কাল পশ্চিম বঙ্গের শিল্প এবং মমতা ব্যনার্জি সংক্রান্ত লেখায় অনেক প্রশ্ন উঠেছে। সবাইকে আলাদা করে উত্তর দেওয়া সম্ভব না। আমি একটা পোষ্টেই দিচ্ছি--
(১) মমতা বিরোধি থাকার সময় বন্ধ সমর্থক ছিলেন-তাহলে উনি কি করে বন্ধ বিরোধি হলেন?
>> এখানেই আমি প্রাগম্যাটীক--বাস্তব হচ্ছে, উনি ক্ষমতায় আসার পরে তৃনমূল একটাও বন্ধ ডাকে নি। সিপিএম অনেকগুলো বন্ধ ডেকেছে। পশ্চিম বঙ্গে শিল্প আনতে গেলে প্রথম শর্ত বন্ধের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। এই ব্যপারে সিপিএম দায়বদ্ধতা দেখায় নি-আদর্শগত কারনে। উনারা আদর্শ নিয়েই থাকুন। কিন্ত তাদের নারায়ণশীলায় মোড়া আদর্শ পশ্চিম বঙ্গের শিল্পের জন্য ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার। পশ্চিম বঙ্গকে গড়তে গেলে চলছে না চলবে নার রাজনীতি আগে বন্ধ করতে হবে। মমতা এক সময় তাই করেছেন বিরোধি থাকা কালীন-কিন্ত ক্ষমতা দখলের পরে কিন্ত পশ্চিম বঙ্গকে আস্তে আস্তে চলছে না চলবে না থেকে মুক্ত করছেন।
(২) তৃণমূলের নেতাদের তোলাবাজি, গুন্ডামো-
>>>> আমি জানি আনন্দবাজার পড়ে সবার ধারনা হয়েছে তৃনমূলের নেতাদের তোলাবাজিতে পশ্চিম বঙ্গের ব্যবসায়ীদের জীবন অতিষ্ট। আমার নিজের সেই অভিজ্ঞতা হয় নি। এই চার বছরে কোন তৃনমূলী আমাদের ডিসটার্ব করে নি। সেক্টর ফাইভে আমার অন্তত জনা দশেক বন্ধু আছে-যারা আমার থেকেও বড় সেট আপ চালাচ্ছে-তারাও কোন দিন তোলা দিয়েছে বলে জানা নেই। বাঁকুড়ার একজন বড় শিল্পপতিকে চিনি-তারাও মমতার আমলে তোলা দিয়েছেন বলে জানা নেই। আনন্দবাজার যা লিখছে, তার সাথে গ্রাউন্ডের অভিজ্ঞতা মিলছে না। আনন্দ বাজার ঠিক হতেই পারে-কিন্ত আমি সেগুলোকে ব্যতিক্রম বলেই মনে করব।
(৩) মমতার সেইজ, জমি অধিগ্রহণ বিরোধি নীতি
>>> হ্যা, মমতা ব্যানার্জি সস্তায় জমি দিতে পারলে, বড় ব্রান্ড আসত। এস ই জি করলেও ভাল হত। ইনফোসিস আসত। কিন্ত সেটা প্রফিট ওভার পিপল হত। লাভ কখনোই মানুষের থেকে বড় হতে পারে না। সেক্টর ফাইভের ৬০% ফ্লোর ফাঁকা। আগে সেগুলো ভর্ত্তি হৌক।
(৪) চা, পাট শিল্পে শ্রমিকদের আত্মহত্যা
>> চা এবং পাট শিল্পের মূল সমস্যা এগুলো লসে চলা বিজনেস। ফলে অধিগ্রহন করেছে কিছু ফরেদাররা। মূল উদ্দেশ্য ব্যাঙ্কের লোন মেরে বড়লোক হওয়া। এই ধরনের ফ্রড আটকাতে গেলে জাতীয় আইন দরকার-যার কথা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজম বলেছেন। এখানে তৃণমূল -এই ব্যাপারটা নিয়ে দিল্লীতে ইস্যুটা তুলতে পারত। কিন্ত এখানে কিছু করতে গেলে বিজেপিকেই করতে হবে- ইস্যুটা ফেডেরাল। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে চাপালে হবে?
(৫) কামদুনী, পার্কস্ট্রীট-একনায়কতন্ত্র -টেট-সারদা
>> সবাই ভুল থেকে শেখেন। মমতাও শিখছেন। দুবছর আগের থেকে উনি এখন ভুলটা অনেক কম করেন।
তৃনমূলের আমলে সারদা হয়েছে। ছোটবেলায় সিপিএমের জমানায় সঞ্চয়নীও দেখছি । চিটফান্ডের সাথে সব পার্টির নেতাদেরই সম্পর্ক ছিল। তৃনমূলের ক্ষেত্রে একটু বেশী হয়েছে, কারন সিপিএম তাড়াতে তাদের টাকার দরকার ছিল। এখন সিপিএম মুক্ত জমানার স্বাধীনতাভোগ করব, কিন্ত সারদার পাপের ফল শুধু তিনোরাই ভোগ করবে-সেটাও হোলিয়ার দ্যান দাও এটিচুড হবে।
আর সিপিএম নিজেদের ক্যাডারদের প্রাইমারী শিক্ষকতায় ঢোকায় নি? কাম ওন। আমার জন্ম ১৯৭৩ সালে!!
(৬) সংখ্যালঘু তোষন-ইমাম ভাতা-জামাতি যোগ
>> মুসলমানদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে ভারতের কোন পার্টি কাজে লাগায় না? এমন পার্টি আছে নাকি ভারতে? ইমরানার কেসে, শাহবানু মামলায় সিপিএম পজিশন কি শরিয়া বিরোধি ছিল???? ঠক বাছতে গাঁ উজার হবে স্যার!!
(৭) পশ্চিম বঙ্গে ফাইল নড়ে না-সরকারী কর্মচারীরা কাজ করে না
>> এগুলো সব ভুল ভাল ধারনা। ভারতে সর্বত্র চ্যানেলে কাজ হয়। সামনা সামনি কোথাও কাজ হয় না-ঠিকঠাক কনসাল্টান্ট ধরুন-সব কাজ ঠিক হবে। গোটা ভারতেই কোরাপ্ট সিস্টেম। মমতা কি করবেন এই লাল ফিতের বিরুদ্ধে?
(৮) পশ্চিম বঙ্গের কর্ম সংস্কৃতি নেই
>> এই একটা ব্যপারে একমত, কারন ঘরে বসে আনন্দবাজার পড়ে যে জাতি এত কিছু জেনে যায়-পা চালানোর, ইনভেস্টিগেট করার দরকার মনে করে না-সে জাতিযে কতটা কুঁড়ে-সেটা বলে দিতে হবে না।
আমি মনে করি কাজের পরিবেশ এবং উপযুক্ত রিওয়ার্ড দিলে, বাঙালী ও ভালই পরিশ্রম করে। ভাট বাঙালী হচ্ছে যারা আনন্দবাজার পড়ে পশ্চিম বঙ্গের শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে এত কিছু জেনে যায়।
কালকের মতন ,আজকেও লিখি-পরিস্থিতি জানতে নিজেরা ছোট একটা ইউনিট খুলে দেখুন না। ব্যবসায় সফল হতে আজকের দিনে "নো হাওটাই" আসল। গুজবে কান দেবেন না। আমার কথাকেও বিশ্বাস করতে বলছি না। নিজেরা মাঠে নেমে দেখুন। মাঠে কাদা, না ঘাস-না জল।
(১) মমতা বিরোধি থাকার সময় বন্ধ সমর্থক ছিলেন-তাহলে উনি কি করে বন্ধ বিরোধি হলেন?
>> এখানেই আমি প্রাগম্যাটীক--বাস্তব হচ্ছে, উনি ক্ষমতায় আসার পরে তৃনমূল একটাও বন্ধ ডাকে নি। সিপিএম অনেকগুলো বন্ধ ডেকেছে। পশ্চিম বঙ্গে শিল্প আনতে গেলে প্রথম শর্ত বন্ধের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। এই ব্যপারে সিপিএম দায়বদ্ধতা দেখায় নি-আদর্শগত কারনে। উনারা আদর্শ নিয়েই থাকুন। কিন্ত তাদের নারায়ণশীলায় মোড়া আদর্শ পশ্চিম বঙ্গের শিল্পের জন্য ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার। পশ্চিম বঙ্গকে গড়তে গেলে চলছে না চলবে নার রাজনীতি আগে বন্ধ করতে হবে। মমতা এক সময় তাই করেছেন বিরোধি থাকা কালীন-কিন্ত ক্ষমতা দখলের পরে কিন্ত পশ্চিম বঙ্গকে আস্তে আস্তে চলছে না চলবে না থেকে মুক্ত করছেন।
(২) তৃণমূলের নেতাদের তোলাবাজি, গুন্ডামো-
>>>> আমি জানি আনন্দবাজার পড়ে সবার ধারনা হয়েছে তৃনমূলের নেতাদের তোলাবাজিতে পশ্চিম বঙ্গের ব্যবসায়ীদের জীবন অতিষ্ট। আমার নিজের সেই অভিজ্ঞতা হয় নি। এই চার বছরে কোন তৃনমূলী আমাদের ডিসটার্ব করে নি। সেক্টর ফাইভে আমার অন্তত জনা দশেক বন্ধু আছে-যারা আমার থেকেও বড় সেট আপ চালাচ্ছে-তারাও কোন দিন তোলা দিয়েছে বলে জানা নেই। বাঁকুড়ার একজন বড় শিল্পপতিকে চিনি-তারাও মমতার আমলে তোলা দিয়েছেন বলে জানা নেই। আনন্দবাজার যা লিখছে, তার সাথে গ্রাউন্ডের অভিজ্ঞতা মিলছে না। আনন্দ বাজার ঠিক হতেই পারে-কিন্ত আমি সেগুলোকে ব্যতিক্রম বলেই মনে করব।
(৩) মমতার সেইজ, জমি অধিগ্রহণ বিরোধি নীতি
>>> হ্যা, মমতা ব্যানার্জি সস্তায় জমি দিতে পারলে, বড় ব্রান্ড আসত। এস ই জি করলেও ভাল হত। ইনফোসিস আসত। কিন্ত সেটা প্রফিট ওভার পিপল হত। লাভ কখনোই মানুষের থেকে বড় হতে পারে না। সেক্টর ফাইভের ৬০% ফ্লোর ফাঁকা। আগে সেগুলো ভর্ত্তি হৌক।
(৪) চা, পাট শিল্পে শ্রমিকদের আত্মহত্যা
>> চা এবং পাট শিল্পের মূল সমস্যা এগুলো লসে চলা বিজনেস। ফলে অধিগ্রহন করেছে কিছু ফরেদাররা। মূল উদ্দেশ্য ব্যাঙ্কের লোন মেরে বড়লোক হওয়া। এই ধরনের ফ্রড আটকাতে গেলে জাতীয় আইন দরকার-যার কথা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজম বলেছেন। এখানে তৃণমূল -এই ব্যাপারটা নিয়ে দিল্লীতে ইস্যুটা তুলতে পারত। কিন্ত এখানে কিছু করতে গেলে বিজেপিকেই করতে হবে- ইস্যুটা ফেডেরাল। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে চাপালে হবে?
(৫) কামদুনী, পার্কস্ট্রীট-একনায়কতন্ত্র -টেট-সারদা
>> সবাই ভুল থেকে শেখেন। মমতাও শিখছেন। দুবছর আগের থেকে উনি এখন ভুলটা অনেক কম করেন।
তৃনমূলের আমলে সারদা হয়েছে। ছোটবেলায় সিপিএমের জমানায় সঞ্চয়নীও দেখছি । চিটফান্ডের সাথে সব পার্টির নেতাদেরই সম্পর্ক ছিল। তৃনমূলের ক্ষেত্রে একটু বেশী হয়েছে, কারন সিপিএম তাড়াতে তাদের টাকার দরকার ছিল। এখন সিপিএম মুক্ত জমানার স্বাধীনতাভোগ করব, কিন্ত সারদার পাপের ফল শুধু তিনোরাই ভোগ করবে-সেটাও হোলিয়ার দ্যান দাও এটিচুড হবে।
আর সিপিএম নিজেদের ক্যাডারদের প্রাইমারী শিক্ষকতায় ঢোকায় নি? কাম ওন। আমার জন্ম ১৯৭৩ সালে!!
(৬) সংখ্যালঘু তোষন-ইমাম ভাতা-জামাতি যোগ
>> মুসলমানদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে ভারতের কোন পার্টি কাজে লাগায় না? এমন পার্টি আছে নাকি ভারতে? ইমরানার কেসে, শাহবানু মামলায় সিপিএম পজিশন কি শরিয়া বিরোধি ছিল???? ঠক বাছতে গাঁ উজার হবে স্যার!!
(৭) পশ্চিম বঙ্গে ফাইল নড়ে না-সরকারী কর্মচারীরা কাজ করে না
>> এগুলো সব ভুল ভাল ধারনা। ভারতে সর্বত্র চ্যানেলে কাজ হয়। সামনা সামনি কোথাও কাজ হয় না-ঠিকঠাক কনসাল্টান্ট ধরুন-সব কাজ ঠিক হবে। গোটা ভারতেই কোরাপ্ট সিস্টেম। মমতা কি করবেন এই লাল ফিতের বিরুদ্ধে?
(৮) পশ্চিম বঙ্গের কর্ম সংস্কৃতি নেই
>> এই একটা ব্যপারে একমত, কারন ঘরে বসে আনন্দবাজার পড়ে যে জাতি এত কিছু জেনে যায়-পা চালানোর, ইনভেস্টিগেট করার দরকার মনে করে না-সে জাতিযে কতটা কুঁড়ে-সেটা বলে দিতে হবে না।
আমি মনে করি কাজের পরিবেশ এবং উপযুক্ত রিওয়ার্ড দিলে, বাঙালী ও ভালই পরিশ্রম করে। ভাট বাঙালী হচ্ছে যারা আনন্দবাজার পড়ে পশ্চিম বঙ্গের শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে এত কিছু জেনে যায়।
কালকের মতন ,আজকেও লিখি-পরিস্থিতি জানতে নিজেরা ছোট একটা ইউনিট খুলে দেখুন না। ব্যবসায় সফল হতে আজকের দিনে "নো হাওটাই" আসল। গুজবে কান দেবেন না। আমার কথাকেও বিশ্বাস করতে বলছি না। নিজেরা মাঠে নেমে দেখুন। মাঠে কাদা, না ঘাস-না জল।