Tuesday, April 26, 2016

আমেরিকাতে ভোট-প্রাইমারী

 আজ সকাল সাতটাই উঠেই ভোট দিতে গেলাম। বাড়ী থেকে দুমিনিট দূরে বুথ। এলিকট মিডল স্কুলে।
 বুথে কোন লোক নেই -অন্তত বাইরে। হিলারী বা বার্নি কারুর প্ল্যাকার্ড নেই। ট্রাম্পের প্ল্যাকার্ডে ছয়লাপ। স্কুলবোর্ডের পার্থীদের এজেন্টরা বাইরে ক্যানভাসিং করছে।

    বুথের ভেতরে ছিলাম দশ মিনিট। এখানে ডাইভার লাইসেন্স দেখালে ওরা ডেটাবেস থেকে বার করে আনে ভোটার কিনা। সেটা দেখে ব্যালট দেয়। ঐ দশ মিনিটে আমি এবং আমার স্ত্রী ছাড়া আর মাত্র একজন ভোটার ছিল। বুথের ইলেকশন কর্মীদের গড় বয়স সত্তরের ওপরে। সবাই মজা করে ভল্যুউন্টারিং করছেন।

  প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন মোটেও এত ফাঁকা ফাঁকা হয় না। বিরাট লাইন থাকে। আজকে আসলে প্রাইমারী ইলেকশনের দিন।  এর মানে হল, আজকে যারা পার্টিকার্ড হোল্ডার তারা তাদের নেতা বা ক্যান্ডিডেট কে হবে সেটা নির্বাচন করে। এখানে ব্যারাক ওবামা বা হিলারী ঠিক করে না কংগ্রেসম্যান বা সেনেটর কে হবে। এখানে শতব্দি বা দেবকে ওই ভাবে টিকিট দেওয়া যায় না। পার্টির স্থানীয় মেম্বাররা ভোট দিয়ে ঠিক করে- কে পার্টি ক্যান্ডিডেট হবে। ভাবুন তৃনমূলের পার্থী কে হবে-সেটা মমতা বা মুকুলের হাতে নেই। স্থানীয় পার্টি কার্ড হোল্ডাররা ঠিক করে সেটা। যে কেউ দাঁড়াতে পারে।  আজকে ছিল তার দিন। প্রেসিডেন্টিয়াল ক্যান্ডিডেট হিসাবে বার্নি বনাম হিলারী শুধু না-আজকে সেনেট, কংগ্রেসম্যান কে হবে-তার জন্যেও ভোট ছিল। অধিকাংশ লোক স্থানীয় সেনেটর বা কংগ্রেসম্যানের নামই জানে না। আমি বরং জেনেছি তাও কিছু পার্টি করার সুবাধে। বাকী অধিকাংশ লোক একদমই এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না।


               টার্ন আউটের অবস্থা বেশ খারাপ। এই কেন্দ্রে প্রায় ৩০০০ রেজিস্টারড ডেমোক্রাট বা রিপাবলিকান আছে। দেখছিলাম দুই বৃদ্ধ ইলেকশন অফিসার আলোচনা করছে ৩০০ ভোট দিতে এলে হয়।

   এটা আমেরিকান গণতন্ত্রের একটা বাজে দিক । জনগনের পার্টিসিপেশন কম। ফলে টাকা দিয়ে এই গণতন্ত্র ম্যানেজ করা সহজ এবং সেটাই হচ্ছে।  ভালোর দিকে যেটা চোখে পড়ল-আমেরিকার কালোদের মধ্যে প্রায় ১০০% রাজনীতি সচেতন এবং তারা প্রায় সবাই ডেমোক্রাটিক পার্টির কার্ড হোল্ডার। এরাই হিলারীকে জেতাল এবার। এবং এক্টিভ ও। ডেমোক্রাটিক পার্টির মিটিং মানে এখানে কারুর বাড়িতে দশ কুড়িজনের সমাবেশ-তার মধ্যে ৮০% ই  ব্ল্যাক। এটাই মেরীল্যান্ডের চিত্র।

No comments: