Saturday, November 28, 2020

কোভিড ভ্যাকসিন- আর কদ্দিন ? কোন ভ্যাকসিন বেশী প্রমিসিং?

 

কোভিড ভ্যাকসিন- আর কদ্দিন ? কোন ভ্যাকসিন বেশী প্রমিসিং?

   -বিপ্লব পাল, ১১/২৮/২০২০

 এই মুহুর্তে  সব থেকে বড় চিন্তা কোভিড ভ্যাক্সিনের কদ্দুর ? কখন আসছে ভ্যাকসিন? কোন ভ্যাক্সিন ভাল বা এফেক্টিভ হবে? ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর কতদিন বাদে আবার নিতে হবে?  বুস্টার ডোজ লাগবে কি না?

ভ্যাক্সিনের কাজ কদ্দূর এগোচ্ছে-সেটা নিয়ে নানান খবর বা বিজ্ঞানের জার্নাল ঘাঁটলেও  এই সাবজেক্টটা  গভীরে গিয়ে বোঝার ক্ষমতা আমার নেই।  বায়োলজি নিয়ে আমার জ্ঞান নেহাতই সীমিত। তবুও যেটুকু জেনেছি, সেটাই সহযে বোঝানোর চেষ্টা করছি-সাধারন মানুষের জন্য। যা লিখছি তা নেহাতই যেটুকু খবরে জেনেছি তার ভিত্তিতে।

 

 ৩২১ রকমের ভ্যাকসিন আবিস্কারের প্রক্রিয়াতে রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১৫ টি ভ্যাকসিন শেষ ধাপের ট্রায়ালে।

 

আমি এই প্রবন্ধে মূলত পাঁচটি ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা করব।  এই পাঁচটি ভ্যাকসিনে ফেজ-৩ ট্রায়ালের কিছু কিছু রেজাল্ট আসতে শুরু করেছে এবং আগামী মাসের মধ্যেই হয়ত স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়ার জন্য এমার্জেন্সি অথোরাইজেশন এরা পেয়ে যাবে। বা অনেকে পেয়েও গেছে। এই জন্যে এই ভ্যাক্সিনগুলি নিয়ে জানা থাকলে সুবিধা কারন খুব সম্ভবত এরাই মার্কেটে আসতে চলেছে দ্রুত।

 

 (১) অক্সফর্ড ভ্যাক্সিন বা এস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সিন – ADZ 12222

(2)  রাশিয়ার স্পুটনিক ভ্যাক্সিন – SPUTNIK-5

(3) মর্ডানা ভ্যাক্সিন – Moderna 1273

(4)  বায়ো এন টেক ফাইজার ভ্যাক্সিন -   BNT162B2

(৫) সিনোফার্ম (চাইনা) -করোনাভ্যাক

 

                                                   (১) অক্সফর্ড ভ্যাক্সিন

এটি তৈরী হয়েছে শিম্পাঞ্জীর এডেনোভাইরাস থেকে ( একধরনের কোল্ড ভাইরাস, যারাও করোনা ভাইরাসের মতন ) ।  এডেনোভাইরাস-এক্ষেত্রে ভেক্টরের (বাহকের) কাজ করে কারন এই ভাইরাসটি নিরীহ। এর মধ্যে ঢোকানো হয়েছে কোভিড-১৯ এর স্পাইক প্রোটিন সিকোয়েন্স। অর্থাৎ ব্যাপার হচ্ছে এই ভ্যাকসিনটি এক ধরনের কৃত্রিম করোনা ভাইরাস-যার গায়ে করোনা স্পাইক থাকবে, কিন্ত ভেতরের নিউক্লিওটাইডটি নিরীহ এডিনো ভাইরাসের- যা কোভিড-১৯ এর মতন মারাত্মক না। ফলে এই ভ্যাক্সিন শরীরে প্রবেশের সাথে  সাথে করোনা স্পাইকের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি রেসপন্স তৈরী হবে।   ভ্যাক্সিন নেওয়ার ২৮ দিন বাদে এন্টিবডি তৈরী হচ্ছে। কিন্ত নিউট্রালাইজিং এন্টিবডি -যা কিনা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে একমাত্র ঢাল -সেটি তৈরী করতে ৫৮ দিনের মাথায় আরেকটি বুস্টার ডোজ নিতে হচ্ছে।

 

যেহেতু সর্দিজ্বরের ভাইরাস দিয়ে এই ভ্যাক্সিন তৈরী-সেহেতু ভ্যাক্সিন নেওয়ার সাথে সাথে জ্বর আসবে। প্যারাসিটামল টাইপের মেডিসিন নিতে হতে পারে।

 

 ২৪,০০০ লোকের ওপর ( বৃটেন, ব্রাজিল, সাউথ আফ্রিকা) ট্রায়াল চলেছে। ভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে ৫০% লোককে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়, বাকীদের দেওয়া হয় প্লাসিবো-মানে তাতে শুধু জল থাকে। কিন্ত তারা মনে করে তাদের ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে!  এদের সুবিধা হল, বোঝা যায়, যারা এই ভ্যাক্সিন নিয়েছে বনাম নেয় নি, সেই দুই গ্রুপের মধ্যে পার্থক্য কি।

 এক্ষেত্রে ১২,০০০ লোক -যারা সত্যিই দুই ডোজ ভ্যাক্সিন পেয়েছিল, তাদের মধ্যে ৩২ জন কোভিড-১৯ এর আক্রান্ত হয়েছে। বাকী ১২,০০০ লোক যাদের প্লাসিবো দেওয়া হয়েছিল, তাদের ১০১ জন আক্রান্ত হয়েছে। সুতরাং এই ভাইরাসে এভেক্টিভ রেট ৭০%।

 

 তবে বিজ্ঞানীরা এই প্রকাশিত তথ্যের সাথে একমত না। তারা বলছেন গোঁজামিল আছে। কারন দেখা যাচ্ছে যারা ডোজ কম পেয়েছে, তাদের সাফল্য বেশী।  এই ভ্যাক্সিনের সাথে সংম্পৃক্ত বিজ্ঞানীরা বলছেন প্রথমে ১/২ ডোজ নিয়ে পরে বুস্টার ডোজ ফুল দিলে, ৯০% সাফল্য রেট হবে। কিন্ত কেন হবে-কোন ব্যখ্যা নেই। ফলে বিজ্ঞানীরা বা যারা এই ভ্যাক্সিন এপ্রুভ করবেন, তারা মানছেন না।

 

  অক্সফর্ড ভ্যাক্সিনের ভাল দিক হল- এটি দামে কম । ২-৩ ডলার বা ১০০-২০০ টাকা ডোজ প্রতি। এবং এর তৈরীর পদ্ধতি বহুদিন ধরে স্বীকৃত-অর্থাত সাইড এফেক্টের চান্স কম। এছাড়া এই ভ্যাক্সিনের ১০ কোটি ডোজ তৈরী আছে।  স্টোরেজ টেম্পারেচার ২-৮ সেন্টিগ্রেড। সাধারন ফিজারে রাখলেই চলবে। সুতরাং এর ডিস্ট্রিবিউশন এবং ট্রান্সপোর্টেশন ও খুব সহজ।

 

 কদিন বাদে আবার ভ্যাক্সিন নিতে হবে? সেই তথ্য এখনো বোঝা যাচ্ছে না!

 

  আরেকটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার-এই ভ্যাক্সিন নিলে কি এসিম্পটোটিক বা যাদের খুব কম লক্ষন দেখা যাচ্ছে তাদের ইনফেকশন কমবে ? কারন এরাই রোগটা ছড়াচ্ছে । সেই ব্যাপারে ডেটা কম-মনে হয় তাদের ক্ষেত্রেও এই ভ্যাক্সিন এফেক্টিভ হবে।

 

                                                       (২) মর্ডানা এবং ফাইজার   ভ্যাক্সিন

মর্ডানা এবং ফাইজার ভ্যাক্সিন ম্যাসেঞ্জার আর এন এ প্রযুক্তিতে তৈরী। যা অত্যাধুনিক।  তাই এই দুই ভ্যাক্সিনের আলোচনা একসাথে করছি। মর্ডানা সম্পূর্ন আমেরিকা ভিত্তিক। ফাইজার আমেরিকা এবং জার্মানি ভিত্তিক কোম্পানী।

 

 ম্যাসেঞ্জার আর এন এ ভাক্সিন  কিভাবে কাজ করে? এক্ষেত্রে যে আর এন এ চেইনটি করোনা ভাইরাসের গ্লাইকোপ্রোটিন স্পাইক তৈরী করে, আর এন এর সেই অংশটুকু, লিপিড ন্যানোপার্টিকলের সাহায্যে একদম শরীরের কোষে সরাসরি ঢেলে দেওয়া হয়।  আর এন এ শরীরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই দেহকোষের বাইরে গ্লাইকোপ্রোটিনে স্পাইক তৈরী করে ফেলে। আর যেহেতু এই গ্লাইকোপ্রোটিন স্পাইক গুলিকে দেহের ইমিউনিটি সিস্টেম বিদেশী আক্রমনকারী হিসাবে চিহ্নিত করে, সেহেতু,  দেহ নিউট্রালাইজিং এন্টিবডি তৈরী করা শুরু করে দেয়। যারা ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ এর শত্রু হিসাবে কাজ করবে।

 

ম্যাসেঞ্জার আর এন এ ভাক্সিনের কিছু সুবিধা আছে। এগুলো আবিস্কার এবং ফ্যাক্টরিতে  তৈরী করা খুব সহজ। এছারা এক্ষেত্রে সেলুলার এবং হিউমরাল ( অর্থাৎ ব্লাড সিরামে)-দু ধরনের প্রতিরক্ষাই তৈরী হয়।  অক্সফোর্ড ভাক্সিন অবশ্য ট্রাডিশনাল হলেও , জিন এডিটিং এর সাহায্যে, তাদের ভাইরাসেও দুই ধরনের প্রতিরক্ষা তৈরী হবে। এম আর এন এ ভাইরাসের আরেকটা সুবিধা-সাইড এফেক্ট অনেক কম। শুধু যে জায়গায় ( সাধারনত বাহুর ওপরে ) দেওয়া হয় শুধু সেই জায়গাটা একটু ফুলবে। জ্বর আসার চান্স আছে তবে কম।

 

কিন্ত এম আর এন এ ভাক্সিনের অসুবিধাও অনেক।  আর এন এ খুব আন্সটেবল। এক মিনিটের কম টেকে (  নির্ধারিত টেম্পারেচারের তলায় না রাখলে)। যেমন ধরুন মর্ডানা ভাক্সিনকে  -২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে স্টোর করে রাখতে হয়। ফাইজার ভ্যাক্সিনকে-৭০ ডিগ্রি। এবার স্টোরেজ থেকে বার করে, দেহে ইঞ্জেকশন দিতে হবে ৫-১০ সেকেন্ডের মধ্যে। তবে দেহকোষে আর এন এ ন্যানোপার্টিকল হয়ত ত্রিশ সেকেন্ড থাকার সুযোগ পাবে ভেঙে যাওয়ার আগে। তবেই দেহকোষে গ্লাইকোপ্রোটিন তৈরীর সুযোগ হবে।

 

 মর্ডানা ভ্যাক্সিনের ফেজ থ্রি টায়ালে দুটো ডোজ নেওয়ার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। খুব দ্রুত নিতে হয়।  ফ্রিজ থেকে বার করে মুহুর্তের মধ্যে ইনজেকশন দেওয়া হয়।

 

 এই ধরনের ভ্যাক্সিন আমেরিকা, জার্মানিতে চলতে পারে। ভারতে চলবে না। -২০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেডে ভ্যাক্সিন ট্রান্সপোর্ট এবং স্টোরেজ করার মতন ক্ষমতা অনেক জায়গায় নেই। তাছাড়া ফ্রিজ থেকে বার করে  ৫-১০ সেকেন্ডের মধ্যে ইনজেকশন দেওয়াও বেশ কঠিন ।  দামও পড়বে ৪০-৫০ ডলারের মতন।

 

 ফাইজার দাবী করছে ৯০% সাকসেস রেট, মর্ডানা দাবী করছে ৯৫%। কিন্ত কোন ডেটাই এখনো বাইরের বিজ্ঞানীরা দেখেন নি। তারা এই সাকসেস রেট মানতেও রাজী না সব কিছু খুঁটিয়ে না দেখে। কারন এর আগে এম আর এন এ যেকটি ভ্যাক্সিন তৈরী করার চেষ্টা হয়েছিল-সেগুলো সফল হয় নি। সেখানে হঠাত করে ৯০% সাকসেস রেট মামার বাড়ির আবদার নাকি?    আমি অবশ্য অন্য কারনে এই তথ্যে বিশ্বাস করছি না। কারন মর্ডানার ফেজ থ্রি ট্রায়ালেও যথেষ্ট বেছে বেছে লোক নেওয়া হয়েছে । কারন এই ট্রায়ালে যারা চান্স পেয়েছে ( আমিও পেয়েছি বলেই বলছি) তাদের গত ছমাসে কোভিড-১৯ হয় নি এবং যারা রেগুলার আফিস ফ্যাক্টরিতে যাতায়াত করে। প্লেনে যাতায়াত করছে। অর্থাৎ এক্সপোজার বেশী। এক্সপোজার বেশী, কিন্ত তাও  ছমাস  কোভিড-১৯ হয় নি, এটা মানে  যে ট্রায়াল গ্রুপকে সিলেক্ট করা হচ্ছে, তাদের বেসিক ইমিউনিটি অনেক বেশী।  এবার  ইমিউনিটি যাদের এমনিতেই বেশী তাদের মধ্যে  ৯০% সফল মানে বৃদ্ধ বা যাদের ইমিউনিটি কম তাদের ক্ষেত্রে সাফল্য ৬০-৭০% হবে না কে বলতে পারে ?

 

 লক্ষ্যনীয় এই ঘোষনার পরপরই দুই কোম্পানীর পরিচালন গোষ্টির লোকেরা নিজেদের স্টক বেচে কেউ কেউ ১০০০ কোটি টাকার বেশী মালিক হয়েছে। অথচ বিজ্ঞানীদের অনেক প্রশ্নের উত্তর নেই।  তবে ফাইজার এবং মর্ডানা ডিসেম্বরেই এমার্জেন্সি অথোরাইজেশন পাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়ার জন্য।

 

 অনেকেই এম-আর এন এ ভ্যাক্সিন এর দীর্ঘ মেয়াদি সাইড এফেক্ট নিয়ে চিন্তিত। যে ক্যান্সার হতে পারে ভবিষ্যতে। তবে এটা প্রমানিত আর এন এ এত ক্ষন ভঙ্গুর এরা দেহকোষের নিউক্লিয়াসে ঢুকে ডি এন এ পরিবর্তনের সুযোগ পায় না। তার আগেই অনুগুলি ভেঙে যায়।  সুতরাং ক্যান্সারের চান্স তাত্ত্বিক ভাবে এখনো অমূলক।

                                                       

                                                        (৩)

   রাশিয়ার স্পুটনিক-৫ এবং চীনের সিনোভ্যাক গোষ্টীর করোনা ভ্যাক

 প্রথমে স্পুটনিক-৫ এ আসি। এগুলি সবই ট্রাডিশনাল ভ্যাক্সিন। অর্থাৎ কোভিড-১৯ এর স্পাইক প্রোটিন তৈরীর জেনেটিক অংশের সাথে এডিনোভাইরাসের মতন নিরীহ ভাইরাসের সংমিশ্রনে তৈরী। অক্সফর্ড ভ্যাকসিন এদের থেকে স্লাইটলি বেটার কারন তাতে আরো বেশী জেনেটিক মডিফিকেশন করে, তার সেলুলার এবং হিউমরাল ইমিউনিটি তৈরী করে যা এই দুই ভ্যাক্সিনে নেই।

 

 স্পুতনিক-৫ ফেজ-৩ ট্রায়াল না করেই, পুতিন সরাসরি রাশিয়ার জনগনের জন্য চালাতে গেছিলেন। তার রাজনীতি সফল হয় নি। কারন রাশিয়া এবং বিশ্বের সব বিজ্ঞানীরাই এই ধরনের হটকারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কলুষিত কাজের প্রতিবাদ করেছেন। এখনো পর্যন্ত যেটুকু ডেটা বাজারে এসেছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সুতরাং স্পুটনিক-৫ যতই সস্তা হোক, রিলায়েবল ডেটার অভাবে রাজনীতির চাপে পিছিয়ে গেছে।

 

সে তুলনায় চাইনার করোনাভ্যাকের রেজাল্ট অনেক ভাল। প্রায় ৪০,০০০ ফেজ থ্রি ট্রায়াল হয়েছে। ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া , চিলি, চাইনাতে। ৯২-৯৮% সাফল্য দাবী করেছেন বিজ্ঞানীরা।

 

 কিন্ত সব ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রেই দুটো প্রশ্নের কোন জবাব এখনো নেই

 

 (১) একবার ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর কমাস বাদে ইমিউনিটি আর থাকবে না। মানে দ্বিতীয়বার টিকা নিতে হবে?

 (২) বৃদ্ধ এবং যুবকদের ওপর এফেক্টিভনেস একই রকম হবে কি না। কারন কোভিড-১৯ বৃদ্ধদের জনই ভয়ংকর বেশী

 এখনো যথেষ্ট ডেটা কারোর কাছেই নেই।

                                     (৪)

 

ভারতে ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিন ( BBV152) তৈরী করছে। 

 ভারতের ভ্যাক্সিনের কোয়ালিটি কি হবে-সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারন ভারতে বিজ্ঞানীরা রাজনৈতিক চাপে, মালিকদের চাপে ডেটা ম্যানুপুলেট করবেন না-তার গারান্টি নেই। এর আগে ভারতে র‍্যানবক্সী সহ   অনেক ফার্মাই ডেটা ম্যানুপুলেশনের জন্য কুখ্যাতি পেয়েছে। যেহেতু ভারতে লিগ্যাল অন্তত দুর্বল। এবং রেগুলেটরি সংস্থা আই সি এম আর ভারতের অন্যান্য সংস্থার মতনই দুর্নীতিগ্রস্থ অপদার্থ। নইলে আই সি এম আরের ছাড়পত্র পাওয়া টেস্টকিট কিকরে ১০০% ভুল রেজাল্ট দেয়?  ভ্যাক্সিন তৈরীর ক্ষেত্রে ডেটাই সব। ভারতের মতন আদ্যপান্ত কোরাপ্ট দেশে  ভূত বিহীন ডেটা পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

 

মোটামুটি যেটুকু বুঝেছি অক্সফোর্ড এবং সাইনোভ্যাকের করোনাভ্যাক এখনো পর্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য বেশী। যদিও আমি নিজে মর্ডানা ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল নিয়েছি, কিন্ত এম-আর এন এ  ভ্যাক্সিনের সফলতা নিয়ে আমার ভরসা কম। কারন এর আগে কোথাও এম আর এন এ ভ্যাক্সিন সফল হয় নি। তাছাড়া যে দ্রুততা এবং এফিসিয়েন্সিতে এখন এটা দিতে হয়, তা নিখুত ভাবে সত্যিই দেওয়া সম্ভব কি না আমার সন্দেহ আছে। স্টক মার্কেট ফুলিয়ে লাভ করা আর বৈজ্ঞানিক  সত্যের মধ্যে আসমান জমিনের ফারাক।  

 

 

No comments: