আজ বহুদিন বাদে মেরীল্যান্ডের গর্ভনর নির্বাচনে গ্রাসরুটে ক্যাম্পেনে অংশ নিলাম। এর আগে শেষ ২০০৮ সালে ওবামা ক্যাম্পেনে এক্টিভ ছিলাম।
আমেরিকাতে গর্ভনর বা মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচন হয় সরাসরি পপুলার ভোটের মাধ্যমে। ফলে কজন লেজিসলেচর হাতে থাকল-তাতে কিছু যায় আসে না। আমেরিকার অনেক রাজ্যেই ( ম্যাসাচুসেট, নিউ জার্সি) ডেমোক্রাটদের হাতে বেশী এম ল এ( এখানে বলে স্টেট লেজিসলেচার) আছে, কিন্ত গর্ভনর রিপাবলিকান।
তবে মেরীল্যান্ডে ৮০% ডেমোক্রাট হওয়ায় এখানে সেটা হওয়ার সম্ভাবনা একদম নেই। এখন পার্টি প্রাইমারীর সময়। মানে সম্ভাব্য ডেমোক্রাট পার্থীরা নিজেদের মধ্যে লড়ছে, কে পার্টির নমিনেশন পাবে। ভারতে এটা ঠিক করে রাহুল গান্ধী ( যদিও তিনিও এখন পার্টি প্রাইমারীর কথা বলছেন ), বা মমতা নিজে। আমেরিকাতে পার্টির নেতাদের এই ব্যাপারে হাত থাকে না। পার্টির কার্ডহোল্ডাররা নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক করে, কাকে পার্টির নমিনেশন দেবে। এখন সেই প্রাইমারীর কাজ চলছে। যেহেতু এখানে ডেমোক্রাট পার্টির জিত হবেই, সেহেতু ডেমোক্রাটিক পার্টির প্রাইমারীই, গর্ভনর পদের জন্য মূল নির্বাচন বলা চলে। রিপাবলিকান পার্টির এই রাজ্যে এত খারাপ অবস্থা, কেও গোহারা হারার ভয়ে দাঁড়াতেই যায় না। এখানে তিনজন ডেমোক্রাট পার্টি প্রাইমারীতে অংশ নিচ্ছে-সব থেকে যে পিছিয়ে আছে হিদার মিজোর, সেও দেড় মিলিয়ান ডলার নির্বাচন ফান্ড তুলেছে। আর রিপাবলিকান প্রাইমারীর লোকজন দশ হাজার ডলার ও তুলতে পারে নি। এতটাই খারাপ অবস্থা এ রাজ্যে রিপাবলিকানদের। ফলে লড়াইটা মূলত ডেমোক্রাট পার্টির পদপার্থীদের মধ্যে।
এখানে ভূতপূর্ন ভাইস গর্ভনর এন্থনি ব্রাউন যিনি কৃষ্ণাঙ্গ সেনানায়ক, ডেমোক্রাটিক পার্টির প্রাইমারীতে এগিয়ে আছেন। তার মূল প্রতিদ্বন্দী এটর্নি জেনারেল ডাগ গ্যান্সলার। এর মধ্যে তৃতীয় একজন ফাইট দিচ্ছেন, হিদার মিজোউর বলে। এই ভদ্রমহিলা স্বঘোষিত লেসবিয়ান এবং ওবামার কাছের লোক। শুধু তাই না ইনি এখানকার স্কেলে সব থেকে বেশী লেফট লিব্যারাল ক্যান্ডিডেট-যিনি মারিজুয়ানা লিগালাইজ করতে চান। তবে এখানে হিদারের মতন অতিবামেরাও শিল্প বা ব্যবসা বিরোধি নন-এদের অঙ্গীকার পত্রে ব্যবসায়ী শ্রেনীর জন্য অজস্র নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে চাকরি সৃষ্টীর কথা বলা আছে। নতুন ব্যবসা সৃষ্টির জন্য অনেক স্কীম ইনিও চালু করতে চান। এর সাথে পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত আইন ত আছেই।
এই ব্যপারটা ভারতের বাম কালচারে অনুপস্থিত-কারনটা অমর্ত্যসেন বলে গেছেন। কর্তার ভূত। সোভিয়েত এবং লেনিনের ভূত এদের ঘার থেকে এখনো নামে নি। ফলে ভারতের বাম আন্দোলন অদ্ভুত স্ববিরোধিতাতে ভোগে । এরা মুখে পুঁজিপতিদের গাল দিয়ে আম্বানী টাটা ভজনা করে রাজ্যে শিল্প স্থাপনের জন্য। অথচ এখানে হিদারের মতন অতিবাম ক্যান্ডিডেট সরাসরি বলছেন বড় কর্পরেশনগুলি মেরীল্যান্ডে ছাঁটাই করছে -ফলে ওদের ওপর আরো ট্যাক্স বসিয়ে সেই টাকাতে মেরীল্যান্ডে আরো নতুন প্রযুক্তির স্টার্ট-আপ খোলো। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে এখানে ব্যবসাটাকে উনারা শত্রুতে পরিণত করেন নি-বড় ব্যবসা বা কর্পরেশনের বিরোধিতা করছেন কারন সেগুলো মানুষকে চাকরি দিতে ব্য্ররথ হচ্ছে।
হিদারের ক্যাম্পেইন থেকে আমেরিকাতে নতুন ধারার বাম আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে একটা আভাস পাওয়া যায়
-সকলের জন্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য-এই সেক্টরের প্রাইভেটাইজেশন এর বদলে, আরো বেশী সরকারীকরন
-- পরিবেশের সুরক্ষা
- বেবীকেয়ার বে ডেকেয়ারের জন্য সরকারী ব্যবস্থা যাতে দরিদ্র মায়েরা কাজে যেতে পারে
- সমকামী সহ সব মাইনরিটির সুরক্ষা এবং তারা যাতে কোনভাবেই ডিস্ক্রিমিনেটড না হয়।
- নুন্যতম সহায়ক রোজগারের বৃদ্ধি
-- উদ্ভাবনীমূলক ব্যবসা বা প্রযুক্তি স্টার্টাপগুলির জন্যে আরো বেশী সরকারী সাহায্য এবং তা বড় কর্পরেশনগুলির ওপর আরো বেশী ট্যাক্স চাপিয়ে।
- বৃত্তিমূলক শিক্ষা যারা দিচ্ছে, তাদের আরো বেশী সরকারী অনুদান
উল্লেখ্য হিদার নিজেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং চাষী। তবে ওর জেতার চান্স কম।
ভারত্র বাম আন্দোলন সম্পূর্ন দিশাহীন। একদিকে আআপের মতন হেডলেস চিকেন টাইপের এক্টিভিজম-অন্যদিকে সিপিএমের মতন দিশাহীন পার্টি যা উনবিংশ শতাব্দির লেনিনে লালায়িত।
ভারতের বাম আন্দোলনকে আবার ঠিক পথে নিয়ে যেতে, উনাদের লেনিন ছেরে ল্যাটিন আমেরিকা বা আমেরিকার বাম আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
আমেরিকাতে গর্ভনর বা মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচন হয় সরাসরি পপুলার ভোটের মাধ্যমে। ফলে কজন লেজিসলেচর হাতে থাকল-তাতে কিছু যায় আসে না। আমেরিকার অনেক রাজ্যেই ( ম্যাসাচুসেট, নিউ জার্সি) ডেমোক্রাটদের হাতে বেশী এম ল এ( এখানে বলে স্টেট লেজিসলেচার) আছে, কিন্ত গর্ভনর রিপাবলিকান।
তবে মেরীল্যান্ডে ৮০% ডেমোক্রাট হওয়ায় এখানে সেটা হওয়ার সম্ভাবনা একদম নেই। এখন পার্টি প্রাইমারীর সময়। মানে সম্ভাব্য ডেমোক্রাট পার্থীরা নিজেদের মধ্যে লড়ছে, কে পার্টির নমিনেশন পাবে। ভারতে এটা ঠিক করে রাহুল গান্ধী ( যদিও তিনিও এখন পার্টি প্রাইমারীর কথা বলছেন ), বা মমতা নিজে। আমেরিকাতে পার্টির নেতাদের এই ব্যাপারে হাত থাকে না। পার্টির কার্ডহোল্ডাররা নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক করে, কাকে পার্টির নমিনেশন দেবে। এখন সেই প্রাইমারীর কাজ চলছে। যেহেতু এখানে ডেমোক্রাট পার্টির জিত হবেই, সেহেতু ডেমোক্রাটিক পার্টির প্রাইমারীই, গর্ভনর পদের জন্য মূল নির্বাচন বলা চলে। রিপাবলিকান পার্টির এই রাজ্যে এত খারাপ অবস্থা, কেও গোহারা হারার ভয়ে দাঁড়াতেই যায় না। এখানে তিনজন ডেমোক্রাট পার্টি প্রাইমারীতে অংশ নিচ্ছে-সব থেকে যে পিছিয়ে আছে হিদার মিজোর, সেও দেড় মিলিয়ান ডলার নির্বাচন ফান্ড তুলেছে। আর রিপাবলিকান প্রাইমারীর লোকজন দশ হাজার ডলার ও তুলতে পারে নি। এতটাই খারাপ অবস্থা এ রাজ্যে রিপাবলিকানদের। ফলে লড়াইটা মূলত ডেমোক্রাট পার্টির পদপার্থীদের মধ্যে।
এখানে ভূতপূর্ন ভাইস গর্ভনর এন্থনি ব্রাউন যিনি কৃষ্ণাঙ্গ সেনানায়ক, ডেমোক্রাটিক পার্টির প্রাইমারীতে এগিয়ে আছেন। তার মূল প্রতিদ্বন্দী এটর্নি জেনারেল ডাগ গ্যান্সলার। এর মধ্যে তৃতীয় একজন ফাইট দিচ্ছেন, হিদার মিজোউর বলে। এই ভদ্রমহিলা স্বঘোষিত লেসবিয়ান এবং ওবামার কাছের লোক। শুধু তাই না ইনি এখানকার স্কেলে সব থেকে বেশী লেফট লিব্যারাল ক্যান্ডিডেট-যিনি মারিজুয়ানা লিগালাইজ করতে চান। তবে এখানে হিদারের মতন অতিবামেরাও শিল্প বা ব্যবসা বিরোধি নন-এদের অঙ্গীকার পত্রে ব্যবসায়ী শ্রেনীর জন্য অজস্র নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে চাকরি সৃষ্টীর কথা বলা আছে। নতুন ব্যবসা সৃষ্টির জন্য অনেক স্কীম ইনিও চালু করতে চান। এর সাথে পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত আইন ত আছেই।
এই ব্যপারটা ভারতের বাম কালচারে অনুপস্থিত-কারনটা অমর্ত্যসেন বলে গেছেন। কর্তার ভূত। সোভিয়েত এবং লেনিনের ভূত এদের ঘার থেকে এখনো নামে নি। ফলে ভারতের বাম আন্দোলন অদ্ভুত স্ববিরোধিতাতে ভোগে । এরা মুখে পুঁজিপতিদের গাল দিয়ে আম্বানী টাটা ভজনা করে রাজ্যে শিল্প স্থাপনের জন্য। অথচ এখানে হিদারের মতন অতিবাম ক্যান্ডিডেট সরাসরি বলছেন বড় কর্পরেশনগুলি মেরীল্যান্ডে ছাঁটাই করছে -ফলে ওদের ওপর আরো ট্যাক্স বসিয়ে সেই টাকাতে মেরীল্যান্ডে আরো নতুন প্রযুক্তির স্টার্ট-আপ খোলো। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে এখানে ব্যবসাটাকে উনারা শত্রুতে পরিণত করেন নি-বড় ব্যবসা বা কর্পরেশনের বিরোধিতা করছেন কারন সেগুলো মানুষকে চাকরি দিতে ব্য্ররথ হচ্ছে।
হিদারের ক্যাম্পেইন থেকে আমেরিকাতে নতুন ধারার বাম আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে একটা আভাস পাওয়া যায়
-সকলের জন্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য-এই সেক্টরের প্রাইভেটাইজেশন এর বদলে, আরো বেশী সরকারীকরন
-- পরিবেশের সুরক্ষা
- বেবীকেয়ার বে ডেকেয়ারের জন্য সরকারী ব্যবস্থা যাতে দরিদ্র মায়েরা কাজে যেতে পারে
- সমকামী সহ সব মাইনরিটির সুরক্ষা এবং তারা যাতে কোনভাবেই ডিস্ক্রিমিনেটড না হয়।
- নুন্যতম সহায়ক রোজগারের বৃদ্ধি
-- উদ্ভাবনীমূলক ব্যবসা বা প্রযুক্তি স্টার্টাপগুলির জন্যে আরো বেশী সরকারী সাহায্য এবং তা বড় কর্পরেশনগুলির ওপর আরো বেশী ট্যাক্স চাপিয়ে।
- বৃত্তিমূলক শিক্ষা যারা দিচ্ছে, তাদের আরো বেশী সরকারী অনুদান
উল্লেখ্য হিদার নিজেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং চাষী। তবে ওর জেতার চান্স কম।
ভারত্র বাম আন্দোলন সম্পূর্ন দিশাহীন। একদিকে আআপের মতন হেডলেস চিকেন টাইপের এক্টিভিজম-অন্যদিকে সিপিএমের মতন দিশাহীন পার্টি যা উনবিংশ শতাব্দির লেনিনে লালায়িত।
ভারতের বাম আন্দোলনকে আবার ঠিক পথে নিয়ে যেতে, উনাদের লেনিন ছেরে ল্যাটিন আমেরিকা বা আমেরিকার বাম আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিতে হবে।