(১)
এমনিতেই অপ্রিয় সত্যকথনের অধিকথায় স্যোশাল মিডিয়াতে আমি ব্রাত্যজন। তাই বহুদিন থেকেই এই লেখাটি লিখবো লিখবো করেও সাহস হয়ে ওঠে নি। কিন্ত কাল সুমন্ত্র মাইতির একটা পোষ্টের পরে, মনে হল, এই লেখাটি না লিখলে তা হবে আমার "ঐতিহাসিক অপরাধ"।
আমি ওর পোষ্ট থেকেই জানলাম আল আমিন মিশনের তিনশো ছাত্র এবার ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টে পেয়েছে। এটি আনন্দের খবর। কারন গোটা ভারতেই শিক্ষা দিক্ষায় মুসলমানরা পিছিয়ে আছে। তাদের এগিয়ে যাওয়ার খবর নিঃসন্দেহে আনন্দের। তাছাড়া আল আমিন মিশনে খুব গরীব এবং নিম্নমধ্যবিত্তরা পড়াশোনা করে। গরীব এবং নিম্নমধ্যবিত্তদের স্যোশাল আপওয়ার্ড মোবিলিটি সবসময় দরকার।
ওই পোষ্টে এটাও দেখলাম তাতে বর্ণহিন্দুদের গা জ্বলছে। তাদের বিশ্বাস মমতা সরকারের সাম্প্রদায়িক তোষনের ইহা নবতম সংযোজন। যদিও যারাই জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়েছেন, তারা সবাই জানেন এইসব পরীক্ষায়, পরীক্ষার্থীর নাম তুলে নাম্বার বসিয়ে পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়। তাছাড়া রামকৃষ্ণ মিশন থেকেও প্রতি বছর কয়েকশো ছেলে জয়েন্ট ভাল র্যাঙ্ক করে।
আসল ব্যপারটা স্পষ্ট। এদের মনোভাব থেকে পরিস্কার, এরা মনে করে ভারতের উচ্চপদে একমাত্র বর্ণহিন্দুদেরই অধিকার। ইনারা আবার বিজেপির সদস্য। মুসলমান মানে জঙ্গী হবে, চোর হবে, ড্রাইভার হবে- ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের মতন সামাজিক উচ্চপেশায় কেন?
(২)
আজ থেকে একশো বছর আগে বর্ণহিন্দুদের এই মনোভাব ছিল বলেই মুসলমানরা প্রথমে বঙ্গভঙ্গ পরে মুসলীমলীগের মাধ্যমে দেশভাগ করেছে। যদিও আমার ফ্যামিলি বাংলাদেশের মুসলমানদের হাতে মার খেয়েই পশ্চিম বঙ্গে এসেছিল-আমি ত দেখছি, দেশভাগ না হলে আজকে বাংলাদেশে বাঙালীরা বানিজ্য এবং মানব সম্পদে যা উন্নতি করেছে, সেটা সম্ভব হত না।
হ্যা আমি জানি পশ্চিমবঙ্গবাসী মনে করে বাংলাদেশ মানে ইসলামি জঙ্গীদের জঙ্গলরাজ্য। সেটা দেশটা মুসলমান হওয়ার উত্তরাধিকার কারন ঐ ধর্মটা যে দেশে থাকবে তার রাজনীতিতে ইসলামের কুপ্রভাব থাকবেই। কিন্ত বাংলাদেশের উন্নতিগুলো নিয়ে পশ্চিম বঙ্গের উচ্চবর্ণের হিন্দুরা কিছু জানেন কি? কজন পশ্চিম বঙ্গবাসী বাংলাদেশের বেকন ফার্মাসিউটিক্যালের নাম শুনেছেন? যারা হেপাটাইটিস সির প্রথম জেনেরিক ড্রাগ আবিস্কার করেছে এবং তা আমেরিকার এফ ডি এতেও পাশ করে এখন আমেরিকাতেও পাওয়া যাবে। এই ড্রাগ চশমখোর আমেরিকান ড্রাগ কোম্পানি গিলাডের বহুমূল্য এপক্লজার থেকে আমেরিকানবাসীদের মুক্ত করবে। বাংলাদেশে ফার্মা এখন দক্ষিন এশিয়াতে জেনেরিক ড্রাগে ভারতের ফার্মাগুলির সাথে সমানে পাল্লা দিচ্ছে। টেক্সটাইলের ক্ষেত্রে রপ্তানী মার্কেটে বহুদিন আগেই বাংলাদেশ ভারতকে পেছনে ফেলেছে।
শুধু তাই না-বাংলাদশের মাদ্রাসা শিক্ষাই শুধু ভারতের মিডিয়াতে আসে। আমি দেখিনি পশ্চিম বঙ্গের কোন মিডিয়া কোনদিন লিখেছে, বাংলাদেশ স্কুল শিক্ষায় প্রোগ্রামিং কোডিং ইত্যাদি বহুদিন হল চালু করেছে প্রায় সব স্তরে। পশ্চিম বঙ্গে আছে শুধু ঐচ্ছিক হিসাবে। বাংলাদেশ ম্যাথ অলিম্পিয়াডে এখন ভারতের থেকে ভাল র্যঙ্ক করে অথচ ভারতের ছেলেরা গণিতে খুব ভাল-এটা হচ্ছে আমাদের সাধারন ধারনা। 2014 সালে ম্যাথ অলিম্পিয়াডে ভারতের র্যাঙ্ক ৩৭, বাংলাদেশের ৩৩। এসব বাদই দিলাম। মানব সম্পদ অগ্রগতির সূচক-যা শিশুশিক্ষা, অনাহার ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে ইউ এন থেকে দিয়ে থাকে, সেখানে ভারতের অবস্থান ১৩০ [0.609], বাংলাদেশের ১৪০ [.555]। কিন্ত যদি শুধু পশ্চিম বঙ্গের এইচ ডি আই ধরি, তা বাংলাদেশের থেকে কিছু কম হবে। আমার কাছে এক্সাক্ট নাম্বার নেই-কিন্ত ২০১০ সালে পশ্চিম বঙ্গের এইচ ডি আই ছিল 0.495. [ India was 0.519]।
কোলকাতার বাঙালীদের অবস্থাটা ঠিক কি? কোলকাতার যারা বুদ্ধিমান তাদের অনেকেই আমেরিকা ব্যাঙ্গালোর ইংল্যান্ডে গিয়ে বড় ব্যবসা গড়েছেন-তা ঠিক। কিন্ত যারা খোদ কোলকাতায় পড়ে আছেন-সেই বাঙালীদের অবস্থাটা কি? কোলকাতার ব্যবসার সব মারোয়ারীদের হাতে। এবং সেখানে বাংলাদেশের মতন উন্নত ফার্মা শিল্প গড়ে ওঠে নি-কারন মারোয়ারীরা রিসার্চ নির্ভর শিল্প গড়তে চান না। তাছাড়া কোলকাতার সব পরিশেবা ব্যবসাও মারোয়ারীদের হাতে যার ফল হল বিদ্যুতের দাম কোলকাতায় সব থেকে বেশী। একটা ঠিক ঠাক আইটি হাব পর্যন্ত নেই। সেক্টর ফাইভের আই টি হাব একটা টোটাল স্ক্যাম। ওটা কোন আইটি ফেসিলিটিই না। যা ঝড়ে বসে যায়, বন্যায় ডুবে যায়। বাঙালী খুব বেশী হলে মারোয়াড়ি কোম্পানীগুলোতে ডিরেক্টর বা ভিপির পজিশন পায়-ব্যবসার নীতি নির্ধারনে যাদের কোন ভূমিকা নেই।
ফলে পশ্চিম বঙ্গের আসল ভূত ভবিষত আসলেই মারোয়াড়িদের হাতে-শুধু রাজনৈতিক ক্যাঁচাল, রাজনৈকিক খুনোখুনির উত্তরাধিকার হিন্দু বাঙালীর। কলকাতার বাঙালী সম্পূর্ন ভৃত্যশ্রেনীর একটা নিম্ন মেধার জাতি এখন।
(৩)
কোলকাতার বাঙালীর একদম ভৃত্য হয়ে ওঠার কাহিনীটা অবশ্য উনবিংশ শতাব্দির। বাঙালীর হিরোদের দিকে তাকান-সবাই ভৃত্যসুল্ভ মনোভাবাপন্ন ছিলেন।
রাজা রামমোহন রায়? কেউ কি প্রিভি কাউন্সিলে লেখা উনার চিঠি পড়েছেন? আমি রেফারেন্স দিয়ে এই লেখা ভারাক্রান্ত করতে চাইছি না। ইন্টারনেটেই আছে পড়ে নেবেন-তাতে উনি লিখছেন সমগ্র ভারতবাসী তার উন্নতিকল্পে বৃটিশদের মতন সুশিক্ষিত নীতিপরায়ন একজন জাতির রাজাকে পেয়ে নিজেদের ধন্য বলে মনে করছে!
বঙ্গিম চন্দ্র? উনিত সারা জীবন বৃটিশদের গোলামী করেই কাটালেন।
রবীন্দ্রনাথ ? উনি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের জমিদার। যারা আদতে বৃটিশদের খাশ গোলাম । লিখেছেন গোলামীর বিরুদ্ধে, স্বাধীন চিন্তার পক্ষে। কিন্ত জিন্না যখন ভারতের প্রথম বাল্যবিবাহ রোধে আইন আনার জন্য লড়ছেন ( সারদা এক্ট) , উনি তখন একের পর এক নিজের মেয়েদের বাল্যবিবাহ দিয়ে স্ববিরোধিতায় ভুগেছেন।
বিবেকানন্দ নেতাজি বিদ্যাসাগর এরা সবাই গোলামীর বিপক্ষেই ছিলেন। কিন্ত গোলামী কাটাতে যে ইক্যুইটি বা সম্পদের বা বিজনেসের মালিক হতে হয়, শিল্প গড়তে হয় নিজেদের এসব এদের মাথায় ছিল না। নেতাজি আগাগোড়াই মিসগাইডেড রোম্যান্টিক নেতা। একই সাথে হিটলার তেজো স্টালিন এবং মুসোলিনির রাজনৈতিক লাইনের সিরিয়াস গুনগান গাইতে পারেন যিনি, তিনি রাজনীতি কতটা আদৌ বুঝতেন, সন্দেহ আছে। নেতাজি বাঙালী ট্রাশ রাজনৈতিক রোম্যান্টিকতার উজ্জ্বল নির্দশন।
বিবেকানন্দ ভাববাদি জল দিয়ে সেই দাসত্বমুক্তির ডাক দিলেন। জল দিয়ে কি দুধের কাজ হয়?
পদপ্রদর্শক যে বাঙালীর ছিল না তা না। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, ভারতের প্রথম আধুনিক আন্তারপ্রেনার। স্টিম ইঞ্জিনের সাথে সাথে যে কয়লা সাপ্লাইএর দরকার হবে, সেটা বুঝে কয়লার খনির ব্যবসায় নেমে গেলেন। প্রচুর লাভ ও করেছেন ব্যবসা করে-যার অধিকাংশই ছিল একদম অত্যাধুনিক, বৃটিশদের টেক্কা দিয়ে। কিন্ত উনার ছেলে দেবেন্দ্রনাথ আবার সেই জমিদারি ব্যবসার নিশ্চিত ইনকাম আর ভাববাদি ব্রাহ্মজলে ডুবে রইলেন।
ছিলেন স্যার রাজেন মুখার্জি। যিনি জামসেদজীর টাটার বহুদিন আগে কুল্টিতে ভারতের প্রথম স্টিল শিল্প স্থাপনে উদ্যোগ নিলেন। আজ টাটা গ্রুপ ভারতের বৃহত্তম শুধু না-পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম। আর কোথায় গেলেন রাজেন মুখার্জির ছেলে স্যার বীরেন মুখার্জি? উনার তৈরী ইস্কোকে ধ্বংস করে হিন্দু বাঙালীর শ্রমিক আন্দোলন। উনি ভগ্ন হৃদয়ে মারা যান।
ছিলেন প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। মাত্র সাতশো টাকায় তৈরী করেছিলেন বেঙ্গ্ল কেমিক্যাল। আস্তে আস্তে তা মহীরুহ হয় তিনটে ফ্যাক্টরিতে। কিন্ত স্বাধীনতার পরে বাঙালীর শর্টকাটে মেরেদাও টাইপের শ্রমিক আন্দোলন বেঙ্গল কেমিক্যাল এবং ইস্কোকে জাতীয়করনে বাধ্য করে এবং ক্রমশ এরা গঙ্গাপ্রাপ্তির দিকে এগোতে থাকে।
এরা কেউ বাঙালীর হিরো না-হিরো হচ্ছে তারা যারা হয় ভৃত্যভাবে কাটিয়েছেন সারাজীবন- কিন্ত গাদাগুচ্ছের ভাল ভাল কথা লিখে গেছেন । বাঙালীর আরাধ্য জ্যোতিবোসের মতন রাজনৈতিক নেতৃত্ব-যাদের রাজনৈতিক বিদ্যাবুদ্ধি পশ্চিম বাংলাকে আরো অনেক পিছিয়ে দিয়েছে মার্ক্সবাদের নামে মাছভাতের সাধনায়।
তার ফল দেখছি আজকে। এইভাবে এত ভৃত্যগিরির সাধ যাদের মজ্জায় মজ্জায়, সেই বাঙালী হিন্দুর আসল অবস্থাটা কি? বাংলাদেশে না হয় মুসলমানরা মেরে ধরে তাড়াচ্ছে। পশ্চিম বঙ্গে কি অবস্থা? এখানে ত তারা মারোয়াড়ীদের চাকরবাকর।
(৪)
হিন্দুদের বর্ণবাদ এবং ইসলামের প্রভাবে বাঙালীর আরব বেদুইন হওয়ার স্বপ্ন-আসলেই এক অলস জাতির ভ্রান্তিবিলাস। যা বাঙালীর উন্নতির অন্তরায়।
হিন্দুদের বর্ণবাদ মানে ব্রাহ্মনরা শুদ্রদের নীচু জাত মনে করে সেটা বলছি না। সেটা এখন নেই। এই বর্নবাদ আসলে এক গুঢ় রোগ। যা মানুষকে উঁচু নীচু-কাজকে উঁচু নীচু দেখার রোগ। একজন সিডিউলড কাস্ট বা হরিজন আই এ এস অফিসারকে চিনতাম আই আই টির ছাত্রজীবনে। উনি আই আই টিতে কোটা সিস্টেমে ঢুকে- ইন্ডিয়ান এডমিনিস্ট্রিটেটভ সিস্টেম ও কোটায় নামালেন। ছাত্রজীবনে বামপন্থী ছিলেন বলে একটু ইয়ারদোস্তির আলাপ। সদ্য ডিএম হয়ে একটা জেলায় পোস্টেড। একদিন আই আই টি দর্শনে এলেন সিকিউরিটি গার্ড, ড্রাইভার সহ। আড্ডা মারার পর খেতে যাওয়ার জন্য বললো-গাড়িতে উঠে পর। ও বাবা-যেই গাড়িতে উঠতে গেছি সেই সিকিউরিটি গার্ড, সেলাম ঠুকে দরজা খুলে দিচ্ছে আমাদের জন্য। আমি ওকে বল্লাম আচ্ছা এটাত বন্ধ করতে বলতে পারতে বস-এগুলোই ত আসল বর্নবাদি আইডিয়া যে একটা লোক সিকিউরিটি গার্ড বলে, বা ড্রাইভার বলে তাকে তার বাবুর পায়ে হাত দিয়ে চলতে হবে। তাহলে আর তোমাকে বর্ণবাদ বিরোধি কোটায় ঢুকিয়ে লাভটা কি হল?
উঁচু কাজ নীচু কাজের বিভেদ রেখে কোন জাতি বড় হতে পারে না।
ইসলাম ক্ষতি করছে মূলত নারীমুক্তির প্রক্রিয়াটা পিছিয়ে দিয়ে। একটা জাতিকে এগোতে গেলে, মেয়েদের এগোতে হবে আগে। সমস্ত বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা বলছে ছেলেমেয়েদের পরবর্তী জীবনের সাফল্য নির্ভর করে মায়েদের শিক্ষাদীক্ষা এবং জ্ঞানের ওপরে। মুসলমানদের শরিয়ার খোয়াব যে দেশটাকে শুয়োরের খোঁয়াড়ে পরিণত করবে, এটা বোঝার বোধ অধিকাংশ মুসলমানের নেই। বাঙালী মুসলমান মেয়েরা অনেক পিছিয়ে আছে শিক্ষা দীক্ষায়-্ যা বাংলার ইসলাম ধর্মের সব থেকে বড় কুফল। এর সাথে সাথে ধর্ম নিরেপেক্ষ গণতান্ত্রিক কাঠামো ভাঙার পাঁয়তারা ত আছেই।
আজকে যদি স্বাধীন বাংলাদেশ ইসলামকে ছুঁড়ে ফেলে বাঙালী জাতিয়তাবোধের ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়ত-সেই বাংলাদেশ হতে পারত সিঙ্গাপুর বা সাউথ কোরিয়ার মতন এক উন্নত দেশ। কারন বাংলাদেশীরা একই সাথে বুদ্ধিমান এবং পরিশ্রমী।
আমি হিন্দু মুসলমানে বিশ্বাস করি না। কারন ওই দুই ধর্ম বাঙালী জাতির সব থেকে বড় দুর্দিনের কারন। ব্রাহ্মন্য ধর্ম বাংলায় ঢোকার আগে ধর্মপাল, দেবপালরা সমগ্র ভারত শাসন করেছে। আর এই ব্রাহ্মন্য ধর্ম বাংলায় ঢোকার পরে বাঙালী হিন্দুদের খোয়াব হচ্ছে উত্তরভারতের খাঁটি বামুনত্বের উত্তরাধিকারি ভাবা। এবং মুসলমানদের খোয়াব হচ্ছে নিজেদের তুর্কী বা ইরাকের খাঁটি মুসলমানদের বংশধর ভেবে, তাদের আদাব কালচারের হনুকরন। যাদের নিজেদের উত্তরাধিকারের গৌরব নেই, তাদের দিয়ে কদ্দুর কি হবে?
তবে আমার বিশ্বাস ইন্টারনেটের প্রভাবে এই মুক্তজ্ঞানের বিশ্বে বাঙালী- হিন্দু মুসলমান, কমিউনিজম, লেনিন -ইত্যাদি বিজাতীয় বিষের থেকে নিজেকে মুক্ত করে জগত সভায় শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হবে।
এমনিতেই অপ্রিয় সত্যকথনের অধিকথায় স্যোশাল মিডিয়াতে আমি ব্রাত্যজন। তাই বহুদিন থেকেই এই লেখাটি লিখবো লিখবো করেও সাহস হয়ে ওঠে নি। কিন্ত কাল সুমন্ত্র মাইতির একটা পোষ্টের পরে, মনে হল, এই লেখাটি না লিখলে তা হবে আমার "ঐতিহাসিক অপরাধ"।
আমি ওর পোষ্ট থেকেই জানলাম আল আমিন মিশনের তিনশো ছাত্র এবার ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টে পেয়েছে। এটি আনন্দের খবর। কারন গোটা ভারতেই শিক্ষা দিক্ষায় মুসলমানরা পিছিয়ে আছে। তাদের এগিয়ে যাওয়ার খবর নিঃসন্দেহে আনন্দের। তাছাড়া আল আমিন মিশনে খুব গরীব এবং নিম্নমধ্যবিত্তরা পড়াশোনা করে। গরীব এবং নিম্নমধ্যবিত্তদের স্যোশাল আপওয়ার্ড মোবিলিটি সবসময় দরকার।
ওই পোষ্টে এটাও দেখলাম তাতে বর্ণহিন্দুদের গা জ্বলছে। তাদের বিশ্বাস মমতা সরকারের সাম্প্রদায়িক তোষনের ইহা নবতম সংযোজন। যদিও যারাই জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়েছেন, তারা সবাই জানেন এইসব পরীক্ষায়, পরীক্ষার্থীর নাম তুলে নাম্বার বসিয়ে পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়। তাছাড়া রামকৃষ্ণ মিশন থেকেও প্রতি বছর কয়েকশো ছেলে জয়েন্ট ভাল র্যাঙ্ক করে।
আসল ব্যপারটা স্পষ্ট। এদের মনোভাব থেকে পরিস্কার, এরা মনে করে ভারতের উচ্চপদে একমাত্র বর্ণহিন্দুদেরই অধিকার। ইনারা আবার বিজেপির সদস্য। মুসলমান মানে জঙ্গী হবে, চোর হবে, ড্রাইভার হবে- ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের মতন সামাজিক উচ্চপেশায় কেন?
(২)
আজ থেকে একশো বছর আগে বর্ণহিন্দুদের এই মনোভাব ছিল বলেই মুসলমানরা প্রথমে বঙ্গভঙ্গ পরে মুসলীমলীগের মাধ্যমে দেশভাগ করেছে। যদিও আমার ফ্যামিলি বাংলাদেশের মুসলমানদের হাতে মার খেয়েই পশ্চিম বঙ্গে এসেছিল-আমি ত দেখছি, দেশভাগ না হলে আজকে বাংলাদেশে বাঙালীরা বানিজ্য এবং মানব সম্পদে যা উন্নতি করেছে, সেটা সম্ভব হত না।
হ্যা আমি জানি পশ্চিমবঙ্গবাসী মনে করে বাংলাদেশ মানে ইসলামি জঙ্গীদের জঙ্গলরাজ্য। সেটা দেশটা মুসলমান হওয়ার উত্তরাধিকার কারন ঐ ধর্মটা যে দেশে থাকবে তার রাজনীতিতে ইসলামের কুপ্রভাব থাকবেই। কিন্ত বাংলাদেশের উন্নতিগুলো নিয়ে পশ্চিম বঙ্গের উচ্চবর্ণের হিন্দুরা কিছু জানেন কি? কজন পশ্চিম বঙ্গবাসী বাংলাদেশের বেকন ফার্মাসিউটিক্যালের নাম শুনেছেন? যারা হেপাটাইটিস সির প্রথম জেনেরিক ড্রাগ আবিস্কার করেছে এবং তা আমেরিকার এফ ডি এতেও পাশ করে এখন আমেরিকাতেও পাওয়া যাবে। এই ড্রাগ চশমখোর আমেরিকান ড্রাগ কোম্পানি গিলাডের বহুমূল্য এপক্লজার থেকে আমেরিকানবাসীদের মুক্ত করবে। বাংলাদেশে ফার্মা এখন দক্ষিন এশিয়াতে জেনেরিক ড্রাগে ভারতের ফার্মাগুলির সাথে সমানে পাল্লা দিচ্ছে। টেক্সটাইলের ক্ষেত্রে রপ্তানী মার্কেটে বহুদিন আগেই বাংলাদেশ ভারতকে পেছনে ফেলেছে।
শুধু তাই না-বাংলাদশের মাদ্রাসা শিক্ষাই শুধু ভারতের মিডিয়াতে আসে। আমি দেখিনি পশ্চিম বঙ্গের কোন মিডিয়া কোনদিন লিখেছে, বাংলাদেশ স্কুল শিক্ষায় প্রোগ্রামিং কোডিং ইত্যাদি বহুদিন হল চালু করেছে প্রায় সব স্তরে। পশ্চিম বঙ্গে আছে শুধু ঐচ্ছিক হিসাবে। বাংলাদেশ ম্যাথ অলিম্পিয়াডে এখন ভারতের থেকে ভাল র্যঙ্ক করে অথচ ভারতের ছেলেরা গণিতে খুব ভাল-এটা হচ্ছে আমাদের সাধারন ধারনা। 2014 সালে ম্যাথ অলিম্পিয়াডে ভারতের র্যাঙ্ক ৩৭, বাংলাদেশের ৩৩। এসব বাদই দিলাম। মানব সম্পদ অগ্রগতির সূচক-যা শিশুশিক্ষা, অনাহার ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে ইউ এন থেকে দিয়ে থাকে, সেখানে ভারতের অবস্থান ১৩০ [0.609], বাংলাদেশের ১৪০ [.555]। কিন্ত যদি শুধু পশ্চিম বঙ্গের এইচ ডি আই ধরি, তা বাংলাদেশের থেকে কিছু কম হবে। আমার কাছে এক্সাক্ট নাম্বার নেই-কিন্ত ২০১০ সালে পশ্চিম বঙ্গের এইচ ডি আই ছিল 0.495. [ India was 0.519]।
কোলকাতার বাঙালীদের অবস্থাটা ঠিক কি? কোলকাতার যারা বুদ্ধিমান তাদের অনেকেই আমেরিকা ব্যাঙ্গালোর ইংল্যান্ডে গিয়ে বড় ব্যবসা গড়েছেন-তা ঠিক। কিন্ত যারা খোদ কোলকাতায় পড়ে আছেন-সেই বাঙালীদের অবস্থাটা কি? কোলকাতার ব্যবসার সব মারোয়ারীদের হাতে। এবং সেখানে বাংলাদেশের মতন উন্নত ফার্মা শিল্প গড়ে ওঠে নি-কারন মারোয়ারীরা রিসার্চ নির্ভর শিল্প গড়তে চান না। তাছাড়া কোলকাতার সব পরিশেবা ব্যবসাও মারোয়ারীদের হাতে যার ফল হল বিদ্যুতের দাম কোলকাতায় সব থেকে বেশী। একটা ঠিক ঠাক আইটি হাব পর্যন্ত নেই। সেক্টর ফাইভের আই টি হাব একটা টোটাল স্ক্যাম। ওটা কোন আইটি ফেসিলিটিই না। যা ঝড়ে বসে যায়, বন্যায় ডুবে যায়। বাঙালী খুব বেশী হলে মারোয়াড়ি কোম্পানীগুলোতে ডিরেক্টর বা ভিপির পজিশন পায়-ব্যবসার নীতি নির্ধারনে যাদের কোন ভূমিকা নেই।
ফলে পশ্চিম বঙ্গের আসল ভূত ভবিষত আসলেই মারোয়াড়িদের হাতে-শুধু রাজনৈতিক ক্যাঁচাল, রাজনৈকিক খুনোখুনির উত্তরাধিকার হিন্দু বাঙালীর। কলকাতার বাঙালী সম্পূর্ন ভৃত্যশ্রেনীর একটা নিম্ন মেধার জাতি এখন।
(৩)
কোলকাতার বাঙালীর একদম ভৃত্য হয়ে ওঠার কাহিনীটা অবশ্য উনবিংশ শতাব্দির। বাঙালীর হিরোদের দিকে তাকান-সবাই ভৃত্যসুল্ভ মনোভাবাপন্ন ছিলেন।
রাজা রামমোহন রায়? কেউ কি প্রিভি কাউন্সিলে লেখা উনার চিঠি পড়েছেন? আমি রেফারেন্স দিয়ে এই লেখা ভারাক্রান্ত করতে চাইছি না। ইন্টারনেটেই আছে পড়ে নেবেন-তাতে উনি লিখছেন সমগ্র ভারতবাসী তার উন্নতিকল্পে বৃটিশদের মতন সুশিক্ষিত নীতিপরায়ন একজন জাতির রাজাকে পেয়ে নিজেদের ধন্য বলে মনে করছে!
বঙ্গিম চন্দ্র? উনিত সারা জীবন বৃটিশদের গোলামী করেই কাটালেন।
রবীন্দ্রনাথ ? উনি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের জমিদার। যারা আদতে বৃটিশদের খাশ গোলাম । লিখেছেন গোলামীর বিরুদ্ধে, স্বাধীন চিন্তার পক্ষে। কিন্ত জিন্না যখন ভারতের প্রথম বাল্যবিবাহ রোধে আইন আনার জন্য লড়ছেন ( সারদা এক্ট) , উনি তখন একের পর এক নিজের মেয়েদের বাল্যবিবাহ দিয়ে স্ববিরোধিতায় ভুগেছেন।
বিবেকানন্দ নেতাজি বিদ্যাসাগর এরা সবাই গোলামীর বিপক্ষেই ছিলেন। কিন্ত গোলামী কাটাতে যে ইক্যুইটি বা সম্পদের বা বিজনেসের মালিক হতে হয়, শিল্প গড়তে হয় নিজেদের এসব এদের মাথায় ছিল না। নেতাজি আগাগোড়াই মিসগাইডেড রোম্যান্টিক নেতা। একই সাথে হিটলার তেজো স্টালিন এবং মুসোলিনির রাজনৈতিক লাইনের সিরিয়াস গুনগান গাইতে পারেন যিনি, তিনি রাজনীতি কতটা আদৌ বুঝতেন, সন্দেহ আছে। নেতাজি বাঙালী ট্রাশ রাজনৈতিক রোম্যান্টিকতার উজ্জ্বল নির্দশন।
বিবেকানন্দ ভাববাদি জল দিয়ে সেই দাসত্বমুক্তির ডাক দিলেন। জল দিয়ে কি দুধের কাজ হয়?
পদপ্রদর্শক যে বাঙালীর ছিল না তা না। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, ভারতের প্রথম আধুনিক আন্তারপ্রেনার। স্টিম ইঞ্জিনের সাথে সাথে যে কয়লা সাপ্লাইএর দরকার হবে, সেটা বুঝে কয়লার খনির ব্যবসায় নেমে গেলেন। প্রচুর লাভ ও করেছেন ব্যবসা করে-যার অধিকাংশই ছিল একদম অত্যাধুনিক, বৃটিশদের টেক্কা দিয়ে। কিন্ত উনার ছেলে দেবেন্দ্রনাথ আবার সেই জমিদারি ব্যবসার নিশ্চিত ইনকাম আর ভাববাদি ব্রাহ্মজলে ডুবে রইলেন।
ছিলেন স্যার রাজেন মুখার্জি। যিনি জামসেদজীর টাটার বহুদিন আগে কুল্টিতে ভারতের প্রথম স্টিল শিল্প স্থাপনে উদ্যোগ নিলেন। আজ টাটা গ্রুপ ভারতের বৃহত্তম শুধু না-পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম। আর কোথায় গেলেন রাজেন মুখার্জির ছেলে স্যার বীরেন মুখার্জি? উনার তৈরী ইস্কোকে ধ্বংস করে হিন্দু বাঙালীর শ্রমিক আন্দোলন। উনি ভগ্ন হৃদয়ে মারা যান।
ছিলেন প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। মাত্র সাতশো টাকায় তৈরী করেছিলেন বেঙ্গ্ল কেমিক্যাল। আস্তে আস্তে তা মহীরুহ হয় তিনটে ফ্যাক্টরিতে। কিন্ত স্বাধীনতার পরে বাঙালীর শর্টকাটে মেরেদাও টাইপের শ্রমিক আন্দোলন বেঙ্গল কেমিক্যাল এবং ইস্কোকে জাতীয়করনে বাধ্য করে এবং ক্রমশ এরা গঙ্গাপ্রাপ্তির দিকে এগোতে থাকে।
এরা কেউ বাঙালীর হিরো না-হিরো হচ্ছে তারা যারা হয় ভৃত্যভাবে কাটিয়েছেন সারাজীবন- কিন্ত গাদাগুচ্ছের ভাল ভাল কথা লিখে গেছেন । বাঙালীর আরাধ্য জ্যোতিবোসের মতন রাজনৈতিক নেতৃত্ব-যাদের রাজনৈতিক বিদ্যাবুদ্ধি পশ্চিম বাংলাকে আরো অনেক পিছিয়ে দিয়েছে মার্ক্সবাদের নামে মাছভাতের সাধনায়।
তার ফল দেখছি আজকে। এইভাবে এত ভৃত্যগিরির সাধ যাদের মজ্জায় মজ্জায়, সেই বাঙালী হিন্দুর আসল অবস্থাটা কি? বাংলাদেশে না হয় মুসলমানরা মেরে ধরে তাড়াচ্ছে। পশ্চিম বঙ্গে কি অবস্থা? এখানে ত তারা মারোয়াড়ীদের চাকরবাকর।
(৪)
হিন্দুদের বর্ণবাদ এবং ইসলামের প্রভাবে বাঙালীর আরব বেদুইন হওয়ার স্বপ্ন-আসলেই এক অলস জাতির ভ্রান্তিবিলাস। যা বাঙালীর উন্নতির অন্তরায়।
হিন্দুদের বর্ণবাদ মানে ব্রাহ্মনরা শুদ্রদের নীচু জাত মনে করে সেটা বলছি না। সেটা এখন নেই। এই বর্নবাদ আসলে এক গুঢ় রোগ। যা মানুষকে উঁচু নীচু-কাজকে উঁচু নীচু দেখার রোগ। একজন সিডিউলড কাস্ট বা হরিজন আই এ এস অফিসারকে চিনতাম আই আই টির ছাত্রজীবনে। উনি আই আই টিতে কোটা সিস্টেমে ঢুকে- ইন্ডিয়ান এডমিনিস্ট্রিটেটভ সিস্টেম ও কোটায় নামালেন। ছাত্রজীবনে বামপন্থী ছিলেন বলে একটু ইয়ারদোস্তির আলাপ। সদ্য ডিএম হয়ে একটা জেলায় পোস্টেড। একদিন আই আই টি দর্শনে এলেন সিকিউরিটি গার্ড, ড্রাইভার সহ। আড্ডা মারার পর খেতে যাওয়ার জন্য বললো-গাড়িতে উঠে পর। ও বাবা-যেই গাড়িতে উঠতে গেছি সেই সিকিউরিটি গার্ড, সেলাম ঠুকে দরজা খুলে দিচ্ছে আমাদের জন্য। আমি ওকে বল্লাম আচ্ছা এটাত বন্ধ করতে বলতে পারতে বস-এগুলোই ত আসল বর্নবাদি আইডিয়া যে একটা লোক সিকিউরিটি গার্ড বলে, বা ড্রাইভার বলে তাকে তার বাবুর পায়ে হাত দিয়ে চলতে হবে। তাহলে আর তোমাকে বর্ণবাদ বিরোধি কোটায় ঢুকিয়ে লাভটা কি হল?
উঁচু কাজ নীচু কাজের বিভেদ রেখে কোন জাতি বড় হতে পারে না।
ইসলাম ক্ষতি করছে মূলত নারীমুক্তির প্রক্রিয়াটা পিছিয়ে দিয়ে। একটা জাতিকে এগোতে গেলে, মেয়েদের এগোতে হবে আগে। সমস্ত বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা বলছে ছেলেমেয়েদের পরবর্তী জীবনের সাফল্য নির্ভর করে মায়েদের শিক্ষাদীক্ষা এবং জ্ঞানের ওপরে। মুসলমানদের শরিয়ার খোয়াব যে দেশটাকে শুয়োরের খোঁয়াড়ে পরিণত করবে, এটা বোঝার বোধ অধিকাংশ মুসলমানের নেই। বাঙালী মুসলমান মেয়েরা অনেক পিছিয়ে আছে শিক্ষা দীক্ষায়-্ যা বাংলার ইসলাম ধর্মের সব থেকে বড় কুফল। এর সাথে সাথে ধর্ম নিরেপেক্ষ গণতান্ত্রিক কাঠামো ভাঙার পাঁয়তারা ত আছেই।
আজকে যদি স্বাধীন বাংলাদেশ ইসলামকে ছুঁড়ে ফেলে বাঙালী জাতিয়তাবোধের ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়ত-সেই বাংলাদেশ হতে পারত সিঙ্গাপুর বা সাউথ কোরিয়ার মতন এক উন্নত দেশ। কারন বাংলাদেশীরা একই সাথে বুদ্ধিমান এবং পরিশ্রমী।
আমি হিন্দু মুসলমানে বিশ্বাস করি না। কারন ওই দুই ধর্ম বাঙালী জাতির সব থেকে বড় দুর্দিনের কারন। ব্রাহ্মন্য ধর্ম বাংলায় ঢোকার আগে ধর্মপাল, দেবপালরা সমগ্র ভারত শাসন করেছে। আর এই ব্রাহ্মন্য ধর্ম বাংলায় ঢোকার পরে বাঙালী হিন্দুদের খোয়াব হচ্ছে উত্তরভারতের খাঁটি বামুনত্বের উত্তরাধিকারি ভাবা। এবং মুসলমানদের খোয়াব হচ্ছে নিজেদের তুর্কী বা ইরাকের খাঁটি মুসলমানদের বংশধর ভেবে, তাদের আদাব কালচারের হনুকরন। যাদের নিজেদের উত্তরাধিকারের গৌরব নেই, তাদের দিয়ে কদ্দুর কি হবে?
তবে আমার বিশ্বাস ইন্টারনেটের প্রভাবে এই মুক্তজ্ঞানের বিশ্বে বাঙালী- হিন্দু মুসলমান, কমিউনিজম, লেনিন -ইত্যাদি বিজাতীয় বিষের থেকে নিজেকে মুক্ত করে জগত সভায় শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হবে।