Blog link : http://biplabbangla.blogspot.com/2016/11/blog-post_27.html
কমিনিউজম এবং ধর্ম, দুটোই দাঁড়িয়ে রূপকথা এবং তার অলীক সত্যের প্রচারের ওপরে। গুচ্ছ গুচ্ছ মিথ্যে জনগণকে খাইয়ে তৈরী হয় কমিনিউস্ট বা ধর্মীয় প্রফেটদের বিগার দ্যান লাইফ চরিত্র।
আমি কিউবাতে যায় নি-যাওয়ার ইচ্ছা এখনো আছে ষোলআনা, বিশেষত ক্যারিবিয়ান দীপপুঞ্জ আমার প্রিয় টুরিস্ট ডেস্টিনেশন। আগে আমেরিকা থেকে কিউবা যাওয়া সহজ ছিল না। ইদানিং ওবামা-রাউল চুক্তির দৌলতে এখান থেকে সরাসরি হাভানা যাওয়া যাচ্ছে। তবে আমার চেনাশোনা যেসব টুরিস্ট কিউবাতে গেছে, তাদের কাছ থেকে যা শুনেছি- হাভানাতে খাবারের শর্টেজ আছে এমনকি টুরিস্টদের জন্যও। তবে বেশ্যাদের রমরমা। মাত্র দশ ডলারেও শুতে রাজী হয়ে যায় যেকোন মেয়ে। কারন সবার বাড়িতেই খাবার দাবার থেকে বেসিক জিনিসের টানাটানি। কিউবান ইমিগ্রান্টদের কথা ছেড়ে দিলাম-তারা ত কাস্ট্রোর ওপর এমনিতেই খাপ্পা তাদের জীবন এবং পরিবার ধ্বংসের জন্য।
এবং মনে রাখবেন, আমি অন্যদের কথা বলছি না। বলছি ফিদেল কাস্ত্রোর মেয়ে আলিনা ফার্নান্ডেজের কথা। যিনি ৩৭ বছর বয়সে কিউবা থেকে স্পেনে পালান (১৯৯৪)। সেখান থেকে মিয়ামিতে । এখন মিয়ামিতে এক্সাইল কিউবান রেডিও শো হোস্ট করেন। উনি লিখেছেন উনার বাবার লেগ্যাসি - Castro's Daughter: An Exile's Memoir of Cuba।
এলিনার লেখা থেকে যে ফিদেলকে পাওয়া যায় তা অনেক বিশ্বাসযোগ্য। বাবা সম্মন্ধে খারাপ কথা কোন মেয়েই বলবে না। এলিনাও বলেন নি। শুধু তার লেখায় যে ফিদেলকে পাওয়া যায় -সেই ফিদেল কোন বাবা না- একজন আদর্শবাদি নেতা। গোটা লেখাটাই একজন কন্যা তার পিতাকে খুঁজছেন, কিন্ত ফিরে পাচ্ছেন এক নেতাকে।
লেখাটি খুবই বিশ্বাযোগ্য যখন দেখি কাস্ত্রো তার মেয়েকে ফেমিনিজমের শিক্ষা দিচ্ছেন এই ভাবে -তোমার মায়ের মত হয়ো না। সি ইজ টু নাইস ট্যু মি। ডোন্ট বি সো নাইস ট্যু এ ম্যান!
এলিনার লেখা থেকে পরিস্কার ফিদেল কমিনিউস্ট আদর্শের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেন নি। প্রেসিডেন্টের কন্যা বা স্ত্রী-কোন আলাদা সুবিধা পায় নি হাভানাতে। এখন কমিনিজম রাষ্ট্রের জন্য একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক আদর্শ-সেটি অন্য প্রশ্ন।
এবার আসা যাক ফিদেলকে নিয়ে গড়ে ওঠা মিথ প্রসঙ্গে। সত্যিই কি কিউবাতে চিকিৎসাব্যবস্থা এত ভাল?
দুদিককার বক্তব্য শুনে যেটা পরিস্কার-কিউবা অনেক বেশী ডাক্তার তৈরী করতে সমর্থ হয়েছে-কিন্ত দেশে না আছে মেডিসিন, না আছে আধুনিক মেডিক্যাল ফেসিলিটি। অত্যাধুনিক ফেসিলিটি একমাত্র আছে টুরিস্ট এবং নেতাদের জন্য। সেটা ডলার কামানোর ধান্দায়। একজন সাধারন লোকের পক্ষে এন্টিবায়োটিক পাওয়া দুস্কর। কিন্ত তাও কিউবার লাইফ এক্সপেক্টেন্সি আমেরিকার থেকে ভাল। কিন্ত সেই তথ্যও কমিনিউস্ট গুপি কি না, তাই নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন [১] ।
কিউবার খাদ্য সিকিউরিটি নিয়েও একই কথা। ৭০% খাদ্য আমদানি করতে হয়। কারন দেশের কৃষিকর্ম একদম প্রাচীন যুগের। এর একটা বড় কারন কিউবা সাসটেনেবল কৃষিতে বিশ্বাসী। কিন্ত সেটা করতে গিয়ে দেশটার খাদ্য উৎপাদন একদম তলানিতে। ইম্পোর্টই ভরসা। [২]
ফিদেলের আগে কিউবা অনুন্নত ছিল এগুলো রূপকথা। কমিনিউস্ট বিপ্লবের আগে [৩]
মোদ্দা কথা কিউবা নিয়ে বলতে উঠলে, বাঙালী বামেরা উচ্ছাসিত হয়ে ওঠেন। যদিও বাস্তব এটাই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রতি মাসে কিউবানরা বোটে করে ফ্লোরিডাতে পালাচ্ছে। অন্যদিকে আমেরিকার কজন কিউবা কোন দেশ সেটা জানে কি না সন্দেহ। আর যদি বাম বাঙালীর প্রশ্ন তোলেন, তারাও ডলারের লোভে আমেরিকান এম্নাসীতেই লাইন দিয়ে থাকেন-কিউবাতে পড়াশোনা করতে গেছেন, এমন বাম বাঙালীর সন্ধান কেউ দিতে পারবে বলে মনে হয় না। কারন কিউবাতে সবা্র ইনকাম ওই মাসে ২০ ডলার বা ১৫০০ টাকার কাছাকাছি। ওইকটা টাকার জন্য কোন বাম বাঙালী এখনো কিউবার ছাত্র হওয়ার দৌড়ে নাম লেখান নি-যদিও তারা ফিদেল এবং তার অলীক কিউবা নিয়ে ফেসবুক গরম করে থাকেন। তবে কি না অর্থ মর্হাঘ্য বস্তু-তা আদর্শবাদিদের ও ছাড়ে না।
[১]http://www.nationalreview.com/article/432680/myth-cuban-health-care
[২]https://www.wfp.org/countries/cuba
[৩]http://www.nationalreview.com/corner/442483/cuba-castro
কমিনিউজম এবং ধর্ম, দুটোই দাঁড়িয়ে রূপকথা এবং তার অলীক সত্যের প্রচারের ওপরে। গুচ্ছ গুচ্ছ মিথ্যে জনগণকে খাইয়ে তৈরী হয় কমিনিউস্ট বা ধর্মীয় প্রফেটদের বিগার দ্যান লাইফ চরিত্র।
আমি কিউবাতে যায় নি-যাওয়ার ইচ্ছা এখনো আছে ষোলআনা, বিশেষত ক্যারিবিয়ান দীপপুঞ্জ আমার প্রিয় টুরিস্ট ডেস্টিনেশন। আগে আমেরিকা থেকে কিউবা যাওয়া সহজ ছিল না। ইদানিং ওবামা-রাউল চুক্তির দৌলতে এখান থেকে সরাসরি হাভানা যাওয়া যাচ্ছে। তবে আমার চেনাশোনা যেসব টুরিস্ট কিউবাতে গেছে, তাদের কাছ থেকে যা শুনেছি- হাভানাতে খাবারের শর্টেজ আছে এমনকি টুরিস্টদের জন্যও। তবে বেশ্যাদের রমরমা। মাত্র দশ ডলারেও শুতে রাজী হয়ে যায় যেকোন মেয়ে। কারন সবার বাড়িতেই খাবার দাবার থেকে বেসিক জিনিসের টানাটানি। কিউবান ইমিগ্রান্টদের কথা ছেড়ে দিলাম-তারা ত কাস্ট্রোর ওপর এমনিতেই খাপ্পা তাদের জীবন এবং পরিবার ধ্বংসের জন্য।
এবং মনে রাখবেন, আমি অন্যদের কথা বলছি না। বলছি ফিদেল কাস্ত্রোর মেয়ে আলিনা ফার্নান্ডেজের কথা। যিনি ৩৭ বছর বয়সে কিউবা থেকে স্পেনে পালান (১৯৯৪)। সেখান থেকে মিয়ামিতে । এখন মিয়ামিতে এক্সাইল কিউবান রেডিও শো হোস্ট করেন। উনি লিখেছেন উনার বাবার লেগ্যাসি - Castro's Daughter: An Exile's Memoir of Cuba।
এলিনার লেখা থেকে যে ফিদেলকে পাওয়া যায় তা অনেক বিশ্বাসযোগ্য। বাবা সম্মন্ধে খারাপ কথা কোন মেয়েই বলবে না। এলিনাও বলেন নি। শুধু তার লেখায় যে ফিদেলকে পাওয়া যায় -সেই ফিদেল কোন বাবা না- একজন আদর্শবাদি নেতা। গোটা লেখাটাই একজন কন্যা তার পিতাকে খুঁজছেন, কিন্ত ফিরে পাচ্ছেন এক নেতাকে।
লেখাটি খুবই বিশ্বাযোগ্য যখন দেখি কাস্ত্রো তার মেয়েকে ফেমিনিজমের শিক্ষা দিচ্ছেন এই ভাবে -তোমার মায়ের মত হয়ো না। সি ইজ টু নাইস ট্যু মি। ডোন্ট বি সো নাইস ট্যু এ ম্যান!
এলিনার লেখা থেকে পরিস্কার ফিদেল কমিনিউস্ট আদর্শের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেন নি। প্রেসিডেন্টের কন্যা বা স্ত্রী-কোন আলাদা সুবিধা পায় নি হাভানাতে। এখন কমিনিজম রাষ্ট্রের জন্য একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক আদর্শ-সেটি অন্য প্রশ্ন।
এবার আসা যাক ফিদেলকে নিয়ে গড়ে ওঠা মিথ প্রসঙ্গে। সত্যিই কি কিউবাতে চিকিৎসাব্যবস্থা এত ভাল?
দুদিককার বক্তব্য শুনে যেটা পরিস্কার-কিউবা অনেক বেশী ডাক্তার তৈরী করতে সমর্থ হয়েছে-কিন্ত দেশে না আছে মেডিসিন, না আছে আধুনিক মেডিক্যাল ফেসিলিটি। অত্যাধুনিক ফেসিলিটি একমাত্র আছে টুরিস্ট এবং নেতাদের জন্য। সেটা ডলার কামানোর ধান্দায়। একজন সাধারন লোকের পক্ষে এন্টিবায়োটিক পাওয়া দুস্কর। কিন্ত তাও কিউবার লাইফ এক্সপেক্টেন্সি আমেরিকার থেকে ভাল। কিন্ত সেই তথ্যও কমিনিউস্ট গুপি কি না, তাই নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন [১] ।
কিউবার খাদ্য সিকিউরিটি নিয়েও একই কথা। ৭০% খাদ্য আমদানি করতে হয়। কারন দেশের কৃষিকর্ম একদম প্রাচীন যুগের। এর একটা বড় কারন কিউবা সাসটেনেবল কৃষিতে বিশ্বাসী। কিন্ত সেটা করতে গিয়ে দেশটার খাদ্য উৎপাদন একদম তলানিতে। ইম্পোর্টই ভরসা। [২]
ফিদেলের আগে কিউবা অনুন্নত ছিল এগুলো রূপকথা। কমিনিউস্ট বিপ্লবের আগে [৩]
- কিউবার সাক্ষরতার হার ছিল ৭৮%
- পার ক্যাপিটা ইনকাম ছিল উত্তর আমেরিকার মধ্যে পঞ্চম
- লাইফ এক্সপেক্টেন্সিতে তৃতীয়
- গাড়ী এবং টেলিফোন ওনারশিপে আমেরিকা, কানাডার পরেই ছিল কিউবা
মোদ্দা কথা কিউবা নিয়ে বলতে উঠলে, বাঙালী বামেরা উচ্ছাসিত হয়ে ওঠেন। যদিও বাস্তব এটাই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রতি মাসে কিউবানরা বোটে করে ফ্লোরিডাতে পালাচ্ছে। অন্যদিকে আমেরিকার কজন কিউবা কোন দেশ সেটা জানে কি না সন্দেহ। আর যদি বাম বাঙালীর প্রশ্ন তোলেন, তারাও ডলারের লোভে আমেরিকান এম্নাসীতেই লাইন দিয়ে থাকেন-কিউবাতে পড়াশোনা করতে গেছেন, এমন বাম বাঙালীর সন্ধান কেউ দিতে পারবে বলে মনে হয় না। কারন কিউবাতে সবা্র ইনকাম ওই মাসে ২০ ডলার বা ১৫০০ টাকার কাছাকাছি। ওইকটা টাকার জন্য কোন বাম বাঙালী এখনো কিউবার ছাত্র হওয়ার দৌড়ে নাম লেখান নি-যদিও তারা ফিদেল এবং তার অলীক কিউবা নিয়ে ফেসবুক গরম করে থাকেন। তবে কি না অর্থ মর্হাঘ্য বস্তু-তা আদর্শবাদিদের ও ছাড়ে না।
[১]http://www.nationalreview.com/article/432680/myth-cuban-health-care
[২]https://www.wfp.org/countries/cuba
[৩]http://www.nationalreview.com/corner/442483/cuba-castro