আমি তিন ধরনের বাঙালী বামপন্থী দেখতে অভ্যস্ত।
প্রথমটা ইয়াং জেনারেশন- শহরের দিকে হলে এরা বুকে চে এর শার্ট-গ্রামের দিকে হলে হাতে লাল বই নিয়ে ঘোরে। সাম্যবাদি শোষনমুক্ত একটা স্বর্গ যেখানে অন্যায় অবিচার নেই-এবং বর্তমানের রাজনৈতিক সিস্টেম একদম আমূল বদলানো দরকার-এমন একটা ঘোরের মধ্যে দিন কাটে এদের। পৃথিবীটা এদের কাছে শ্রেনী, শ্রেনী শত্রু ইত্যাদি সাদা-কালো ছবি। এরা লেনিন, স্টালিনের রূপকথা এবং তাদের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদি চক্রান্ত ইত্যাদি গল্পগাথাতে বিশ্বাস রাখে।
তারপর এদের বয়স বাড়তে থাকে। ৩০+ হতে হতে একটু একটু করে বাস্তব জ্ঞান বৃদ্ধি হয়। তখন এদের মধ্যে দুটো শ্রেনীর উদ্ভভ হয়। একটি-যারা পার্টির মধ্যে উঠে ক্ষমতা বাগিয়ে নিজের বৌকে প্রাইমারী স্কুল বা ঐজাতীয় সরকারি চাকরিতে ঢুকিয়েছে বা সিন্ডিকেট যোগ দিয়ে পয়সা তুলছে। আরেকটি-যার চাকরি না পেয়ে ক্যারিয়ার বরবাদ করে, কিছু প্রান্তিক কাজ করে দিন গুজরান করে।
চল্লিশ আসতে আসতে এদের একটা শ্রেনীর মধ্যে হতাশা আরো বাড়ে। শ্রেনী বিপ্লব ত এলোই না-উল্টে মমতা মোদি বিজেপি চলে এল-শ্রমিকরাও বামকথকথা শুনতে রাজি না-আর তাদের কিছু বামবন্ধু পার্টির মাধ্যমে আখের গুছিয়েছে। যে গ্রুপটা গুছিয়ে নিয়েছে-তাদের সমস্যা নেই-তারা সুযোগ বুঝে ঠিক তৃনমূলে -আর কাল তৃণমূল না থাকলে পরশু বিজেপিতে যাবে।
অনেক যুবক যুবতী বাম ভাবধারার ফাঁদে পা দেয় এর মূল কারন অনেকগুলি
- বিবর্তনের কারনে মানুষের মন একই সাথে স্বার্থপর এবং অন্যর জন্য কিছু করতে চায়
-ধনের অসাম্য, সামাজিক অসাম্য এবং গরীবদের বাঁচাতে রাজনৈতিক পঙ্গুত্ব বাস্তব । এগুলির জন্য যখন কেও একটা তত্ত্ব দাঁড় করায়-তখন এদের মনে হয় সমাধান আছে এবং তা কাছেই।
--তৃতীয় কারনটা অবশ্যই এই যে, তাদের বাস্তব এবং পুঁথিগত বিদ্যা -দুটোরই বিশেষ অভাব আছে। অধিকাংশই মার্কেটের বিরুদ্ধে কামান দাগে, কিন্ত মার্কেটের শক্তি এবং দুর্বলতা নিয়ে কোন প্রত্যক্ষ অভিজ্তার মধ্যে যায় নি। একটা প্রোডাকশন সিস্টেম কি করে কাজ করে, সেই নিয়েও এদের অভিজ্ঞতা থাকে না।
ফলে অনেকেই এই কমিনিউস্ট ফাঁদে পা দেয়। এই নয় যে হিন্দুত্ববাদের ফাঁদটা ফাঁদ না। সেটাও ফাঁদ। সে গল্প পরে।
প্রথমটা ইয়াং জেনারেশন- শহরের দিকে হলে এরা বুকে চে এর শার্ট-গ্রামের দিকে হলে হাতে লাল বই নিয়ে ঘোরে। সাম্যবাদি শোষনমুক্ত একটা স্বর্গ যেখানে অন্যায় অবিচার নেই-এবং বর্তমানের রাজনৈতিক সিস্টেম একদম আমূল বদলানো দরকার-এমন একটা ঘোরের মধ্যে দিন কাটে এদের। পৃথিবীটা এদের কাছে শ্রেনী, শ্রেনী শত্রু ইত্যাদি সাদা-কালো ছবি। এরা লেনিন, স্টালিনের রূপকথা এবং তাদের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদি চক্রান্ত ইত্যাদি গল্পগাথাতে বিশ্বাস রাখে।
তারপর এদের বয়স বাড়তে থাকে। ৩০+ হতে হতে একটু একটু করে বাস্তব জ্ঞান বৃদ্ধি হয়। তখন এদের মধ্যে দুটো শ্রেনীর উদ্ভভ হয়। একটি-যারা পার্টির মধ্যে উঠে ক্ষমতা বাগিয়ে নিজের বৌকে প্রাইমারী স্কুল বা ঐজাতীয় সরকারি চাকরিতে ঢুকিয়েছে বা সিন্ডিকেট যোগ দিয়ে পয়সা তুলছে। আরেকটি-যার চাকরি না পেয়ে ক্যারিয়ার বরবাদ করে, কিছু প্রান্তিক কাজ করে দিন গুজরান করে।
চল্লিশ আসতে আসতে এদের একটা শ্রেনীর মধ্যে হতাশা আরো বাড়ে। শ্রেনী বিপ্লব ত এলোই না-উল্টে মমতা মোদি বিজেপি চলে এল-শ্রমিকরাও বামকথকথা শুনতে রাজি না-আর তাদের কিছু বামবন্ধু পার্টির মাধ্যমে আখের গুছিয়েছে। যে গ্রুপটা গুছিয়ে নিয়েছে-তাদের সমস্যা নেই-তারা সুযোগ বুঝে ঠিক তৃনমূলে -আর কাল তৃণমূল না থাকলে পরশু বিজেপিতে যাবে।
অনেক যুবক যুবতী বাম ভাবধারার ফাঁদে পা দেয় এর মূল কারন অনেকগুলি
- বিবর্তনের কারনে মানুষের মন একই সাথে স্বার্থপর এবং অন্যর জন্য কিছু করতে চায়
-ধনের অসাম্য, সামাজিক অসাম্য এবং গরীবদের বাঁচাতে রাজনৈতিক পঙ্গুত্ব বাস্তব । এগুলির জন্য যখন কেও একটা তত্ত্ব দাঁড় করায়-তখন এদের মনে হয় সমাধান আছে এবং তা কাছেই।
--তৃতীয় কারনটা অবশ্যই এই যে, তাদের বাস্তব এবং পুঁথিগত বিদ্যা -দুটোরই বিশেষ অভাব আছে। অধিকাংশই মার্কেটের বিরুদ্ধে কামান দাগে, কিন্ত মার্কেটের শক্তি এবং দুর্বলতা নিয়ে কোন প্রত্যক্ষ অভিজ্তার মধ্যে যায় নি। একটা প্রোডাকশন সিস্টেম কি করে কাজ করে, সেই নিয়েও এদের অভিজ্ঞতা থাকে না।
ফলে অনেকেই এই কমিনিউস্ট ফাঁদে পা দেয়। এই নয় যে হিন্দুত্ববাদের ফাঁদটা ফাঁদ না। সেটাও ফাঁদ। সে গল্প পরে।