিক একই সময় খিলাফত আন্দোলন শুরু হয়। পাকিস্থানের জন্মের বীজ ছিল খিলাফত আন্দোলনে। সুতরাং ১৯১৯ সালের মহামারীর ইতিহাস প্রায় মৃত, সব সার্চ লাইট খেয়েছে খিলাফত আন্দোলন। অথচ গান্ধীজি সহ কংগ্রেস নেতৃত্বের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন এই স্প্যানিশ জ্বরে।
মহামারীতে এত বিশাল মৃত্যু ভারত কেন কোন দেশই কোনদিন দেখে নি। অথচ, স্প্যানিশ ফ্ল ভারতের ইতিহাস থেকে উধাও!
কারন এই মৃত্যুর পেছনে যেহেতু ভাইরাস-সেহেতু ইতিহাসে ঢুকিয়ে কি হবে? পাওয়ার লবির পলিটিক্যাল গেইন নেই। বুঝুন কি অবস্থা। কিভাবে ইতিহাস লিখেছে কংগ্রেসের শিক্ষিত স্যাঙাত বাহিনী।
ইতিহাস পড়ার একটাই কারন। যাতে একই ভুল দুবার না হয়। এই ইতিহাস পড়া থাকলে শাহীনবাগ আর পার্ক সার্কাসে রাজনৈতিক সার্কাস নামাতে কেউ সাহস পেত না। আবার সরকারের উচিত ছিল আন্তর্জাতিক উড়ান অনেকদিন আগে বন্ধ করা। ট্রেইন বাস ও বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কিন্ত যে প্রজন্মের ১৯১৯ সালে মহামারীর ইতিহাস জানা নেই, তাদের পক্ষে বোঝা অসম্ভব কি হতে পারে।
(২) অধিকাংশ ভাইরাসের জন্ম জীবজন্তর শরীরে। মানুষের ত্বক ভাইরাসের ঢোকার জন্য সাধারন ভাবে পুরু। সেই জন্য ভাইরাস ত্বকের দুর্বল অংশ দিয়ে ঢুকবে। এইচ আই ভি, ইবোলা, স্প্যানিশ ফ্ল ছাড়া , অধিকাংশ ঐতিহাসিক ভাইরাসের জন্ম চীনে। কারনটাও বোধগোম্য। যেহেতু তারা নানাবিধ পশু খায়। চোদ্দশ শতাব্দির ব্ল্যাক ডেথ ও চীন থেকে।
কিন্ত একটা ব্যাপার ভাবার আছে। উত্তর ফ্রান্স এবং ভারতের আবহাওয়া এক না। তাহলে স্প্যানিশ ফ্ল কিভাবে ভারতে বিধ্বংশী হয়? সাধারনত ভাইরাস যে আবহাওয়াতে জন্মেছে, তাতেই সক্রিয় থাকে বেশী। যেমন এখন যত কোভিড-১৯ স্ট্রেইন পাওয়া যাবে, সবই মেইড ইন চাইনা স্ট্যাম্প। এবং এগুলো ১০-২০ ডিগ্রি তামমাত্রায় বেশী এফেক্টিভ। ২৫+ হলে, এদের ওয়াল গলতে শুরু করে দেবে।
কিন্ত তার মানে কি ভারত নিরাপদ বেশী? উত্তর হ্যা এবং না।
যেটা হবে, ভারতে যে কোভিড-১৯ এল, এটা ভারতীয়দের দেহে মিউটেট করবে। অধিকাংশ মিউটেশন খতরনাক না। কিন্ত একটা বা দুটো মিউটেশন এমন হবে, যে তার ফলে যে নতুন ভাইরাস এল, সে কিন্ত ভারতের আবহাওয়াতে মানিয়ে নেবে। ফলে ডেঞ্জারেস ভাবে ছড়িয়ে যাবে ভারতে।
তার সম্ভাবনা কত? পুরোটাই নির্ভর করছে কত লোকে সংক্রামিত হচ্ছে। যদি কম লোক এফেক্টেড হয়, প্রোবাবিলিটিই বলে দেবে সেক্ষেত্রে কোভিড-১৯ ভারতের ওয়েদারে মিউটেট করার সুযোগ পাবে না। কিন্ত যদি বেশী লোকে এফেক্টেড হয়, এটা মিউটেট করে , ভারতের ওয়েদারেও খতরনাক হবে।
এই জন্যেই স্যোশাল ডিস্টান্সিং, লকডাউন দরকার। যাতে করোনা মিউটেট করে ভারতের ওয়েদারে ডেঞ্জারেস না হয়। হলে আরেকটা ১৯১৯ অপেক্ষা করছে। কারন ১৯১৯ সাল যে স্প্যানিশ জ্বরে ভারতে বিধ্বংশী হয়, খুব নিশ্চিত ভাবেই তা মিউটেড। না হলে উত্তর ফ্রান্সের ঠান্ডা ওয়েদারের ভাইরাস গাঙ্গেয় উপত্যকার গরম সহ্য করে তান্ডব নৃত্য করতে পারে না।